ইব্রাহিম রাইসি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইব্রাহিম রাইসি
৮তম ইরানের রাষ্ট্রপতি
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
৩রা আগস্ট ২০২১
সর্ব্বোচ্চ নেতাআলী খামেনেয়ী
উপরাষ্ট্রপতিমোহাম্মদ মোখবের
পূর্বসূরীহাসান রুহানি
ইরানের প্রধান বিচারপতি
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
৭ই মার্চ ২০১৯
নিয়োগদাতাআলী খামেনি
ফার্স্ট ভাইসগোলাম হোসাইন মোহসেনি
পূর্বসূরীসাদেক লারিজানও
ইরানের প্রসিকিউটর জেনারেল
কাজের মেয়াদ
২৩ আগস্ট ২০১৪ – ১লা এপ্রিল ২০১৬
নিয়োগদাতাসাদেক লারিজানি
পূর্বসূরীগোলাম হোসাইন মোহসেনি
উত্তরসূরীমোহাম্মাদ জাফর মোনতাজেরি
মেম্বার অব দি অ্যাসেম্বলি অব এক্সপার্ট
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
২৪শে মে ২০১৫
সংসদীয় এলাকাদক্ষিণ খোরাসান প্রদেশ
সংখ্যাগরিষ্ঠ৩,২৫,১৩৯ (৮০.০%)[১]
কাজের মেয়াদ
২০শে ফেব্রুয়ারি ২০০৭ – ২১শে মে ২০১৬
সংসদীয় এলাকাদক্ষিণ খোরাশান প্রদেশ
সংখ্যাগরিষ্ঠ২,০০,৯০৬ (৬৮.৬%)
ইরানের ১ম উপ-প্রধান বিচারপতি
কাজের মেয়াদ
২৭শে জুলাই ২০০৪ – ২৩শে আগস্ট ২০১৫
ইরানের প্রধান বিচারপতিমাহমুদ হাশেমি শাহরুদি
সাদেক লারিজানি
পূর্বসূরীমোহাম্মাদ-হাদি মারভি[২]
উত্তরসূরীগোলাম-হাসাইন মোহসেনি-এজি'ই
জেনারেল ইনসপেকশন অফিস
কাজের মেয়াদ
২২শে আগস্ট ১৯৯৪ – ৯ই আগস্ট ২০০৪
নিয়োগদাতামোহাম্মাদ ইয়াজদি
পূর্বসূরীমোস্তফা মোহাগহেগ দামাদ
উত্তরসূরীমোহাম্মাদ নিয়াজি
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মসাইয়্যিদ ইব্রাহিম রাইসুল-সাদাতি
(1960-12-14) ১৪ ডিসেম্বর ১৯৬০ (বয়স ৬৩)
মাসহাদ, পাহলবি ইরান
রাজনৈতিক দলকম্ব্যাটেন্ট ক্লারগি অ্যাসোসিয়েশন[৩]
অন্যান্য
রাজনৈতিক দল
ইসলামিক রিপাবিকান পার্টি (১৯৮৭ পর্যন্ত)[৩]
দাম্পত্য সঙ্গীজামিলে আলামোলহোজা[৪]
সন্তান[৫]
আত্মীয়স্বজনআহমেদ আলামোলহোজা (শ্বশুর)
প্রাক্তন শিক্ষার্থীশহিদ মোতাহারি বিশ্ববিদ্যালয়[৩]
কোম সেমিনারি[৩]
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট

ইব্রাহিম রাইসোলসাদাতি (ফার্সি: سید ابراهیم رئیس‌الساداتی; জন্ম ১৪ ডিসেম্বর ১৯৬০), সাধারণত ইব্রাহিম রাইসি (ফার্সি: ابراهیم رئیسی [ebɾɒːˈhiːm-e ræʔiːˈsiː] (শুনুন)) নামে পরিচিত, একজন ইরানি রাজনীতিবিদ এবং বিচারক। তিনি ২০২১ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে ৩ আগস্ট ২০২১ থেকে ইরানের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন[৬]

ইব্রাহিম রাইসি ইরানের বিচার ব্যবস্থার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন। তিনি ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত উপ প্রধান বিচারপতি, ২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এবং ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রধান বিচারপতি ছিলেন। ১৯৮০ এবং ১৯৯০-এর দশকে তিনি তেহরানের প্রসিকিউটর এবং উপ-প্রসিকিউটর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি আস্থান কুদস রাযভী নামক একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধায়ক এবং চেয়ারম্যান ছিলেন। রাইসি ২০০৬ সালে দক্ষিণ খোরাসান প্রদেশ থেকে প্রথমবারের মতো বিশেষজ্ঞ পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি মাশহাদের জুমা নামাজের ইমাম এবং ইমাম রেজা মাজারের প্রধান ইমাম আহমদ আলা মোলহোদার জামাতা।

রাইসি ২০১৭ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, কিন্তু মধ্যপন্থী রাষ্ট্রপতি হাসান রুহানির কাছে পরাজিত হন। তিনি তেহরানের "কসাই" নামে পরিচিত, কারণ তিনি ১৯৮৮ সালে ইরানে হাজার হাজার রাজনৈতিক বন্দির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার কমিটির একজন সদস্য ছিলেন। এই কারণে তাকে "মৃত্যু কমিটি" নামে ডাকা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন অ্যাসেটস কন্ট্রোল অফিস তাকে নিষিদ্ধ করেছে এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদকরা তাকে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য অভিযুক্ত করেছে।[৭][৮][৯][১০]

ইব্রাহিম রাইসি ২০২১ সালে পুনরায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দাঁড়িয়ে ৬২.৯% ভোট পেয়ে হাসান রুহানিকে পরাজিত করেন। অনেকেই মনে করেন, এই নির্বাচন রাইসির পক্ষে প্রভাবিত করা হয়েছিল, কারণ তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনির ঘনিষ্ঠ মিত্র। রাইসিকে প্রায়ই খামেনির পরবর্তী উত্তরসূরি হিসেবে দেখা হয়। ইরানি রাজনীতিতে রাইসি একজন কঠোরপন্থী নেতা হিসেবে পরিচিত।

তার রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন সময়ে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে পারমাণবিক চুক্তি (JCPOA) নিয়ে আলোচনা আটকে যায় এবং ২০২২ সালের শেষের দিকে মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর দেশটিতে বড় ধরনের প্রতিবাদ হয়। রাইসির সময় ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বাড়িয়েছে, আন্তর্জাতিক পরিদর্শনে বাধা দিয়েছে এবং রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণে সমর্থন দিয়েছে। এছাড়া, ইরান গাজার সংঘাতে ইসরায়েলের উপর ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায় এবং হিজবুল্লাহ ও হুথি আন্দোলনের মতো গোষ্ঠীগুলিকে অস্ত্র সহায়তা দিয়েছে।

১৯ মে ২০২৪ সালে, রাইসিকে বহনকারী একটি হেলিকপ্টার ইরানের উত্তর-পশ্চিমে ভারজাকান এলাকার একটি বনে বিধ্বস্ত হয়। তার বর্তমান অবস্থা অজানা।[১১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "اعلام آرای مجلس خبرگان رهبری در خراسان جنوبی" (ফার্সি ভাষায়)। Alef। ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬। ৮ জুলাই ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০১৭ 
  2. "از نمایندگی امام در مسجد سلیمان تا معاون اولی قوهٔ قضائیه" (ফার্সি ভাষায়)। Sadegh Newsletter। ২ মার্চ ২০১৫। ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ 
  3. "زندگی‌نامه حجت‌الاسلام و المسلمین سیدابراهیم رئیسی" (ফার্সি ভাষায়)। Official Website of Seyyed Ebrahim Raisi। ২৩ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০১৭ 
  4. "با دختر علم الهدی و همسر رئیسی آشنا شوید/عکس"। ২২ এপ্রিল ২০১৭। ২৪ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০১৭ 
  5. "مشخصات شناسنامه‌ای 6کاندیدای ریاست‌جمهوری"। ২১ এপ্রিল ২০১৭। ১৪ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০১৭ 
  6. Maziar Motamedi (১৯ জুন ২০২১)। "Hardliner Ebrahim Raisi declared Iran's new president"Aljazeera English। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০২১ 
  7. "A Brief History of the 'Butcher of Tehran'"Newsweek। ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২। 
  8. "Ebrahim Raisi, the Butcher of Tehran is against humanity"। ২২ জুন ২০২১। 
  9. Struan Stevenson। "Iran's President Ebrahim Raisi, aka the Butcher of Tehran, could finally face justice after deciding to go to US for UN General Assembly meeting"। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ 
  10. "I24NEWS" 
  11. "Helicopter carrying Iran's president suffers a 'hard landing,' state TV says without further details"AP News (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০৫-১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৫-১৯