বিষয়বস্তুতে চলুন

আলাপ:রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ

পাতাটির বিষয়বস্তু অন্যান্য ভাষায় নেই।
আলোচনা যোগ করুন
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সাম্প্রতিক মন্তব্য: Nitindra Chandra Roy কর্তৃক ৯ মাস আগে "আর এস এস ও স্বাধীনতা সংগ্রাম" অনুচ্ছেদে

স্বাধীনতা সংগ্রামে আর এস এস এর ভূমিকা[সম্পাদনা]

রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা ডঃ কেশব বলিলাম হেডগেওয়ার জন্ম জাত দেশ সেবক।স্কুল জীবনেই তিনি বালগঙ্গাধর তিলকের সাথে মিলিত হন।তার অনুপ্রেরণায় বিভিন্ন কার্যক্রম করেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে থাকার সময় তিনি শিবাজীর কথা শোনেন এবং তার দ্বারা অনুপ্রাণিত হন।ধীরে ধীরে বৃটীশ শৃঙ্খলের কথা বুঝতে পারেন।তা বন্ধুদের সাথে দল বানান। এবং এক শিক্ষকের ঘরে মাটি কেটে সুড়ুঙ্গ বানাতে শুরু করেন। উদ্দেশ্য রাজ্যপালের বাড়ী থেকে বৃটীশ পতাকা সরিয়ে ফেলবেন। শিশু মনের এই আকুতি তাকে দেশের জন্য জীবনের সর্বস্ব ত্যাগ করতে শিখিয়েছিল। নীল সিটি ইস্কুলে পড়তেন। একদিন ইন্সপেক্টর আসবে।স্কুলে সাজো সাজো রব। তখন ইন্সপেক্টরের রিপোর্টে সব। তিনি যখন ক্লাসে ঢোকেন সেই মুহুর্তে নিষিদ্ধ বন্দে মাতরম ধ্বনি দিতে থাকে ছাত্ররা । এতে শিক্ষকেরা হতচকিত হয়ে পড়েন। ইন্সপেক্টর রেগেমেগে ক্লাস ও স্কুল থেকে বেড়িয়ে যান। দোষীদের শাস্তি দিতে বলেন। কেউই নাম বলতে রাজী নয়। কেশব সহ কয়েকজন স্কুল থেকে বহিষ্কৃত হন। নীল সিটি স্কুল ছেড়ে পুনেতে বিদ্যাগৃহ কলেজের মাধ্যমেই মাধ্যমিক পরীক্ষা দেন। বিদ্যাগৃহ কলেজ স্থাপিত হয়েছিল একদল স্বাধীনতাকামি বাঙালিদের দ্বারা। ক্যালকাটা ন্যাশনাল স্কুল আয়োজিত মাধ্যমিক পরীক্ষা দেন ও পাস করেন। রাজ নারায়ন বসু ও ঋষি অরবিন্দ এই মহাবিদ্যালয় কোর কমিটিতে ছিলেন। এই মহাবিদ্যলয় প্রতিষ্ঠার কারন ছিল সাধারণ স্কুল থেকে বহিষ্কৃত হলে এই সমস্ত স্কুলে স্বাধীনতাকামি মানুষদের পড়ার ব্যবস্থা করা। তিনি কোলকাতায় আসেন এবং বালগঙ্গাধর তিলকের সাহায্যে তিনি ডাক্তারি পড়তে কলেজে ভর্তি হন। তিনি কোলকাতায় আসেন Nitindra Chandra Roy (আলাপ) ২২:১০, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ (ইউটিসি)উত্তর দিন

স্বাধীনতা সংগ্রামে আর এস এস 2[সম্পাদনা]

পূর্বের আলাপে রাসবিহারী ঘোষ হবে বসু নয়। হেডগেওয়ার কোলকাতায় ডাক্তারী পড়তে এসেছিলেন কারন পুলিন বিহারী ঘোষের কাছ থেকে বিপ্লবের শিক্ষা নিয়ে তা ভারতবর্ষে ছড়িয়ে দেবেন বলে এবং এই উদ্দেশ্যেই তিনি কোলকাতায় আসেন । তার আসার কারন ছিল মহারাষ্ট্রের কিছু যুবক ও বাল গঙ্গাধর তিলকের মিলিত সিদ্ধান্ত। বিখ্যাত বিপ্লবী রামলাল বাজপেয়ীর বই থেকে এ সব জানা যায়। তিনি সেই বয়সে "ফে দাস" বিক্রি করে স্বদেশী জাগরণের কাজ করেন।চিনির বদলে "ফে দাস " বিক্রির এই চেষ্টা ও তা ব্যবহার করতে প্রচার চালানো দেশ প্রেমের কথাই বলে। তিনি কোলকাতায় দামোদরের বন্যায় রামকৃষ্ণ মিশনের কর্মী হয়ে কাজ করেন। তিনি শান্তিনিকেতন লজে থাকতেন । মহারাষ্ট্রের অন্যান্য যুবক ও সেখানে ছিল। জাতীয়তাবাদী নেতা মৌলবী লিয়াকত হোসেনের সাথে তিনি জন জাগরণ ও সেবা কাজ করেন। বিপ্লবী নলিনী সেনগুপ্তের লেখা থেকে জানা যায় যে তার বিপ্লবী নলিনী সেন গুপ্তের সাথে পরিচয় হয় এবং তিনি শান্তিনিকেতন লজে আসতে শুরু করেন। একদিন নলিনী সেনগুপ্তের সাথে বিপ্লবী রাসবিহারী বোস ও আসেন। তিনি কঠিন পরীক্ষা ছাড়াই অনুশীলন সমিতিতে যোগ দেওয়ার সুযোগ পান। এবং তার কোড নেম হয় "কোকেন" । তিনি বিপ্লবী শ্যাম সুন্দর চক্রবর্তীর সাথে কাজ করেন। শ্যাম সুন্দর চক্রবর্তী ছিলেন নির্মল মনের সাহসী মানুষ।তিনি বন্দে মাতরম পত্রিকায় লিখতেন। কেশবকে কয়েক বার থানায় আটক করা হয়। মহারাষ্ট্রের পুলিশ কোলকাতা পুলিশ কে তার সম্পর্কে সতর্ক বার্তা পাঠায়। ঠিক সে সময় বাম পন্হী দল গুলো বৃটীশদের সাথে তাল মিলিয়ে চলছিল। কংগ্রেস ও বাম দলগুলো ইসলামিক সাম্প্রদায়িকতাকেও উস্কে দিচ্ছিল।যার ফলে দেশ ভাগ অনিবার্য হয়ে উঠে। Nitindra Chandra Roy (আলাপ) ০৪:৪৮, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ (ইউটিসি)উত্তর দিন

আর এস এস ও স্বাধীনতা সংগ্রাম[সম্পাদনা]

ডাক্তারজী অনুশীলন সমিতিতে যোগ দেন কোন রূপ পরীক্ষা ছাড়াই। যে কঠিন পরীক্ষা অনুশীলন সমিতিতে দিতে হতো তা তাকে দিতে হয়নি।বাংলার বিপ্লবীদের জন্য তিনি অস্ত্রশস্ত্র আমদানি করেন। বিপ্লবীদের রাজা ত্রৈলক্য নাথ মহারাজ তার বিখ্যাত বই "জেলে ত্রিশ বছর" এ তার নাম উল্লেখ করেন।বইটির একটি গ্রুপ ফটোতে তার ছবি রয়েছে।ডাক্তারজী ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগ দেন এই বিষয় স্পষ্ট। কংগ্রেস সরকার স্বাধীনতা সংগ্রামীদের যে গেজেট বের করে সেখানে তার স্বাধীনতা সংগ্রামের ভূমিকা ও তার জীবনি রয়েছে। বৃটিশ সরকার বিদ্যাগৃহ চালিত মেডিক্যাল কলেজের স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করে।তিনি আশুতোষ মুখার্জি ও তৎকালিন অমৃত বাজারের সম্পাদক মহাশয়ের সহযোগিতায় আন্দোলন করেন এবং একটি পরীক্ষার মাধ্যমে বৃটিশ সরকার মেডিক্যাল কলেজের পাশ করা ছাত্রদের স্বীকৃতি দিতে রাজি হয়। কিন্ত তিনি পরীক্ষা দিতে রাজী হননি ও দেননি।কারন বৃটিশ দের দেওয়া স্বীকৃতি নিতে তিনি রাজি হননি।কিন্ত মহাত্মা গান্ধী,নেহেরু , সহ হাজারো স্বাধীনতা আন্দোলন কারি বৃটিশদের দেওয়া ডিগ্রি ব্যবহার করে অর্থ রোজগার করেছেন। বাম পন্হী ও কংগ্রেস নেতারা আজও বৃটিশ দের দেওয়া ডিগ্রি নিয়ে ভারতের উন্নয়নের কথা চিন্তা করেন।ভারতের মানুষ যখন চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত তখন তারা বিদেশে যান চিকিৎসা করাতে।জ্যোতি বসু বাংলার প্রাক্তন কম্যুনিস্ট মুখ্যমন্ত্রী যার ডিগ্রি ছিল ইংল্যান্ড থেকে সংগৃহীত ও চিকিৎসার জন্য যিনি প্রায়শই ইংল্যান্ডে যেতেন,যেখানে ভারতের আপামর জনসাধারণের আধুনিক চিকিৎসা উপলব্ধ নয়। স্বয়ং সেবক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী তার হাটুর অপারেশন করান ভারতে। মোদিজি ভারতের তৈরি করুনা ভ্যাকসিন নেন ।

ডাক্তারজি কখনো স্বাধীনতা আন্দোলনের বিরোধিতা করেন নি বরং সহযোগিতা করেছেন । মহাত্মা  গান্ধীর  অসহযোগ আন্দোলন অহিংসার ছিল। কিন্ত  খিলাফত  আন্দোলন  একে হিংসক আন্দোলনে পরিণ ত করে। হিন্দুর জানমাল দুইই যাচ্ছিল ।রবীন্দ্রনাথ ও শরৎচন্দ্র  সহ অনেক মানুষ হিন্দু বিদ্বেষের স্বরূপ দেখে চমকে উঠেছিলেন। তেলাঙ্গানা দাঙ্গায় হাজার  হিন্দু নিহত হয়।দশ হাজার  হিন্দুকে ধর্মান্তর করা হয়।অসংখ্য  নারী ধর্ষিতা হয়। মহাত্মা গান্ধী একে চেপে যাওয়ার  চেষ্টা করেন এবং হিন্দুদের  দুর্দিনে তাদের পাশে দাড়ান নি। রবীন্দ্রনাথ  ব্যথিত হন।রবীন্দ্রনাথ  ও অ্যানি বেসান্তকে  নিয়ে এ অন্চল  ভ্রমন করেন। ময়না তদন্তের  পর তিনি  ড:কালি দাস নাগকে যে চিঠি লিখলেন "পৃথিবীতে যে দুটো ধর্ম সম্প্রদায় আছে অন্য সমস্ত  ধর্ম মতের সঙ্গে যাদের বিরুদ্ধেতা অতুগ্র্য -সে হচ্ছে খৃষ্টান  আর মুসলমান  ধর্ম। তারা নিজের ধর্ম কে পালন করেই সন্তুষ্ট  নয়, অন্য ধর্ম কে সংহার  করতে উদ্যত। এই জন্যে তাদের ধর্ম  গ্রহন করা ছাড়া তাদের সঙ্গে মেলবার  অন্য কোন উপায় নেই। " রবীন্দ্রনাথ আরও বলেছেন হিন্দু ও মুসলমানে অসমকক্ষতা রয়েছে। আবার  বলেছেন "  মালাবারে যে কুৎসিত  ঘটনা ঘটে গেছে তা খিলাফতের ভরা জোয়ারে।" রবীন্দ্রনাথ ও শরৎচন্দ্র খিলাফত  আন্দোলন কে  সমর্থন করেননি ।ভারতের  সাথে সম্পর্ক হীন এক সাম্প্রদায়িক  আন্দোলন। এই  আন্দোলনের উদ্দেশ্য  ছিল  তুর্কী দেশে খিলাফত  শাসন কায়েম  করা। অহিংসা ছিল হিন্দুদের  প্রাণ  কিন্ত  মুসলমানরা হিংসক হয়ে উঠে।হিন্দু কাফের দের প্রাণ  নিয়ে জান্নাতে যাওয়ার পথ  প্রশস্ত  করতে শুরু করে ।অহিংসার কবলে  পরে হিন্দুদের প্রতিবাদ করার  ক্ষমতা লোপ পেয়েছিল। দূরে থাক প্রত্যাঘাত করার কথা।ঢাকা,বরিশাল,তেলাঙ্গানা,লাহোর সিন্দ্ধু প্রদেশ,কুমিল্লা ,চট্টগ্রাম ,সাহারণ পুর, পাঞ্জাব সহ অন্যান্য অন্চলে ছড়িয়ে পরে।হিন্দুর প্রাণান্ত ও দেহান্ত দুইই হয়। কংগ্রেসের  সেবাদলের প্রধান  হয়ে তিনি কংগ্রেসের  সমস্ত  সিদ্ধান্ত  মেনে চলেছিলেন। কিন্ত  এর পরিণাম যে ভয়ঙ্কর  হবে তা মহাত্মা গান্ধীর সাথে পরবর্তিতে দেখা করে বলেন।1915 সালের  গোটা ভারত  জুড়ে সেনাবাহিনীর  ছাউনি তে আন্দোলন করার যে পরিকল্পনা ছিল তার মধ্যভারতে তিনি ছিলেন  তার হোতা। ডাক্তার জী 1921 ও 1930 সালে ভারত  ছাড় আন্দোলনে  যোগ দিয়ে কারাবাস করেন। Nitindra Chandra Roy (আলাপ) ০৪:১০, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ (ইউটিসি)উত্তর দিন