সুদীপ্তা সেনগুপ্ত

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সুদীপ্তা সেনগুপ্ত
জন্ম
জাতীয়তাভারতীয়
মাতৃশিক্ষায়তনযাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়
ইম্পিরিয়াল কলেজ
পুরস্কারশান্তি স্বরূপ ভটনাগর পুরস্কার
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
কর্মক্ষেত্রভূতত্ত্ব, পর্বতারোহণ
প্রতিষ্ঠানসমূহভারতীয় ভূবৈজ্ঞানিক সর্বেক্ষণ
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়

সুদীপ্তা সেনগুপ্ত প্রথম ভারতীয় মহিলা অ্যান্টার্কটিকা অভিযাত্রী।

পরিবার[সম্পাদনা]

সুদীপ্তা সেনগুপ্ত ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা জ্যোতি রঞ্জন সেনগুপ্ত একজন আবহবিদ ছিলেন। তার মাতার নাম পুস্পা সেনগুপ্ত। পিতার কর্মসূত্রে সুদীপ্তার শৈশবের অধিকাংশ সময় নেপালে অতিবাহিত হয়।[১]

শিক্ষা ও কর্ম জীবন[সম্পাদনা]

সুদীপ্তা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূতত্ত্ব বিষয়ে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে তিনি অধ্যাপক সুবীর ঘোষের তত্ত্বাবধানে ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৭০ থেকে ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি ভারতীয় ভূবৈজ্ঞানিক সর্বেক্ষণে ভূতত্ত্ববিদের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি রয়্যাল কমিশন ফর দ্য একজিবিশন অব ১৮৫১ থেকে বৃত্তি লাভ করে পরবর্তী তিন বছর লন্ডন শহরের ইম্পিরিয়াল কলেজে পোস্ট-ডক্টরেট গবেষণা করেন। ১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতুত্ত্ব প্রতিষ্ঠানে ছয় মাসের জন্য যোগদান করেন। এরপর তিনি ইন্টারন্যাশনাল জিওডায়নামিক্স প্রজেক্টে বৈজ্ঞানিক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি ভারতে ফিরে এসে ভারতীয় ভূবৈজ্ঞানিক সর্বেক্ষণে ভূতত্ত্ববিদ হিসেবে যোগপদান করেন। ১৯৮২ খ্রিস্টাব্দে তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন এবং বর্তমানে তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।[১]:১৩

পর্বতারোহণ[সম্পাদনা]

সুদীপ্তা সেনগুপ্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর স্তরে পড়াশোনা করার সময় হিমালয়ান পর্বতারোহণ সংস্থাননেহরু ইনস্টিটিউট অব মাউন্টেনিয়ারিং নামক ভারতের দুইটি প্রধান পর্বতারোহণ প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান থেকে পর্বতারোহণের প্রশিক্ষণ নেন। ডক্টরেট করার সময় তিনি হিমাচল প্রদেশের লাহুল ও স্পিতি অঞ্চলে ২০,১৩০ ফুট উচ্চ একটি অনামী পর্বতশৃঙ্গ হয় করেন। শৃঙ্গটির নাম রাখা হয় ললনা।[১]:১২

অ্যান্টার্কটিকা অভিযান[সম্পাদনা]

১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দে তৃতীয় ভারতীয় অ্যান্টার্কটিকা অভিযানের সদস্য হিসেবে সুদীপ্তা সেনগুপ্তকে নির্বাচিত করা হয়। তিনি ও সমদ্র জীববিজ্ঞানী অদিতি পন্থ ভারতের প্রথম মহিলা হিসেবে এই অভিযানে অংশগ্রহণ করেন। এই সময় শির্মাকার পাহাড়ে সুদীপ্তা ভূতাত্ত্বিক গবেষণা চালান।[২][৩] ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি নবম ভারতীয় অ্যান্টার্কটিকা অভিযানের সদস্য হিসেবে দ্বিতীয়বার অ্যান্টার্কটিকা অভিযানে অংশগ্রহণ করেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. সেনগুপ্ত, সুদীপ্তা, সম্পাদক (সেপ্টেম্বর ১৯৮৭)। আন্টার্কটিকা (প্রথম সংস্করণ)। আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড, ৪৫ বেনিয়েটোলা লেন, কলকাতা-৪। আইএসবিএন 81-7066-091-2 
  2. Chaturvedi, Arun (২০০৪)। "Indian Women in Antarctic Expeditions: A Historical Perspective"। Department of Ocean Development, Technical Publication17: 277–279। 
  3. Tiwari, Anju (২০০৮)। Story of Antarctica। Goa: National Centre for Antarctic and Ocean Research। আইএসবিএন 978-81-906526-0-5