উল্কা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Muhammad Shafayet Hossain (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Muhammad Shafayet Hossain (আলোচনা | অবদান)
সম্প্রসারণ
১৬ নং লাইন: ১৬ নং লাইন:
|url=http://www.abc.net.au/science/articles/2011/12/22/3396756.htm
|url=http://www.abc.net.au/science/articles/2011/12/22/3396756.htm
}}</ref>
}}</ref>

==উল্কাপিণ্ডের বর্ণনা==

=== আকার ===

উল্কার আকার নিয়ে বেশ অনেকদিন ধরে নানা ব্যাখ্যা ও সংজ্ঞা দেয়া হচ্ছে। ১৯৬১ সালে, [[আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদ্যা ইউনিয়ন]] '''উল্কা'''কে সংজ্ঞায়িত করেন এইভাবে যে, "মহাশূন্যে চলমান একটি কঠিন বস্তু, যার আকার একটি [[গ্রহাণু]]র থেকে যথেষ্ট ছোট এবং একটি পরমাণুর থেকে যথেষ্ট বড়"।<ref name="International Meteor Organization (IMO)">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Glossary International Meteor Organization |ইউআরএল=https://www.imo.net/resources/glossary/#letterm |ওয়েবসাইট=www.imo.net |সংগ্রহের-তারিখ=১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩}}</ref> ১৯৯৫ সালে, মারটিন বিচ ও ড্যানিয়েল স্টিল একত্রে [[রয়্যাল জ্যোতির্বিদ সোসাইটি]]র ত্রিমাসিক জার্নালে একটি লিখা প্রকাশ করেন।<ref name="Quarterly Journal of the Royal Astronomical Society">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Beech, Martin; Steel, Duncan (September 1995) |সাময়িকী=Quarterly Journal of the Royal Astronomical Society |তারিখ=সেপ্টেম্বর ১৯৯৫ |খণ্ড=৩৬ |পাতা=২৮১ |ইউআরএল=https://ui.adsabs.harvard.edu/abs/1995QJRAS..36..281B/abstract |সংগ্রহের-তারিখ=১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩}}</ref> যেখানে তারা '''উল্কা'''র একটি নতুন সংজ্ঞা প্রস্তাব করেন যে, উল্কার আকার ১০০ µm থেকে ১০ m (৩৩ ফুট) এরমধ্যে হতে হবে। পরবর্তীতে ২০১০ সালে, ১০ মিটারের কম দৈর্ঘ্যের [[গ্রহাণু]] আবিষ্কারের পর, আলান রুবেন ও জেফরী গ্রসমান গ্রহাণু ও উল্কার পার্থক্য বজায় রাখার জন্যে ১০ µm এবং ১ মিটার (৩ ফুট ৩ ইঞ্চি) ব্যাসের মধ্যে বস্তুর জন্য উল্কাপিণ্ডের পূর্ববর্তী সংজ্ঞার সংশোধনের প্রস্তাব করেছিলেন কারণ গ্রহাণুর সর্বনিন্ম আকার যাতে পৃথিবী-প্রদক্ষিণকারী টেলিস্কোপ দিয়ে সনাক্ত হতে পারে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Rubin, Alan E.; Grossman, Jeffrey N. (January 2010) |সাময়িকী=Wiley Online Library |তারিখ=৩০ মার্চ ২০১০ |খণ্ড=45 (1) |পাতা=114–122 |ইউআরএল=https://onlinelibrary.wiley.com/doi/10.1111/j.1945-5100.2009.01009.x |সংগ্রহের-তারিখ=১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩}}</ref> ২০০৮ ও ২০১১ সালে যথাক্রমে TS26 ও CQ1 গ্রহাণু আবিষ্কৃত হয় যাদের আকার ১ মিটারের (৩ ফুট ৩ ইঞ্চি) কম ছিল।<ref name="Yeomans, Donald K.; Chodas, Paul; Chesley, Steve (November 9, 2009)">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Small Asteroid 2009 VA Whizzes By the Earth |ইউআরএল=https://cneos.jpl.nasa.gov/news/news166.html |ওয়েবসাইট=cneos.jpl.nasa.gov |সংগ্রহের-তারিখ=১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ |সূত্র=NASA's Near Earth Object Program Office}}</ref> ২০১৭ সালের এপ্রিলে, [[আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদ্যা ইউনিয়ন]] আনুষ্ঠানিকভাবে '''উল্কা'''র আকার ৩০ µm থেকে ১ মিটারের (৩ ফুট ৩ ইঞ্চি) মধ্যে সীমাবদ্ধ করে দেয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শেষাংশ1=Lidz, Franz |প্রথমাংশ1=(2019-01-09) |শিরোনাম=The Oldest Material in the Smithsonian Institution Came From Outer Space |ইউআরএল=https://www.smithsonianmag.com/smithsonian-institution/oldest-material-smithsonian-institution-came-outer-space-180971017/ |ওয়েবসাইট=www.smithsonianmag.com |সংগ্রহের-তারিখ=১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩}}</ref>

=== গঠন ===

=== সৌরজগতে অবস্থান ===

=== পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের সাথে সংঘর্ষ ===


==গ্যালারী==
==গ্যালারী==

১১:১৫, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

উল্কা (meteroid) থেকে উল্কাপাত (meteor) যা হয়ে যায় উল্কাপিণ্ড (meteorite)
পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করার পর উল্কার বিভিন্ন রূপান্তর এ্যানিমেশন চিত্রের মাধ্যমে দেখান হয়েছে।
আকাশগঙ্গা ছায়াপথের পটভূমিতে একটি উল্কাপাত দেখা যাচ্ছে

উল্কা (ইংরেজিতে meteoroid) হল একটি ছোট পাথুরে বা ধাতব বস্তু যা কিনা ধূমকেতুর অংশবিশেষ। কক্ষপথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে ঘর্ষণে জ্বলে উঠলে তাকে উল্কা বলা হয়।

এটি মহাকাশে পরিভ্রমণরত পাথর বা ধাতু দ্বারা গঠিত ছোট মহাজাগতিক বস্তু যা পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করলে বায়ুর সংঘর্ষে জ্বলে উঠে। তখন একে উল্কাপাত (meteor) বলে। এই উল্কাপাতের জন্য দায়ী বস্তুগুলোকে উল্কা বলে। উল্কাপিণ্ড গ্রহাণুর তুলানায় আকারে অনেক ক্ষুদ্র। আকারে এরা ছোট ধূলিকনা থেকে ১ মিটার দৈর্ঘ্যের হয়ে থাকে। এর চেয়ে ছোট বস্তুকে মহাজাগতিক ধূলিকনা বলে। [১][২]

এসব উল্কার বেশীরভাগই গ্রহাণুর বা ধূমকেতুর অংশবিশেষ। বাকী অংশ মহাজাগতিক বস্তুর সংঘর্ষের ফলে সৃষ্ট ধ্বংসাবশেষ।[৩] যখন কোন উল্কা পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করে তখন এর গতীবেগ প্রতি সেকেন্ডে ২০ কিমি বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয় (৭২,০০০ কিমি/ঘণ্টা; ৪৫,০০০ মাইল/ঘণ্টা।)। এসময়ে এ্যারোডাইনামিক্স তাপের কারণে উজ্জ্বল আলোক ছটার সৃষ্টি হয়। এই বাহ্যমূর্তীর কারণে উল্কাপাতকে "তারা-খসা" বা "নক্ষত্র-খসা" ( shooting star/falling star) বলে। কিছু কিছু উল্কা একই উৎস হতে উৎপন্ন হয়ে বিভিন্ন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে ভেঙে প্রজ্জ্বলিত হয় যাকে উল্কা বৃষ্টি বলা হয়।

প্রায় ১৫,০০০ টন পরিমাণ উল্কা, ক্ষুদ্র উল্কাকণা এবং মহাজাগতিক ধূলিকনা প্রতি বছর পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করে।[৪]

উল্কাপিণ্ডের বর্ণনা

আকার

উল্কার আকার নিয়ে বেশ অনেকদিন ধরে নানা ব্যাখ্যা ও সংজ্ঞা দেয়া হচ্ছে। ১৯৬১ সালে, আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদ্যা ইউনিয়ন উল্কাকে সংজ্ঞায়িত করেন এইভাবে যে, "মহাশূন্যে চলমান একটি কঠিন বস্তু, যার আকার একটি গ্রহাণুর থেকে যথেষ্ট ছোট এবং একটি পরমাণুর থেকে যথেষ্ট বড়"।[৫] ১৯৯৫ সালে, মারটিন বিচ ও ড্যানিয়েল স্টিল একত্রে রয়্যাল জ্যোতির্বিদ সোসাইটির ত্রিমাসিক জার্নালে একটি লিখা প্রকাশ করেন।[৬] যেখানে তারা উল্কার একটি নতুন সংজ্ঞা প্রস্তাব করেন যে, উল্কার আকার ১০০ µm থেকে ১০ m (৩৩ ফুট) এরমধ্যে হতে হবে। পরবর্তীতে ২০১০ সালে, ১০ মিটারের কম দৈর্ঘ্যের গ্রহাণু আবিষ্কারের পর, আলান রুবেন ও জেফরী গ্রসমান গ্রহাণু ও উল্কার পার্থক্য বজায় রাখার জন্যে ১০ µm এবং ১ মিটার (৩ ফুট ৩ ইঞ্চি) ব্যাসের মধ্যে বস্তুর জন্য উল্কাপিণ্ডের পূর্ববর্তী সংজ্ঞার সংশোধনের প্রস্তাব করেছিলেন কারণ গ্রহাণুর সর্বনিন্ম আকার যাতে পৃথিবী-প্রদক্ষিণকারী টেলিস্কোপ দিয়ে সনাক্ত হতে পারে।[৭] ২০০৮ ও ২০১১ সালে যথাক্রমে TS26 ও CQ1 গ্রহাণু আবিষ্কৃত হয় যাদের আকার ১ মিটারের (৩ ফুট ৩ ইঞ্চি) কম ছিল।[৮] ২০১৭ সালের এপ্রিলে, আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদ্যা ইউনিয়ন আনুষ্ঠানিকভাবে উল্কার আকার ৩০ µm থেকে ১ মিটারের (৩ ফুট ৩ ইঞ্চি) মধ্যে সীমাবদ্ধ করে দেয়।[৯]

গঠন

সৌরজগতে অবস্থান

পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের সাথে সংঘর্ষ

গ্যালারী

তথ্যসূত্র

  1. [১] / Wily Online Library
  2. [২] / Universe Today
  3. [৩] ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৭ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে / National Geographic 24 Aug 2015
  4. Gary, Stuart (২০১১-১২-২২)। "Survey finds not all meteors the same"ABC Science। ABC। 
  5. "Glossary International Meteor Organization"www.imo.net। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ 
  6. "Beech, Martin; Steel, Duncan (September 1995)"Quarterly Journal of the Royal Astronomical Society৩৬: ২৮১। সেপ্টেম্বর ১৯৯৫। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ 
  7. "Rubin, Alan E.; Grossman, Jeffrey N. (January 2010)"Wiley Online Library। 45 (1): 114–122। ৩০ মার্চ ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ 
  8. "Small Asteroid 2009 VA Whizzes By the Earth"cneos.jpl.nasa.gov। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ 
  9. Lidz, Franz, (2019-01-09)। "The Oldest Material in the Smithsonian Institution Came From Outer Space"www.smithsonianmag.com। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩