মালতী ঘোষাল
মালতী ঘোষাল | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ১৯ জুলাই ১৯৮৪ | (বয়স ৮১)
জাতীয়তা | ভারতীয় |
পেশা | শিল্পী |
কর্মজীবন | ১৯৪০-৫২ |
পরিচিতির কারণ | রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী |
মালতী ঘোষাল (১৭ ডিসেম্বর ১৯০২ – ১৯ জুলাই ১৯৮৪) ছিলেন একজন ভারতীয় রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী।[১] সঙ্গীতকে পেশা না করেও যেসব মহিলা বঙ্গদেশে যশ ও খ্যাতি অর্জন করেছিলেন তিনি তাঁদের মধ্যে অন্যতম।[২]
প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]
মালতীর পিতা ভারতের কলকাতার ‘কুন্তলীন’ খ্যাত বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হেমেন্দ্রমোহন বসু। মাতা মৃণালিনী বসু ছিলেন কিশোরগঞ্জের মসুয়ার বিখ্যাত রায়চৌধুরী পরিবারের কন্যা। প্রবাদপ্রতিম শিশু সাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী তার মামা;মামাতো ভাই সুকুমার রায় ও ভাইপো বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়।পারিবারিক সাংগীতিক ও সাংস্কৃতিক পরিবেশে তার শৈশব কেটেছে। ব্রাহ্ম বালিকা শিক্ষালয়ে তার প্রথম সংগীতের পাঠ অমলা দাশের কাছে। তিনি মানদাসুন্দরী দাসী এর কাছ থেকে টপ্পা, পূর্ণকুমারী দাসীর কাছ থেকে কীর্ত্তন এবং গোপেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায়, সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শ্যাম সুন্দর মিত্রের কাছ থেকে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিখেছেন।[৩] এছাড়াও তিনি সাবলীলভাবে সেতার বাজাতেন। ১৯৩৫ সালে সুশান্ত ঘোষালের সাথে বিবাহের পর তিনি নতুন করে সংগীত চর্চা শুরু করেন।[৩] ডাঃ ঘোষাল একজন প্রখ্যাত অণুজীববিজ্ঞানী এবং কলকাতার স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের প্রধান ছিলেন এবং কালাজ্বর ও কলেরার মত মারাত্মক রোফ নিয়ে কাজ করেছেন। তিনিও একজন দক্ষ গায়কও ছিলেন।
সঙ্গীতজীবন[সম্পাদনা]
মালতীকে প্রধানত ঘরোয়া অনুষ্ঠান ও ব্রাহ্মসমাজে উপাসনার অঙ্গ হিসাবেই গান গাইতে দেখা যেত। স্বামীর সাথে দ্বৈত কণ্ঠেও ব্রাহ্মসমাজে গান গেয়েছেন। ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে ‘কে বসিলে আজি’ ও ‘হৃদয় বাসনা পূর্ণ হল’ দিয়ে তার প্রথম রেকর্ড এবং ‘এ পরবাসে রবে কে’ ও ‘যদি এ আমার হৃদয় দুয়ার’ দিয়ে তার দ্বিতীয় রেকর্ড প্রকাশিত হয়। একক কণ্ঠের গাওয়া এই চারখানি রবীন্দ্র সঙ্গীত তাঁকে জনপ্রিয় করে তোলে। ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে তার স্বামীর পরলোক গমনে তিনি সঙ্গীতের সাথে বাইরের সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করেন।তার কন্যা অলকা মিত্র হলেন কলকাতার বিশিষ্ট সমাজসেবী ।
মৃত্যু[সম্পাদনা]
মালতী ঘোষাল ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১৯ শে জুলাই কলকাতায় প্রয়াত হন।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "A singer's tribute"। Business Standard। ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১১।
- ↑ সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, আগস্ট ২০১৬, পৃষ্ঠা ৫৭১ আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
- ↑ ক খ সেনগুপ্ত, সুবোধ চন্দ্র, সম্পাদক (২০০২) [১৯৭৬]। সংসদ বাঙালি চারিতাভিধান। ১ম। বোস, অঞ্জলি (৪র্থ সংস্করণ)। কলকাতা: সাহিত্য সংসদ প্রাইভেট লিমিটেড। পৃষ্ঠা ৪১৬–১৭। আইএসবিএন 81-86806-98-9।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
ভারতীয় সঙ্গীতশিল্পী বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |