রাতোয়াল বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ উচ্চ বিদ্যালয়, রাতোয়াল
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/5/52/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8B%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%B2_%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%95%E0%A6%AC%E0%A6%BF_%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A5_%E0%A6%89%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9A_%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%AF%E0%A6%BC.jpg/292px-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8B%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%B2_%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%95%E0%A6%AC%E0%A6%BF_%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A5_%E0%A6%89%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9A_%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%AF%E0%A6%BC.jpg)
রাতোয়াল বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ উচ্চ বিদ্যালয়, সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৩ সালে রাতোয়াল গ্রামে যান এবং তাঁর নিজের নামে রাতোয়াল বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপন করেন এবং অনুদান দেন।[১] এটি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে অবস্থিত।[২] এ স্কুলের পূর্ব নাম ছিল রাতোয়াল এম ই (মিডল ইংলিশ) স্কুল। তাঁকে এ কাজে সার্বিক সহযোগিতা করেন তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও জমিদারী কর্মকাণ্ডের পরামর্শদাতা এবং পতিসরের কালিগ্রাম আর এন (রথীন্দ্রনাথ) ইন্সটিটিউটের সেক্রেটারি সফিকপুর নিবাসী জনাব কাশিম সরদার। বিদ্যালয়টি রবীন্দ্র নিদর্শন এবং সমগ্র বাংলাদেশের মধ্যে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে তৎকালিন সময়ে স্থাপিত একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৮৮৫ সালে স্থাপিত এই বিদ্যালয়টি ১৯১৩ সালে একাডেমিক স্বীকৃতি লাভ করে। বিদ্যালয়টিতে ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা প্রদান করা হয়। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ৩ শ’ ৮০জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এরমধ্যে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩শ’ জন শিক্ষার্থী পাঠগ্রহণ করে থাকে। বিদ্যালয়ে মোট ৮জন শিক্ষক ও ৪জন কর্মচারী কর্মরত আছেন। বিদ্যালয়ে নতুন ও পুরনো মিলে মোট ৭টি কক্ষে চলে পাঠদান কার্যক্রম।[৩] বিদ্যালয়ের উত্তর দিকের দুই তলা ভবনটি তৈরী হয়েছিল ১৯৯৫ সালে, পূর্বদিকের দুই তলা ভবনটি তৈরী হয়েছিল ২০০৬ সালে ও পশ্চিম দিকের টিন শেডের জোড়া তালি দেয়া পুরনো কক্ষগুলোতেই চলছে পাঠদান কার্যক্রম। ১৮৮৫ সালের শুরুর দিকে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া কালীগ্রাম পরগনার জমিদারি দেখাশুনার জন্য রাতোয়াল গ্রামে আসতেন। তিনি (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর) বিশ্বাস করতেন, প্রজাদের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে শিক্ষার প্রয়োজন। শিক্ষার আলো ছাড়া প্রজাদের সার্বিক উন্নয়ন একেবারেই সম্ভব নয়। সে উপলব্ধি থেকেই সেই সময়ের কিছু পণ্ডিতদের সহায়তায় এই রাতোয়াল গ্রামে বিশ্বকবির নামে আদর্শ এই বিদ্যাপিঠের পথ চলা। সেই সময়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ম্যানেজার শ্যামানন্দ গুহ কালিগ্রাম পরগনার এই মূল জমিদারি (পতিসর ষ্ট্রেট) দেখাশুনা করতেন এবং তার ছেলে নিত্যানন্দ গুহ ( নিতাই বাবু) দেখাশুনা করতেন (সাবষ্টেট) তথা এই এলাকা।[৪] তাদের সার্বিক সহযোগিতায় তৎকালিন রাতোয়াল গ্রামের আক্কাছ আলী পণ্ডিত, শমসের আলী আকন্দ, কফিল আলী আকন্দ এবং এরফান আলী আকন্দকে সঙ্গে নিয়ে এই ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়টির পথচলা শুরু হয়। বিদ্যালয়টি তৎকালিন সময়ে আজিজুল্লাহ আকন্দের বৈঠকখানায় শুরু হলেও পরবর্তীতে রবীন্দ্র ষ্টেটের নিজস্ব সম্পত্তির ওপড় মাটির ক’টি ঘর তৈরি করে ১৮৮৫ সালে প্রাথমিক ভাবে শিক্ষাদান শুরু হয়।
তখন হেড পণ্ডিত হিসেবে রাতোয়াল গ্রামের আক্কাছ আলী পণ্ডিতের ওপড় বিদ্যালয়টির দায়িত্ব অর্পন করা হয়। পরবর্তীতে আরও অনেকেই ঐতিহ্যবাহী এই বিদ্যালয়টির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বিশ্বকবির স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহ্যবাহী এই বিদ্যালয়টি আধুনিকতার ছোঁয়া থেকে আজো অনেক পিছিয়ে আছে। আদর্শ এই বিদ্যাপিঠ থেকে শিক্ষা নিয়ে এলাকার অনেকেই আজ দেশ-বিদেশসহ দেশের বিভিন্ন বিভাগে ঊর্ধ্বতন পদে কর্মরত থেকে উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে জ্বলছেন। আর সেইসঙ্গে বিশ্বের মাঝে আলোকিত করেছেন এই অজপাড়া গাঁয়ের এই আদর্শ বিদ্যালয়টির নাম। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক জুলু চৌধুরী, প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান ছিলেন বিসিআইসির সাবেক প্রধান প্রকৌশলী, ৫ম শ্রেণির গণিত বইয়ের লেখক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ লুৎফুত জামান ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোখলেছুর রহমানসহ আরোও অনেকেই ছিলেন এই আদর্শ বিদ্যাপিঠের শিক্ষার্থী।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "Rabindranath Tagore"। Wikipedia (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-১০-১৯।
- ↑ "Rajshahi Division"। Wikipedia (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-১০-০৮।
- ↑ "দৈনিক জনকন্ঠ || নওগাঁর রাতোয়াল বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ হাই স্কুল ১৩২ বছর ধরে এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়িয়ে আসছে"। দৈনিক জনকন্ঠ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১০-৩১।
- ↑ "ঐতিহ্য হারাচ্ছে রবীন্দ্রনাথ উচ্চ বিদ্যালয় মাটির কক্ষসহ ব্যবহার্য জিনিসপত্র অরক্ষিত | সারাদেশ | The Daily Ittefaq"। archive1.ittefaq.com.bd। ২০২১-১১-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১০-৩১।