বিষয়বস্তুতে চলুন

জামিয়া সিরাজিয়া দারুল উলুম ভাদুঘর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জামিয়া সিরাজিয়া দারুল উলুম ভাদুঘর
ধরনকওমি মাদ্রাসা
স্থাপিত১৯৮৭; ৩৭ বছর আগে (1987)
প্রতিষ্ঠাতামাওলানা এমরান
মূল প্রতিষ্ঠান
দারুল উলুম দেওবন্দ
অধিভুক্তিআল হাইআতুল উলয়া লিল জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ
ধর্মীয় অধিভুক্তি
ইসলাম
আচার্যতানভীরুল হক সিরাজী
অবস্থান
শিক্ষাঙ্গনশহর

জামিয়া সিরাজিয়া দারুল উলুম ভাদুঘর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলায় অবস্থিত একটি কওমি মাদ্রাসা। ১৯৮৭ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করেন মাওলানা এমরান। তিনি জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়ার শিক্ষক ছিলেন। শিক্ষক থাকাকালীন তিনি তার ছাত্রদের নিয়ে একটি ব্যতিক্রমধর্মী কওমি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। এ উদ্দেশ্যে নিয়ে তিনি বি.বাড়িয়ার বড় হুজুর খ্যাত সিরাজুল ইসলামের পরামর্শক্রমে তার নিজবাড়ি ভাদুঘরে এই মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। তার নামের সাথে মিল রেখেই মাদ্রাসার নামকরণ হয়েছে মাদ্রাসা সিরাজিয়া। প্রতীকি প্রতিষ্ঠাতা হিসেবেও সিরাজুল ইসলামকে উল্লেখ করা হয়। মাদ্রাসার বর্তমান মহাপরিচালক তানভীরুল হক সিরাজী।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠায় মাওলানা এমরানকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেন আব্দুল হান্নান, রফিকুল ইসলাম, মাওলানা মূসা ও আবু সাঈদ কাসেমী। প্রথম বছরেই ইবতেদায়ী থেকে নাহবেমীর পর্যন্ত ১৩৩ জন ছাত্র ভর্তি করানো হয়। পরবর্তী বছর এ সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৪৭৬ জনে উন্নীত হয়। প্রতি বছর ক্রমান্নয়ে নাহবেমীর জামাত থেকে বৃদ্ধি পেতে পেতে ১৯৯৩ সালে মিশকাত জামাত পর্যন্ত পৌঁছে যায়। অতঃপর ছাত্রদের ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে ২০০৪ সালে দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) খোলা হয়। এখানকার সকল ছাত্রই আবাসিক। ৬০ শতক জমির উপর মাদ্রাসার মূল ভবন অবস্থিত। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ১৯৯৫ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা এমরান মুহতামিমের দায়িত্ব পালন করেন। অতঃপর ১৯৯৫ থেকে ২০২০ পর্যন্ত মুহতামিমের দায়িত্বে পালন করেন মনিরুজ্জামান সিরাজী এবং দাওরায়ে হাদিস খোলার পর থেকে তিনিই শায়খুল হাদিসের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০২০ সালে তার মৃত্যুর পর মুহতামিম নিযুক্ত হন তানভীরুল হক সিরাজী।[১]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. আলম, মো. মোরশেদ (২০১৪)। হাদীস শাস্ত্র চর্চায় বাংলাদেশের মুহাদ্দিসগণের অবদান (১৯৭১-২০১২)বাংলাদেশ: ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। পৃষ্ঠা ২৩৩।