চন্দ্রপুর বিশ্ববিদ্যালয়
বিকল্প নাম | শ্রীচন্দ্রপুর বিশ্ববিদ্যালয় |
---|---|
অবস্থান | সাগরনাল, জুড়ী, মৌলভীবাজার |
অঞ্চল | সিলেট, বাংলাদেশ |
স্থানাঙ্ক | ২৪°২৮′০৭″ উত্তর ৯২°০৮′২৮″ পূর্ব / ২৪.৪৬৮৬৩৫° উত্তর ৯২.১৪১২৩৭° পূর্ব |
ধরন | প্রাচীন শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান |
যার অংশ | শ্রীহট্ট, চন্দ্র রাজ্য |
এলাকা | ২০,০০০ একর[১] |
ইতিহাস | |
নির্মাতা | শ্রীচন্দ্র |
উপাদান | অজানা |
প্রতিষ্ঠিত | ৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দ |
পরিত্যক্ত | অজানা |
সংস্কৃতি | মিশ্র বৌদ্ধ ও হিন্দুধর্মীয় সংস্কৃতি |
স্থান নোটসমূহ | |
আবিষ্কৃত হয়েছে | অনাবিষ্কৃত |
খননের তারিখ | প্রক্রিয়াধীন |
অবস্থা | অনাবিষ্কৃত |
স্থাপত্য | |
স্থাপত্য শৈলী | অজানা |
প্রাথমিক অনুসন্ধান চলমান |
চন্দ্রপুর বিশ্ববিদ্যালয় বা শ্রীচন্দ্রপুর বিশ্ববিদ্যালয় খ্রিষ্টীয় দশম শতাব্দীতে চন্দ্রবংশীয় রাজা শ্রীচন্দ্র কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দে প্রায় ২০,০০০ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত একটি ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।[১][২] অনাবিষ্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়টি আবিষ্কারের জন্য প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।[১]
ইতিহাস[সম্পাদনা]
চন্দ্র রাজবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রীচন্দ্র আনুমানিক ৯৩০ থেকে ৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত শাসন করেন। কারও কারও মতে শ্রীচন্দ্রের শাসনকাল ৯০৫ থেকে ৯৫০ খ্রিষ্টাব্দ।[৩] তাঁর শাসনকালের পঞ্চম বর্ষে (আনু. ৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দ[৪]) চন্দ্রপুর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।[৩] বিশ্ববিদ্যালয়টি সংরক্ষণের জন্য তিনটি দানপত্রে ৪০০ পাটক (প্রতি পাটক ৫০ একরের সমান) ভূমি দান করা হয়েছিল।[৪]
১৯৫৮ সালে তৎকালীন সিলেট জেলার মৌলভীবাজার মহকুমার (বর্তমান রাজনগর উপজেলায়) পশ্চিমভাগ গ্রামে রাজা শ্রীচন্দ্রের একটি তাম্রশাসন আবিষ্কৃত হয়। এই তাম্রশাসনে মঠগুলোর ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যায়।[২]
বর্ণনা[সম্পাদনা]
দক্ষিণ-পূর্ব বাংলার চন্দ্রবংশীয় রাজা শ্রীচন্দ্র ৯৩৫ সালে চন্দ্রপুর শাসনে শ্রীহট্ট মণ্ডলের চন্দ্রপুর বিষয়ে ভূমি বণ্টনের মাধ্যমে নয়টি মঠ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যা সম্মিলিতভাবে একক বিদ্যায়তন বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল।[২]
চন্দ্রপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট নয়টি মঠ ছিল। এর মধ্যে একটি ব্রহ্মপুর বা শ্রীচন্দ্রপুর মঠ (এখানে দেবতা ব্রহ্মার উপাসনা করা হতো), চারটি বাঙ্গাল (তাম্রশাসনে স্থানীয়দের বাঙ্গাল বলা হয়েছে) ও চারটি দেশান্তরীয় মঠ (বহিরাগত বা বিদেশী)।[৪] এই মঠগুলোতে মূলত চতুর্বেদ অনুশীলন করা হতো।[২] তবে চন্দ্রগোমীর ব্যাকরণও এসব মঠে পাঠদান করা হতো। প্রথম মঠের উপাধ্যায় প্রতিবদ্ধ চন্দ্র চন্দ্রগোমী বা চান্দ্র ব্যাকরণে পণ্ডিত ছিলেন বলে ঐতিহাসিকেরা ধারণা করেন।[২] এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চতুর্বেদ, হিন্দুশাস্ত্রবিদ্যা, কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র,[৫] হেতুবিদ্যা, চিকিৎসাশাস্ত্র, জ্যোতিষবিদ্যা, শল্যবিদ্যা, ধাতুবিদ্যা, শব্দবিদ্যা ইত্যাদি বিষয় পড়ানো হতো।[১][৩][৪] বিশ্ববিদ্যালয়টি সম্পূর্ণ আবাসিক ছিল এবং শিক্ষার্থীদের ভরণপোষণের দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বহন করত।[৪]
ইতিহাসবিদ কমলাকান্ত গুপ্ত রচিত "কপার-প্লেটস অব সিলেট" গ্রন্থ এবং দীনেশচন্দ্র সরকার সম্পাদিত "Select Inscription: Bearing on Indian History and Civilization" বইয়ে পশ্চিমভাগ শাসনের বিষয়বস্তুর বর্ণনায় বলা হয়েছে, চন্দ্রপুর বিষয়ের (জেলার মতো প্রশাসনিক বিভাগ) প্রথম ১২০ পাটক ভূমি চন্দ্রপুর বা ব্রহ্মপুর মঠে দান করা হয়, যার মধ্যে ১০ পাটক "প্রতিবদ্ধ চন্দ্র" নামক একজন উপাধ্যায়কে (অধ্যাপক বা শিক্ষক) প্রদান করা হয়।[২] ভূমির বাকি অংশ ১০ জন ছাত্র, পাঁচজন অপূর্ণ ব্রাহ্মণের প্রাত্যহিক আহার, রন্ধন কাজে নিযুক্ত একজন ব্রাহ্মণ, গণক, কায়স্থ বা লেখক, চারজন মালাকার, দুইজন তৈলিক, দুইজন কুম্ভকার, পাঁচজন কাহলিক, দুইজন শঙ্খবাদক, দুইজন ঢঙ্কাবাদক, আটজন দ্রাগঢ়িক, ২২ জন কর্মকার বা মজুর, চর্মকার, একজন নট, দুইজন সূত্রধর, দুইজন স্থপতি, দুইজন কর্মকার বা কামার। এছাড়া অন্যান্য নয়টি কাজের জন্য আরও ৪৭ পাটক ভূমি বরাদ্দ করা হয়েছে।[২] এরপর আরও ২৮০ পাটক ভূমি বাকি আটটি মঠে দান করা হয়।[৪] বিশ্ববিদ্যালয়টি নির্মাণশৈলী ও কারুকার্যে সুশোভিত ও মনোরম ছিল।[৪]
চন্দ্রপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকাল সম্পর্কে জানা গেলেও, ঠিক কখন বা কী কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল, তা সঠিকভাবে জানা যায় না।[৩][৪]
অবস্থান[সম্পাদনা]
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/bn/thumb/2/21/%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0_%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0_-_%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4_%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%A4.jpg/200px-%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0_%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0_-_%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4_%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%A4.jpg)
পশ্চিমভাগ তাম্রশাসনের পাঠোদ্ধারকারী কমলাকান্ত গুপ্ত,[৩] গবেষক রমেশচন্দ্র মজুমদার, যদুনাথ সরকার, সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক চন্দ্রপুরের কথা উল্লেখ করেন। কমলাকান্ত গুপ্ত ও অন্যান্য ইতিহাসবিদেরা তাম্রশাসনে চন্দ্রপুর বিষয়ের সীমানা নির্ধারণ করা আছে বলে জানান।[২] চন্দ্রপুরের উত্তরে কোসিয়ার নদী, দক্ষিণে মণি নদী, পূর্বে বৃহৎ-কৌট্টালিসীমা, ইন্দেশ্বরের পাহাড়ি এলাকা (লাতু, আদমারি, আদম আইল, পাথারিয়া বা লংলা পর্বত)[৩][৪] এবং পশ্চিমে জঙজু খাতক, কাষ্টণ্য খাতক ও বেত্রঘঙ্ঘী নদী ছিল।[২] কমলাকান্ত গুপ্ত কোসিয়ারকে বর্তমানের কুশিয়ারা ও মণি নদীকে বর্তমানের মনু নদী হতে পারে বলে ধারণা প্রকাশ করেন। কিন্তু পূর্ব-পশ্চিমের সীমা নিয়ে তিনি অনিশ্চয়তা প্রকাশ করেছেন।[২] অনেকে বৃহৎ-কোট্টালিকে ত্রিপুরার ত্রিশিরা প্রস্তরখণ্ড (যা ঊনকোটি নামে পরিচিত) হিসেবে দাবি করলেও কমলাকান্ত গুপ্ত তা কোনো বৃহৎ বৃহৎ পুলিশ ঘাঁটি বা কোতোয়ালি হতে পারে বলে মন্তব্য করেন।[২] এছাড়া পশ্চিম সীমার জঙজু খাতক, কাষ্টণ্য খাতক ও বেত্রঘঙ্ঘী নদী পরস্পর সংযুক্ত তিনটি আলাদা নদী হতে পারে বলে ধারণা করেন। এর মধ্যে বেত্রঘঙ্ঘী হবিগঞ্জের দিনারপুর পাহাড়ের পশ্চিমে অবস্থিত গুঙ্গাই নদী হতে পারে বলেও উল্লেখ করেন।[২] এছাড়া পশ্চিম সীমার নদীগুলো খোয়াই, করাঙ্গী, বেত্রা ও বিবিয়ানা নদী হতে পারে বলে ধারণা করা হয়।[৪]
আবার অধ্যাপক নৃপেন্দ্রলাল দাশ এর মতে পশ্চিমভাগ তাম্রশাসনটি রাজনগর থেকে এবং পার্শ্ববর্তী শ্রীমঙ্গলের কালাপুর ও বিয়ানীবাজারের নিধনপুরে যেহেতু বিভিন্ন রাজাদের তাম্রশাসন পাওয়া গিয়েছে, এ সীমার মধ্যেই যেকোনো স্থানই চন্দ্রপুরের সম্ভাব্য স্থান হতে পারে।[২] অন্যদিকে নিধনপুর তাম্রশাসনের পাঠোদ্ধারকারী পদ্মনাথ ভট্টাচার্য বিদ্যাবিনোদ চন্দ্রপুর হবিগঞ্জে ছিল বলে মত দেন।[২]
২০২০ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নের দিঘীরপাড় গ্রামে চন্দ্রপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভাব্য স্থান ধরে অনুসন্ধান শুরু করে। সাগরনালে নয়টি মঠের অন্তত একটি মঠ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।[৬] তবে সাগরনালের সীমান্তবর্তী ত্রিপুরার উত্তর ত্রিপুরা জেলায় চন্দ্রপুর নামে একটি শহর ও চাবাগান রয়েছে।[৬]
প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধান[সম্পাদনা]
তাম্রশাসনের পাঠোদ্ধারকারী কমলাকান্ত গুপ্ত তাঁর ১৯৬২ সালে প্রকাশিত "মহারাজা শ্রীচন্দ্রের নবলব্ধ প্রাচীন (পশ্চিমভাগ) তাম্রশাসন" প্রবন্ধে চন্দ্রপুর বিষয়ে বিষয়পতি বা জেলার অধিপতির বসবাসের জন্য "শ্রীচন্দ্রপুর" বা "চন্দ্রপুর" নামে একটি নগর ছিল বলে ধারণা প্রকাশ করেন। এই নগরে একটি মঠ বা বিহার থাকার সম্ভাবনার কথা জানিয়ে কমলাকান্ত গুপ্ত তা অনুসন্ধানের তাগিদ দেন।[২] ১৯৫৮ সালে পশ্চিমভাগ তাম্রশাসনের মাধ্যমে প্রথম চন্দ্রপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপারে জানা গেলেও, এর ৬২ বছর পর ২০২০ সালে প্রথম প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধান শুরু হয়।[২]
২০২০ সালের ১৫ জুলাই বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর থেকে "চন্দ্র বংশীয় রাজা শ্রীচন্দ্র কর্তৃক স্থাপিত কথিত শ্রীহট্টের চন্দ্রপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও পুরাকীর্তি সম্পর্কে সরেজমিন জরিপ ও পরিদর্শন প্রতিবেদন প্রয়োজন" উল্লেখ করে সিলেট, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা আঞ্চলিক প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরকে চিঠি দেওয়া হয়।[১][৭] চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয় ও পুরাকীর্তি অ্যান্টিকস অ্যাক্ট ১৯৬৮ অনুসারে সংরক্ষণ ও সংস্কারের সুযোগ অনুসন্ধানের জন্য সরেজমিন পরিদর্শনের নির্দেশনা দেওয়া হয়।[১] সে অনুসারে ২৫ জুলাই থেকে অনুসন্ধান শুরু হলেও[৭] চন্দ্রপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান শনাক্ত করা যায়নি।[৮][৯] তবে এসব স্থানে মৃৎপাত্র ও ইটের নিদর্শন এবং পুঁতি পাওয়া গেছে।[৯] বৌদ্ধ বিহার না থাকলেও এখানে নৌবন্দরের মতো কিছু থাকতে পারে বলে ধারণা করা হয়।[৯] এ কারণে অধিদপ্তর কর্তৃক শুষ্ক মৌসুমে জুড়ীর সাগরনাল, রাজনগরের পশ্চিমভাগ ও কুলাউড়ার কমলা রানির দীঘিতে খননকাজ চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে।[৬][৮][৯]
গুরুত্ব[সম্পাদনা]
শ্রীহট্ট অঞ্চলে চন্দ্রপুর বিশ্ববিদ্যালয় নালন্দা, তক্ষশীলা, মহাস্থানগড়[৪] বা ওদন্তপুরীর মতো বৃহৎ ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল, যা সময়কাল বিবেচনায় অক্সফোর্ড, ক্যামব্রিজ বা জগদ্দল বিহার থেকেও প্রাচীন।[২][৩][৬] এই বিশ্ববিদ্যালয়টি বৌদ্ধ শাসকদের প্রতিষ্ঠিত অন্যান্য মঠ থেকে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র। কেননা চান্দ্র ব্যাকরণ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্য সকল বিষয়ই মূলত হিন্দুশাস্ত্র এবং এর শিক্ষার্থীরাও ছিলেন মূলত ব্রাহ্মণ। মূলত ব্রাহ্মণরাই এই মঠগুলোর পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন।[৪]
পশ্চিমভাগ তাম্রশাসনে মহারাজা শ্রীচন্দ্র বৌদ্ধ চন্দ্রপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়টি মঠে ভূমি দান করেছেন। শ্রীচন্দ্র বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী হলেও তিনি মূলত বুদ্ধের নামে হিন্দু মঠ ও ব্রাহ্মণদের ভূমি দান করেছেন, যেখানে চতুর্বেদ অনুশীলন করা হতো। কমলাকান্ত গুপ্ত এই দানকে বৌদ্ধ রাজাদের মধ্যে ব্যতিক্রমধর্মী বলে মন্তব্য করেছেন।
মঠের কাজে নিযুক্ত প্রায় ২৫ শ্রেণির মানুষ, অতিথি, শিক্ষার্থীদের ভরণপোষনের জন্য ভূমি বণ্টন থেকে সুশৃঙ্খল প্রশাসনিক ব্যবস্থার ধারণা পাওয়া যায়। ড. জফির সেতু এই ব্যবস্থাকে আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন।[২]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ইসলাম, সাইফুল (২০ জুলাই ২০২০)। "মৌলভীবাজারে চন্দ্রপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের খোঁজে প্রত্নতাত্ত্বিক দল"। মৌলভীবাজার: ঢাকা ট্রিবিউন। ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ আগস্ট ২০২০।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ ঞ ট ঠ ড ঢ ণ ত থ দ চৌধুরী, দ্বোহা (২৪ জুলাই ২০২০)। "চন্দ্রপুর: যেখানে লুকিয়ে আছে দশম শতাব্দীর বিদ্যাপীঠ"। সিলেট: দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ২৭ আগস্ট ২০২০।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ শাকিল, মাহফুজ (২০ জুলাই ২০২০)। "জুড়ীতে প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়? অনুসন্ধানে যাচ্ছে প্রত্নতত্ত্বের দল"। কুলাউড়া, মৌলভীবাজার: কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ৩১ আগস্ট ২০২০।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ ঞ ট ঠ ইসলাম, মোহাম্মদ মাজহারুল (১৭ আগস্ট ২০২০)। "প্রাচীন 'চন্দ্রপুর বিশ্ববিদ্যালয়'"। সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ৩১ আগস্ট ২০২০।
- ↑ "Janata Bank Journal of Money, Finance and Development" (পিডিএফ) (ইংরেজি ভাষায়)। জনতা ব্যাংক। পৃষ্ঠা ৫৪। ৯ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০২০।
- ↑ ক খ গ ঘ ইসলাম, নূরুল (১৮ আগস্ট ২০২০)। "শুস্ক মৌসুমে খননকাজ: মৌলভীবাজারে প্রাচীন চন্দ্রপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ধানে"। মৌলভীবাজার: সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ৩১ আগস্ট ২০২০।
- ↑ ক খ শাকিল, মাহফুজ (২৬ জুলাই ২০২০)। "মৌলভীবাজারে প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুসন্ধানে প্রত্নতত্ত্বের দল"। কুলাউড়া: কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ৩১ আগস্ট ২০২০।
- ↑ ক খ "মৌলভীবাজারে প্রত্নতত্ত্ব অনুসন্ধান: খোঁজ পায়নি চন্দ্রপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্তিত্ব"। মৌলভীবাজার: নয়া দিগন্ত। ২৮ জুলাই ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ৩১ আগস্ট ২০২০।
- ↑ ক খ গ ঘ দেশোয়ারা, মিন্টু (৩০ জুলাই ২০২০)। "প্রত্ন নিদর্শনের খোঁজে মৌলভীবাজারের পশ্চিমভাগ, সাগরনাল ও ভাটেরায় খনন করা হবে"। দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ৩১ আগস্ট ২০২০।