অনলাইন পরিচয়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১৭ নং লাইন: ১৭ নং লাইন:
<!---->
<!---->
পরিচয় গঠনের সাথে সম্পর্কিত অনলাইন এবং অফলাইন পরিবেশগুলির মধ্যে সম্পর্ককে সমাধান করার জন্য [[আভি মার্সিওানোও]] "'''VirtuReal'''" শব্দটি তৈরি করেছেন। ট্রান্সজেণ্ডার মানুষের অনলাইন ব্যবহার ও কার্যাবলী সম্পর্কে গবেষণা করে তিনি প্রস্তাব করেন যে, ইন্টারনেট প্রাথমিক, পরিপূরক এবং / অথবা বিকল্প ক্ষেত্র হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। তিনি আরো বলেন যে যদিও অফলাইন জগৎ একটি সীমানা নির্ধারণ করে যা অনলাইন জগতকে অক্ষাংশের মাঝে সীমাবদ্ধ করে ফেলে, তবুও এই সীমানাগুলি মধ্যস্থতাকারী সংস্থাদের জন্য যথেষ্ট যারা ট্রান্সজেন্ডার ব্যবহারকারীদের ক্ষমতায়ন করে। <ref name="Marciano2014">{{cite journal |last=Marciano |first=Avi |title=Living the VirtuReal: Negotiating Transgender Identity in Cyberspace |journal=Journal of Computer-Mediated Communication |date=2014 |volume=19 |issue=4 |pages=824–838 |doi=10.1111/jcc4.12081 }}</ref>
পরিচয় গঠনের সাথে সম্পর্কিত অনলাইন এবং অফলাইন পরিবেশগুলির মধ্যে সম্পর্ককে সমাধান করার জন্য [[আভি মার্সিওানোও]] "'''VirtuReal'''" শব্দটি তৈরি করেছেন। ট্রান্সজেণ্ডার মানুষের অনলাইন ব্যবহার ও কার্যাবলী সম্পর্কে গবেষণা করে তিনি প্রস্তাব করেন যে, ইন্টারনেট প্রাথমিক, পরিপূরক এবং / অথবা বিকল্প ক্ষেত্র হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। তিনি আরো বলেন যে যদিও অফলাইন জগৎ একটি সীমানা নির্ধারণ করে যা অনলাইন জগতকে অক্ষাংশের মাঝে সীমাবদ্ধ করে ফেলে, তবুও এই সীমানাগুলি মধ্যস্থতাকারী সংস্থাদের জন্য যথেষ্ট যারা ট্রান্সজেন্ডার ব্যবহারকারীদের ক্ষমতায়ন করে। <ref name="Marciano2014">{{cite journal |last=Marciano |first=Avi |title=Living the VirtuReal: Negotiating Transgender Identity in Cyberspace |journal=Journal of Computer-Mediated Communication |date=2014 |volume=19 |issue=4 |pages=824–838 |doi=10.1111/jcc4.12081 }}</ref>
===মুখোশের (Mask) ধারণা===
ডরিয়ান উইজানভিভস্কি এবং [[রিচার্ড কোয়েন]] তাদের "বিল্ডিং ভার্চুয়াল কমিউনিকেশনস" বইতে "মুখোশ পরিচয়" ধারণার উপর গুরুত্ব সহকারে অনলাইন পরিচয় সন্ধান করেন।{{Clarify|date=December 2009}}
তারা বলেন যে একজন মানুষ যখনই সামাজিক প্লাটফর্মে মিথস্ক্রিয়া করেন তখন তিনি তাঁর পরিচয়ের একটি মুখোশ তৈরি করেন। এটি আসলে ভিন্ন কিছু নয় এবং এমনকি একজন অনলাইন ব্যবহারকারীর তার প্রোফাইল এর ব্যাপারে সতর্ক থাকার কারণে এটি একটু বেশি প্রাধান্য পায়। তাকে অবশ্যই তার বয়স,[[লিঙ্গ]] ঠিকানা এবং [[ব্যবহারকারী নাম]] এর মত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। আরো বলা যায় যে একজনের অনলাইন কার্যকলাপের বৃদ্ধির সাথে সাথে তার লেখার ভঙ্গি, ব্যবহৃত শব্দাবলী এবং বিষয়াবলী মূলত তার মুখোশ কে প্রভাবিত করে।

একজন ব্যক্তি মুখোশ পছন্দ করার পেছনে ন্যূনতম এক বা একাধিক বিষয়ে থাকে যা তার পছন্দ কে প্রকাশ করে। কেউ হয়ত একে মুখোশের রূপক বলতে পারেন। অনলাইন মুখোশ আসলে প্রকৃত পরিচয় প্রকাশ করে না। এটা কিছু ক্ষেত্রে মুখোশের পিছনে কি রয়েছে তার উদাহরণ প্রদান করে। উদাহরণস্বরূপ, একজন মানুষ যদি রকস্টারদের মত কাজ করতে পছন্দ করে তবে এই রূপক প্রকাশ করে যে ওই ব্যক্তি রক মিউজিক ভালবাসেন। এমনকি একজন ব্যক্তি যদি সম্পূর্ণ ভাবে মিথ্যা পরিচয় এর উপর পেছনে থাকতে চায় এটা তার ভয় এবং আত্মসম্মানের অভাব কে প্রকাশ করে
অনেক আবেগীয় এবং মানসিক কারণে মানুষ অনলাইনে কার্যকলাপ করতে নিরুৎসাহী হতে পারেন। কিন্তু মুখোশ কে বেছে নেয়ার মাধ্যমে একজন মানুষ তার পরিচয় কে নিরাপদ রাখতে পারেন। অনলাইন পরিচয় এর সবচেয়ে বড় ভয় হলো যে কারো পরিচয় চুরি অথবা অপব্যবহার হতে পারে যা মানুষকে নিজের সম্পর্কে কিছু প্রকাশ করতে বাধাগ্রস্থ করে। কেউ কেউ তাদের পরিচয় চুরি অথবা অপব্যবহারের ভয়ে এমন কিছু তথ্য প্রকাশ করেন না যা ইতিমধ্যেই জনসম্মুখে রয়েছে। মুখোশ ধারণাটি ব্যবহারের মাধ্যমে একজন মানুষ কিছুটা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন।

ভিজনিয়েস্কি এবং কয়েন বলেন,"কোন পরিচয়টি প্রকৃতপক্ষে যাচাই করা গেছে, কিভাবে একজন আরেকজনকে খুঁজে পেয়েছেন, তার পরিবর্তন প্রক্রিয়া হিসেবে শিক্ষাকে দেখা যেতে পারে। শিক্ষা পরিচয় রূপান্তর কে বহন করে অন্য জিনিস গুলোর মধ্যে ইচ্ছা হলো পরিচয় প্রবণতা গড়ে তোলার একটি প্রক্রিয়া যা সাধারণভাবে শিক্ষিত করে তোলার প্রক্রিয়া কে বুঝানো হয়। অনলাইন সম্প্রদায়ের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়ারত শিক্ষার্থীরা অবশ্যই তাদের ব্যাপারে স্বচ্ছ হতে হবে এবং এ ব্যাপারে সংবেদনশীল হতে হবে। শিক্ষিত করে তোলার জন্য একটি প্রক্রিয়া থাকতে হবে যা শিক্ষার্থীদের কে নিজেদের সবলতা এবং দুর্বলতা বুঝতে সাহায্য করবে।"<ref>{{cite book |last=Wiszniewski |first=Dorian |last2=Coyne |first2=Richard |title=Building Virtual Communities |edition=1st |date=November 2009 |origyear=2002 |publisher=Cambridge University Press |isbn=9780511606373 |pages=191–214 |chapter=Mask and Identity: The Hermeneutics of Self-Construction in the Information Age |chapterurl=http://ebooks.cambridge.org/chapter.jsf?bid=CBO9780511606373&cid=CBO9780511606373A021}}</ref>

====মিশ্র পরিচয়====

এ মুখোশ ধারণাটি মিশ্রপরিচয় ধারণার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ<ref>{{cite journal |last=Baker |first=Andrea J. |date=December 2009 |title=Mick or Keith: blended identity of online rock fans |journal=Identity in the Information Society |volume=2 |issue=1 |pages=7–21 |publication-date=2009 |doi=10.1007/s12394-009-0015-5 |url=https://link.springer.com/content/pdf/10.1007%2Fs12394-009-0015-5.pdf}}</ref> যেখানে অনলাইন-পরিচয় পর্যায়ক্রমে অফলাইন ব্যক্তিকে মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে অনলাইনে প্রথম পরিচয় হওয়া ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়।


==তথ্যসূত্র==
==তথ্যসূত্র==

১০:৫৬, ৫ জুলাই ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

অনলাইন পরিচয় বা Internet identity (IID) একধরনের সামাজিক পরিচয় যা ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইন সম্প্রদায়ের মধ্যে হয় থাকে। এটি অবশ্য একজন মানুষ সক্রিয়ভাবে নিজেকে উপস্থাপন করাকেও বোঝায়। যদিও কিছু মানুষ তাদের সত্যিকারের নামই অনলাইনে ব্যবহার করে তবে কিছু মানুষ নিজেদেরকে বিভিন্ন ছদ্মনামের মাধ্যমে অজ্ঞাত রাখতে পছন্দ করেন, যা ব্যক্তি শনাক্তকরণ তথ্যে প্রভাব ফেলে। একজন ব্যাবহারকারীর একটি নির্দিষ্ট অনলাইন সামজিক গ্রুপের সঙ্গে সম্পর্কের ভিত্তিতেও নির্ধারণ করা হতে পারে। কেউ কেউ তাদের পরিচয়ের ব্যাপারে বিভ্রান্তিকরও হতে পারে।

ইন্টারনেট ফোরাম, অনলাইন চ্যাটসহ কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহারকারী নিজেকে Avatar(আইকনের মতো গ্রাফিক্স ছবি) রূপে উপস্থাপন করতে পারেন এবং এটিই তাদের অনলাইন পরিচিতির একমাত্র উপায়।[১]অন্য ব্যবহারকারীদের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়ার দ্বারা একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবহারকারী সম্মান অর্জন করেন যা থেকে অন্য ব্যবহারকারীরা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন এই ব্যবহারকারী বিশ্বস্ত কি না।[২] অনলাইন পরিচয় যাচাইকরণ এর মাধ্যমে সম্পন্ন হয়, যা মূলত নিবন্ধন করা এবং লগইন করাকে বোঝায়. কিছু ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীর আইপি ঠিকানা বা শনাক্তকারী কুকিজ এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের শনাক্ত করে। [৩]

নিজ এর ধারণা এবং এটি কীভাবে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রভাবিত হয় তা গবেষণার বিষয় হিসেবে শিক্ষা, সমাজবিদ্যা এবং মনস্তত্ত্ববিদ্যায় সমাদৃত। অনলাইন ডিজইনহিবিশন এফেক্ট একটি বড় উদাহরণ যা একজন ব্যক্তির অব্যক্তিসুলভ আচরণ এর কারণে অজ্ঞাতপ্রবণতা এবং ব্যক্তিগত প্রাধান্যকে বাড়িয়ে তুলছে। [৪]

অনলাইন সামজিক পরিচয়

পরিচয় প্রকাশ ভঙ্গি এবং পরিচয় প্রতিফলন

সামাজিক ওয়েব অর্থাৎ ওয়েব কে সামাজিক যোগাযোগ এর জন্য ব্যবহার মানুষকে এমন একটি স্থান দিয়েছেন যেখানে মানুষ সামাজিকভাবে তাদের পরিচয়ের প্রকাশ এবং প্রতিফলন ঘটাতে পারেন। [৫] যেমন মানুষ ফেসবুক অথবা লিংকডইনের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে সরাসরি তাদের ব্যক্তিগত প্রোফাইল তৈরি করে তাদের পরিচয় প্রকাশ করেন।[৬] ব্লগ এবং অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে নিজের মতবাদ ব্যক্ত করার মাধ্যমে তারা মৌনভাবে তাদের পরিচয় প্রকাশ করেন। একজন ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ গোপনীয়তার সাথে সম্পর্কিত কিছু বিষয় [২] উপস্থাপন করতে পারে। অনেক ব্যক্তি এক্ষেত্রে কিছু কৌশল গ্রহণ করেন যা তাদের ব্যক্তিগত তথ্য অনলাইনে প্রকাশের ক্ষেত্র নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। [৭] কিছু কৌশলে ব্যবহারকারীদের যথেষ্ট প্রচেষ্টার প্রয়োজন হয়।

অনলাইন পরিচয়ের ধারণা উত্থাপনে শিক্ষাবিদদের মধ্যে অনেক প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে। সামাজিক নেটওয়ার্কিং পরিষেবাদি এবং অনলাইন অবতার পরিচয়ের ধারণাকে আরো জটিল করে তুলেছে। একাডেমিয়া এই উদ্ভাবনী প্রবণতায় সাড়া দিয়ে টেকনসেল্ফ এর মতো শিক্ষামূলক গবেষণার ক্ষেত্র তৈরি করেছে, যা প্রযুক্তিগত সমাজে মানুষের পরিচয়ের উপর গুরুত্বারোপ করে থাকে। অনলাইন কার্যাবলী আমাদের ব্যক্তিগত পরিচয়কেও প্রভাবিত করতে পারে।[৮] পরিচয় গঠনের সাথে সম্পর্কিত অনলাইন এবং অফলাইন পরিবেশগুলির মধ্যে সম্পর্ককে সমাধান করার জন্য আভি মার্সিওানোও "VirtuReal" শব্দটি তৈরি করেছেন। ট্রান্সজেণ্ডার মানুষের অনলাইন ব্যবহার ও কার্যাবলী সম্পর্কে গবেষণা করে তিনি প্রস্তাব করেন যে, ইন্টারনেট প্রাথমিক, পরিপূরক এবং / অথবা বিকল্প ক্ষেত্র হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। তিনি আরো বলেন যে যদিও অফলাইন জগৎ একটি সীমানা নির্ধারণ করে যা অনলাইন জগতকে অক্ষাংশের মাঝে সীমাবদ্ধ করে ফেলে, তবুও এই সীমানাগুলি মধ্যস্থতাকারী সংস্থাদের জন্য যথেষ্ট যারা ট্রান্সজেন্ডার ব্যবহারকারীদের ক্ষমতায়ন করে। [৯]

মুখোশের (Mask) ধারণা

ডরিয়ান উইজানভিভস্কি এবং রিচার্ড কোয়েন তাদের "বিল্ডিং ভার্চুয়াল কমিউনিকেশনস" বইতে "মুখোশ পরিচয়" ধারণার উপর গুরুত্ব সহকারে অনলাইন পরিচয় সন্ধান করেন।[স্পষ্টকরণ প্রয়োজন] তারা বলেন যে একজন মানুষ যখনই সামাজিক প্লাটফর্মে মিথস্ক্রিয়া করেন তখন তিনি তাঁর পরিচয়ের একটি মুখোশ তৈরি করেন। এটি আসলে ভিন্ন কিছু নয় এবং এমনকি একজন অনলাইন ব্যবহারকারীর তার প্রোফাইল এর ব্যাপারে সতর্ক থাকার কারণে এটি একটু বেশি প্রাধান্য পায়। তাকে অবশ্যই তার বয়স,লিঙ্গ ঠিকানা এবং ব্যবহারকারী নাম এর মত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। আরো বলা যায় যে একজনের অনলাইন কার্যকলাপের বৃদ্ধির সাথে সাথে তার লেখার ভঙ্গি, ব্যবহৃত শব্দাবলী এবং বিষয়াবলী মূলত তার মুখোশ কে প্রভাবিত করে।

একজন ব্যক্তি মুখোশ পছন্দ করার পেছনে ন্যূনতম এক বা একাধিক বিষয়ে থাকে যা তার পছন্দ কে প্রকাশ করে। কেউ হয়ত একে মুখোশের রূপক বলতে পারেন। অনলাইন মুখোশ আসলে প্রকৃত পরিচয় প্রকাশ করে না। এটা কিছু ক্ষেত্রে মুখোশের পিছনে কি রয়েছে তার উদাহরণ প্রদান করে। উদাহরণস্বরূপ, একজন মানুষ যদি রকস্টারদের মত কাজ করতে পছন্দ করে তবে এই রূপক প্রকাশ করে যে ওই ব্যক্তি রক মিউজিক ভালবাসেন। এমনকি একজন ব্যক্তি যদি সম্পূর্ণ ভাবে মিথ্যা পরিচয় এর উপর পেছনে থাকতে চায় এটা তার ভয় এবং আত্মসম্মানের অভাব কে প্রকাশ করে অনেক আবেগীয় এবং মানসিক কারণে মানুষ অনলাইনে কার্যকলাপ করতে নিরুৎসাহী হতে পারেন। কিন্তু মুখোশ কে বেছে নেয়ার মাধ্যমে একজন মানুষ তার পরিচয় কে নিরাপদ রাখতে পারেন। অনলাইন পরিচয় এর সবচেয়ে বড় ভয় হলো যে কারো পরিচয় চুরি অথবা অপব্যবহার হতে পারে যা মানুষকে নিজের সম্পর্কে কিছু প্রকাশ করতে বাধাগ্রস্থ করে। কেউ কেউ তাদের পরিচয় চুরি অথবা অপব্যবহারের ভয়ে এমন কিছু তথ্য প্রকাশ করেন না যা ইতিমধ্যেই জনসম্মুখে রয়েছে। মুখোশ ধারণাটি ব্যবহারের মাধ্যমে একজন মানুষ কিছুটা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন।

ভিজনিয়েস্কি এবং কয়েন বলেন,"কোন পরিচয়টি প্রকৃতপক্ষে যাচাই করা গেছে, কিভাবে একজন আরেকজনকে খুঁজে পেয়েছেন, তার পরিবর্তন প্রক্রিয়া হিসেবে শিক্ষাকে দেখা যেতে পারে। শিক্ষা পরিচয় রূপান্তর কে বহন করে অন্য জিনিস গুলোর মধ্যে ইচ্ছা হলো পরিচয় প্রবণতা গড়ে তোলার একটি প্রক্রিয়া যা সাধারণভাবে শিক্ষিত করে তোলার প্রক্রিয়া কে বুঝানো হয়। অনলাইন সম্প্রদায়ের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়ারত শিক্ষার্থীরা অবশ্যই তাদের ব্যাপারে স্বচ্ছ হতে হবে এবং এ ব্যাপারে সংবেদনশীল হতে হবে। শিক্ষিত করে তোলার জন্য একটি প্রক্রিয়া থাকতে হবে যা শিক্ষার্থীদের কে নিজেদের সবলতা এবং দুর্বলতা বুঝতে সাহায্য করবে।"[১০]

মিশ্র পরিচয়

এ মুখোশ ধারণাটি মিশ্রপরিচয় ধারণার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ[১১] যেখানে অনলাইন-পরিচয় পর্যায়ক্রমে অফলাইন ব্যক্তিকে মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে অনলাইনে প্রথম পরিচয় হওয়া ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়।

তথ্যসূত্র

  1. Adams, Suellen (২০০৫)। Information Behavior and the Formation and Maintenance of Peer Cultures in Massive Multiplayer Online Roleplaying Games: a Case Study of City of Heroes (PDF)। DiGRA: Changing Views - Worlds in Play। Authors & Digital Games research Association (DiGRA)। 
  2. Nabeth, Thierry (২৬ মে ২০০৬)। "Understanding the Identity Concept in the Context of Digital Social Environments" (পিডিএফ)D2.2: Set of use cases and scenariosFIDIS Deliverables2। FIDIS। পৃষ্ঠা 74–91। 
  3. "The Many Ways Websites Track You Online" 
  4. Suler, John (২০০৪)। "The Online Disinhibition Effect"। CyberPsychology & Behavior7 (3): 321–326। ডিওআই:10.1089/1094931041291295পিএমআইডি 15257832সাইট সিয়ারX 10.1.1.514.4718অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  5. Marcus, Bernd; Machilek, Franz; Schütz, Astrid (২০০৬)। "Personality in cyberspace: Personal web sites as media for personality expressions and impressions"। Journal of Personality and Social Psychology90 (6): 1014–1031। ডিওআই:10.1037/0022-3514.90.6.1014পিএমআইডি 16784349 
  6. Siibak, Andra (সেপ্টেম্বর ২০০৭)। Casanovas of the Virtual World. How Boys Present Themselves on Dating Websites.। Young People at the Crossroads: 5th International Conference on Youth Research। Petrozavodsk, Republic of Karelia, Russian Federation। পৃষ্ঠা 83–91। আইএসবিএন 978-952-219-020-8 
  7. Tufekci, Zeynep (ফেব্রুয়ারি ২০০৮)। "Can You See Me Now? Audience and Disclosure Regulation in Online Social Network Sites"Bulletin of Science, Technology & Society28 (1): 20–36। ডিওআই:10.1177/0270467607311484সাইট সিয়ারX 10.1.1.468.6581অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  8. Rodogno, R (২০১২)। "Personal Identity Online."। Philosophy & Technology 
  9. Marciano, Avi (২০১৪)। "Living the VirtuReal: Negotiating Transgender Identity in Cyberspace"। Journal of Computer-Mediated Communication19 (4): 824–838। ডিওআই:10.1111/jcc4.12081 
  10. Wiszniewski, Dorian; Coyne, Richard (নভেম্বর ২০০৯) [2002]। "Mask and Identity: The Hermeneutics of Self-Construction in the Information Age"Building Virtual Communities (1st সংস্করণ)। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 191–214। আইএসবিএন 9780511606373 
  11. Baker, Andrea J. (ডিসেম্বর ২০০৯)। "Mick or Keith: blended identity of online rock fans" (পিডিএফ)Identity in the Information Society (প্রকাশিত হয় ২০০৯)। 2 (1): 7–21। ডিওআই:10.1007/s12394-009-0015-5