উত্তর ভারত

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
উত্তর ভারত
অঞ্চল
উত্তর ভারতের এক সাধারণ মানচিত্র
উত্তর ভারতের এক সাধারণ মানচিত্র
দেশভারত
অঞ্চল
রাজ্য[ক]
কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল
সবচেয়ে জনবহুল পৌর এলাকা
(২০১১, বর্ণানুক্রমে)
আয়তন
 • মোট২৩,৮৯,৩০০ বর্গকিমি (৯,২২,৫০০ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)
 • মোট৯১,২০,৩০,৮৩৬
 • জনঘনত্ব৩৮০/বর্গকিমি (৯৯০/বর্গমাইল)
বিশেষণউত্তর ভারতীয়
সময় অঞ্চলভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+৫:৩০)
সরকারি ভাষা

উত্তর ভারত ভারতের উত্তর অংশ নিয়ে গঠিত এক ভৌগোলিক ও সাংস্কৃতিক অঞ্চল, যেখানকার সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ইন্দো-আর্য জনগোষ্ঠীর অন্তর্গত। এটি উত্তরে হিমালয় পর্বতমালা থেকে সিন্ধু-গাঙ্গেয় সমভূমি, থর মরুভূমি এবং দাক্ষিণাত্য মালভূমির উত্তর-পশ্চিম ভাগ পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি ভারতের আয়তন ও জনসংখ্যার তিন-চতুর্থাংশ দখল করে আছে এবং মুম্বই, দিল্লিকলকাতা–ভারতের এই তিন অতিমহানগরী উত্তর অঞ্চলে অবস্থিত। আরও সংকীর্ণ ও প্রশাসনিক অর্থে উত্তর ভারত বলতে গঙ্গা-যমুনা দোয়াব থেকে থর মরুভূমি পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলকে বোঝাতে পারে।[১৮]

সিন্ধু, গঙ্গা, যমুনা, নর্মদা ইত্যাদি নদনদী এই অঞ্চলের উপর দিয়ে গিয়েছে। সাধারণত উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, ওড়িশা, গুজরাত, গোয়া, ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, হরিয়ানাহিমাচল প্রদেশ রাজ্য এবং চণ্ডীগড়, জম্মু ও কাশ্মীর, দিল্লিলাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে উত্তর ভারতের অঞ্চলের অন্তর্গত করা হয়।[ক]

উত্তর ভারত, পাকিস্তানবাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ ব্যক্তি ইন্দো-আর্য জনগোষ্ঠীর অন্তর্গত এবং সিন্ধু সভ্যতার পতনের পর খ্রিস্টপূর্ব ২০০০ থেকে ১৫০০-এর মধ্যে ইন্দো-আর্য জনগোষ্ঠী মধ্য এশিয়া থেকে উত্তর-পশ্চিম দিক হয়ে অভিবাসন করেছিল, যার ফলে প্রত্ন-ইন্দো-ইরানি ভাষা থেকে ইন্দো-আর্য ভাষাসমূহের জন্ম হয়েছিল। উত্তর ভারত প্রাচীন বৈদিক সংস্কৃতিমহাজনপদের কেন্দ্রস্থল ছিল। ধ্রুপদী মৌর্য সাম্রাজ্য, গুপ্ত সাম্রাজ্য, মধ্যযুগীয় দিল্লিবাংলা সালতানাত এবং আধুনিক মুঘল সাম্রাজ্যব্রিটিশ শাসন উত্তর ভারতে শাসনকার্য চালিয়েছিল।

উত্তর ভারতের সংস্কৃতি বৈচিত্র্যপূর্ণ এবং এখানে ছোট চারধাম, হরিদ্বার, বারাণসী, অযোধ্যা, মথুরা, প্রয়াগরাজ, কাটরা ইত্যাদি হিন্দু তীর্থস্থান, সারনাথকুশীনগর বৌদ্ধ তীর্থস্থান, শিখদের হরমন্দির সাহিব এবং বিভিন্ন বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান রয়েছে, যেমন নন্দা দেবী জাতীয় উদ্যান, খাজুরাহো মন্দির চত্বর, রাজস্থানের পাহাড়ি দুর্গ, জয়পুরের যন্তরমন্তর, কুতুব মিনার, লালকেল্লা, আগ্রা দুর্গ, ফতেহপুর সিক্রি, তাজমহল ইত্যাদি। হিন্দু ও মুসলিম ধার্মিক পরম্পরার মিশ্রণের ফলে উত্তর ভারতের সংস্কৃতি বিকশিত হয়েছে।[১৯]

সংজ্ঞাসমূহ[সম্পাদনা]

উত্তর আঞ্চলিক পরিষদের অন্তর্ভুক্ত রাজ্য ও অঞ্চলগুলোকে কমলা রঙে দেখানো হয়েছে।

উত্তর ভারতের সংজ্ঞা নির্দিষ্ট নয় এবং বিভিন্ন সংস্থা একে বিভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করেছে। এমনকি ভারত সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের মধ্যেও এর কোনো নির্দিষ্ট সংজ্ঞা নেই। তবে সাধারণভাবে উত্তর-পূর্ব বা দক্ষিণ ভারতের অন্তর্গত নয় এমন রাজ্য ও অঞ্চলগুলোকেই উত্তর ভারতের অন্তর্গত করা হয়।

ভারত সরকারের সংজ্ঞাসমূহ[সম্পাদনা]

উত্তর আঞ্চলিক পরিষদ হচ্ছে ভারতের ছয়টি আঞ্চলিক পরিষদের মধ্যে অন্যতম। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে রাজ্যের মধ্যে সহযোগিতার লক্ষ্যে ১৯৫৬ সালে রাজ্য পুনর্গঠন আইনের মাধ্যমে উত্তর আঞ্চলিক পরিষদ তৈরি করা হয়েছিল। পাঞ্জাব, রাজস্থান, হরিয়ানাহিমাচল প্রদেশ রাজ্য এবং চণ্ডীগড়, জম্মু ও কাশ্মীর, দিল্লিলাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এই পরিষদের সদস্য।[১][২]

সংস্কৃতি মন্ত্রক ২৩ মার্চ ১৯৮৫-এ পাটিয়ালায় উত্তর সাংস্কৃতিক আঞ্চলিক পরিষদের প্রতিষ্ঠা করেছিল। উত্তর আঞ্চলিক পরিষদের তুলনায় এর পার্থক্য হচ্ছে যে উত্তরাখণ্ড উত্তর সাংস্কৃতিক অঞ্চলের অন্তর্গত কিন্তু দিল্লি এর অন্তর্গত নয়।[৩]

ভারতীয় ভূতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণের উত্তর অঞ্চলে উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ডদিল্লি অন্তর্গত কিন্তু রাজস্থান এর অন্তর্গত নয়। এই অঞ্চলের সদর দপ্তর লখনউ[৪]

সংবাদমাধ্যমের সংজ্ঞাসমূহ[সম্পাদনা]

"দ্য হিন্দু" সংবাদপত্র উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি ও বিহার সম্পর্কিত প্রতিবেদনকে তার "নর্থ" (North) অংশে অন্তর্ভুক্ত করে।[৫] ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের বিভিন্ন প্রতিবেদন বিহার,[৬] গুজরাত,[৯][৮] ঝাড়খণ্ড,[১২] মধ্যপ্রদেশ[৭]পশ্চিমবঙ্গ[১০][১১] রাজ্যকে উত্তর ভারতের অন্তর্ভুক্ত করেছে।

চলিত সংজ্ঞাসমূহ[সম্পাদনা]

মহারাষ্ট্রে উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের পরিযায়ী মানুষদেরকে "উত্তর ভারতীয়" বা "ভাইয়া" বলে ডাকা হয়।[২০][২১] বিহার সরকার তার ওয়েবসাইটে নিজের রাজ্যকে পূর্ব ভারতে অন্তর্ভুক্ত করলেও[২২] উত্তরপ্রদেশ ও বিহার উভয়কে উত্তর ভারতের অংশ হিসাবেই মনে করা হয়।[২৩][২১][২৪]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

আনু. খ্রিস্টপূর্ব ৪০০ – আনু. ৩০০-এ কাহিনীর ঢঙে রচিত রামায়ণ মহাকাব্যের এক চিত্রিত রূপ, আনু. ১৬৫০ খ্রিস্টাব্দ[২৫]

৫৫,০০০ বছর আগে প্রথম আধুনিক মানুষ বা "হোমো সেপিয়েন্স" আফ্রিকা থেকে বিবর্তিত হয়ে ভারতীয় উপমহাদেশে পৌঁছেছিল।[২৬][২৭][২৮] দক্ষিণ এশিয়া থেকে প্রাপ্ত প্রাচীনতম আধুনিক মানুষের অবশেষ প্রায় ৩০,০০০ বছর পুরনো।[২৬] খ্রিস্টপূর্ব ৬৫০০-এর পর পাকিস্তানের মেহেরগড় এবং বালুচিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় খাদ্যশস্য ও প্রাণীর গৃহপালন, স্থায়ী কাঠামোর নির্মাণ এবং ফসল মজুত রাখার ব্যবস্থা লক্ষ করা যায়।[২৯] এটিই ক্রমে সিন্ধু সভ্যতায় বিবর্তিত হয়েছিল,[৩০][২৯] যা দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম পৌর সংস্কৃতি।[৩১] খ্রিস্টপূর্ব ২৫০০–১৯০০ পর্যন্ত উপমহাদেশের উত্তর-পশ্চিম অংশে সিন্ধু সভ্যতা বিকশিত হয়েছিল[৩২] এবং মহেঞ্জোদারো, হরপ্পা, ধোলাবীরাকালিবাঙ্গান শহরকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা এই সভ্যতা শিল্পকর্ম উৎপাদন ও ব্যবসাবাণিজ্যের সঙ্গে দৃঢ়ভাবে জড়িত ছিল।[৩১]

বৈদিক যুগ[সম্পাদনা]

খ্রিস্টপূর্ব ২০০০ থেকে ১৫০০ সময়কালের মধ্যে মধ্য এশিয়া থেকে ইন্দো-আর্য জনগোষ্ঠীর আবির্ভাব ঘটেছিল এবং তারা সিন্ধু-গাঙ্গেয় সমভূমিতে বসতি স্থাপন করেছিল। এই যুগে হিন্দুধর্মের প্রাচীনতম গ্রন্থ বেদ রচনা করা হয়েছিল,[৩৩][৩৪] এবং ঐতিহাসিকগণ বেদ বিশ্লেষণ করে পাঞ্জাব অঞ্চল ও উচ্চ গাঙ্গেয় সমভূমিতে বৈদিক সংস্কৃতির অবস্থান নির্ধারণ করেছেন।[৩৫] খ্রিস্টপূর্ব ২০০০–৫০০ সময়কালে উপমহাদেশের অনেক অঞ্চল তাম্র সংস্কৃতি থেকে লৌহ সংস্কৃতিতে বিবর্তিত হয়েছিল।[৩৫] এই সময় ভারতে বর্ণপ্রথা শুরু হয়েছিল, যা জনগণকে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্যশূদ্রতে ভাগ করেছিল, তবে সেখানে সেইসব ব্যক্তি বহিষ্কৃত ছিল যাদের কর্ম অশুদ্ধ বলে বিবেচিত।[৩৬] দাক্ষিণাত্য মালভূমিতে সেই সময়কার প্রাপ্ত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন থেকে জনপদ স্তরে রাজনৈতিক সংগঠনের অস্তিত্বের কথা জানা যায়।[৩৫]

খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দী নাগাদ গাঙ্গেয় সমভূমি ও উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের ছোট ছোট জনপদগুলো ১৬টি মহাজনপদে একত্রিত হয়েছিল।[৩৭][৩৮] ক্রমবর্ধমান নগরায়নের ফলে অবৈদিক ধর্ম আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল, যার ফলে দুটি স্বতন্ত্র ধর্মের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। মহাবীরের জীবনকালে জৈনধর্ম প্রাধান্যলাভ করেছিল।[৩৯] গৌতম বুদ্ধের উপদেশের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত বৌদ্ধধর্ম মধ্যবিত্ত ব্যতীত সমস্ত সামাজিক শ্রেণিকে আকর্ষিত করেছিল এবং বুদ্ধের জীবনকাহিনী ভারতে লিখিত ইতিহাসের কেন্দ্রে ছিল।[৪০][৪১][৪২] ক্রমবর্ধমান পৌর বিত্তের সময় উভয় ধর্মই ত্যাগকে আদর্শ বলে মনে করেছিল[৪৩] এবং উভয়ই দীর্ঘব্যাপী সন্ন্যাসী প্রথার প্রতিষ্ঠা করেছিল। খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে মগধ রাজ্য অন্যান্য রাজ্য জয় করেছিল এবং মৌর্য রাজবংশের অধীনে এটি মৌর্য সাম্রাজ্যে বিবর্তিত হয়েছিল।[৪৪] মৌর্য সাম্রাজ্য যেমন তার সাম্রাজ্য নির্মাণের জন্য যেমন পরিচিত তেমনি মৌর্য সম্রাট অশোকের যুদ্ধবাদ ত্যাগ ও বৌদ্ধধর্ম প্রচারের জন্যও পরিচিত।[৪৫][৪৬]

চতুর্থ ও পঞ্চম শতাব্দীতে মগধের গুপ্ত রাজবংশ বৃহত্তর গাঙ্গেয় সমভূমিতে এক জটিল প্রশাসনিক ও করারোপণ ব্যবস্থা চালু করেছিল। এই ব্যবস্থা পরবর্তী রাজ্যের কাছে আদর্শ হয়ে উঠেছিল।[৪৭][৪৮] গুপ্ত শাসকদের অধীনে প্রথামূলক হিন্দুধর্মের পরিবর্তে ভক্তিমূলক হিন্দুধর্ম প্রকাশিত হয়েছিল,[৪৯] যা তৎকালীন বিভিন্ন ভাস্কর্যস্থাপত্য থেকে প্রতিফলিত হয়।[৪৮] এছাড়া ধ্রুপদী সংস্কৃত সাহিত্য বিকশিত হয়েছিল এবং বিজ্ঞানগণিতে উন্নতিসাধন হয়েছিল।[৪৮]

মধ্যযুগ[সম্পাদনা]

৭৩ মিটার (২৪০ ফুট) উঁচু কুতুব মিনার, দিল্লীর সুলতান ইলতুৎমিশ এর নির্মাণ সম্পন্ন করেছিলেন।

৬০০ থেকে ১২০০ খ্রিস্টাব্দ সময়কালে বিভিন্ন আঞ্চলিক রাজ্য ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের নিদর্শন পাওয়া যায়।[৫০] কনৌজের হর্ষবর্ধন ৬০৬ থেকে ৬৪৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সিন্ধু-গাঙ্গেয় সমভূমির বেশিরভাগ অংশের রাজত্ব করেছিলেন। দক্ষিণ ভারতের দিকে তিনি রাজ্য প্রসারণের চেষ্টা করলেও দক্ষিণের চালুক্য রাজাদের দ্বারা পরাজিত হয়েছিলেন।[৫১] তাঁর উত্তরসূরী পূর্বদিকে রাজ্য প্রসারণের চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু বাংলার পাল রাজাদের দ্বারা পরাজিত হয়েছিলেন।[৫১] সেই সময় উত্তরের কোনো শাসক সাম্রাজ্য গঠন করতে পারেননি এবং তাঁরা তাঁদের মূল অঞ্চলের বাইরের অঞ্চলে নিরবিচ্ছিন্নভাবে শাসন চালাতে পারেননি।[৫০]

দশম শতাব্দীর পর মধ্য এশীয় মুসলিম যাযাবর জনগোষ্ঠী অশ্বারোহী বাহিনী এবং জাতি ও ধর্ম দ্বারা ঐক্যবদ্ধ বিশাল সেনাবাহিনী নিয়ে উপমহাদেশের উত্তর-পশ্চিম সমভূমিতে আক্রমণ করেছিল। সেনাপতি কুতুবউদ্দিন আইবেক নিজেকে স্বাধীন বলে ঘোষণা করে ১২০৬ সালে দিল্লী সালতানাত স্থাপন করেছিলেন।[৫২] উত্তর ভারতের বেশিরভাগ অংশ এই সালতানাতের অধীনে ছিল এবং দক্ষিণ ভারতের দিকে অনেক অভিযান চালিয়েছিল।[৫৩][৫৪] ত্রয়োদশ শতাব্দীতে দিল্লী সালতানাত ভারতকে মঙ্গোল আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করেছিল, যা পশ্চিম ও মধ্য এশিয়ায় ধ্বংসলীলা চালিয়েছিল। এর ফলে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ঐ অঞ্চল থেকে পলাতক সৈন্য, পণ্ডিত, মরমী, বণিক ও শিল্পীরা উপমহাদেশে বসবাস করতে লাগল, যার ফলে উত্তর ভারতে এক মিশ্র ইন্দো-ইসলামি সংস্কৃতির জন্ম হয়েছিল।[৫৫][৫৬]

প্রাক-আধুনিক যুগ[সম্পাদনা]

আগ্রা দুর্গ থেকে তাজমহলের এক দূরবর্তী দৃশ্য।
ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির এক দুই মোহর সোনার মুদ্রা।

ষোড়শ শতাব্দীর প্রথম দিকে মূলত মুসলিম শাসকদের অধীনস্থ উত্তর ভারত[৫৭] পুনরায় এক নতুন প্রজন্মের মধ্য এশীয় যোদ্ধাদের হাতে পড়েছিল।[৫৮] তুর্কি-মঙ্গোল শাসক জহিরউদ্দিন মোহম্মদ বাবর দিল্লী সালতানাতকে পরাজিত করে নিজেকে হিন্দুস্তানের বাদশাহ বলে ঘোষণা করেছিলেন। মঙ্গোল পূর্বপুরুষের জন্য তাঁর বংশধররা মুঘল নামে পরিচিত। ক্ষমতায় আসার পর তাঁরা স্থানীয় সমাজকে ধ্বংস করে দেননি, বরং তাঁরা নতুন প্রশাসনিক প্রথা[৫৯][৬০] এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ শাসকবর্গের মাধ্যমে স্থানীয় সমাজকে প্রশমিত করেছিলেন,[৬১] যার ফলে মুঘল শাসন আরও সুশৃঙ্খল, কেন্দ্রীভূত ও নিরবিচ্ছিন্ন হয়েছিল।[৬২] মুঘলরা তাঁদের জাতিগত বন্ধন ও ইসলামি পরিচয়কে এড়িয়ে, বিশেষ করে আকবরের আমলে মুঘলরা সম্রাটের প্রতি আনুগত্যের মাধ্যমে দূরবর্তী রাজ্যগুলিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল, যা ফার্সিকৃত সংস্কৃতির মাধ্যমে প্রকাশ করা হতো এবং মুঘল সম্রাটদের প্রায়-ঐশ্বরিক মর্যাদা ছিল।[৬১] মুঘল সাম্রাজ্যের অর্থনৈতিক নীতি, মূলত কৃষি থেকে রাজস্ব আদায়[৬৩] এবং করকে সুনিয়ন্ত্রিত রৌপ্য মুদ্রার মাধ্যমে দেওয়া বাধ্যতামূলক করার[৬৪] ফলে কৃষক ও শিল্পীরা বৃহত্তর বাজারে প্রবেশ করেছিল।[৬২] সপ্তদশ শতাব্দীতে মুঘল সাম্রাজ্যের অভ্যন্তরীণ শান্তির ফলে ভারতের অর্থনৈতিক প্রসারণ ঘটেছিল,[৬২] যার ফলস্বরূপ চিত্রশিল্প, সাহিত্য, বস্ত্র ও স্থাপত্যের প্রতি পৃষ্ঠপোষকতা।[৬৫] উত্তর ও পশ্চিম ভারতের সদ্য সংঘবদ্ধ সামাজিক শ্রেণিরা, যেমন মারাঠা, রাজপুতশিখ, মুঘল আমলে সামরিক ও শাসনের উচ্চাকাঙ্ক্ষা অর্জন করেছিল এবং সহযোগিতা বা বিরোধিতার মাধ্যমে তাঁরা স্বীকৃতি ও সামরিক অভিজ্ঞতা, দুটিই লাভ করেছিল।[৬৬]

জনপরিসংখ্যান[সম্পাদনা]

ধর্ম[সম্পাদনা]

হিন্দুধর্ম উত্তর ভারতের প্রধান ধর্ম। এছাড়া এই অঞ্চলে ইসলাম, শিখধর্ম, জৈনধর্ম, বৌদ্ধধর্ম, খ্রিস্টধর্ম, জরাথুস্ট্রবাদ, ইহুদিধর্ম, বাহাই ধর্ম ইত্যাদি ধর্ম প্রচলিত।

উত্তর ভারতের জনসংখ্যার ৮০% হিন্দু। ভারতের জাতীয় রাজধানী নয়াদিল্লির প্রায় ৯০% মানুষ হিন্দু। গুজরাত, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, হরিয়ানাহিমাচল প্রদেশ রাজ্যের জনসংখ্যার প্রায় সমস্ত ব্যক্তি হিন্দু। উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ, বিহারমহারাষ্ট্র রাজ্যও হিন্দু-অধ্যুষিত, কিন্তু সেখানে সংখ্যালঘু মুসলিমের জনসংখ্যা যথেষ্ট (উত্তরপ্রদেশে ১৯%, উত্তরাখণ্ডে ১৪%, পশ্চিমবঙ্গে ২৭%, বিহারে ১৮% ও মহারাষ্ট্রে ১২%)।

ঝাড়খণ্ড রাজ্যও হিন্দু-অধ্যুষিত কিন্তু সেখানে সংখ্যালঘু আদিবাসী জনসংখ্যা যথেষ্ট। জম্মু ও কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মুসলিম-অধ্যুষিত এবং সেখানে হিন্দুরা সংখ্যালঘু। লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলও মুসলিম-অধ্যুষিত এবং সেখানে বৌদ্ধ ও হিন্দুরা সংখ্যালঘু। পাঞ্জাব রাজ্যের জনসংখ্যার ৬০% শিখ এবং এটি শিখধর্মের জন্মস্থান।

ভাষা[সম্পাদনা]

বিভিন্ন ইন্দো-আর্য ভাষার বিস্তৃতি।

উত্তর ভারতে মূলত ইন্দো-আর্য ভাষাসমূহ প্রচলিত। হিন্দি এই অঞ্চলের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভাষা এবং এটি উত্তর ভারতের বেশিরভাগ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকারি ভাষা। উত্তর ভারতের এক বড় অংশ হিন্দি বলয়ের অন্তর্গত। পাঞ্জাবিবাংলা ভাষা মূলত পাঞ্জাবপশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে প্রচলিত। এছাড়া উত্তর ভারতের মুসলিমদের মধ্যে উর্দু ভাষা প্রচলিত। জম্মু ও কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ডোগরি, কাশ্মীরি ইত্যাদি ভাষা প্রচলিত।

উত্তর ভারতের কিছু অঞ্চলে অস্ট্রো-এশীয়দ্রাবিড় আদিবাসী ভাষা প্রচলিত।[৬৭] বিভিন্ন চীনা-তিব্বতি ভাষা (যেমন: কিন্নরি, বালতি, লাদখি, লাহুল–স্পিতি ইত্যাদি) প্রচলিত।

সংস্কৃতি[সম্পাদনা]

উত্তর ভারতের মিশ্র সংস্কৃতি গঙ্গা–যমুনি তহজিব নামে পরিচিত এবং এটি হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ফল।[১৯]

উচ্চ শিক্ষা[সম্পাদনা]

উত্তর ভারতে বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই অঞ্চলের বিভিন্ন শহরে ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠান (আইআইটি), জাতীয় প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠান (এনআইটি) ও ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউটস অব ম্যানেজমেন্ট (আইআইএম)—এই তিন প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাস রয়েছে, যেমন দিল্লি, মুম্বই, কলকাতা, খড়্গপুর, প্রয়াগরাজ, অমৃতসর, জম্মু, কানপুর, জলন্ধর, রুরকি, রোহতক, বারাণসী, লখনউ, পাটনা, ধানবাদ, ভুবনেশ্বর, ভিলাই, সুরত, নাগপুর, জামশেদপুর, দুর্গাপুর, রাউরকেলা ইত্যাদি। এছাড়া প্রাচীনকালের নালন্দাবিক্রমশিলার মতো উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো উত্তর ভারতের বিহার রাজ্যে অবস্থিত।

অর্থনীতি[সম্পাদনা]

কনট প্লেস, দিল্লির এক কেন্দ্রীয় বাণিজ্যিক এলাকা

উত্তর ভারতের অর্থনীতি বৈচিত্র্যপূর্ণ, উত্তরের সমভূমিতে অর্থনীতি কৃষিভিত্তিক এবং গুজরাত, জাতীয় রাজধানী অঞ্চল (এনসিআর) ও মহারাষ্ট্রের অর্থনীতি শিল্পমূলক। পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে সবুজ বিপ্লবের জন্য উত্তর-পশ্চিম ভারতের সমভূমি সমৃদ্ধলাভ করেছে এবং সেখানে অর্থনৈতিক ও সামাজিক–উভয় উন্নয়ন সম্পন্ন হয়েছে।[৬৮][৬৯][৭০] তবে পূর্ব উত্তরপ্রদেশ পশ্চিমের তুলনায় পিছিয়ে পড়েছে[৭১][৭২] এবং এই বৈষম্যের জন্য পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে পৃথক রাজ্যের দাবিতে আন্দোলন হয়েছে, যেমন হরিৎ প্রদেশ আন্দোলন।[৭৩][৭৪]

উত্তর ভারতের প্রধান শিল্পাঞ্চলের মধ্যে গুরুগ্রাম-দিল্লি-মিরাট বলয় (এনসিআর), মুম্বই-পুণে বলয় (মহারাষ্ট্র), হুগলি শিল্পাঞ্চল (পশ্চিমবঙ্গ), আহমেদাবাদ-বড়োদরা বলয় (গুজরাত) ও ছোটনাগপুর মালভূমি (ঝাড়খণ্ড) উল্লেখযোগ্য। ২০২১ সালে উত্তর ভারতের গোয়া রাজ্যের মাথাপিছু জিডিপি সমগ্র দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর পরেই আসে হরিয়ানা ও গুজরাত। এছাড়া উত্তর ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের জিডিপি সমগ্র দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।[৭৫] চণ্ডীগড়ের মাথাপিছু রাজ্য অভ্যন্তরীণ উৎপাদন (এসডিপি) কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে সর্বোচ্চ।[৭৬] জাতীয় রাজধানী অঞ্চল দ্রুত শিল্পবৃদ্ধি সহ এক অর্থনৈতিক শক্তিঘর হিসাবে প্রকাশিত হয়েছে।

তবে ২০০৯–১০ সালের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, উত্তর ভারতে স্থানীয় কর্মসংস্থানের অভাবে এক বড় সংখ্যক অদক্ষ ও দক্ষ কর্মীবৃন্দ দক্ষিণ ভারত ও অন্যান্য রাষ্ট্রে গমন করেছিল।[৭৭] বিগত তিন দশকে দক্ষিণ ভারতে প্রযুক্তি বিপ্লবের ফলে উত্তরের অনেক ব্যক্তি দক্ষিণের শহরে কর্মসংস্থান ও সমৃদ্ধ জীবনযাপন খুঁজে পেয়েছিল। বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচকের এক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, উত্তরের রাজস্থান ও উত্তরপ্রদেশ সহ আটটি রাজ্যের দারিদ্র্য আফ্রিকার ২৬টি দরিদ্রতম রাষ্ট্রের চেয়ে বেশি।[৭৮]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

টীকা[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Genesis | ISCS"। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯ 
  2. "The States Reorganisation Act, 1956 (Act No.37 of 1956)" (পিডিএফ)interstatecouncil.nic.in। সংগ্রহের তারিখ ২৯ অক্টোবর ২০২০ 
  3. "North Zone Cultural Centre"culturenorthindia.com। Ministry of Culture, Government of India। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মার্চ ২০১৭ 
  4. "Northern Region – Geological Survey of India"। Geological Survey of India, MOI, Government of India। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১৫ 
  5. "The Hindu (NOIDA Edition)"Dropbox। সংগ্রহের তারিখ ৮ এপ্রিল ২০১৭ 
  6. "Marriages last the longest in north India, Maharashtra; least in northeast"টাইমস অব ইন্ডিয়া। ১৮ জানুয়ারি ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০২১ 
  7. "Can North India overtake 'arrogant' South in growth?"ফার্স্টপোস্ট। ৩০ এপ্রিল ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০২১ 
  8. "North Indians in Coimbatore"The Hindu। ২৭ জুলাই ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০২১ 
  9. "Hot spell continues in North"দ্য হিন্দু। ২২ মে ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০২১ 
  10. "Earthquake jolts North India"ভাস্কর। ১২ মে ২০১৫। ১০ আগস্ট ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০২১ 
  11. The Hindu (২৬ জানুয়ারি ২০১৬)। "-Intense cold in North eight die in Uttar Pradesh, West Bengal"দ্য হিন্দু। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০২১ 
  12. Ali, Amin (২৫ ডিসেম্বর ২০১৯)। "'Jharkhand is a North Indian state and for BJP to get decimated there is a statement in itself'"টাইমস অব ইন্ডিয়া Blog। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০২১ 
  13. "Marketing Division activities"FACTFACT is also expanding its market to North Indian states like Maharashtra, West Bengal, Odisha and Gujarat 
  14. "Gowri Habba Celebrations, Rituals and Practices"servdharmThe festival is also celebrated in some North Indian states like Maharashtra, Bihar, Uttar Pradesh, Rajasthan, Jharkhand, Madhya Pradesh and Chattisgarh as Hartalika Teej 
  15. "How South Indian cinema lured viewers across India"Broadcast &CablesatMansi Shrivastava, senior vice-president and head- content acquisitions and partnerships at MX Player, said the southern film category, including dubbed versions, was huge for the platform, drawing 75% of its overall viewing minutes from north Indian states like Maharashtra, Uttar Pradesh, Delhi NCR, Bihar, Gujarat, Madhya Pradesh and Rajasthan. 
  16. "Secret Sign Language: Silent Trade Thrives in Thenkasi's Dried Chilli Market"News18Dried chillies from South Tamil Nadu have a huge demand in many countries, and hence they are exported to countries like Malaysia, U.A.E., and also sent to North Indian states like Maharashtra and Gujarat. 
  17. "Teaching of English" (পিডিএফ)Bharathidasan UniversityIn non-Hindi north Indian states like Gujarat, Maharashtra, West Bengal, Odiya, their regional language is the first language, Hindi is the second language and English is the third language. 
  18. Frykenberg, Robert Eric (২৭ জুন ২০০৮)। Christianity in India: From Beginnings to the Present (ইংরেজি ভাষায়)। Oxford University Pressআইএসবিএন 978-0-19-154419-4The central feature of North India is the gigantic Indo-Gangetic plain, together with all of the sacred rivers that flow into it. 
  19. Dhulipala, Venkat (২০০০)। The Politics of Secularism: Medieval Indian Historiography and the Sufis (English ভাষায়)। University of Wisconsin–Madison। পৃষ্ঠা 27। The composite culture of northern India , known as the Ganga Jamuni tehzeeb was a product of the interaction between Hindu society and Islam. 
  20. Dutta, Prabhash K.। "Who is a Bhaiya?" (ইংরেজি ভাষায়)। ইন্ডিয়া টুডেThese 'bhaiyas' were identified with the migrants from Uttar Pradesh and Bihar who were working in Maharashtra. 
  21. "Thackerays are 'infiltrators' in Maharashtra from Bihar: Lalu Prasad" (ইংরেজি ভাষায়)। ডেকান হেরাল্ড। ৯ সেপ্টেম্বর ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০২৩Lalu said the Thackerays have always been indulging in a campaign against North Indians, mostly Biharis. 
  22. "Government of Bihar"। ৫ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০২৩ 
  23. Hassankhan, Maurits S.; Roopnarine, Lomarsh; Mahase, Radica (১০ নভেম্বর ২০১৬)। Social and Cultural Dimensions of Indian Indentured Labour and its Diaspora: Past and Present (ইংরেজি ভাষায়)। Routledge। আইএসবিএন 978-1-351-98589-5The north Indian states of Uttar Pradesh and Bihar have the highest percentages of rural populations, with 18.6 and 11.1 percent of people living in villages, respecively, as per the 2011 census. These states are also the largest migrant-sending states. Substantial flows of labour migrants relocate from Uttar Pradesh to Maharashtra, Delhi, West Bengal, Haryana, Gujarat, and other states across northern and central India. 
  24. "Concern over north Indian workers in Tamil Nadu: What the numbers say about India's migrants" (ইংরেজি ভাষায়)। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। ৭ মার্চ ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ 
  25. Lowe, John J. (২০১৭)। Transitive Nouns and Adjectives: Evidence from Early Indo-AryanOxford University Press। পৃষ্ঠা 58। আইএসবিএন 978-0-19-879357-1The term 'Epic Sanskrit' refers to the language of the two great Sanskrit epics, the Mahābhārata and the Rāmāyaṇa. ... It is likely, therefore, that the epic-like elements found in Vedic sources and the two epics that we have are not directly related, but that both drew on the same source, an oral tradition of storytelling that existed before, throughout, and after the Vedic period. 
  26. Petraglia ও Allchin 2007, পৃ. 10, "Y-Chromosome and Mt-DNA data support the colonization of South Asia by modern humans originating in Africa. ... Coalescence dates for most non-European populations average to between 73–55 ka."
  27. Dyson 2018, পৃ. 1, "Modern human beings—Homo sapiens—originated in Africa. Then, intermittently, sometime between 60,000 and 80,000 years ago, tiny groups of them began to enter the north-west of the Indian subcontinent. It seems likely that initially they came by way of the coast. ... it is virtually certain that there were Homo sapiens in the subcontinent 55,000 years ago, even though the earliest fossils that have been found of them date to only about 30,000 years before the present."
  28. Fisher 2018, পৃ. 23, "Scholars estimate that the first successful expansion of the Homo sapiens range beyond Africa and across the Arabian Peninsula occurred from as early as 80,000 years ago to as late as 40,000 years ago, although there may have been prior unsuccessful emigrations. Some of their descendants extended the human range ever further in each generation, spreading into each habitable land they encountered. One human channel was along the warm and productive coastal lands of the Persian Gulf and northern Indian Ocean. Eventually, various bands entered India between 75,000 years ago and 35,000 years ago."
  29. Coningham ও Young 2015, পৃ. 104–105।
  30. Kulke ও Rothermund 2004, পৃ. 21–23।
  31. Singh 2009, পৃ. 181।
  32. Possehl 2003, পৃ. 2।
  33. Singh 2009, পৃ. 186–187।
  34. Witzel 2003, পৃ. 68–69।
  35. Singh 2009, পৃ. 255।
  36. Kulke ও Rothermund 2004, পৃ. 41–43।
  37. Singh 2009, পৃ. 260–265।
  38. Kulke ও Rothermund 2004, পৃ. 53–54।
  39. Singh 2009, পৃ. 312–313।
  40. Kulke ও Rothermund 2004, পৃ. 54–56।
  41. Stein 1998, পৃ. 21।
  42. Stein 1998, পৃ. 67–68।
  43. Singh 2009, পৃ. 300।
  44. Singh 2009, পৃ. 319।
  45. Singh 2009, পৃ. 367।
  46. Kulke ও Rothermund 2004, পৃ. 63।
  47. Kulke ও Rothermund 2004, পৃ. 89–91।
  48. Singh 2009, পৃ. 545।
  49. Stein 1998, পৃ. 98–99।
  50. Stein 1998, পৃ. 132।
  51. Stein 1998, পৃ. 119–120।
  52. Ludden 2002, পৃ. 68।
  53. Asher ও Talbot 2008, পৃ. 47।
  54. Metcalf ও Metcalf 2006, পৃ. 6।
  55. Ludden 2002, পৃ. 67।
  56. Asher ও Talbot 2008, পৃ. 50–51।
  57. Robb 2001, পৃ. 80।
  58. Stein 1998, পৃ. 164।
  59. Asher ও Talbot 2008, পৃ. 115।
  60. Robb 2001, পৃ. 90–91।
  61. Metcalf ও Metcalf 2006, পৃ. 17।
  62. Asher ও Talbot 2008, পৃ. 152।
  63. Asher ও Talbot 2008, পৃ. 158।
  64. Stein 1998, পৃ. 169।
  65. Asher ও Talbot 2008, পৃ. 186।
  66. Metcalf ও Metcalf 2006, পৃ. 23–24।
  67. "Report of the Commissioner for linguistic minorities: 50th report (July 2012 to June 2013)" (পিডিএফ)। Commissioner for Linguistic Minorities, Ministry of Minority Affairs, Government of India। ৮ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০১৫ 
  68. Mohamad Riad El-Ghonemy, "The Dynamics of Rural Poverty", Food and Agriculture Organization of the United Nations, 1986. ... Haryana and West Uttar Pradesh recorded spectacular production increases ...
  69. V. G. Rastyannikov, "Agrarian Evolution in a Multiform Structure Society: Experience of Independent India", Routledge & Kegan Paul, 1981, আইএসবিএন ০-৭১০০-০৭৫৫-৮.
  70. B. M. Bhatia, "Food Security in South Asia", Oxford & IHB Pub. Co., 1985.
  71. Robert E. B. Lucas, Gustav Fritz Papanek, "The Indian Economy: Recent Development and Future Prospects", Westview Press, 1988, আইএসবিএন ০-৮১৩৩-৭৫০৫-৩.
  72. Gilbert Etienne, "Rural Development in Asia: Meetings With Peasants", Sage Publications, 1985, আইএসবিএন ০-৮০৩৯-৯৪৯৫-৮.
  73. Gyanesh Kudaisya, "Region, Nation, Heartland: Uttar Pradesh in India's Body Politic", Sage Publications, 2006, আইএসবিএন ০-৭৬১৯-৩৫১৯-৩.
  74. "RLD, BSP gear up as Mulayam exit looms"। The Tribune, Chandigarh। ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০০৮ 
  75. Ranade, Sudhanshu (১৯ আগস্ট ২০০৪)। "Maharashtra, richest State"Business Line। ১৫ এপ্রিল ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ নভেম্বর ২০০৭ 
  76. "Ministry of Statistics and Programme Implementation – Publications"। Government of India। ১ সেপ্টেম্বর ২০০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০০৮ 
  77. PTI (২৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯)। "North India vs South India: Who is doing better? Report says South India"India Today (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০২১ 
  78. PTI (১২ জুন ২০১০)। "West Bengal: 8 Indian states have more poor than 26 poorest African nations"The Times of India (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০২১ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]