প্রবেশদ্বার:সুফিবাদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে


সুফিবাদ প্রবেশদ্বার

আজমীর শরীফের বাইরের দৃশ্য

সুফিবাদ বা তাসাউফ , (আরবি: الْتَّصَوُّف‎, ব্যক্তিবাচক বিশেষ্য: সুফি, মুতাসাউইফ) যাকে বিভিন্নভাবে ইসলামি আধ্যাত্মবাদ, ইসলামের অন্তর্নিহিত রূপ, ইসলামের অন্তর্গত আধ্যাত্মিকতার অদৃশ্য অনুভূতি হিসেবেও সংজ্ঞায়িত করা হয়, তা হল ইসলামে আধ্যাত্মবাদ, যা নির্দিষ্ট মুল্যবোধ, আচার-প্রথা চর্চা, মূলনীতি দ্বারা বিশেষায়িত, যা ইসলামের ইতিহাসের খুব প্রাথমিক দিকে শুরু হয়েছিল, এবং এটি ইসলামের আধ্যাত্মিক চর্চার "প্রধান অভিব্যক্তি ও কেন্দ্রীয় স্বচ্ছতা"কে তুলে ধরে। সুফিবাদের চর্চাকারীরা আখ্যায়িত হয়ে থাকে (আরবি বহুবচন: সুফিয়াহ; সুফিয়ুন; মুতাসায়িফাহ; মুতাসায়িফুন)। ইসলামে তাসাউফের আরেকটি সমার্থক ধারণা হল তাজকিয়া

ঐতিহাসিকভাবে, সুফিগণ প্রায়শই বিভিন্ন তরিকা বা ধারার অনুসারী - এমন কিছু ধর্মসভা যা কোন মহান শিক্ষাগুরুকে কেন্দ্র করে গঠিত, যাদের ওয়ালী বলে আখ্যায়িত করা হয়, এবং তারা আনুসারীদের সঙ্গে ইসলামী নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) -এর সরাসরি সংযোগ বা সিলসিলা স্থাপন করেন। এই তরিকাগুলো জাওয়াবিয়া, খানকা বা তেক্কে নামক কোন নির্দিষ্ট স্থানে মজলিস নামক আধ্যাত্মিক বৈঠকে মিলিত হয়। তারা ইহসানের (ইবাদতের পূর্নাঙ্গতা) জন্য সংগ্রাম করে, যা একটি হাদীসে বিস্তারিত বর্নিত আছে: "ইহসান হল এমনভাবে আল্লাহর ইবাদত কর যে, তুমি তাকে দেখছো, অথবা তুমি তাকে না দেখলেও নিশ্চয়ই তিনি তোমাকে দেখছেন।" সূফিগণ মুহাম্মদ (সাঃ)-কে আল-ইনসান আল-কামিল (প্রথম ব্যক্তি যিনি আল্লাহর নৈতিকতাবে পরিপূর্ণ ব্যাখ্যা করেছেন) বলে আখ্যায়িত করে থাকে, এবং তাকে নেতা ও প্রধান আধ্যাত্মিক পথপ্রদর্শক হিসেবে দেখে।

সকল সূফি তরিকা মুহাম্মদের কাছ থেকে পাওয়া তাদের অধিকাংশ অনুশাসন তার চাচাতো ভাই ও জামাতা আলীর বরাতে গ্রহণ করে থাকে, এবং তাকে উল্লেখযোগ্য আলাদা ও বিশেষ ব্যক্তি মনে করে।

নির্বাচিত নিবন্ধ

তাজকিয়াহ (تزكية) হল একটি আরবি-ইসলামিক পরিভাষা, সংক্ষেপে তাজকিয়া আল-নফস যার অর্থ "আত্মশুদ্ধি"। এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যাতে নফস (আত্ম-প্রবৃত্তি বা কামনা) কে প্রবৃত্তি-কেন্দ্রিক দশা থেকে পরিবর্তন করে শুদ্ধি ও আল্লাহর প্রতি আত্মসমর্পণের দশায় নিয়ে যাওয়া হয়। এর ভিত্তি হল বিশুদ্ধ সুন্নত থেকে শরিয়াহ ও কর্ম অধ্যয়ন এবং নিজ কর্মে‌ তার প্রয়োগ ঘটানো ও তার ফলশ্রুতিতে আল্লাহ সম্পর্কে‌ আধ্যাত্মিক সচেতনতা লাভ করা (সর্ব‌দা এই চেতনা নিয়ে থাকা যে, তিনি তার জ্ঞাতের দিক থেকে আমাদের সাথেই আছেন এবং আমরা যা কিছু করি তা জানেন, পাশাপাশি সর্ব‌দা তার যিকির করা বা তাকে স্মরণ করা চিন্তা ও কর্মে‌র মাধ্যমে), যাকে ইহসানের সর্ব‌োচ্চ পর্যা‌য় বলা হয়। পরিভাষাটির আরেকটি নিকতবর্তী‌ সমার্থ‌ক শব্দ হল ইসলাহবিস্তারিত

নির্বাচিত জীবনী

খাজা মইনুদ্দিন চিশতী (উর্দু:معین الدین چشتی) (ফার্সি: چشتی,উর্দু: چشتی - Čištī) (আরবি: ششتى‎ - চিশতী) হলেন চিশতীয় ধারার ভারতীয় উপমহাদেশের সবচেয়ে বিখ্যাত সুফি সাধক। তিনি ১১৪১ সালে জন্মগ্রহন করেন ও ১২৩৬ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি গরিবে নেওয়াজ (غریب نواز) নামেও পরিচিত। মইনুদ্দিন চিশতীই উপমহাদেশে প্রথম এই ধারা প্রতিষ্ঠিত ও পরিচিত করেন। তিনি ভারতে চিশতী ধারার মাধ্যমে আধ্যাত্মিক ধারা বা সিলসিলা এমনভাবে পরিচিত করেন পরবর্তীতে তার অনুসারীরা যেমন, বখতিয়ার কাকী, বাবা ফরিদ, নাজিমদ্দিন আউলিয়াসহ (প্রত্যেকে ক্রমানুযায়ী পূর্ববর্তীজনের শিষ্য) আরো অনেকে ভারতের ইতিহাসে সুফি ধারা এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যান।

আপনি জানেন কি...

DYK question mark
DYK question mark

সুফিবাদ বিষয়

নির্বাচিত চিত্র

বিষয়শ্রেণী

উক্তি

মানব দেহে যদি আল্লাহর জাত'ই না থাকতো,
পানি ও মাটির মানুষ'কে কীভাবে ফেরেশতারা সেজদা করলো ।
- খাজা গরিবে নেওয়াজ (রহঃ)

সম্পর্কিত প্রবেশদ্বার

আপনি যা করতে পারেন

Tasks clipboard
Tasks clipboard

উইকিপ্রকল্প

WikiProjects puzzle
WikiProjects puzzle

সম্পর্কিত উইকিপ্রকল্পসমূহ:

সংশ্লিষ্ট উইকিমিডিয়া


উইকিসংবাদে সুফিবাদ
উন্মুক্ত সংবাদ উৎস


উইকিউক্তিতে সুফিবাদ
উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন


উইকিসংকলনে সুফিবাদ
উন্মুক্ত পাঠাগার


উইকিবইয়ে সুফিবাদ
উন্মুক্ত পাঠ্যপুস্তক ও ম্যানুয়াল


উইকিবিশ্ববিদ্যালয়ে সুফিবাদ
উন্মুক্ত শিক্ষা মাধ্যম


উইকিমিডিয়া কমন্সে সুফিবাদ
মুক্ত মিডিয়া ভাণ্ডার


উইকিঅভিধানে সুফিবাদ
অভিধান ও সমার্থশব্দকোষ


উইকিউপাত্তে সুফিবাদ
উন্মুক্ত জ্ঞানভান্ডার


উইকিভ্রমণে সুফিবাদ
উন্মুক্ত ভ্রমণ নির্দেশিকা

সার্ভার ক্যাশ খালি করুন