বুরুন্ডি জাতীয় মহিলা ফুটবল দল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
 Burundi
দলের লোগো
ডাকনামSwallows
অ্যাসোসিয়েশনFédération de Football du Burundi
কনফেডারেশনসিএএফ (আফ্রিকা)
সাব–কনফেডারেশনসিইসিএএফএ (পূর্ব এবং মধ্য আফ্রিকা)
ফিফা কোডBDI
প্রথম জার্সি
দ্বিতীয় জার্সি
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা
এখনো খেলেনি

বুরুন্ডি জাতীয় মহিলা ফুটবল দল বিশ্ব মহিলা ফুটবল প্রতিযোগিতায় বুরুন্ডি দেশের প্রতিনিধিত্ব করে। এই দলটি এখন পর্যন্ত ফিফা স্বীকৃত কোনো ফুটবল ম্যাচে অংশগ্রহণ করেনি। দেশটিতে কার্যকর সিনিয়র জাতীয় দল নেই। এই দেশটিকে ফুটবলে প্রচুর সমস্যার মোকাবেলা করতে হচ্ছে। নারীর সমঅধিকার এবং শিক্ষার অপ্রতুলতা সেসব সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম। ২০০০ সালের পূর্ব পর্যন্ত বুরুন্ডিতে কোনো মহিলা ফুটবল প্রোগ্রাম চালু ছিলোনা, এবং ২০০৬ সাল পর্যন্ত মাত্র ৪৫৫ জন খেলোয়াড় রেজিস্ট্রেশন করেন।

দল[সম্পাদনা]

১৯৮৫ সালে, কয়েকটি দেশে শুধু মহিলা ফুটবল দল চালু ছিলো।[১][২][২][৩] এসময় বিশ্বব্যাপী মহিলা ফুটবলের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে, কিন্তু তারও ২ যুগ পর পর্যন্ত বুরুন্ডিতে কোনো মহিলা ফুটবল দল ছিলো না।[৪][৫] ২০০৯ সালে বুরুন্ডি ফিফা স্বীকৃত সিনিয়র এবং অনূর্ধ্ব-২০ জাতীয় দল ঘোষণা করে। অনূর্ধ্ব-২০ দল ২০০২, ২০০৪ এবং ২০০৬ সালে একটি করে আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করে।[৩]

সিনিয়র জাতীয় দল এখন পর্যন্ত ফিফা নিয়ন্ত্রিত কোনো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেনি। ২০০৭ সালে ফিফা মহিলা বিশ্বকাপ ফুটবলে অংশগ্রহণ করার জন্য প্রস্তুতি নিলেও শেষপর্যন্ত তারা অংশগ্রহণ করেনি। এই দলটি অসংখ্য প্রতিযোগিতা থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়।[২][৬][৭] ২০০৮ সালে আফ্রিকান মহিলা ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে তারা নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়ার ফলে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রতিযোগিতায় খেলার সুযোগ পায়।[৮][৯][১০] এই দলটি ২০১০ এবং ২০১২ সিএএফ মহিলা চাম্পিয়নশীপ থেকে প্রথম রাউন্ডের পূর্বেই নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়। ২০১২ সালে পর্যন্ত ফিফা রাঙ্কিংইয়ে এই দলটির কোনো স্থান নেই।[৮][১১][১২][১৩][১৪]

বুরুন্ডি ২০০৭ সালে [ জাঞ্জিবারে] আফ্রিকান কনফেডারেশন ফুটবল (সিএএফ) প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার কথা থাকলেও শেষপর্যন্ত পর্যাপ্ত অর্থের অভাবে এই প্রতিযোগিতা বাতিল হয়ে যায়। নিকোলাস মুসোনিয়ে, পূর্ব এবং কেন্দ্রীয় আফ্রিকান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (সিএসিএএফএ) সচিব, এই ইভেন্ট সম্বন্ধে বলেন, "সিএসিএএফএ এর বিগত বছরগুলোর অর্জনের স্বীকৃতিস্বরুপ সিএএফ এই অঞ্চলের মহিলা ফুটবলের উন্নতি করতে চায়।" সদস্য রাষ্ট্রগুলোর বিভিন্ন আর্থিক সমস্যা এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার পরেও সিএসিএএফএ এর কঠোর পরিশ্রমের দ্বারা অর্জনের তারিফ করে সিএএফ। সিএসিএএফএ এর সদস্য রাষ্ট্রগুলো মহিলাদের ফুটবলকে গুরুত্বের সাথে দেখেনি।[১৫] সিএএফ এখন এই অঞ্চলের নারীদেরকে ফুটবলের প্রতি আকর্ষিত করতে একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রচারকার্য শুরু করতে চায়। কিন্তু পর্যাপ্ত অর্থের অভাবে প্রতিযোগিতা বাতিল হয়ে যায়।[১৬]

ইতিহাস এবং উন্নয়ন[সম্পাদনা]

বিভিন্ন সমস্যার কারণে আফ্রিকাতে মহিলাদের ফুটবল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পিছিয়ে যাচ্ছে।[১৭][১৮][১৯][২০] শিক্ষার অভাব, দারিদ্রতা, নারী বৈষম্যতার কারণে এখানকার ফুটবলে উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। অনেক মানসম্পন্ন মহিলা ফুটবলার পর্যাপ্ত সুবিধার অভাবে নিজ দেশ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে। আফ্রিকার দেশগুলোর ফুটবলে প্রায় সকল আর্থিক যোগান দিয়ে যাচ্ছে ফিফা, তাদের আফ্রিকান ফুটবল ফেডারেশন পর্যাপ্ত আর্থিক যোগান দেয় না।[২১]

ফেডারেশন ডি ফুটবল ডু বুরুন্ডি, দেশের জাতীয় ফুটবল সংস্থা, একটি মহিলা ফুটবল প্রোগ্রাম চালু করে ২০০০ সালে।[২][৪][২২] ২০০৬ সাল পর্যন্ত ৪৫৫ জন মহিলা ফুটবলার নিবন্ধিত হন। উঠতি মহিলা ফুটবলারের অভাব হলো তাদের ফুটবলের অন্যতম প্রধান সমস্যা।[২৩] লিন্ডা এনসেকেরা হলেন তাদের ফুটবল সংস্থার প্রধান।[২১]

জাতীয় ফুটবল ফেডারেশনের বাহিরে, কমিশন ন্যাশনাল ডু ফুটবল ফেমিনিন প্রতিষ্ঠা পায় ১৯৯০ সালে এবং একটি লিগ এবং মহিলা দল বুজুম্বারার সহিত একিসাথে সংগঠিত।[২৪][২৫]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Chrös McDougall (১ জানুয়ারি ২০১২)। Soccer। ABDO। পৃষ্ঠা 45। আইএসবিএন 978-1-61783-146-1। সংগ্রহের তারিখ ১৩ এপ্রিল ২০১২ 
  2. "Burundi: Fixtures and Results"। FIFA। ২০১২। ২৩ জুন ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০১২ 
  3. FIFA (২০০৬)। "Women's Football Today" (পিডিএফ)। ৫ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১২ 
  4. "Goal! Football: Burundi" (পিডিএফ)। FIFA। ২১ এপ্রিল ২০০৯। পৃষ্ঠা 4। ৩ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০১২ 
  5. "Foot féminin : Éliminatoires CAN-2012 Le Sénégal affronte le Burundi en janvier" (ফরাসি ভাষায়)। Yenkini। ২২ অক্টোবর ২০১১। ৯ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০১২Les protégées de Bassouaré Diaby, qui ne se sont jamais qualifiées pour une CAN, tenteront de se racheter face aux Hirondelles du Burundi. 
  6. Ballard, John; Suff, Paul (১৯৯৯)। The dictionary of football : the complete A-Z of international football from Ajax to Zinedine Zidane। London: Boxtree। পৃষ্ঠা 106আইএসবিএন 0752224344ওসিএলসি 59442612 
  7. "Vanguard (Nigeria) – AAGM: Over 200 Countries Gear Up for Women's World Cup"Vanguard। Lagos, Nigeria। সেপ্টেম্বর ৮, ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০১২ 
  8. Omorodion, Patrick (ডিসেম্বর ২, ২০০৭)। "Vanguard (Nigeria) - AAGM: Super Falcons Take a Rest as Women Battle"Vanguard। Lagos, Nigeria। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০১২ 
  9. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; 2010-african-women-championship নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  10. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; qualifiers-2012 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  11. "Groups & standings – All Africa Games women 2011"। CAF। সংগ্রহের তারিখ ১৩ এপ্রিল ২০১২ 
  12. "The FIFA Women's World Ranking"। FIFA। ২৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯। ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ এপ্রিল ২০১২ 
  13. "Classement mondial féminin de la FIFA"fr.fifa.com। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১১। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১১ 
  14. "Tanzania yapaa viwango FIFA" (Swahili ভাষায়)। New Habari। ৪ জুন ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুন ২০১২Nchi nyingine za CECAFA ambazo ni Rwanda, Burundi, Djibouti, Somalia na Sudan hazina soka la wanawake la ushindani kiasi ya kuwa na timu ya taifa. [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  15. "The Nation (Kenya) – AAGM: CAF to Fund Regional Women's Championships"Daily Nation। Nairobi, Kenya। জানুয়ারি ৪, ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০১২ 
  16. Olita, Reuben (২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৭)। "Cecafa Puts Off Women Tourney"। New Vision। Uganda। 
  17. Jean Williams (১৫ ডিসেম্বর ২০০৭)। A Beautiful Game: International Perspectives on Women's Football। Berg। পৃষ্ঠা 186। আইএসবিএন 978-1-84520-674-1। সংগ্রহের তারিখ ১৩ এপ্রিল ২০১২ 
  18. Richard Giulianotti; David McArdle (২০০৬)। Sport, Civil Liberties and Human Rights। Routledge। পৃষ্ঠা 77। আইএসবিএন 978-0-7146-5344-0। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০১২ 
  19. Chris Hallinan; Steven J. Jackson (৩১ আগস্ট ২০০৮)। Social And Cultural Diversity In A Sporting World। Emerald Group Publishing। পৃষ্ঠা 40–41। আইএসবিএন 978-0-7623-1456-0। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০১২ 
  20. Jean Williams (১৮ ডিসেম্বর ২০০৩)। A Game for Rough Girls?: A History of Women's Football in Britain। Routledge। পৃষ্ঠা 173–175। আইএসবিএন 978-0-415-26338-2। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০১২ 
  21. Gabriel Kuhn (২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১)। Soccer Vs. the State: Tackling Football and Radical Politics। PM Press। পৃষ্ঠা 34। আইএসবিএন 978-1-60486-053-5। সংগ্রহের তারিখ ১৩ এপ্রিল ২০১২ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  22. Tom Dunmore (১৬ সেপ্টেম্বর ২০১১)। Historical Dictionary of Soccer। Scarecrow Press। আইএসবিএন 978-0-8108-7188-5। সংগ্রহের তারিখ ১৩ এপ্রিল ২০১২ 
  23. FIFA (২০০৬)। "Women's Football Today" (পিডিএফ): 40। ৫ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১২ 
  24. "Burundi - Lydia Nsekera, la "Madame Thatcher du football" à la Fifa" (ফরাসি ভাষায়)। Slate Afrique। ৩১ মে ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০১২Elle a beaucoup œuvré pour inciter les femmes du Burundi à pratiquer ce sport. Dans les années 1990, en tant que présidente de la Commission nationale du football féminin, elle a mis en place des équipes féminines à Bujumbara et a créé un championnat de football uniquement dédié aux femmes. 
  25. "Fifa : Lydia Nsekera, première dame du foot mondial" (ফরাসি ভাষায়)। Jeune Afrique। ৩০ মে ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০১২Elle a assouvi sa passion par procuration et contribué largement à changer les choses en créant des équipes féminines à Bujumbura, la capitale de cette ancienne colonie belge. À la fin des années 1990, la Fifa, pour encourager le développement du football au Burundi, se tourne naturellement vers Lydia Nsekera. 

বহিসংযোগ[সম্পাদনা]