ফরিদুন্নাহার লাইলী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ফরিদুন্নাহার লাইলী
বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য।
কাজের মেয়াদ
৩০ জানুয়ারি ২০২৪ – অদ্যাবধি
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম১২ ডিসেম্বর ১৯৫৪
নোয়াখালী
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
দাম্পত্য সঙ্গীশাহ আকবর
সন্তানএস এম আকবর জাফরী
প্রাক্তন শিক্ষার্থীচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজ

ফরিদুন্নাহার লাইলী (জন্ম: ১২ ডিসেম্বর ১৯৫৪) একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য। [১]

ফরিদুন্নাহার লাইলী বর্তমানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে তৃতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। পূর্বে তিনি বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্বে ছিলেন।


পারিবারিক জীবন[সম্পাদনা]

বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদুন্নাহার লাইলী ১২ ডিসেম্বর ১৯৫৪ সালে নোয়াখালী জেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের গৌরিপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।[২] পিতা মরহুম সাইদুর রহমান এবং মাতা মরহুম মাহামুদা বেগমের তৃতীয় সন্তান। ফরিদুন্নাহার লাইলী কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (বি.এ. অনার্স) ও স্নাতকোত্তর (এম.এ) ডিগ্রি অর্জন করেন। তার স্বামী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং রাজনীতিবিদ মরহুম শাহ আকবর। তার একমাত্র ছেলে এস এম আকবর জাফরী ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস শেষে করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত আছেন এবং তার সহধর্মিণী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত রয়েছেন।

রাজনৈতিক জীবন[সম্পাদনা]

ফরিদুন্নাহার লাইলী বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতির মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক ও সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৬৯—এর গণআন্দোলনে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের নির্দেশে এবং পরিচালনায় মুক্তিযুদ্ধের প্রতি সর্বাত্মক সমর্থন দিয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন করার জন্য মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে তিনি ছিলেন খুবই জনপ্রিয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সামসুন্নহার হলের নির্বাচিত ভিপি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারী পরবর্তী সময়ে শেখ হাসিনার গ্রেপ্তার মুহুর্ত থেকে তাঁর মুক্তি লাভ করা পর্যন্ত প্রতিদিনই তিনি মহিলা আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে সাবজেলের সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন। রাজনৈতিক কারণে তাঁকে বহুবার কারাগারে যেতে হয়েছে। ফরিদুন্নাহার লাইলী বর্তমানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে তৃতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন।[৩] এর আগে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। পূর্বে তিনি বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্বে ছিলেন।

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

কর্মজীবনে তিনি জেনিথ ইসলামি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান হিসেবে কর্মরত আছেন।[৪]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]