পুস্না

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পুস্না
পুস্নার সময় তৈরি চালের পিঠা
অন্য নামবসন্তকালীন পিঠা উৎসব
পালনকারীহাজং জনগোষ্ঠী
ধরনসাংস্কৃতিক
তাৎপর্যবসন্ত ঋতুর আগমনী চিহ্ন
উদযাপনচালের তৈরি পিঠা
পালনআত্মীয়স্বজন এবং বন্ধুদের সাথে দেখা করা, পূর্বপুরুষদের সম্মাননা, সূর্যকে বন্দনা, পিঠা উৎসব
শুরুসূর্যের দক্ষিণায়ন শুরু হওয়ার আগের দিন
সংঘটনবার্ষিক
সম্পর্কিতপৌষ সংক্রান্তি

পুস্না বা বাসন্তী পিঠা উৎসব হাজং জনগোষ্ঠীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসব যেটি ১৪ই জানুয়ারি পালিত হয়। এটি একটি সৌর উৎসব[১] যেটি প্রতি বছর গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী একই তারিখে উদযাপিত হয়ে আসা কয়েকটি ঐতিহ্যবাহী হাজং উৎসবের মধ্যে একটি। সাধারণত ১৪ই জানুয়ারিতে পালন করা হলেও কিছু ব্যতিক্রম হিসেবে উৎসবটি ১৩ই বা ১৫ই জানুয়ারিতেও উদযাপিত হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ ২০১৬ সালে উৎসবটি ১৫ জানুয়ারিতে উদযাপিত হয়েছিল। এটি মূলত পৌষ সংক্রান্তির একটি অংশ যা এক সপ্তাহ ধরে পালিত হয়। ঐতিহ্যগতভাবে পুস্না উৎসব পরিবারের সদস্যদের একত্রিত হওয়ার সময় বলেও বিবেচিত।এই মিলনের সময় ভোজ হিসেবে বিভিন্ন রকমের পিঠা তৈরি করা হয়ে থাকে।

প্রচলিত রীতিনীতি[সম্পাদনা]

পুস্নার সময় লোকেরা বিভিন্ন ধরনের ঐতিহ্যবাহী জিনিস যেমন চালের গুঁড়ো, নারকেল, কলা এবং পালমিরা খেজুরের রস দিয়ে পিঠা তৈরি করেন। এর মধ্যে কয়েকটি চালের পিঠা ছাঁকা তেলে ভাজা হয় এবং কিছু বাঁশের মধ্যে ভরে বা কলা পাতায় সিদ্ধ করা হয়। পুস্নার প্রথম দিনে পূর্বপুরুষদের সম্মান করা হয়, এই উৎসবে লোকজন তাদের আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধুদের সাথে দেখা করে।[২] সকলে গুরুজনদের থেকে আশীর্বাদ নেয়। একে অপরকে উপহারও দেওয়া হয়।[১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Pusna 2021"। ৪ মার্চ ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১ 
  2. "Hajong - Festivals"Haj.biblesindia.in। ২১ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ অক্টোবর ২০১৭