বিষয়বস্তুতে চলুন

আলাপ:হিন্দু ধর্মগ্রন্থ

পাতাটির বিষয়বস্তু অন্যান্য ভাষায় নেই।
আলোচনা যোগ করুন
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ঈশ্বর ও ভগবান একই অর্থে ব্যবহার উচিৎ নয়।[সম্পাদনা]

হিন্দুধর্মের মূলকথা- “ঈশ্বর এক এবং অদ্বিতীয়।” এই সূত্র ধরে আমরা সহজেই বুঝে নেই যে, এই বিশ্ব-ব্রহ্মান্ডের সৃষ্টিকর্তা একমাত্র ঈশ্বর । তিনি সৃষ্টি করেছেন,পালন করছেন,এবং তিনিই এর বিনাশ করবেন। এবার আসি ভগবান কে? এই প্রশ্ন নিয়ে। ‘ভগ’শব্দের অর্থ তেজ বা শক্তি। আর ‘বান’ হলো ‘ধারন করা’। অর্থাৎ যিনি শক্তিশালী বা তেজবান তিনিই ভগবান। আমরা পিতা-মাতা,গুরুজন,শিক্ষক,দেব-দেবী,সাধক,মুনি-ঋষি,তান্ত্রিক সাধু,যোগসিদ্ধ পুরুষদের ভগবানের আসনে অধিষ্ঠিত করতে পারি,কিন্তু তাকে ঈশ্বর বলতে পারিনা।ঈশ্বর শুধুই একজন,কিন্তু ভগবান বহু।এজন্য ঈশ্বরকে ভগবান বলা যায়,কিন্তু ভগবানকে ঈশ্বর বলা যুক্তিযুক্ত নয়। ভিন্নধর্মের মানুষ ভগবানকে পুরুষ হিসেবে আখ্যাযিত করে বলেন,ভগবান-পুংলিঙ্গ। আর এর স্ত্রীলিঙ্গ হচ্ছে ভগবতী। দ্বিতীয় কথা হচ্ছে-ঈশ্বর সকল শক্তির আধার বা উৎস।তিনি সর্বশক্তিমান। আর এজন্যই হিন্দুরা সাকার এবং নিরাকার ঈশ্বরের আরাধনা করে থাকে।হিন্দুরা মনে করে যে,ঈশ্বর নিরাকার,আবার প্রয়োজনে তিনি সাকার রূপ ধারন করতে পারেন। কারন তিনি সর্বশক্তিমান।কোন কোন ধর্মে শুধু নিরাকার ঈশ্বরেরই সাধনা করা হয়ে থাকে।