শরাই
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/a/ac/Assam_Xorai.png/220px-Assam_Xorai.png)
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/3/36/Xorai_welcome_to_Kaziranga.jpg/220px-Xorai_welcome_to_Kaziranga.jpg)
শরাই (ইংরেজি: xorai; অসমীয়া: শৰাই) অসমের লোক সংস্কৃতির অপরিহার্য অঙ্গ।[১] দেবতাকে নৈবেদ্য দেওয়া ও মহৎ গ্রন্থ রাখার জন্য শরাই ব্যবহার করা হয়।[২] অসমে শরাই সম্মানের প্রতীক। সাধারণতঃ শরাই নির্মাণে পিতল বা কাঁসা ধাতুর ব্যবহার করা হয় কিন্তু কখনো রুপা বা তামা দ্বারা নির্মিত শরাই দেখা যায়। মধ্যযুগে সিংহাসনের সম্মুখে নৈবেদ্য দেওয়ার জন্য শরাই ব্যবহার করা হত কিন্তু বর্তমান দিনে বিবাহ, উৎসব ও নামঘরে শরাই ব্যবহার করা হয়।
নির্মাণ[সম্পাদনা]
শরাই নির্মাণ করার জন্য পিতল বা কাঁসা ধাতু ব্যবহার করা হয় কিন্তু বর্তমানের দিনে পিতল ধাতুর নির্মিত শরাইয়ের প্রচলন বেশি। অসমের সর্থেবাড়ি পিতলের শরাই নির্মাণের জন্য বিখ্যাত।
ব্যবহার[সম্পাদনা]
অসমে প্রথমবার কখন শরাই ব্যবহার হয়েছিল সেই সমন্ধে কোন সঠিক ধারণা নেই কিন্তু মধ্যযুগে শরাইয়ের ব্যবহার হয়েছিল বলে অনুমান করা হয়। অসমীয়া নামঘরে তামোল পান দেওয়ার জন্য শরাইয়ের ব্যবহার করা হয়। বাঁশ, বেত ও কাঠ দ্বারা নির্মিত শরাই উপহার বা গৃহ সাজানের জন্য ব্যবহার করা হয়। বহাগ বিহুর সময়ে হুঁসরি গাওয়া দলকে ফুলাম গামোছা, তামোল পান ও শরাই প্রদান করা পূর্ণ্যের কাম বলে গণ্য করা হয়।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ http://books.google.co.in/books?id=reuQbFK9Rz4C&pg=PA20&redir_esc=y#v=onepage&q&f=false
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৮ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুন ২০১৪।