শাহরাস্তি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শাহরাস্তি সরকারি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়
ঠিকানা
শাহ্‌রাস্তি মাজার রোড


,
3620

তথ্য
বিদ্যালয়ের ধরনউচ্চ বিদ্যালয়
প্রতিষ্ঠাকাল১৯১৪
বিদ্যালয় বোর্ডমাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, কুমিল্লা
বিদ্যালয় জেলাচাঁদপুর জেলা
বিদ্যালয় নম্বর103955
বিদ্যালয় কোড0707041301
শিক্ষার্থী সংখ্যা১০০০
ওয়েবসাইটshahrasti.edu.bd/shahrastibohumukhil

প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে[সম্পাদনা]

বোগদাদী পীর হযরত শাহরাস্তি নামে দ্বীনি শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে এলাকায় শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গ ১৯১৪ইং সনে শাহরাস্তি জুনিয়র মাদ্রাসা নামে একটি প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন। পরবর্তীতে ১৯২৭ইং সনে প্রতিষ্ঠানটি হাই মাদ্রাসা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। ১৯৬২ইং সনে সরকারি কে অধ্যাদেশ বলে প্রতিষ্ঠানটি উচ্চ বিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে বর্তমান পর্যন্ত চলে আসিতেছে। এ প্রতিষ্ঠান হতে অধ্যয়ন শেষে এ যাবৎকাল পর্যন্ত অনেকে উচ্চ শিক্ষা লাভ করে দেশ সেবায় নিয়োজিত ছিলেন ও আছেন। তন্মধ্যে উল্লেখ্য যে মরহুম ডঃ আব্দুছ ছাত্তার।

বিদ্যালয়টি অত্র এলাকায় শিক্ষা বিস্তারে নিরলসভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে ১৯৮০ সনে এস.এস.সি. পরীক্ষা কেন্দ্র, জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা কেন্দ্র, প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা কেন্দ্র সহ সকল পরীক্ষা কেন্দ্র চালু করা হয়। বর্তমানে জেএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রও চালু রহিয়াছে। গরীব মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের সরকারিভাবে উপবৃত্তি প্রদান, বৎসরের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের হতে সরকারীভাবে বিনামূল্যে বই প্রদানের ব্যবস্থা অব্যাহত রহিয়াছে। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বিশেষ শিক্ষার ব্যবস্থা রহিয়াছে। বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে শিক্ষা কার্যক্রম সর্বাত্বকভাবে চালানো হইতেছে।

বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের কো-কারিকুলাম শিক্ষা হিসেবে জাতীয় পর্যায়ে খেলাধুলা অংশগ্রহণের কতিত্ত্ব রয়েছে। বিভিন্ন পর্যায়ে জেলা পর্যায়ে অংশগ্রহণ অব্যাহত রহিয়াছে।

বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ইতিহাস[সম্পাদনা]

সারা বিশ্বে যখন বিশ্বযুদ্ধের অগ্নিশিখা প্রজ্জ্বলিত ঠিক সেই সময়েই অত্র এলাকার কতিপয় সুধীজন আজকের শাহ্রাস্তি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যেখানে অবস্থিত, তথায় শাহরাস্তি জুনিয়র মাদ্রাসা (নিউ স্কীম) নামে অত্র প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটি ১৯১৯ সাল পর্যন্ত সেখানে চালু অবস্থায় প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। মামলার রায়ে প্রতিষ্ঠানটি অন্যত্র স্থানান্তরের আদেশ হয়। সে মতে ১৯১৯ সালেই বর্তমান অবস্থানে প্রতিষ্ঠানটি স্থানান্তর করা হয়। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানটি জুনিয়র মাদ্রাসা হিসেবে ১৯২৬ সাল পর্যন্ত চলার পর ০১/০১/১৯২৭ সাল হতে প্রতিষ্ঠানটি হাই মাদ্রাসা হিসাবে প্রথম সরকারীভাবে স্বীকৃতি লাভ করে। পরবর্তীতে সরকার এক অধ্যাদেশ বলে সকল হাই মাদ্রাসাকে ১৯৬২ সাল থেকে হাই স্কুলে রূপান্তরিত করে। ১৯৬২ সন থেকে বিদ্যালয়ে দুইটি বিভাগে লেখাপড়া হয়ে আসছিল। ১৯৬৫ সালে বিজ্ঞান বিভাগ খোলা হয়। ১৯৭৪ সালে কৃষি বিভাগ খোলা হয়। ১৯৮০ সাল থেকে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা কেন্দ্র ও মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপিত হয়। ১৯৯৮ সাল থেকে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপিত হয়। ১৯৯৫ সাল থেকে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন এস.এস.সি প্রোগ্রামের টিউটরিয়ার কেন্দ্র সহ পরীক্ষা কেন্দ্র চালু করা হয়। ২০০৫ সালে এস.এস.সি ভোকেশনাল এর দুটি ট্রেড চালু করা হয়। শিক্ষক নিয়োগ  জটিলতার কারণে ভোকেশনাল ট্রেড দুটির কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়।

প্রতিষ্ঠার পর হইতে অত্র প্রতিষ্ঠানটি সুনামের সাথে শিক্ষা বিস্তার সুচারুরুপে দায়িত্ব পালন করিয়া আসিতেছে।[১] বর্তমানে এটি একটি সরকারি স্কুল। যাহা এই উপজেলায় একমাত্র সরকারি হাই স্কুল।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]