বিষয়বস্তুতে চলুন

খাগড়াছড়ি প্রজাপতি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

খাগড়াছড়ি
Lesser Mime
ডানা বন্ধ অবস্থায়
ডানা খোলা অবস্থায়
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Animalia
পর্ব: Arthropoda
শ্রেণী: Insecta
বর্গ: Lepidoptera
পরিবার: Papilionidae
গণ: Papilio
প্রজাতি: P. epycides
দ্বিপদী নাম
Papilio epycides
প্রতিশব্দ
  • Chilasa epycides

খাগড়াছড়ি (বৈজ্ঞানিক নাম: Papilio epycides(Hewitson))[১] এক প্রজাতির মাঝারী আকারের প্রজাপতি, যার শরীর ও ডানা মূখ্যত কালচে খয়েরি এবং সাদা বর্নের। এরা ‘প্যাপিলিওনিডি’ পরিবারের এবং 'প্যাপিলিওনিনি' উপগোত্রের সদস্য।[২]এই প্রজাতির epycides উপপ্রজাতি ভারতের বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইন (Wild Life Protection Act, 1972) অনুসারে তফ্‌সিল ২ এর তালিকার অন্তর্ভুক্ত।

আকার[সম্পাদনা]

খাগড়াছড়ি এর প্রসারিত অবস্থায় ডানার আকার ৭০-৯০ মিলিমিটার দৈর্ঘ্যের হয়।[২]

উপপ্রজাতি[সম্পাদনা]

ভারতে প্রাপ্ত খাগড়াছড়ি এর উপপ্রজাতি হল- [৩]

  • Papilio epycides epycides Hewitson, 1862 – Himalayan Lesser Mime

বিস্তার[সম্পাদনা]

এদের উত্তর-পূর্ব ভারত,মায়ানমার এবং পশ্চিম চীন এর বিভিন্ন অঞ্চলে পাওয়া যায়।[৪]

বর্ণনা[সম্পাদনা]

প্রজাপতির দেহাংশের পরিচয় বিষদ জানার জন্য প্রজাপতির দেহ এবং ডানার অংশের নির্দেশিকা দেখুন:-

লেজহীন এই সোয়ালোটেল প্রজাতির পুরুষ এবং স্ত্রী উভয় প্রকারকে চট্‌ করে দেখে শীতলকুচি র সাথে বিভ্রম হতে পারে, তবে যা দেখে তৎক্ষণাৎ শীতলকুচিদের থেকে এদের আলাদা সনাক্ত করা জায় তা হল এদের ডানার দাগ-ছোপগুলি কাঁচ তুল্য অথবা কাঁচের মত নয়।

ডানার উপরতল হালকা বাদামী অথবা ধূসর সাদা এবং শিরাগুলি ইষদ কালচে। ডোরাগুলি এবং ডানার প্রান্তসীমা একইরকম ইষদ্‌ কালচে। ডানার দাগ-ছোপ গুলির গঠন অনেকটা চিলেখাগড়া এর মতন। সামনের ডানার উপরিপৃষ্ঠে সেল এ আড়াআড়িভাবে কোন কালো পুরু দাগ দেখা যায় না। পিছনের ডানার উপরিতলে হলুদ টর্নাল ছোপ বর্তমান। ডানার নিম্নপৃষ্ঠ উপরিপৃষ্ঠেরই অনুরূপ। পিছনের ডানার নিম্নতলে ডানাজুড়ে বাদামী আভা লক্ষ্য করা জায়। স্ত্রী প্রকারে ধূসর সাদা দাগ-ছোপ পুরুষ অপেক্ষা অধিক বিস্তৃত।[৫]

আচরণ[সম্পাদনা]

দুর্লভ দর্শন এই প্রজাতির উড়ান ধীর, আলস প্রকৃতির। সারা বছরে শুধু মাত্র বসন্তকালে মার্চ এবং এপ্রিল মাসে এদের দর্শন পাওয়া যায়। এরা নিচু উচ্চতা সম্পন্ন তরাই অঞ্চল থেকে ১২০০মিটার অথবা ৪০০০ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত বিচরন করে। এদের প্রায়শই মাড-পাডল করতে দেখা জায় নদী অথবা ঝর্নার পাশে ভিজা মাটি অথবা বালিতে।[২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. A Pictorial Guide Butterflies of Gorumara National Park (2013 সংস্করণ)। Department of Forests Government of West Bengal। পৃষ্ঠা ১৭। 
  2. Isaac, Kehimkar (২০০৮)। The book of Indian Butterflies (1st সংস্করণ)। New Delhi: Oxford University Press। পৃষ্ঠা 125। আইএসবিএন 978 019569620 2 
  3. "Papilio epycides Hewitson, 1862 - Lesser Mime"Butterflies of India। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুলাই ২০২২ 
  4. দাশগুপ্ত, যুধাজিৎ (২০০৬)। পশ্চিমবঙ্গের প্রজাপ্রতি (১ম সংস্করণ সংস্করণ)। কলকাতা: আনন্দ। পৃষ্ঠা ৪৭। আইএসবিএন 81-7756-558-3 
  5. Wynter-Blyth, Mark Alexander (১৯৫৭)। Butterflies of the Indian Region। Bombay, India: Bombay Natural History Society। পৃষ্ঠা 379। আইএসবিএন 978-8170192329 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]