বিষয়বস্তুতে চলুন

ইয়োহানেস শ্মি‌ট‌ (ভাষাবিজ্ঞানী)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইয়োহানেস শ্মি‌ট‌

ইয়োহানেস শ্মি‌ট‌ (জার্মান: Johannes Schmidt) (২৯শে জুলাই, ১৮৪৩—৪ঠা জুলাই, ১৯০১) একজন জার্মান ভাষাবিজ্ঞানী। তিনি ভাষার বিকাশের তরঙ্গ তত্ত্ব (জার্মান ভাষায় Wellentheorie) আবিষ্কার করেন।

শ্মিট ব্রান্ডেনবুর্গ প্রদেশের প্রেন্‌ৎসলাউ শহরে জন্ম নেন। তিনি প্রখ্যাত ইন্দো-ইউরোপীয় শাস্ত্রজ্ঞ আউগুস্ট শ্লাইখারের কাছে সাংস্কৃতিক ভাষাতত্ত্ব অধ্যয়ন করেন। তিনি ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাসমূহের উপর, বিশেষ করে স্লাভীয় ভাষাসমূহের উপর বিশেষায়িত গবেষণা করেন। ১৮৬৫ সালে তিনি ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেন এবং ১৮৬৬ সাল থেকে বার্লিনের একটি গ্যুমনাজিউম (gymnasium)-এ শিক্ষক হিসেবে পড়াতে থাকেন।

১৮৬৮ সালে বন বিশ্ববিদ্যালয় তাকে জার্মান ও স্লাভীয় ভাষাসমূহের অধ্যাপক হিসেবে কাজ করার অণুরোধ করে। বন থেকে ১৮৭২ সালে তিনি প্রকাশ করেন ডি ফের্ভান্টশাফট্‌স্‌ভের্হেল্টনিসে ডের ইন্ডোগের্মানিশেন ষ্প্রাখেন (Die Verwandtschaftsverhältnisse der indogermanischen Sprachen, "ইন্দো-জার্মানীয় ভাষাগুলির সম্পর্ক")। এই বইতেই তিনি তার বিখ্যাত তরঙ্গতত্ত্ব প্রথম উপস্থাপন করেন। এই তত্ত্ব অনুসারে কোন ভাষার নতুন বৈশিষ্ট্যগুলি একটি কেন্দ্রীয় বিন্দু থেকে দুর্বল থেকে দুর্বলতর সমকেন্দ্রিক বৃত্তের আকারে ছড়িয়ে পড়ে, ঠিক যেমন পানিতে পাথর ফেললে যে ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়। এভাবে বিসদৃশ ভাষাসমূহের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করা সম্ভব। তিনি এই তত্ত্বটি ১৮৭০-এর নব্যব্যাকরণবিদদের ধ্বনিবিধিগুলির বিরুদ্ধে উপস্থাপন করেছিলেন।

১৮৭৩ থেকে ১৮৭৬ সাল পর্যন্ত শ্মিট অস্ট্রিয়ার গ্রাৎস বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক ভাষাতত্ত্বের অধ্যাপক ছিলেন। ১৮৭৬ সালে তিনি বার্লিনে ফিরে আসেন এবং সেখানে হুম্বোল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। তিনি বার্লিনেই ৫৭ বছর বয়সে মারা যান।

ইয়োহানের শ্মিটের রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থাবলি

[সম্পাদনা]
  • Zur Geschichte des indogermanischen Vocalismus (Part I). Weimar, H. Böhlau (1871)
  • Die Verwandtschaftsverhältnisse der indogermanischen Sprachen. Weimar, H. Böhlau (1872)
  • Zur Geschichte des indogermanischen Vocalismus (Part II). Weimar, H. Böhlau (1875)
  • Die Pluralbildungen der indogermanischen Neutra. Weimar, H. Böhlau (1889)
  • Kritik der Sonantentheorie. Eine sprachwissenschaftliche Untersuchung. Weimar, H. Böhlau (1895)