ড্যানিয়েল জোন্স হত্যাকাণ্ড

ড্যানিয়েল জোন্স হত্যাকাণ্ড (১৬ই অক্টোবর ১৯৮৫ - আনুমানিক ১৮ই জুন ২০০১) হল একটি ইংরেজ হত্যার ঘটনা, যেখানে কোন মৃতদেহ পাওয়া যায়নি ও দোষী সাব্যস্ত হয়েছে ভুক্তভোগীর মোবাইল ফোনে পাঠানো বার্তার ফরেনসিক লেখার বিশ্লেষণের উপর। ড্যানিয়েল সারাহ জোন্সকে সর্বশেষ ২০০১ সালের ১৮ জুন জীবিত দেখা গিয়েছিল।

জোন্স এর কাকা, স্টুয়ার্ট ক্যাম্পবেল, একজন নির্মাতা, যিনি ২০০২ সালের ১৯শে ডিসেম্বর অপহরণ ও হত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত হন। ক্যাম্পবেলকে হত্যার জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি অপহরণের জন্য ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

বিচারের পর, বিতর্কের সৃষ্টি হয় যখন জানা যায় যে ক্যাম্পবেলের সমবয়সী অন্যান্য মেয়েদের উপর অশালীন হামলার জন্য পূর্বের প্রত্যয় ছিল। এই ক্ষেত্রে পাঠ্য বার্তার ফরেনসিক লেখকত্ব বিশ্লেষণের ব্যবহার অন্যান্য ক্ষেত্রে গবেষণাকে উস্কে দিয়েছে।

অন্তর্ধান ও তদন্ত

১৫ বছর বয়সী ড্যানিয়েল জোন্সকে শেষবার তার বাড়ির কাছে এসেক্সের ইস্ট টিলবারিতে ২০০১ সালের ১৮ই জুন সকালে বাসস্টপে যাওয়ার সময় দেখা গিয়েছিল।

ক্যাম্পবেলের উপর সন্দেহ প্রায় অবিলম্বে এসে পরে এবং তাকে জোন্স নিখোঁজ হওয়ার পাঁচ দিন পরে তাকে ২০০১ সালের ২৩শে জুন প্রথম গ্রেফতার করা হয়। জোন্সের জীবন বিপন্ন হওয়ার সম্ভাব্যতা যাচাই করার সময় গোয়েন্দারা তার গ্রেপ্তারে বিলম্ব করেছিল, অনুমান করে যে সে এখনও বেঁচে আছে এবং তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে আটক করা হয়েছে, ক্যাম্পবেল তার কাছে পুলিশকে নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনার বিরুদ্ধে। পুলিশ সাক্ষাৎকারের সময় ক্যাম্পবেলকে "অসহযোগী" বলে বর্ণনা করা হয়েছিল। পুলিশের সাথে ২০ মিনিটের একটি সাক্ষাৎকারে, ক্যাম্পবেল ৫০ টি প্রশ্নে উত্তর দিতে অস্বীকার করেন।

তদন্তে বিবিসির টেলিভিশন প্রোগ্রাম ক্রাইমওয়াচের পুনর্গঠনসহ জনসাধারণের কাছে তথ্যের জন্য বেশ কয়েকটি আবেদন অন্তর্ভুক্ত ছিল। তদন্ত চলাকালীন, ৯০০ জনেরও বেশি পুলিশ কর্মকর্তা ও সহায়তাকারী কর্মীরা জোন্স -এর দেহের জন্য ১৫০০ টিরও বেশি জায়গা অনুসন্ধান করেছিলেন, কারণ তার নিখোঁজ হওয়ার দুই মাসের মধ্যে এই মামলায় কাজ করা পুলিশরা নিশ্চিত হয়েছিলেন যে তিনি মারা গেছেন।

হত্যার বিচার

পুলিশ ক্যাম্পবেলকে ২০০১ সালের ১৭ই আগস্ট হত্যার সন্দেহে পুনরায় গ্রেফতার করে, "ড্যানিয়েল জোন্সের মৃত্যুর" তত্ত্বকে সমর্থনকারী "উল্লেখযোগ্য প্রমাণ" খুঁজে পাওয়ার পর।