গর্ভপাত অধিকার প্রচারাভিযান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
গর্ভপাত অধিকার প্রচারাভিযান
গঠিত১০ জুলাই ২০১২; ১১ বছর আগে (2012-07-10)
ধরনগর্ভপাত-অধিকার লবি গোষ্ঠী
অবস্থান
ওয়েবসাইটwww.abortionrightscampaign.ie

গর্ভপাত অধিকার প্রচারাভিযান (অ্যাবর্শন রাইটস ক্যাম্পেন বা এআরসি) হল একটি আইরিশ গর্ভপাতের অধিকার গোষ্ঠী। এর প্রধান লক্ষ্য হল আয়ারল্যান্ড এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডে বিনামূল্যে, নিরাপদ এবং আইনি গর্ভপাতের ব্যবস্থার প্রবর্তন।[১] ২০১৮ সালের মে মাসের আগে একটি উল্লেখযোগ্য লক্ষ্য ছিল আইরিশ সংবিধানের অষ্টম সংশোধনী বাতিল করা। ছত্রিশতম সংশোধনী ২০১৮সফলভাবে গৃহীত করার মাধ্যমে এটি অর্জন করা গেছে। উত্তর আয়ারল্যান্ড বিধানসভার জন্য প্রচারণা চালায় এআরসি যাতে যুক্তরাজ্যের বাকি অংশের সাথে সাধারণভাবে ব্যাপক গর্ভপাত আইন চালু করা যায় এবং "আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ডের সাথে সঙ্গতি রেখে গর্ভাবস্থায় মহিলাদের স্বাস্থ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করা" যায়।[২] আয়ারল্যান্ডে গর্ভপাতকে সম্পূর্ণ ভাবে অপরাধ তালিকা থেকে মুক্ত করা কে এআরসি সমর্থন করে।[৩]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

২০১২ সালের ১০ই জুলাই, ৪০ জন লোক একত্রিত হয়ে গর্ভপাত অধিকার প্রচারাভিযান সংগঠনটি তৈরি করেছিল। প্রাথমিকভাবে আইরিশ চয়েস নেটওয়ার্ক হিসাবে গঠিত হলেও, ২০১২ সালের ৮ই ডিসেম্বর ডাবলিনের গ্রেশাম হোটেলে একটি এবং এরপর ২০১৩ সালের ১৯শে জানুয়ারি আরেকটি বৈঠকের পর আনুষ্ঠানিকভাবে গর্ভপাত অধিকার প্রচারাভিযান চালু করা হয়। এটি ২০১৩ সাল থেকে ডাবলিনে বার্ষিক মার্চ ফর চয়েস আয়োজন করছে। অনেক আইরিশ রাজনীতিবিদ এআরসি'র লক্ষ্যকে সমর্থন করেছেন, তাঁদের মধ্যে আছেন রিচার্ড বয়েড ব্যারেট (কঠোরতা বিরোধী জোট - লাভের আগে মানুষ), ক্যাথরিন মারফি (সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটস), মিক ওয়ালেস, জোয়ান কলিন্স এবং ক্লেয়ার ডেলি (পরিবর্তনের জন্য স্বাধীন)।[৪] তবে এআরসি নিজে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নয়।[৫]

গণভোটে হ্যাঁ ভোট দেওয়ার পক্ষে থাকা নাগরিক সমাজ গোষ্ঠী, যেটি হল ২০১৮ সালের টুগেদার ফর ইয়েস, সেটি এআরসি এর অন্যতম প্রধান অংশীদার সংস্থা।[৬] আয়ারল্যান্ড দ্বীপ জুড়ে আঞ্চলিক গোষ্ঠীগুলির এআরসি এর নেটওয়ার্ক আয়ারল্যান্ডের বেশ কয়েকটি কাউন্টিতে অনেকগুলি ইয়েস গ্রুপের ভিত্তি তৈরি করেছে।

২০১৬ সালের জানুয়ারিতে, তারা ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশন থেকে €২৩,০০০ অনুদান পেয়েছিল, "শিক্ষামূলক প্রকল্প এবং কালিমা মোচন প্রকল্পের জন্য।" এসআইপিও যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করতে চেয়েছিল যে সেই অর্থ একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তোলা হয়েছিল। এই অনুসন্ধানের সাথে দ্বিমত পোষণ করেও, ২০১৬ সালের নভেম্বরে এআরসি টাকা ফেরত দেয়। ২০১৭ সালের মার্চের শেষ দিকে এই ঘটনাটি দ্য আইরিশ ক্যাথলিক পাক্ষিল পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।[৭][৮][৯][১০]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Abortion Rights Campaign (২০১৬-১২-১৫)। "Submission to the Citizens' Assembly": 1। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০১৮ 
  2. "About ARC | Abortion Rights Campaign Ireland"www.abortionrightscampaign.ie। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৮-১৬ 
  3. "Abortion must be fully decriminalised"Abortion Rights Campaign Blog। ২০ জুন ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০১৮ 
  4. Kitty Holland (২০১৪-০৯-২৭)। "March For Choice Attracts Thousands In Dublin"Irish Times। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৯-০১ 
  5. Abortion Rights Campaign। "ARC is not affiliated to any political party"। ২০ জুন ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০১৮ 
  6. "Together for Yes Executive"Together for Yes। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০১৮ 
  7. McMahon, Aine (১ এপ্রিল ২০১৭)। "Abortion Rights Campaign group returns US donation after SIPO warning"The Irish Times 
  8. Ní Aodha, Gráinne (১ এপ্রিল ২০১৭)। "Abortion Rights Campaign gives back €23,000 US donation"TheJournal.ie 
  9. Abortion Rights IE [@freesafelegal] (১ এপ্রিল ২০১৭)। "Abortion Rights Campaign gives back €23,000 US donation (via @thejournal_ie)" (টুইট) – টুইটার-এর মাধ্যমে। 
  10. Daly, Greg (৩০ মার্চ ২০১৭)। "Pro-repeal group return billionaire's cash after ethics watchdog probe"The Irish Catholic। ৬ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০১৭ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

টেমপ্লেট:Abortion in the Republic of Ireland