বিষয়বস্তুতে চলুন

শেলিম হুসেন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শেলিম হুসেন

জন্ম (1973-02-20) ২০ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৩ (বয়স ৫১)
জাতীয়তাব্রিটিশ
মাতৃশিক্ষায়তনক্যাথেস হাই স্কুল
কোলেগ গ্লান হাফ্রেন
পেশাউদ্যোক্তা
কর্মজীবন১৯৯১-বর্তমান
শৈলীহিমায়িত খাদ্য
উপাধিইউরো ফুডস (ইউকে) এর চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক
দাম্পত্য সঙ্গীববি হুসেন
ওয়েবসাইটeurofoods.co.uk

শেলিম হুসেন (জন্ম ২০ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৩) একজন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ উদ্যোক্তা, এবং ইউরো ফুডসের প্রতিষ্ঠাতা, চেয়ারম্যান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

জীবনের প্রথমার্ধ[সম্পাদনা]

হুসেন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৫ সালে তার চাচা ও খালা তাকে যুক্তরাজ্যে নিয়ে আসেন। লন্ডনে এক বছর থাকার পর, তার চাচা ১৯৮৬ সালে কার্ডিফে চলে আসেন,[১] যখন তার বয়স ১১,[২] এবং তিনি ক্যাথেস হাই স্কুলে ভর্তি হন।[১]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

১৭ বছর বয়সে, হুসেন গাবালফার ইন্ডিয়ান ওশিন রেস্টুরেন্টে ওয়েটার হিসেবে কাজ শুরু করেন।[২] ১৯৯১ সালের দিকে, ১৮ বছর বয়সে,[১] যখন স্থানীয় চিংড়ি সরবরাহকারী ব্যবসার গুটিয়ে চলে যায়, বাজারে একটি ফাঁক দেখে, হুসেন ২০ পাউন্ড দিয়ে ছয় কেস চিংড়ি কিনে সেগুলি বিক্রি করেন।[২] রেস্তোরাঁয় ওয়েটার হিসাবে সন্ধ্যায় কাজ করার পাশাপাশি তিনি কোলেগ গ্লান হাফ্রেন কলেজে তার এ লেভেলে পড়া চালিয়ে যান। তিনি বাজারে চিংড়ি সরবরাহের এই সুযোগ লাগিয়ে তার বন্ধুর সাথে হিমায়িত চিংড়ির ব্যবসা চালিয়ে যান।[১] তিনি মাত্র ২০ পাউন্ড প্রাথমিক মূলধন নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিলেন। পরে তার ব্যবসার বার্ষিক টার্নওভার প্রায় £৮০ মিলিয়ন পাউন্ডে দাড়ায় ২০১০ সাল পর্যন্ত।[৩]

ইউরো ফুডস (ইউকে)[সম্পাদনা]

১৯৯৩ সালে, হুসেন ইউরো ফুডস (ইউকে) গঠন করেন এবং তারপর থেকে কোম্পানিটি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকে। তিনি ২০০ জনেরও বেশি কর্মী নিয়োগ করেছেন এবং তার নিউপোর্ট, বার্কিং[৩] এবং সান্ডারল্যান্ডে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট রয়েছে।[৪] হুসেন নিউপোর্ট-ভিত্তিক ইউরো ফুডসের প্রধান নির্বাহী, সেইসাথে এশিয়ায় £২০ মিলিয়ন পাউন্ডের মত সহায়ক ব্যবসা রয়েছে।[২] বাংলাদেশে তার একটি নতুন প্ল্যান্ট এবং চারটি কারখানা রয়েছে এবং নিউইয়র্ক সিটিতে একটি সহায়ক প্রতিষ্ঠান চালু করেছেন। তিনি ওয়েলসে সম্পত্তি উন্নয়ন ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন। বর্তমানে তিনি নিম্নলিখিত কোম্পানিগুলোর প্রতিষ্ঠাতা, চেয়ারম্যান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক: ইউরো ফুডস (ইউকে) লিমিটেড, এস অ্যান্ড বি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড, এসআরএস পোল্ট্রি লিমিটেড (২০০৩ সালের শেষের দিকে শুরু), ইউরেশিয়া ফুড প্রসেসিং (বিডি) লিমিটেড (বাংলাদেশ), ইউরো, লিনেন সার্ভিস (ইউকে) লিমিটেড, হরাইজন সীফুড লিমিটেড, সাইডোলা এন্টারপ্রাইজ, ইউরো ফুডস (বিডি) লিমিটেড এবং রোসেমকো ফুডস লিমিটেড (বিডি)। সমস্ত কারখানার বিন্যাসে সর্বাধুনিক মেশিন রয়েছে এবং এইচএসিসিপি নিয়ম মেনে চলে।[৩]

পুরস্কার এবং স্বীকৃতি[সম্পাদনা]

২০০৩ সালে, হুসেন ওয়েলসে ব্যবসায়িক সেবার জন্য ২০০৩ সালের নিউ ইয়ার অনার্সে অর্ডার অফ দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার (এমবিই) সদস্য হন।[৫] ২০০৩ সালে, তিনি ইস্টার্ন আই ইয়াং অ্যাচিভার অ্যাওয়ার্ড জিতেছিলেন, যা প্রিন্স চার্লস, দ্য প্রিন্স অফ ওয়েলস দ্বারা উপস্থাপিত হয়েছিল এবং তিনি এশিয়ান জুয়েল অ্যাওয়ার্ডে ইয়াং অ্যাচিভারের জন্য মনোনীত হন।[৩] ২০০৫ সালে, তিনি ফার্দার এডুকেশনের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে এওসি গোল্ড অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন।[১] ২০১১ সালে, তিনি ডেভিড ক্যামেরনের ভিডিও বার্তায় উপস্থাপিত ব্রিটিশ কারি অ্যাওয়ার্ডে বছরের সেরা ব্যক্তিত্বে ভূষিত হন।[৬]

আরো দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Food Entrepreneur Wins AOC Gold Award"। Redhotcurry.com। ৫ জুন ২০০৫। ৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জানুয়ারি ২০০৮ 
  2. Henry, Graham (৬ অক্টোবর ২০১০)। "Recession nets £550,000 windfall for firm"। Wales: Wales Online। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০১৪ 
  3. Karim, Mohammed Abdul; Karim, Shahadoth (অক্টোবর ২০০৯)। British Bangladeshi Who's Who (পিডিএফ)। British Bangla Media Group। পৃষ্ঠা 64। ১১ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ মে ২০১২ 
  4. "Wolverhampton hub boosts Euro Foods"। Wales: Insider Media Limited। ২৫ অক্টোবর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০১৪ 
  5. "Welsh birthday honours list"BBC News। ১৪ জুন ২০০৩। সংগ্রহের তারিখ ১১ মে ২০০৭ 
  6. "Cream of curry industry gather for British Curry Awards"। London: This Is Local London। ৩০ নভেম্বর ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১১ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]