বিষয়বস্তুতে চলুন

প্রীতি শ্রীনিবাসন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

প্রীতি শ্রীনিবাসন (জন্ম ১৯৭৯)[১] ছিলেন অনূর্ধ্ব- ১৯ তামিলনাড়ু মহিলা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক।[২] তিনি ১৯৯৭ সালে, ১৭ বছর বয়সে রাজ্য দলকে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে নেতৃত্ব দেন। একটি দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়ার পর তিনি কোয়াড্রিপ্লেজিক (চারটি অঙ্গের পক্ষাঘাতে আক্রান্ত) রোগে আক্রান্ত হন।[৩] সেই অবস্থায় তিনি সোলফ্রি সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠা করেন। এটি এমন একটি সংস্থা যারা মেরুদন্ডের আঘাতে আক্রান্তদের পুনরুদ্ধার, পুনর্বাসন এবং পুনরায় সংহত করে। এরা ভারতীয় যুবকদের মধ্যে এর প্রতিরোধ সম্বন্ধে সচেতনতা ছড়িয়ে দেয়।[৪]

তিনি একজন শিরোপাধারী সাঁতারুও ছিলেন, ৫০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকে রাজ্য স্তরে একটি স্বর্ণপদক জিতেছিলেন এবং অন্যান্য ইভেন্টে রৌপ্য পদক জিতেছিলেন।[৫] তিনি প্রতিবন্ধীদের সমস্যা নিয়ে আলোচনাও করেন।[৬]

শিক্ষা এবং প্রাথমিক বছর[সম্পাদনা]

প্রীতি ১৯৯৭ সালে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়াআপার মেরিয়ন এরিয়া হাই স্কুল থেকে স্নাতক হন এবং ১৯৯৬ / ৯৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য অন্যান্য স্বীকৃতির সাথে অসামান্য কৃতিত্ব এবং শিক্ষায় শ্রেষ্ঠত্বের জন্য শিক্ষা সম্মানে ভূষিত হন। ১২ শ্রেণীতে, তিনি ইউনাইটেড স্টেটস অফ আমেরিকার শীর্ষ ২ শতাংশ মেধাবী ছাত্রদের মধ্যে ছিলেন এবং আমেরিকান উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রদের মধ্যে হু'স হু-এর (সংক্ষিপ্ত পরিচয়বাহী সংকলন) প্রতিনিধিত্ব লাভ করেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] বাবার কর্মস্থলের পরিবর্তনের কারণে, প্রীতি ব্যাপকভাবে ভ্রমণ করার এবং বিভিন্ন সংস্কৃতি/ঐতিহ্য সম্পর্কে জানার সুযোগ পেয়েছিলেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

তাঁর দুর্ঘটনার পর, তিনি মাদ্রাজ ইউনিভার্সিটি থেকে মেডিকেল সোসিওলজিতে ব্যাচেলর দূর শিক্ষার পাঠ্যক্রম গ্রহণ করেন। তিনি সঙ্গীত, শিল্প, চলচ্চিত্র এবং সাহিত্যের প্রতিও আগ্রহী। তিনি নিজের মা বিজয়লক্ষ্মী শ্রীনিবাসনকে উৎসাহ ও সমর্থনের নিরন্তর উৎস বলে মনে করেন।[৭]

স্বীকৃতি[সম্পাদনা]

  • বিজয় টিভির "সিগারাম ঠোট্টা পেঙ্গাল – রে অফ হোপ" পুরস্কার[৮]
  • রেইনড্রপসের "ওম্যান অ্যাচিভার অফ দ্য ইয়ার ২০১৪" পুরস্কার
  • ফেমিনা ২০১৪ সালের "পেন শক্তি" পুরস্কার তামিলনাড়ুর শীর্ষ ১০ সবচেয়ে প্রভাবশালী মহিলাকে দেওয়া হয়েছে
  • ২০১৪ সালের এনভিসেজ এবিলিটি পুরস্কার। . .
  • সমাজকর্মে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য সুদেশী ম্যাগাজিনের ‘ধ্রুব পুরস্কার’
  • রোটারির সর্বোচ্চ পুরস্কার "ফর দ্য সেক অফ অনার"
  • ২০১৪-১৫সালের জন্য জেলা রোটারাক্ট কাউন্সিল (রোটারি ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট ৩২৩০) থেকে "এজেন্ট অফ চেঞ্জ" পুরস্কার
  • তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে কল্পনা চাওলা পুরস্কার[৯]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

প্রীতির সংস্থা সোলফ্রি একটি দাতব্য সংস্থা যেটি "প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জীবন পরিবর্তন করার" লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।[১০]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Soulfree of Preethi Srinivasan -"। ২০১৬-১০-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১২-০৮ 
  2. "She captained an under-19 women's cricket team and after her disability is inspiring thousands! - The Better India"। thebetterindia.com। ৯ জানুয়ারি ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১২-০৮ 
  3. Kumar, Saradha Mohan (৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩)। "Former cricket star is voice of disabled"The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০২০ 
  4. "Soulfree | Positively abled - About"। soulfree.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১২-০৮ 
  5. "Quadriplegic can't climb stairs, so university denies her a seat | The Indian Express"। The Indian Express। ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১২-০৮ 
  6. "Preethi Srinivasan: How she defeated her disability? – MotivateMe.in"। motivateme.in। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১২-০৮ 
  7. "Together, We are Able to Overcome Rejections and Obstacles | PatientsEngage"PatientsEngage (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৮-২৬ 
  8. "Gitamritam - Profile | Preethi Srinivasan"। gitamritam.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১২-০৮ 
  9. "Preethi Srinivasan gets Kalpana Chawla award from Tamil Nadu CM"Deccan Chronicle (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৮-১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৮-২৬ 
  10. Vijay, Hema (৩১ অক্টোবর ২০১৪)। "Playing through pain"The Hindu 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]