ব্যবহারকারী:Tahmid/খেলাঘর
অপরাধ বিজ্ঞান হল অপরাধের কারণ, প্রভাব, অপরাধীর চরিত্র, বিষয় বিবেচনা, প্রতিকার বা নিয়ন্ত্রণের সামাজিক ও বিজ্ঞানভিত্তিক অনুশীলন। এটি সমাজবিজ্ঞান এবং আচরণগত বিজ্ঞানের সম্মিলনে গড়ে ওঠা একটি শাখা। এটি সমাজবিজ্ঞানী, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, অর্থনীতিবিদ, মনোবিজ্ঞানী, দার্শনিক, মনোরোগ বিজ্ঞানী, সমাজকর্মী, জীববিজ্ঞানী, সামাজিক নৃবিজ্ঞানীসহ অন্যান্যদের গবেষণার উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত।
অপরাধ বিজ্ঞানীরা অপরাধ বিষয়ে অধ্যয়ন করেন এবং অপরাধের প্রতি সমাজের প্রতিক্রিয়া নিয়ে নানা কাজ এবং গবেষণা করেন। অনেক অপরাধ বিজ্ঞানী অপরাধীদের আচরণগত নিদর্শন পরীক্ষা করেন। সাধারণত অপরাধ বিজ্ঞানীগণ গবেষণা ও তদন্তের মাধ্যমে বিভিন্ন তত্ত্ব উদ্ভাবন করেন এবং পরীক্ষালব্ধ বিভিন্ন প্যাটার্ন বিশ্লেষণ করেন।[১]
__LEAD_SECTION__[সম্পাদনা]
Hijacking | |
---|---|
তারিখ | সেপ্টেম্বর ১১, ২০০১ |
সারমর্ম | Terrorist suicide hijacking |
স্থান | North Tower (WTC 1) of the World Trade Center, New York City, U.S. ৪০°৪২′৪৪.৫″ উত্তর ৭৪°০০′৪৬.৯″ পশ্চিম / ৪০.৭১২৩৬১° উত্তর ৭৪.০১৩০২৮° পশ্চিম |
মোট নিহত | আনু. 1,700[ক] (2,763 combined with UA 175) |
উড়োজাহাজ | |
বিমানের ধরন | Boeing 767-223ER |
পরিচালনাকারী | American Airlines |
আইএটিএ ফ্লাইট নম্বর | AA11 |
আইসিএও ফ্লাইট নম্বর | AAL11 |
কল সাইন | AMERICAN 11 |
নিবন্ধন | N334AA |
ফ্লাইট শুরু | Logan International Airport, Boston |
গন্তব্য | Los Angeles International Airport |
মোট ব্যক্তি | 92 (including 5 hijackers) |
যাত্রী | 81 (including 5 hijackers) |
কর্মী | 11 |
নিহত | 92 |
উদ্ধার | 0 |
স্থলভাগে হতাহত | |
স্থলভাগে নিহত | আনু. 1,600 in or near the North Tower of the World Trade Center |
আমেরিকান এয়ারলাইনস ফ্লাইট ১১ ছিল একটি অভ্যন্তরীণ যাত্রীবাহী ফ্লাইট যেটি ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার অংশ হিসেবে ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর সকালে পাঁচজন আল-কায়েদা সন্ত্রাসী কর্তৃক অপহরণ করা হয়েছিল। হাইজ্যাক করা বিমানটি দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে নিউইয়র্ক শহরের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ভবনের উত্তর টাওয়ারে আঘাত করা হয়েছিল যার ফলে ফ্লাইটে থাকা সকলেই নিহত হয়েছিল এবং আকাশচুম্বী ভবনের উপরের স্তরে থাকা এক হাজারেরও বেশি লোকের মৃত্যু ঘটিয়েছিল। এছাড়াও এ হামলায় ভবনের নিচের অংশে অনেক লোক আটকে পড়ে এবং অনেকের মৃত্যু ঘটে। একটি আঘাতে বিমানে এবং ভূ-পৃষ্ঠে বিশাল ক্ষতি করার কারণে এটি সেদিন সকালে ঘটা চারটি আঘাতের সবচেয়ে মারাত্মক ছিল এবং এটিকে পৃথিবীর ইতিহাসের অন্যতম মারাত্মক হামলা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। জড়িত বিমানটি ছিল একটি বোয়িং ৭৬৭-২২৩ইআর বিমান। অপহরণের সময়ে বিমানটি আমেরিকান এয়ারলাইন্সের নিয়মিত পরিষেবার অংশ হিসেবে ৯২জন যাত্রী এবং ক্রু নিয়ে ম্যাসাচুসেটসের লোগান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাচ্ছিল।
বিমানটি ০৭:৫৯টায় রানওয়ে ছেড়ে যায়। বিমানটি ওড়ার পনের মিনিটের মধ্যে ছিনতাইকারীরা দুজনকে আহত করে, একজনকে হত্যা করে এবং যাত্রী ও ক্রুদের তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিমানের পিছনে জোর করে নিয়ে যাওয়ার সময় ককপিটের ক্ষতি করে। আততায়ীরা দ্রুতই ক্যাপ্টেন এবং ফার্স্ট অফিসার উভয়কেই পরাস্ত করে এবং ছিনতাইয়ের জন্য পাইলট হিসেবে প্রশিক্ষিত এবং ঐ ছিনকাইকারী দলের প্রধান মোহাম্মদ আত্তা বিমানের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলাররা সন্দেহ করেছিলেন যে ফ্লাইটটি দুর্দশার মধ্যে ছিল কারণ ক্রুরা আর সাড়া দিচ্ছিল না। যখন জিম্মিদের বিষয়ে আত্তার মিথ্যা আশ্বাসমূলক ঘোষণা কেবিনের পিএ সিস্টেমের পরিবর্তে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলে প্রেরণ করা হয় তখন তারা বুঝতে পারে যে বিমানটি ছিনতাই করা হয়েছে। দুজন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট আমেরিকান এয়ারলাইন্সের সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়েছিল এবং বিমানের পরিস্থিতি ও হতাহতের বিষয়ে তাদের তথ্য দিয়েছিল।
স্থানীয় সময় ০৮:৪৬টায় আত্তা উত্তর টাওয়ারের উত্তরমুখে ৯৩ থেকে ৯৯ তলা দিয়ে প্লেনটি উড়িয়ে নিয়ে যায়। ঘটনাটি নিউ ইয়র্ক শহরের পাশাপাশি নিকটবর্তী রাজ্য নিউ জার্সির রাস্তায় থাকা অসংখ্য লোক প্রত্যক্ষ করেছে, কিন্তু সামান্য কিছু ভিডিও রেকর্ডিং-এ ঘটনাটি ধারণ করা করেছে। সংবাদমাধ্যমগুলো দ্রুতই ঘটনার বিষয়ে প্রতিবেদন করতে শুরু করে এবং অনুমান করা হয় যে এটি একটি দুর্ঘটনা ছিল। কিছু ১৭ মিনিট পরে ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স ফ্লাইট ১৭৫ যখন ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের দক্ষিণ টাওয়ারে আঘাত করে তখন সবাই বুঝতে পারে এসব কোনো দুর্ঘটনা নয়।
দুর্ঘটনা এবং তার ফলে সৃষ্টি আগুনের কারণে উত্তর টাওয়ারটি আঘাতের ১০১ [খ] মিনিট পরে ধসে পড়ে, ফলে আরও শত শত হতাহতের ঘটনা ঘটে।
ফ্লাইট[সম্পাদনা]
আমেরিকান এয়ারলাইন্স ফ্লাইট ১১ বিমানটি ছিল একটি বোয়িং ৭৬৭-২০০ইআর। এটি একসাথে সর্বোচ্চ ১৫৮ জন যাত্রী পরিবহন করতে পারে। কিন্তু ১১ সেপ্টেম্বরে দুর্ঘটনার সময় বিমানটিতে ৮১জন যাত্রী এবং ১১জন ক্রু সদস্য ছিল।[৫]
বোর্ডিং[সম্পাদনা]
আল-কায়দার সদস্য ও হামলাকারীদের দলনেতা মুহাম্মাদ আত্তা এবং আরেকজন সন্ত্রাসী আব্দুলজিজ আল-ওমারি হামলার দিন তথা ১১ সেপ্টেম্বর পোর্টল্যান্ড, মেইন, মেইন থেকে বস্টনে আসে। তারা উভয়ে ক্যালিফোর্নিয়ার লস এঞ্জেলস যাওয়ার টিকিট নিয়ে বিমানে উঠেছিল। আরও তিনজন সন্ত্রাসী গাড়িতে করে লোগান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে উপস্থিত হয়। ৭:৪০-এর মাঝে তারা বিমানে উঠে।[৬][৭] বিমানটি ৭:৪৫-এ রওনা দেওয়ার কথা থাকলেও ১৪ মিনিট দেরীতে ৭:৫৯ মিনিয়ে রানওয়ে ছেড়ে যায়।[৮][৯]
হাইজ্যাকিং[সম্পাদনা]
মনে করা হয় ৭:১৪ মিনিটে বিমান হাইজ্যাকিং শুরু হয়। কারণ এই সময়েই বিমানের পাইলট বস্টন বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। দুই মিনিট পরে বিমানটি নির্ধারিত পথ ছেড়ে ভিন্ন পথে উড়তে শুরু করে। এ সময়ে বিমানটি থেকে রেডিও সিগলার আসা বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং বিমানে অন্য বিমানের সাথে ধাক্কা এড়ানোর জন্য যে ব্যবস্থা থাকে সেটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়। দুজন ফ্লাইট এটেন্ডেন্ট এটি&টি এয়ারফোনে আমেরিকান এয়ারলাইন্সের সাথে যোগাযোগ করে এবং জানায় যে হাইজ্যাকাররা দুজন যাত্রীকে আহত করেছে এবং একজন ইসরাইলী যাত্রীকে হত্যা করেছে। চার মিনিটের সেই ফোন কলে তারা বিমানে হ্যাইজ্যাকারগণ কোন কোন আসনে বসে ছিল তা জানায় এবং সন্ত্রাসীরা কাউকে ককপিটে যেতে দিচ্ছিল না বলেও জানায়।
৮:২৩ মিনিটে মোহাম্মদ আত্তা বিমানের যাত্রীদের সাথে যোগাযোগ করতে গিয়ে ভুল বোতাম চেপে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে।
দুর্ঘটনা[সম্পাদনা]
দুর্ঘটনা পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ রউফা, টিমোথি। "Criminology, the Study of Crime, Causes, and Consequences" [অপরাধ বিজ্ঞান, অপরাধের অধ্যয়ন, কারণ এবং ফলাফল]। দ্য ব্যালেন্স ক্যারিয়ারস। সংগ্রহের তারিখ ৩০ এপ্রিল ২০১৯।
- ↑ National Institute of Standards and Technology (২০০৫)। Final report on the collapse of the World Trade Center (পিডিএফ)। জুলাই ৭, ২০২১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৩।
- ↑ 9/11 Final Report of the National Commission (২০০৪)। Collapse of WTC1 (পিডিএফ)। সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩।
- ↑ McAllister, T. P.; Gann, R. G.; Averill, J. D.; Gross, J. L.; Grosshandler, W. L.; Lawson, J. R.; McGrattan, K. B.; Pitts, W. M.; Prasad, K. R.; Sadek, F. H.; Nelson, H. E. (আগস্ট ২০০৮)। "Structural Fire Response and Probable Collapse Sequence of World Trade Center Building 7 (Volume 1). Federal Building and Fire Safety Investigation of the World Trade Center Disaster (NIST NCSTAR 1–9)"। Nist। National Institute of Standards and Technology (NIST): 1–8। নভেম্বর ২, ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১০, ২০২৩।
- ↑ "Staff Report - "We Have Some Planes": The Four Flights — a Chronology" (পিডিএফ)। National Commission on Terrorist Attacks Upon the United States। ২০০৮-০৩-০৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৫-২৫।
- ↑ "9/11 Investigation (PENTTBOM)"। Federal Bureau of Investigation। United States Department of Justice। সেপ্টেম্বর ২০০১। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৫-২২।
- ↑ "'We Have Some Planes'"। National Commission on Terrorist Attacks Upon the United States। জুলাই ২০০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৫-২৫।
- ↑ Johnson, Glen (২৩ নভে ২০০১)। "Probe reconstructs horror, calculated attacks on planes"। Boston Globe।
- ↑ "Flight Path Study - American Airlines Flight 11" (পিডিএফ)। National Transportation Safety Board। ১৯ ফেব্রু ২০০২। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৫-২৫।
উদ্ধৃতি ত্রুটি: "lower-alpha" নামক গ্রুপের জন্য <ref>
ট্যাগ রয়েছে, কিন্তু এর জন্য কোন সঙ্গতিপূর্ণ <references group="lower-alpha"/>
ট্যাগ পাওয়া যায়নি