পশ্চিম বাংলার চলচ্চিত্র বলতে কলকাতায় অবস্থিত টালিগঞ্জের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিভিত্তিক চলচ্চিত্রসমূহকে বোঝানো হয়। এটি টালিউড (ইংরেজি: Tollywood "টলিউড") নামে পরিচিত। যদিও ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিটি বলিউড , তেলুগু ও তামিল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্র থেকে অনেক ছোট তবু এটি সমান্তরাল ও আর্ট ফিল্ম নির্মাণ করে বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হয়েছে। বিভিন্ন নির্মাতা ও অভিনেতা ভারতীয় জাতীয় ফিল্ম পুরস্কার সহ আন্তর্জাতিক পুরস্কারেও ভূষিত হয়েছেন। বর্তমানে টলিউড থেকে রোমান্টিক ও সামাজিক ছবিই বেশি নির্মিত হয়।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র বলতে অবিভক্ত বঙ্গ (১৯৪৭ পর্যন্ত) থেকে শুরু করে পূর্ব পাকিস্তান এবং ১৯৭১ সালের পর স্বাধীন বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পকে বোঝায়। পৃথিবীর অনেক দেশের মত বাংলাদেশেও (তদানীন্তন পূর্ব বঙ্গ) ১৮৯০-এর দশকে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী শুরু হয়েছিল। এই সূত্র ধরে এই অঞ্চলে ১৯০০-এর দশকে নির্বাক এবং ১৯৫০-এর দশকে সবাক চলচ্চিত্র নির্মাণ ও প্রদর্শন শুরু হয়। চলচ্চিত্র মঞ্চের উৎপত্তি ১৯১০-এর দশকে হলেও এখানে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নিয়ে আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে ১৯৫০-এর দশকেই। এখানকার সাংস্কৃতিক পরিবেশের সাথে খাপ খেতে চলচ্চিত্রের প্রায় ৫০ বছরের মত সময় লেগেছে। ১৯৯০-এর দশকে বাংলাদেশে প্রতি বছর গড়ে ৮০টির মত পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র মুক্তি পেতো। ২০০৪ সালের হিসাব মতে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে বছরে গড়ে প্রায় ১০০টির মত চলচ্চিত্র মুক্তি পায়।
স্বাধীন চলচ্চিত্র (ইংরেজি ভাষায়: Independent film) বলতে মূলধারার স্টুডিও তন্ত্রের বাইরে নির্মিত চলচ্চিত্রকে বোঝায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে হলিউড স্টুডিওর বাইরে নির্মিত কোন চলচ্চিত্রকেই স্বাধীন চলচ্চিত্র বলা যায়। একে সংক্ষেপে ইন্ডি ফিল্ম বলা হয়। একই সাথে স্বাধীন চলচ্চিত্র দ্বারা অবাণিজ্যিক শৈল্পিক চলচ্চিত্রকেও বোঝা যায় যেগুলো কাহিনীভিত্তিক মূলধারার হলিউড চলচ্চিত্র থেকে ভিন্ন ধরনের। অনেক সময় বড় কোন স্টুডিওর সহযোগী ছোট স্টুডিও (যেমন, সনি পিকচার ক্লাসিক্স) থেকে এই সিনেমাগুলো নির্মাণ করা হয়। কিন্তু কোন সিনেমার অর্ধেকের বেশি বাজেট যদি বড় কোন স্টুডিও থেকে আসে তাহলে তাকে স্বাধীন চলচ্চিত্র বলা যাবে না। ২০০৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আবাসিক বক্স অফিস রাজস্বের শতকরা ১৫ ভাগই এসেছিল স্বাধীন চলচ্চিত্র থেকে। কনটেন্ট এবং স্টাইলের মাধ্যমে স্বাধীন চলচ্চিত্রগুলোকে সহজেই অন্যান্য ছবি থেকে আলাদা করা যায়। আর এতে পরিচালক বা লেখকের ব্যক্তিগত সৃজনশীল দৃষ্টিভঙ্গি খুব ভালভাবে প্রকাশিত হয়।
১৯৯০ এবং ২০০০ এর দশকে স্বাধীন চলচ্চিত্রের দৃশ্য বিনির্মাণে বেশ কয়েকটি বিষয় কাজ করেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে: কম খরচের মধ্যে উচ্চ ক্ষমতার ডিজিটাল ভিডিও ক্যামেরা সংগ্রহ যা মূলধারার চলচ্চিত্রের ৩৫ মিমি ক্যামেরার সাথে প্রতিদ্বন্দ্ব্বিতা করতে পারে। এর সাথে রয়েছে সহজে ব্যবহারযোগ্য সম্পাদনা সফ্টওয়্যার এবং বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে বেশি বেশি স্বাধীন চলচ্চিত্র প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা। এরকম একটি হচ্ছে সানড্যান্স চলচ্চিত্র উৎসব। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)
... তারেক মাসুদ পরিচালিত বাংলাদেশী চলচ্চিত্র মাটির ময়না দেশের প্রথম চলচ্চিত্র হিসেবে শ্রেষ্ঠ বিদেশি চলচ্চিত্র হিসেবে একাডেমি এ্যাওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রেরিত হওয়ার আগে সেন্সর বোর্ড কর্তৃক সাময়িক ভাবে নিষিদ্ধ ছিল?
তিনি ১৯৯৫ সালে বাংলার নায়ক চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে পদার্পণ করেন। কর্মজীবনের শুরুতে কয়েকটি চলচ্চিত্রে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয়ের পর ১৯৯৭ সালে মহম্মদ হান্নান পরিচালিত প্রাণের চেয়ে প্রিয় চলচ্চিত্রে প্রধান অভিনেতা হিসেবে অভিনয় করে ব্যবসায়িক সফলতা লাভ করেন এবং একইসঙ্গে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। এরপর তিনি বাংলাদেশের অনেক প্রখ্যাত পরিচালকের চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি হুমায়ূন আহমেদেরদুই দুয়ারী (২০০০) চলচ্চিত্রে রহস্য মানব চরিত্রে, তৌকির আহমেদেরদারুচিনি দ্বীপ (২০০৭) চলচ্চিত্রে শুভ্র চরিত্রে এবং কি যাদু করিলা (২০০৮) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। তার অভিনীত সাম্প্রতিকতম চলচ্চিত্রগুলো হল সুইটহার্ট ও কৃষ্ণপক্ষ (২০১৬)। বর্তমানে তিনি ২০২০ সালে মুক্তি প্রতীক্ষিত সুন্দরবনে র্যাবের দুঃসাহসিক অভিযান নিয়ে নির্মিতব্য অপারেশন সুন্দরবন চলচ্চিত্রে কাজ করছেন। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)