সাদা দাগযুক্ত লেজনাচানি
সাদা দাগযুক্ত লেজনাচানি | |
---|---|
অপরিচিত (আইইউসিএন ৩.১)
| |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Animalia |
পর্ব: | কর্ডাটা |
শ্রেণী: | পক্ষী |
বর্গ: | Passeriformes |
পরিবার: | Rhipiduridae |
গণ: | Rhipidura |
প্রজাতি: | R. albogularis |
দ্বিপদী নাম | |
Rhipidura albogularis (Lesson, 1831) |
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/2/23/White-throated_Fantail_%28Rhipidura_albicollis%29-_albogularis_race-_chicks_in_nest_in_Anantgiri%2C_AP_W_IMG_8921.jpg/220px-White-throated_Fantail_%28Rhipidura_albicollis%29-_albogularis_race-_chicks_in_nest_in_Anantgiri%2C_AP_W_IMG_8921.jpg)
সাদা দাগযুক্ত লেজনাচানি অথবা দাগ-বুক লেজনাচানি (Rhipidura albogularis) হল একধরনের ছোটো প্যাসারিফর্মিস পাখি। এদেরকে প্রধানত দেখতে পাওয়া যায় বনে জঙ্গলে, এবং এদের প্রধান বিস্তার হল দক্ষিণ এবং মধ্য ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে। এদেরকে আগে ধলাগলা লেজনাচানি প্রজাতির উপজাতি বলে মনে করা হত।
বর্ণনা[সম্পাদনা]
প্রাপ্তবয়স্ক সাদা দাগযুক্ত লেজনাচানিরা প্রধানত ১৯ সেমি পর্যন্ত লম্বা হয়। এদের লেজের আকার হয় গাঢ় এবং ফ্যানের মতোন। লেজের ধারের রঙ হয় সাদা এবং গলার কাছে সাদা দাগ থাকে। এই পাখিদের দেহের ওপরের অংশ প্রধানত বাদামি ধূসর রঙের হয় এবং চোখের চারপাশের রঙ হয় কালো রঙের, গলার রঙ হয় সাদা এবং চোখের ভ্রূয়ের রঙ হয় সাদা। এদের দেহের নিচের অংশ হয় সাদাটে রঙের, এদের বুকের ওপরে থাকে ধূসর রঙের একটা ব্যান্ড এবং তার ওপরে ছোপ ছোপ দাগ থাকে।
ব্যবহার[সম্পাদনা]
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/4/40/White-throated_Fantail_%28Rhipidura_albicollis%29-_albogularis_race_in_Anantgiri%2C_AP_I_IMG_8753.jpg/220px-White-throated_Fantail_%28Rhipidura_albicollis%29-_albogularis_race_in_Anantgiri%2C_AP_I_IMG_8753.jpg)
এরা তাদের বাসায় প্রধানত তিনটি ছোটো ছোটো ডিম পাড়ে। এরা প্রধানত বাসা বাঁধে গাছের ডালে।
সাদা দাগযুক্ত লেজনাচানিরা প্রধানত পোকামাকড় খেয়ে বেঁচে থাকে। এরা সমতলভূমি দিয়ে ঘোরাফেরা করবার সময় তাদের লেজকে অল্প অল্প দোলাতে থাকে।
এদেরকে প্রধানত গায়ক পাখি বলে মনে করা হয় না কিন্তু পুরুষেরা ডাকার সময় এক অদ্ভুত রকমের আওয়াজ করে। এদের ডাক খুব জোরে হয় এবং দুটো পংক্তিতে ভাগ করা যায় – প্রথমটা ৫-৬ টা তারস্বরে চিৎকার, এবং পরেরবারে তারা ৪-৫ টা ডাক দেয় তাদের গলার সর্বোচ্চ জোর লাগিয়ে।
এরা একই সুরে ডেকে যায় বছরের পর বছর, খুব অল্প পরিবর্তন চোখে পড়ে, এবং সেই অল্প অল্প করে পরিবর্তনের পরে ৪-৫ বছর বাদে তাদের গলার ডাক সম্পূর্ণ ভিন্ন শোনায়। পুরুষদের গলার এই ডাক এই প্রজাতিটিকে চিনতে ও অনুসন্ধান করতে সাহায্য করে।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- Birds of India by Grimmett, Inskipp and Inskipp, আইএসবিএন ০-৬৯১-০৪৯১০-৬