বিষয়বস্তুতে চলুন

কেন্নো: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৩৩ নং লাইন: ৩৩ নং লাইন:
[[চিত্র:Millipede.jpg|thumb|কেন্নো]]
[[চিত্র:Millipede.jpg|thumb|কেন্নো]]
[[চিত্র:Millipedes.jpg|thumb|কেন্নোরা কুণ্ডলী পাকিয়ে]][[বিষয়শ্রেণী:সন্ধিপদ]]
[[চিত্র:Millipedes.jpg|thumb|কেন্নোরা কুণ্ডলী পাকিয়ে]][[বিষয়শ্রেণী:সন্ধিপদ]]

===সেন্টিপড থেকে পার্থক্য===
সাধারণ দৃষ্টি ভঙ্গি থেকে দুটো কাছাকাছি মনে হলেও মিলিপড এবং সেন্টিপডের পার্থক্য জনসাধারণের কাছে একটি সাধারন প্রশ্ন।<ref name="Shelley 1999">{{cite journal |last=Shelley |first=Rowland M. |title=Centipedes and millipedes with emphasis on North American fauna |journal=The Kansas School Naturalist |year=1999 |volume=45 |issue=3 |pages=1–16 |url=http://www.emporia.edu/ksn/v45n3-march1999/}}</ref> মাইরিয়াপডের এই দুটি শ্রেণীর অনেক মিল রয়েছে, যেমন দুটোই লম্বাকৃতির, খন্ড খন্ড অংশে বিভক্ত, অনেক পা, এক জোড়া এন্টেনা এবং দুটোর শরীরেই [[Tömösváry organ|পোষ্টএ্যাটেনাল অঙ্গ]] রয়েছে। কিন্তু তা সত্তেও তাদের অনেক পার্থক্য রয়েছে, রয়েছে বিকাশ ও বিবর্তনের নিজস্ব ইতিহাস যেহেতু তারা দুটো প্রজাতিই সিলুরিয়ান সময় (৪৭৫ বা ৪৫০ মিলিয়ন বছর পূর্বে) থেকেই পৃথিবীতে বাস করছে।<ref name=Brewer&Bond2013>{{cite journal|last1=Brewer|first1=Michael S.|last2=Bond|first2=Jason E.|title=Ordinal-level phylogenomics of the arthropod class Diplopoda (Millipedes) based on an analysis of 221 nuclear protein-coding loci generated using next-generation sequence analyses|journal=PLoS ONE |year=2013|volume=8|issue=11|pages=e79935|doi=10.1371/journal.pone.0079935|pmid=24236165|pmc=3827447}}</ref> তাদের শুধুমাত্র মাথার আকারই পার্থক্যের বড় উদাহরণ। মিলিপডের রয়েছে ছোট মাথা, কনুই ভাঙ্গার মত এ্যান্টেনা যা দিয়ে তারা স্তর খুড়ে, এক জোড়া শক্ত চোয়াল এবং এক জোড়া চর্বনাস্তি যা ঠোটের সাথে গিয়ে মিশেছে। অন্যদিকে সেন্টিপডের রয়েছে লম্বা সুতার মত এ্যান্টেনা, ছোট এক জোড়া চোয়াল, দুই জোড়া চর্বনাস্থি এবং এক জোড়া বড় বিষাক্ত নখ।<ref name=Blower>{{cite book|author=Blower, John Gordon|title=Millipedes: Keys and Notes for the Identification of the Species|url=https://books.google.com/books?id=VQsVAAAAIAAJ&pg=PA1 |year=1985 |publisher=Brill Archive |isbn=90-04-07698-0 |page=1}}</ref>
[[File:Millipede centipede side-by-side.png|thumb|alt=Millipede and centipede|মিলিপড ও সেন্টিপড পাশাপাশি]]
{| class="wikitable"
|+ '''Millipede and centipede differences'''<ref name="Shelley 1999"/>
! scope="col" style="width:100pt;"| বৈশিষ্ট্য
! scope="col" style="width:260pt;"| মিলিপড
! scope="col" style="width:270pt;"| সেন্টিপড
|- valign="top"
! scope="row" | পা
| বেশিরভাগ খন্ডেই দুই জোড়া; শরীরের নিচের অংশ থেকে শুরু
| প্রতি খন্ডেই এক জোড়া; শরীরের পাশে থেকে শুরু, শেষের জোড়া পিছনের দিকে বর্ধিত
|- valign="top"
! scope="row" | চলাচল
| সাধারণত গর্ত খোড়ার জন্য বা ছোট ফাটলে বসবাসের উপযোগী; আস্তে চলে
| সাধারণত দৌড়ানোর জন্য। ব্যতিক্রম হল [[Geophilomorpha|মাটির সেন্টিপড]], তারা খোড়ার কাজে ব্যবহার করে থাকে
|- valign="top"
! scope="row" | খাদ্য
| প্রাথমিকভাবে পাতা পচা খেকো, কিছু গাছ খেকো আবার কিছু মাংসাশি; কোন বিষ নেই
| প্রাথমিকভাবে মাংসাশি, নখরযুক্ত যা বিষাক্ত
|- valign="top"
! scope="row" | Spiracles
| শরীরের নিচের অংশে
| পাশে বা উপরে
|- valign="top"
! scope="row" | জননাঙ্গের অবস্থান
| তৃতীয় খন্ডে
| শরীরের শেষ খন্ডে
|- valign="top"
! scope="row" | বংশবৃদ্ধির পদ্ধতি
| পুরুষ গনোপডের সাহায্যে স্ত্রী'র দেহে বীজ স্থানান্তর করে
| পুরুষ সাধারণত বীজ উৎপন্ন করে রাখে যা স্ত্রী তুলে নেয়।
|}


{{অসম্পূর্ণ}}
{{অসম্পূর্ণ}}

০৯:২৯, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ


Millipedes
সময়গত পরিসীমা: ৪২৮–০কোটি Late Silurian to Present
An assortment of millipedes (not to scale)
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
Subclasses
বৈচিত্র্য
16 orders, c. 12,000 species

ইংরেজি নাম millipede মিলিপড বা বাংলায় কেন্নো যাকে বলা হয় তারা আর্থোপোডা শ্রেণীর। এদের বৈশিষ্ট্য হল দুই জোড়া সন্ধিস্ত পা, যা প্রায় পুরো খন্ড খন্ড শরীরেই থাকে। এদের বৈজ্ঞানিক শ্রেণী হল ডিপ্লোপোডা। ডিপ্লোপোডা নামটি এদের শারীরিক বৈশিষ্ট্য থেকেই নেয়া হয়েছে। প্রতি দ্বী-পদ ভাগ তৈরি হয়েছে দুটো আলাদা আলাদা খন্ড যুক্ত হয়ে। বেশিরভাগ মিলিপডেরই গোলাকার অথবা চ্যাপ্টা শরীর থাকে যা ২০টিরও বেশি ভাগে বিভক্ত থাকে। এদের কোন কোন প্রজাতি তাদের শরীরকে গোল করে মুড়ে নিতে পারে, যদি তারা বিপদের আভাস দেখে।যদিও মিলিপড নামটি ল্যাটিন থেকে নেয়া হয়েছে যার অর্থ "হাজার পা", তবুও প্রকৃতপক্ষে কোন প্রজাতিরই এত পা পাওয়া যায় নি। সবচেয়ে বেশি পায়ের অধিকারি প্রজাতিটির নাম হল Illacme plenipes, যার রয়েছে ৭৫০ খানা পা। প্রায় ১২০০০ হাজার প্রজাতির নামকরণ করা হয়েছে যা আবার ১৬টি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে। আর পরিবার বা গণ রয়েছে ১৪০টির মত। যার ফলে ডিপ্লোপোডা মাইরিয়াপডের সবচেয়ে বড় শ্রেণীতে পরিণত হয়েছে।

বেশির ভাগ মিলিপডেরই চলাচল মন্থর গতির। এরা পচা পাতা, মৃত গাছের অন্যান্য জৈব খায়। কিছু কিছু মিলিপড ফাঙ্গাস বা গাছের রস খায়। খুব অল্প প্রজাতিই শিকারী হয়ে থাকে। এগুলো মানুষের কোন ক্ষতি করে না, যদিও এরা বসত বাড়ির বা বাগানের জন্য ক্ষতির হতে পারে। যেমন গ্রীন হাউজের মধ্যে সদ্য জন্মানো চারা বা অঙ্কুর হওয়া বীজের মারাত্মক ক্ষতি এরা করতে পারে। বেশির ভাগ মিলিপড তাদের শরীর থেকে বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল নিসৃত করে নিজের আত্মরক্ষা করে থাকে। ব্রিস্টল মিলিপডেরা গুচ্ছ লোমসদৃস বস্তু দ্বারা আচ্ছাদিত থাকে যা খসে পড়তে পারে। এই প্রজাতির বেশির ভাগ মিলিপডই বংশবৃদ্ধির সময় পুরুষ পুংদন্ড (যা তাদের পা গুলোর পরিবর্তিত রূপ, এগুলোকে গনোপড বলে) দিয়ে স্ত্রী গর্ভে বীজ স্থানান্তর করে।

মিলিপডরা হল সেইসব পুরনো স্থল ভাগের প্রাণী যারা বহু পূর্ব হতে পৃথিবীতে আছে। এদের প্রথম দেখা মেলে সিলুরিয়ান পিরিয়ডে। প্রিহিস্টোরিক সময়ের কিছু প্রজাতির আকার বেড়ে প্রায় ২ মি (৬ ফু ৭ ইঞ্চি) হয়। আধুনিক কিছু প্রজাতির আকার হয় সব্বোচ্চ ২৭ থেকে ৩৮ সেমি (১১ থেকে ১৫ ইঞ্চি)। মিলিপডদের মধ্যে আফ্রিকান জায়ান্ট মিলিপড (Archispirostreptus gigas) প্রজাতিটিই বেশি পুরনো।


এই সন্ধিপদের ইংরেজি নাম millipede অর্থাৎ "সহস্রপদ" যদিও ৭৫০-র বেশি এখনো মেলে নি।

কেন্নো (millipede) এবং বিছের (centipede) তফাৎ: বিছের শরীর উপরনীচে চ্যাপ্টা, কেন্নোর গোল। কেন্নোদের ছুঁলে এরা কুণ্ডলী পাকিয়ে ফেলে। দ্রতগামী বিছের প্রতিটি দেহভাগে একজোড়া বিষাক্ত পা আছে। কেন্নোর প্রথম কয়কটি ছাড়া প্রতিটি দেহভাগে দুইজোড়া পা আছে; কেন্নোর বিষ নেই ও গতি মন্থর।


কেন্নো
কেন্নোরা কুণ্ডলী পাকিয়ে

সেন্টিপড থেকে পার্থক্য

সাধারণ দৃষ্টি ভঙ্গি থেকে দুটো কাছাকাছি মনে হলেও মিলিপড এবং সেন্টিপডের পার্থক্য জনসাধারণের কাছে একটি সাধারন প্রশ্ন।[১] মাইরিয়াপডের এই দুটি শ্রেণীর অনেক মিল রয়েছে, যেমন দুটোই লম্বাকৃতির, খন্ড খন্ড অংশে বিভক্ত, অনেক পা, এক জোড়া এন্টেনা এবং দুটোর শরীরেই পোষ্টএ্যাটেনাল অঙ্গ রয়েছে। কিন্তু তা সত্তেও তাদের অনেক পার্থক্য রয়েছে, রয়েছে বিকাশ ও বিবর্তনের নিজস্ব ইতিহাস যেহেতু তারা দুটো প্রজাতিই সিলুরিয়ান সময় (৪৭৫ বা ৪৫০ মিলিয়ন বছর পূর্বে) থেকেই পৃথিবীতে বাস করছে।[২] তাদের শুধুমাত্র মাথার আকারই পার্থক্যের বড় উদাহরণ। মিলিপডের রয়েছে ছোট মাথা, কনুই ভাঙ্গার মত এ্যান্টেনা যা দিয়ে তারা স্তর খুড়ে, এক জোড়া শক্ত চোয়াল এবং এক জোড়া চর্বনাস্তি যা ঠোটের সাথে গিয়ে মিশেছে। অন্যদিকে সেন্টিপডের রয়েছে লম্বা সুতার মত এ্যান্টেনা, ছোট এক জোড়া চোয়াল, দুই জোড়া চর্বনাস্থি এবং এক জোড়া বড় বিষাক্ত নখ।[৩]

Millipede and centipede
মিলিপড ও সেন্টিপড পাশাপাশি
Millipede and centipede differences[১]
বৈশিষ্ট্য মিলিপড সেন্টিপড
পা বেশিরভাগ খন্ডেই দুই জোড়া; শরীরের নিচের অংশ থেকে শুরু প্রতি খন্ডেই এক জোড়া; শরীরের পাশে থেকে শুরু, শেষের জোড়া পিছনের দিকে বর্ধিত
চলাচল সাধারণত গর্ত খোড়ার জন্য বা ছোট ফাটলে বসবাসের উপযোগী; আস্তে চলে সাধারণত দৌড়ানোর জন্য। ব্যতিক্রম হল মাটির সেন্টিপড, তারা খোড়ার কাজে ব্যবহার করে থাকে
খাদ্য প্রাথমিকভাবে পাতা পচা খেকো, কিছু গাছ খেকো আবার কিছু মাংসাশি; কোন বিষ নেই প্রাথমিকভাবে মাংসাশি, নখরযুক্ত যা বিষাক্ত
Spiracles শরীরের নিচের অংশে পাশে বা উপরে
জননাঙ্গের অবস্থান তৃতীয় খন্ডে শরীরের শেষ খন্ডে
বংশবৃদ্ধির পদ্ধতি পুরুষ গনোপডের সাহায্যে স্ত্রী'র দেহে বীজ স্থানান্তর করে পুরুষ সাধারণত বীজ উৎপন্ন করে রাখে যা স্ত্রী তুলে নেয়।
  1. Shelley, Rowland M. (১৯৯৯)। "Centipedes and millipedes with emphasis on North American fauna"The Kansas School Naturalist45 (3): 1–16। 
  2. Brewer, Michael S.; Bond, Jason E. (২০১৩)। "Ordinal-level phylogenomics of the arthropod class Diplopoda (Millipedes) based on an analysis of 221 nuclear protein-coding loci generated using next-generation sequence analyses"PLoS ONE8 (11): e79935। ডিওআই:10.1371/journal.pone.0079935পিএমআইডি 24236165পিএমসি 3827447অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  3. Blower, John Gordon (১৯৮৫)। Millipedes: Keys and Notes for the Identification of the Species। Brill Archive। পৃষ্ঠা 1। আইএসবিএন 90-04-07698-0