খাদ্য নীতি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Farhan Shahriar AS (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
Farhan Shahriar AS (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৪১ নং লাইন: ৪১ নং লাইন:
== বৈশ্বিক খাদ্য নীতি ও জনস্বাস্থ্য বিষয়ক উদ্যোগ ==
== বৈশ্বিক খাদ্য নীতি ও জনস্বাস্থ্য বিষয়ক উদ্যোগ ==


ঐতিহাসিকভাবে সাধারণত খাদ্য নীতি জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়গুলোর সাথে সংশ্লিষ্ট ছিল। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অপুষ্টির প্রভাবে [[ম্যারাসমাস]] ও [[কোয়াশিয়রকর]]- এর মতো রোগের প্রাদুর্ভাব বৈশ্বিক নীতিনির্ধারক ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্কিত করে তোলে। এছাড়াও কর্মক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা হ্রাস, কর্মীদের অসুস্থতাজনিত অনুপস্থিতি বৃদ্ধি, [[বহুমূত্ররোগ|ডায়বেটিস]] ও [[উচ্চ রক্তচাপ|উচ্চ রক্তচাপের]] মতো অসুখের চিকিৎসাব্যয় বৃদ্ধি জাতীয় ও বৈশ্বিক অর্থনীতিতে মারাত্মক বিরূপ প্রভাব ফেলে। যার ফলে একটি সুনির্দিষ্ট খাদ্য নীতিমালা প্রণয়নের গুরুত্ব বাড়তে থাকে। [[বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা]], খাদ্য ও কৃষি সংগঠনগুলো একে অনুপ্রাণিত করে। তবে খাদ্য নীতি প্রণয়নের প্রধান শর্ত জুড়ে দেয়া হয় আঞ্চলিক অর্থনীতি ও সমাজব্যবস্থাকে আমলে রেখে নীতিমালা সাজাতে হবে। খাদ্য নীতর সুফল হিসেবে দেখা যায় বিগত দশকগুলোতে গড় আয়ু বৃদ্ধি ও অপুষ্টিজনিত রোগ হ্রাস।
ঐতিহাসিকভাবে সাধারণত খাদ্য নীতি জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়গুলোর সাথে সংশ্লিষ্ট ছিল। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অপুষ্টির প্রভাবে [[ম্যারাসমাস]] ও [[কোয়াশিয়রকর]]- এর মতো রোগের প্রাদুর্ভাব বৈশ্বিক নীতিনির্ধারক ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্কিত করে তোলে। এছাড়াও কর্মক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা হ্রাস, কর্মীদের অসুস্থতাজনিত অনুপস্থিতি বৃদ্ধি, [[বহুমূত্ররোগ|ডায়বেটিস]] ও [[উচ্চ রক্তচাপ|উচ্চ রক্তচাপের]] মতো অসুখের চিকিৎসাব্যয় বৃদ্ধি জাতীয় ও বৈশ্বিক অর্থনীতিতে মারাত্মক বিরূপ প্রভাব ফেলে।<ref>{{Cite journal|title=Systematic review of obesity and work|year=2017 |pmid=28982806 |last1=Goettler |first1=A. |last2=Grosse |first2=A. |last3=Sonntag |first3=D. |journal=BMJ Open |volume=7 |issue=10 |pages=e014632 |doi=10.1136/bmjopen-2016-014632 |pmc=5640019 }}</ref> যার ফলে একটি সুনির্দিষ্ট খাদ্য নীতিমালা প্রণয়নের গুরুত্ব বাড়তে থাকে। [[বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা]], খাদ্য ও কৃষি সংগঠনগুলো একে অনুপ্রাণিত করে। তবে খাদ্য নীতি প্রণয়নের প্রধান শর্ত জুড়ে দেয়া হয় আঞ্চলিক অর্থনীতি ও সমাজব্যবস্থাকে আমলে রেখে নীতিমালা সাজাতে হবে। খাদ্য নীতর সুফল হিসেবে দেখা যায় বিগত দশকগুলোতে গড় আয়ু বৃদ্ধি ও অপুষ্টিজনিত রোগ হ্রাস।


== যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য নীতি ==
== যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য নীতি ==

১৫:৫৮, ১৭ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

খাদ্য নীতি হলো আইনের একটি শাখা যেখানে খাদ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, বিতরণ এবং ক্রয়-বিক্রয় সম্পর্কিত নীতিমালা আলোচনা করা হয়। খাদ্য নীতিসমূহ কৃষিব্যবস্থা ও খাদ্যপণ্যের বাজারের ভারসাম্য রক্ষার কাজ করে মানুষের মৌলিক চাহিদার প্রতি আলোকপাতের মাধ্যমে। খাদ্য আইন জাতীয় কিংবা বৈশ্বিক বিভিন্ন পর্যায়ে প্রণীত হয়ে থাকতে পারে যা সরকার বা কোনো স্বায়িত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ নীতিমালার উপর ভিত্তি করে প্রয়োগ করা হয়। প্রায় সকল খাদ্য নীতি একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা এবং পর্যাপ্ত খাদ্যের যোগান নিশ্চিতে কাজ করে।[১]

একটি উন্নয়নশীল দেশে সাধারণত খাদ্য নীতির তিনটি উদ্দেশ্য থাকে: খাদ্য সংকট থেকে দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে বাঁচানো, টেকসই সিন্ডিকেটমুক্ত বাজারব্যবস্থা গড়ে তোলা, এবং খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হিসেবে গড়ে তোলা। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত ও প্রভাবশালী দেশগুলোর জন্য খাদ্য ও পুষ্টি নীতি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক রাজনীতির পটভূমি, অর্থনৈতিক মন্দা, বেসরকারি উদ্যোগকে উৎসাহিত করা এবং আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন ও বণ্টনের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়। শিল্পভিত্তিক দেশসমূহ খাদ্য সংকট এড়াতে সকল প্রতিকূলতা স্বত্তেও কৃষক ও খাদ্যব্যবস্থার সাথে জড়িত সকলের আয় স্থিতিশীল রাখতে তৎপর থাকে। এজন্য খাদ্যপণ্য উৎপাদনের খরচে ভর্তুকি প্রদানের উদ্যোগও নিতে দেখা যায়।[১]

ইতিহাস

সংবিধানে খাদ্য অধিকারের স্বীকৃতি

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১৫(ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হচ্ছে সকল নাগরিকের খাদ্যের মৌলিক চাহিদা পূরণের ব্যবস্থা করা। এছাড়া সংবিধানের ১৮(১) অনুচ্ছেদে জনগণের পুষ্টির স্তর উন্নয়ন ও জনস্বাস্থ্যের উন্নতিসাধনকে রাষ্ট্রের প্রাথমিক দায়িত্ব হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।[২]

বাংলাদেশে খাদ্য নীতি প্রণয়নের পটভূমি

১৯৯৬ সালের বিশ্ব খাদ্য শীর্ষ সম্মেলনে গৃহীত সংজ্ঞা অনুযায়ী সকল সময়ে সকল নাগরিকের কর্মক্ষম ও সুস্থ জীবন যাপনে প্রয়োজনীয় খাদ্য প্রাপ্তির ক্ষমতা নিশ্চিতকল্পে সবার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে বাংলাদেশ সরকার কাজ শুরু করে। তার ফলস্বরূপ ১৯৮৮ সালে প্রণীত হয় দেশের প্রথম খাদ্য নীতি। ১৯৮৮ সালে গৃহীত দেশের প্রথম খাদ্যানীতির লক্ষ্য ছিল খাদ্যশস্যের উৎপাদন বৃদ্ধি ও স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের মাধমে সবার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা বিধান। কেবলমাত্র খাদ্যশস্যর ক্ষেত্র প্রযোজ্য করে প্রণীত খাদানীতি, ১৯৮৮-তে খাদ্যশস্যের লভ্যতা ব্যতিরেকে খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয়ে অপূর্ণতা থেকে যায়। সম্প্রতি তাই ২০০৬ সালে গৃহীত দারিদ্র্য বিমোচন কৌশল পত্রের আলোকে এবং বিশ্ব খাদ্য শীর্ষ সম্মেলনে গৃহীত খাদ্য নিরাপত্তার সংজ্ঞা অনুযায়ী বর্ধিত আঙ্গিক' "জাতীয় খাদ্যানীতি ২০০৬" প্রণয়ন করা হয়েছে।

জাতীয় খাদ্য নীতি ২০০৬

কৃষকদের অধিক খাদ্য উৎপাদনে উৎসাহ প্রদান, খাদ্যশস্যের যথাযথ প্রক্রিয়াজাতকরণ ও পরিবহন, খাদ্যদ্রব্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখা ও প্রতিকূল মূহুর্ত মোকাবিলায় খাদ্যশস্য মজুতকরণ ও কৃত্রিম সিন্ডিকেট ভাঙ্গনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার "জাতীয় খাদ্য নীতি ২০০৬" পাশ করে। কৃষি মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও আরও একাধিক ইউনিটের সমন্বয়ে খাদ্য নীতি বাস্তবায়ন ও ক্রমাগত উন্নয়ন সাধনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।[৩]

বাংলাদেশের জাতীয় খাদ্য নীতি ২০০৬ তিনটি উদ্দেশ্যকে স্বীকৃতি দেয়।

উদ্দেশ্যাবলী

উদ্দেশ্য- ১: নিরবচ্ছিন্নভাবে পর্যাপ্ত নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ করা

উদ্দেশ্য- ২: জনগণের ক্রয়ক্ষমতায় খাদ্য প্রাপ্তির ক্ষমতা/সুযোগ বৃদ্ধি করা

উদ্দেশ্য- ৩: সকলের (বিশেষত: নারী ও শিশুর) জন্য পর্যাপ্ত পুষ্টি বিধান করা

এসকল উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য সরকার ও দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানসমূহ ১২ টি কৌশল অবলম্বন করে কাজ করছে।

জাতীয় খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নীতি

২০৩০ সালের মধ্যে খাদ্য নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট টেকসই উন্নয়নে অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জন করার জন্য ‘জাতীয় খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নীতি-২০২০’ প্রণয়ন করা হয়। পুষ্টি নিরাপত্তা নীতিতে খাদ্যব্যবস্থাকে সামগ্রিকভাবে বিবেচনা করা হয়েছে। চাল, ডাল থেকে শুরু করে শাক, সবজি, ফলমূলসহ অন্যান্য বিষয়কেও এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। খাদ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, বাজারজাতকরণ, সংরক্ষণ ও খাদ্যগ্রহণের ক্ষেত্রে পুষ্টিকর নিরাপদ খাদ্যের বিষয়টিও বিবেচনা করা হয়েছে। ফলে বাজারমুখী অর্থনীতিতে গতিশীলতা, জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত বিষয়গুলো এখানে গুরুত্ব পেয়েছে।[৪]

উদ্দেশ্যাবলী

উদ্দেশ্য ১. স্বাস্থ্যসম্মত সুষম খাবার গ্রহণের জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ

উদ্দেশ্য ২. সাশ্রয়ী মূল্যে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য প্রাপ্তির সামর্থ্য ও সুযোগ বৃদ্ধি

উদ্দেশ্য ৩. উন্নত পুষ্টিমান অর্জনের লক্ষ্যে স্বাস্থ্যসম্মত ও বৈচিত্রপূর্ণ খাদ্য গ্রহণ ও খাদ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি

উদ্দেশ্য ৪. দুর্যোগ-প্রবণ ও দুর্গম অঞ্চলস্থ দুঃস্থ জনগোষ্ঠীকে গুরুত্ব দিয়ে জীবন চক্রব্যাপী পুষ্টি-সংবেদনশীল সামাজিক সুরক্ষা প্রাপ্তির সুযোগ বৃদ্ধিকরণ

উদ্দেশ্য ৫. জাতীয় খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নীতি বাস্তবায়নের সাথে সংশ্লিষ্ট আন্তঃখাত কাঠামোর উন্নয়ন ও সমন্বয়সাধন, সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং অংশীজনের সক্ষমতা শক্তিশালীকরণ

বৈশ্বিক খাদ্য নীতি ও জনস্বাস্থ্য বিষয়ক উদ্যোগ

ঐতিহাসিকভাবে সাধারণত খাদ্য নীতি জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়গুলোর সাথে সংশ্লিষ্ট ছিল। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অপুষ্টির প্রভাবে ম্যারাসমাসকোয়াশিয়রকর- এর মতো রোগের প্রাদুর্ভাব বৈশ্বিক নীতিনির্ধারক ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্কিত করে তোলে। এছাড়াও কর্মক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা হ্রাস, কর্মীদের অসুস্থতাজনিত অনুপস্থিতি বৃদ্ধি, ডায়বেটিসউচ্চ রক্তচাপের মতো অসুখের চিকিৎসাব্যয় বৃদ্ধি জাতীয় ও বৈশ্বিক অর্থনীতিতে মারাত্মক বিরূপ প্রভাব ফেলে।[৫] যার ফলে একটি সুনির্দিষ্ট খাদ্য নীতিমালা প্রণয়নের গুরুত্ব বাড়তে থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, খাদ্য ও কৃষি সংগঠনগুলো একে অনুপ্রাণিত করে। তবে খাদ্য নীতি প্রণয়নের প্রধান শর্ত জুড়ে দেয়া হয় আঞ্চলিক অর্থনীতি ও সমাজব্যবস্থাকে আমলে রেখে নীতিমালা সাজাতে হবে। খাদ্য নীতর সুফল হিসেবে দেখা যায় বিগত দশকগুলোতে গড় আয়ু বৃদ্ধি ও অপুষ্টিজনিত রোগ হ্রাস।

যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য নীতি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে খাদ্য নীতিসমূহ ফেডারেল, রাজ্যভিত্তিক, আঞ্চলিক ও জাতিগত পর্যায়ে প্রণীত হয়। কৃষি, পুষ্টি সহায়তা, খাদ্য নিরাপত্তা, ডায়েট নিয়ন্ত্রণ, এবং মোড়কীকরণ এর আওতায় আসে। শিল্পখাতের অংশগ্রহণ এবং অ্যাডভোকেসি সংস্থাগুলি যা খাদ্য নীতিতে প্রভাব রাখে তাদেরও এতে বিবেচনায় আনা হয়। অধিকাংশ খাদ্য নীতিগুলি সময়ের প্রয়োজনে নিয়মিত পরিমার্জন ও উন্নয়ন করা হয়। ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, সিডিসি, কৃষি ডিপার্টমেন্ট, ফুড সেফটি অ্যান্ড ইন্সপেকশন সার্ভিস, ন্যাশনাল অরগানিক প্রোগ্রাম প্রভৃতি সংস্থা খাদ্য নীতি বাস্তবায়ন ও নজরদারির কাজে সরকারকে সহায়তা করে। খাদ্য নীতির আইনগত ভিত্তি প্রদান, পর্যাপ্ত বাজেট সহায়তা প্রদানে মার্কিন কংগ্রেস খাদ্য নীতিতে প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করে। এজন্য সংসদীয় ব্যবস্থায় বিভিন্ন কমিটি দায়িত্বশীল রয়েছে। খাদ্য নীতি লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্তদের বিচার কার্যক্রম পরিচালনায় ভূমিকা রাখে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট। ফলে সুসংগতভাবে খাদ্য নীতিসমূহ বাস্তবায়নের সুযোগ সৃষ্টি হয়।

খাদ্য রাজনীতি

একটি জাতীয় নীতিমালা বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকে দেশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, নীতিনির্ধারক, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ। ফলে নীতিমালা সামাজিক, পরিবেশগত, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক প্রভৃতি নিয়ামক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। খাদ্য মজুত, মূল্যস্ফীতি প্রভৃতি খাদ্যব্যবস্থাকে মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত করে। সারা বিশ্বেই খাদ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়েই চলেছে। যার মূল কারণ পণ্যের সংকট। কোনো বৈশ্বিক শক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে প্রভাব খাটিয়ে খাদ্যরাজনীতির মাধ্যমে বৈশ্বিক খাদ্যবাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ খাদ্য রাজনীতির উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হতে পারে। বিশ্বের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ গম ও সূর্যমুখী চাষ করা হয় ইউক্রেনে। ইউক্রেনে হামলার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী খাদ্যমন্দা তৈরি হয় যার প্রভাব খাটিয়ে পরিস্থিতিকে নিজের অনুকূলে আনতে পরিকল্পিত হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. Fischer, G.; Frohberg, K.; Keyzer, M.A.; Parikh, K.S. (১৯৮৮)। Linked National Models: A Tool for International Policy Analysis। The Netherlands: Kluwer Academic Publishersআইএসবিএন 978-9024737345 
  2. গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান 
  3. "জাতীয় খাদ্য নীতি ২০০৬" 
  4. "জাতীয় খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নীতি ২০২০" 
  5. Goettler, A.; Grosse, A.; Sonntag, D. (২০১৭)। "Systematic review of obesity and work"BMJ Open7 (10): e014632। ডিওআই:10.1136/bmjopen-2016-014632পিএমআইডি 28982806পিএমসি 5640019অবাধে প্রবেশযোগ্য