সখীপুর পি. এম. পাইলট মডেল গভঃ স্কুল এন্ড কলেজ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সখীপুর পি. এম. পাইলট মডেল গভঃ স্কুল এন্ড কলেজ
ঠিকানা
মহিলা কলেজ রোড, সখিপুর, টাঙ্গাইল

সখিপুর-১৯৫০

বাংলাদেশ
তথ্য
প্রতিষ্ঠাকাল১৯৪৯
প্রতিষ্ঠাতামরহুম শেখ হায়েত আলী সরকার
বিদ্যালয় বোর্ডঢাকা শিক্ষা বোর্ড
বিদ্যালয় জেলাটাঙ্গাইল
বিদ্যালয় কোড4935
কলেজ কোড4162
ইআইআইএন114593
অধ্যক্ষকে.বি.মো. খলিলুর রহমান তাং
সহকারী প্রধান শিক্ষকমোঃ এমদাদুল হক মিয়া
ভাষাবাংলা
ওয়েবসাইটhttps://sakhipurpmsc.edu.bd/

সখীপুর পি. এম. পাইলট মডেল গভঃ স্কুল এন্ড কলেজ সখিপুর উপজেলায় অবস্থিত একটি সরকারি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯৪৯ সালের ৩ মে, বিদ্যালয়ের প্রধান প্রতিষ্ঠাতা ও জমিদাতা শেখ হায়েত আলী সরকার বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৬৯ সালে বিদ্যালয়টি তৎকালীন সরকার থেকে পাঠদানের অনুমতি ও স্কীকৃতিপ্রাপ্ত হয়। এরপর এমপিওভুক্ত থাকা অবস্থায় ২০১৮ সালের ১১ অক্টোবর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ বিদ্যালয়টিকে জাতীয়করণের প্রজ্ঞাপন জারি করে।[১] এরই ধারবাহিকতায় ২০২৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি তারিখে ৩১ জন শিক্ষক[২] এবং ৯ জন কর্মচারীকে[৩] এডহক ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদান করা হয় এবং এমপিও বাতিল করণ, বদলি স্থগিতকরণের পাশাপাশি সরকারি বিধি-মোতাবেক বেতন-ভাতা চালু করা হয়।

১৯৪৯ সালে বিদ্যালয়টি প্রথম সখীপুর পল্লী মঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয় নামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। পাকিস্তান আমলে সারা পাকিস্তানের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি স্কুলকে ব্রিটিশ শিক্ষা প্রকল্প "পাইলট প্রজেক্টের" আওতায় আনা হয়। এর মধ্যে "সখীপুর পল্লী মঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয়" ও ছিল। পাইলট প্রজেক্টের আওতায় সকল স্কুলের নামের সঙ্গে 'পাইলট' যুক্ত হয়। ২০০৯ সালে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের 'Transformation of Existing Non-Government Schools into Model Schools in Selected 310 Upazilla Head Quarters'[৪] শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের পাশাপাশি বিদ্যালয়ের নামের সাথে "মডেল" শব্দটি যুক্ত হয়।

শিক্ষা কার্যক্রম[সম্পাদনা]

বিদ্যালয়টিতে ৬ষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করানো হয়। বিদ্যালয়টি পূর্বে বালক বিশেষায়িত বিদ্যালয় থাকলেও ২০১৫ সাল থেকে সহশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এখানে সাধারণ শিক্ষাধারায় এবং বাংলা ভাষায় পাঠদান পরিচালিত হয়। সিলেবাস অনুযায়ী স্কুলটিতে বছরে দুইটি পরীক্ষা নেওয়া হয়, অর্ধ-বার্ষিকী এবং বার্ষিকী।

উচ্চ মাধ্যমিক[সম্পাদনা]

সখীপুর পি. এম. পাইলট মডেল গভঃ স্কুল এন্ড কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় পাঠদান করা হয়। বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ৫০টি করে এবং মানবিক শাখায় ১০০টিসহ মোট ২০০টি আসন রয়েছে এই শ্রেণিতে।

মাধ্যমিক[সম্পাদনা]

৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তির পাশাপাশি অন্যান্য শ্রেণিতে পরীক্ষা দিয়ে ভর্তির সুযোগ রয়েছে এই বিদ্যালয়টিতে। ৯ম-১০ম শ্রেণিতেও বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ চালু আছে বিদ্যায়টিতে।

অবকাঠামো[সম্পাদনা]

বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে একটি চারতলা পাকা দালান পাঠদানের জন্য ব্যবহৃত হয় এবং একটি দুতলা ভবন বিদ্যালয়ের দাপ্তরিক কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে।

শ্রেণিকক্ষ[সম্পাদনা]

পুরো ভবনজুড়ে প্রায় ১০ টি মাল্টিমিডিয়া সমৃদ্ধ শ্রেণিকক্ষের পাশাপাশি প্রায় অর্ধশতাধিক শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করানো হয়।

পাঠাগার[সম্পাদনা]

একাডেমিক ভবনেরই তিন তলার একটি কক্ষে রয়েছে একটি সমৃদ্ধ পাঠাগার। পাঠাগারটিতে রয়েছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের অনেক বই এবং শিক্ষার্থীরা পরিচয় পত্র গ্রহণের মাধ্যমে এসব বই সংগ্রহ করে জ্ঞানসমৃদ্ধ হতে পারে। এর পাশাপাশি বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে বিভিন্ন পুরস্কার অর্জন করতে পারে।

কম্পিউটার ল্যাব[সম্পাদনা]

পাঠাগারের পাশেই একটি কম্পিউটার ল্যাব রয়েছে। যেখানে প্রায় অর্ধশতাধিক কম্পিউটার রয়েছে।

সহ-শিক্ষা কার্যক্রম[সম্পাদনা]

  1. স্কাউটিং ও গার্ল গাইডিং
  2. বিতর্ক প্রতিযোগিতা
  3. বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "সরকারি হলো আরো ২২ স্কুল-কলেজ"বাংলাদেশ জার্নাল। অক্টোবর ১১, ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ মে ৩, ২০২৪ 
  2. "সখীপুর পিএম পাইলট মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, সখিপুর টাঙ্গাইল এর ৩১ জন শিক্ষককে এডহক ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদান"মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ মে ৩, ২০২৪ 
  3. "সখীপুর পিএম পাইলট মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, সখিপুর টাঙ্গাইল এর ৯ জন কর্মচারীকে এডহক ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদান"মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ মে ৩, ২০২৪ 
  4. "Transformation of Existing Non-Government Schools into Model Schools in Selected 310 Upazilla Head Quarters"শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। সংগ্রহের তারিখ মে ৩, ২০২৪