আলাপ:কোটচাঁদপুর উপজেলা

পাতাটির বিষয়বস্তু অন্যান্য ভাষায় নেই।
আলোচনা যোগ করুন
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সাম্প্রতিক মন্তব্য: Nazmussakibns3116 কর্তৃক ৫ মাস আগে "দর্শনীয় স্থান ও স্থাপনা" অনুচ্ছেদে

দর্শনীয় স্থান ও স্থাপনা[সম্পাদনা]

কোটচাঁদপুর হাইস্কুল

দেড়শ’ বছরের পুরনো কোটচাঁদপুরের ম্যাকলিউড সাহেবের বাড়ি

প্রায় দেড়শ’ বছরের পুরনো কোটচাঁদপুরের সাহেববাড়ি এখনও ম্যাকলিউড পরিবারের স্মৃতি বহন করে চলছে। কালের সাক্ষী এ বাড়িটি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেই। সাহেব বলতে এদেশের মানুষের মনে আতঙ্ক, নানান অত্যাচারের কাহিনী ফুটে ওঠে। কিন্তু কোটচাঁদপুরবাসী আজও ম্যাকলিউড পরিবারকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে।

নীল চাষের পাশাপাশি চিনির ব্যবসায়ের সুবাদে কোটচাঁদপুর এলাকায় সাহেবের আগমন ঘটে। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ ভাগে বাল. কে. নামে এক সাহেব কোটচাঁদপুরে একটি চিনি ফ্যাক্টরি স্থাপন করেন। ব্যবসায়ে মন্দা দেখা দিলে তিনি ফ্যাক্টরিটি নিউ হাউস নামে আরেক সাহেবের কাছে বিক্রি করে দেন। তিনি তাহেরপুরে আরো একটি চিনি ফ্যাক্টরি স্থাপন করেন। পরে লোকসান শুরু হলে চিনি উৎপাদন বন্ধ করে ‘রাম’ মদ তৈরি করা হতো। কোটচাঁদপুরে তখন চিনি শিল্পের রমরমা অবস্থা। কিন্তু দেশীয় ময়রাদের সাথে প্রতিযোগিতায় তিনি ব্যবসায়ে সাহেব টিকতে পারেন না। অন্যান্য সাহেব বিলেতে পাড়ি জমালেও নিউ হাউস কোটচাঁদপুরে এক বিশাল বাড়ী তৈরী করে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। তার একমাত্র কন্যার নাম ছিল সারা। সিনোলাব ম্যাকলিউডের সাথে সারার বিয়ে হয়। নিউ হাউজের বাড়ির কোন অস্তিত্ব নেই।ম্যাকলিউড ছিলেন স্কটল্যান্ডের বাসিন্দা। তিনি চৌগাছায় গ্লাডস্টোন এন্ড কোম্পানির চিনি ফ্যাক্টরির দ্বিতীয় ম্যানেজার ছিলেন। কোটচাঁদপুর শহরের উন্নয়নে তিনি যথেষ্ট অবদান রাখেন। তার তিন পুত্র ছিল এডোয়ার্ড জি ম্যাকলিউড, জেমস ম্যাকলিউড ও হ্যারল্ড ম্যাকলিউড। জি. ম্যাকলিউড ব্যারিস্টার ছিলেন। তবে তিনি কোটচাঁদপুরে ব্যবসা করতেন। কপোতাক্ষ নদীর তীরে তিনি এক বিশাল বাড়ি নির্মাণ করেন। ১৮৬৯ সালে কোটচাঁদপুর পৌরসভা স্থাপনে তিনি অবদান রাখেন। ১৮৯২ থেকে ১৯০৪ সাল পর্যন্ত পৌরসভার মনোনীত প্রথম চেয়ারম্যান ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর ছোট ভাই হ্যারল্ড জি. ম্যাকলিউড পৌরসভার চেয়ারম্যান হন (১৯০৪-১৯০৮) তিনি ও বড় ভাইয়ের পাশে একটি দ্বিতল ভবন নির্মাণ করেন। তার বাড়ি ছোট সাহেব বাড়ী নামে পরিচিত। এটি বর্তমানে কোটচাঁদপুর হাইস্কুলের মূল ভবন। দ্বিতল এ ভবনটির ১৪ টি কক্ষ রয়েছে। তবে দীর্ঘদিনেও সংস্কার না হওয়ায় বাড়িটি ধীরে ধীরে নষ্ট হতে বসেছে। দীর্ঘদিনে ব্যবহারে কাঠের সিঁড়ি ক্ষয়ে জরজীর্ণ হয়ে পড়েছে। ১৫ একর জমির উপর স্থাপিত এবাড়ীর চারিপাশে আম ও লিচু বাগানে ঘেরা ছিল। বড় ও ছোট সাহেব বাড়ির মাঝখানে পারিবারিক কবরস্থান চারিদিকে লোহার গ্রিলে ঘেরাও ছিল। কবরগুলো এখন অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। রাতের আধারে দুর্বৃত্তরা কবরগুলো ভেঙেচুরে খুড়ে ভেতরে কোনো লুকানো ধন-সম্পদ আছে কিনা সন্ধান করেছে। তবে বাড়ির মালিকানা বদল হয়ে ঘোষ জমিদারদের হাতে যায়। বড় সাহেব বাড়ি ভেঙে চুরে বিক্রি করে দেয়া হয়। ১৯৫৭ সালে ছোট সাহেব বাড়িটিতে কোটচাঁদপুর হাইস্কুল স্থানান্তরিত হয়। স্কুলের নতুন নতুন ভবন তৈরির কারণে মূল সাহেব বাড়ীর গুরুত্ব কমে গেছে। এখন অফিসের কাজ ও লাইব্রেরী হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে Nazmussakibns3116 (আলাপ) ১৪:২৩, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩ (ইউটিসি)উত্তর দিন