চ্যাটবট: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
MDImtiazShoykat (আলোচনা | অবদান)
অনুবাদ
MDImtiazShoykat (আলোচনা | অবদান)
→‎খেলনা: অনুবাদ, পরিষ্কারকরণ, হালনাগাদ
৮৫ নং লাইন: ৮৫ নং লাইন:


=== খেলনা ===
=== খেলনা ===
আধুনিক কালে চ্যাটবট যন্ত্রপাতিতেও সংযুক্ত করা হয়েছে যা শুধুমাত্র কম্পিউটিং এর কাজে ব্যবহার হয়না, যেমন খেলনা।
আধুনিক কালে চ্যাটবট যন্ত্রপাতিতেও সংযুক্ত করা হয়েছে যা শুধুমাত্র কম্পিউটিং এর কাজে ব্যবহার হয়না, যেমন খেলনা।<ref name="virtualagentchat2">{{Cite web|last=Amy|date=23 February 2015|title=Conversational Toys – The Latest Trend in Speech Technology|url=https://virtualagentchat.com/2015/02/23/conversational-toys-the-latest-trend-in-speech-technology/|url-status=dead|archive-url=https://web.archive.org/web/20180221035430/https://virtualagentchat.com/2015/02/23/conversational-toys-the-latest-trend-in-speech-technology/|archive-date=21 February 2018|access-date=11 August 2016|website=Virtual Agent Chat}}</ref>


''হ্যালো [[Barbie|বারবি]]'' নামক একটি ইন্টারনেট সংযুক্ত পুতুলের মধ্যে চ্যাটবট ব্যবহার করে টয়টক নামক একটি প্রতিষ্ঠান। যেটি আগে ছিল বাচ্চাদের স্মার্টফোনে খেলনা। চ্যাটবটের ব্যবহারের ফলে এটি পরবর্তীতে এর মধ্যে থাকা চরিত্রটি কিছু নিয়ম মেনে গল্পের লাইন তৈরি করতে পারতো।
''হ্যালো [[Barbie|বারবি]]'' নামক একটি ইন্টারনেট সংযুক্ত পুতুলের মধ্যে চ্যাটবট ব্যবহার করে টয়টক নামক একটি প্রতিষ্ঠান। যেটি আগে ছিল বাচ্চাদের স্মার্টফোনে খেলনা। চ্যাটবটের ব্যবহারের ফলে এটি পরবর্তীতে এর মধ্যে থাকা চরিত্রটি কিছু নিয়ম মেনে গল্পের লাইন তৈরি করতে পারতো।


মাই ফ্রেন্ড কায়লা নামক একটি ১৮ ইঞ্চি (৪৬ সেমি.) পুতুল যাতে কন্ঠ সনাক্তকরণ প্রযুক্তি ব্যবহার করে এনড্রয়েড অথবা আই ফোনের সাথে যুক্ত হয়ে বাচ্চাদের সাথে কথোপকথন চালাতে পারে। হ্যালো বারবির মত এটি ব্লুটুথের মাধ্যমে বাচ্চাদের কন্ঠ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে কথোপথন চালিয়ে নিতে পারতো।
মাই ফ্রেন্ড কায়লা নামক একটি ১৮ ইঞ্চি (৪৬ সেমি.) পুতুল যাতে কন্ঠ সনাক্তকরণ প্রযুক্তি ব্যবহার করে এনড্রয়েড অথবা আই ফোনের সাথে যুক্ত হয়ে বাচ্চাদের সাথে কথোপকথন চালাতে পারে। হ্যালো বারবির মত এটি [[ব্লুটুথ|ব্লুটুথের]] মাধ্যমে বাচ্চাদের কন্ঠ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে কথোপথন চালিয়ে নিতে পারতো।

আইবিএম এর [[Watson (computer)|ওয়াটসন কম্পিউটার]] চ্যাটবট ব্যবহার করে কগনিটয়েস<ref name="virtualagentchat3" /> নামক দ্বিপাক্ষিক বাচ্চাদের শিক্ষা মূলক খেলানাতে চ্যাটবট ব্যবহার করেছিল।<ref>{{cite web|last1=Takahashi|first1=Dean|date=23 February 2015|title=Elemental's smart connected toy taps IBM's Watson supercomputer for its brains|url=https://venturebeat.com/2015/02/23/elementals-smart-connected-toy-cognitoys-taps-ibms-watson-supercomputer-for-its-brains/|url-status=live|archive-url=https://web.archive.org/web/20150520103335/http://venturebeat.com/2015/02/23/elementals-smart-connected-toy-cognitoys-taps-ibms-watson-supercomputer-for-its-brains/|archive-date=20 May 2015|access-date=15 May 2015|website=Venture Beat}}</ref>

=== ক্ষতিকর ব্যবহার ===
[[Chat rooms|চ্যাট রুম]] গুলোতে স্প্যাম এবং বিজ্ঞাপনের জন্য কিছু ক্ষতিকর চ্যাটবটও ব্যবহার করা হয়। এই চ্যাটবট গুলো মানুষজনকে ব্যাঙ্গ করা অথবা কথোপথনের মাধ্যমে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য যেমন ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার প্রাকাশ করে দিতে প্রলুব্ধ করে। জনপ্রিয় চ্যাট টুলস যেমন [[ইয়াহু ম্যাসেঞ্জার,|ইয়াহু ম্যাসেঞ্জার,]] [[উইন্ডোজ লাইভ মেসেঞ্জার|উইন্ডোজ লাইভ ম্যাসেঞ্জার]], [[AOL Instant Messenger|এওএল ইনস্ট্যান্ট ম্যাসেঞ্জার]] এবং অন্যান্য [[Instant messaging|সকল ম্যাসেজিং প্লাটফর্মে]] এই গুলো ব্যবহার করা হতো। ডেটিং সেবা দেয়ার সাইট গুলোতে নকল ব্যক্তিগত বিজ্ঞাপনে ব্যবহৃত একটি চ্যাটবটের তালিকা নিয়ে একটি প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছিল।<ref>{{cite web|author=Epstein, Robert|date=October 2007|pages=16–17|title=From Russia With Love: How I got fooled (and somewhat humiliated) by a computer|url=http://drrobertepstein.com/downloads/FROM_RUSSIA_WITH_LOVE-Epstein-Sci_Am_Mind-Oct-Nov2007.pdf|url-status=live|archive-url=https://web.archive.org/web/20101019210430/http://drrobertepstein.com/downloads/FROM_RUSSIA_WITH_LOVE-Epstein-Sci_Am_Mind-Oct-Nov2007.pdf|archive-date=19 October 2010|access-date=9 December 2007|work=Scientific American: Mind}} Psychologist [[Robert Epstein]] reports how he was initially fooled by a chatterbot posing as an attractive girl in a personal ad he answered on a dating website. In the ad, the girl portrayed herself as being in Southern California and then soon revealed, in poor English, that she was actually in Russia. He became suspicious after a couple of months of email exchanges, sent her an email test of gibberish, and she still replied in general terms. The dating website is not named.</ref>

[[টে (বট)|টে]] হচ্ছে এমন একটি চ্যাটবট যেটি পূর্বের কথোপথনক থেকে শিখতে পারতো। টুইটারে বিভিন্ন উপহাসের শিকার হওয়ায় এটি দ্রুত বিতর্কে পরিণত হয়। এটি এমনই উপহাসের শিকার হয় যে এর ১৬ ঘন্টা পরেই ব্যবহারকারীদের অত্যন্ত আপত্তিকর টুইট দিতে থাকে। এর কারণ ছিল এটি আগের বার্তা গুলো থেকে শিখে নিত কিন্তু এতে সৌজন্যমূলক বা ভদ্রতা রক্ষা করার কোন নিরাপত্তা ছিল না। আর এটাকেই তার দুর্বলতা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল।<ref>{{cite book|title=Learning from Interaction: An Intelligent Networked-based Human-bot and Bot-bot Chatbot System in: Advances in Computational Intelligence Systems|last2=Ekart|first2=Aniko|date=June 2018|publisher=Springer|pages=179–190|doi=10.1007/978-3-319-97982-3_15|isbn=978-3-319-97982-3|edition=1st|last1=Bird|first1=Jordan J.|last3=Faria|first3=Diego R.|location=Nottingham, UK|s2cid=52069140}}</ref>

যদি কোন বার্তা প্রদানকারী এলগরিদম নিজেকে চ্যাটবটের পরিবর্তের মানুষের মত করে উপস্থাপন করে ফেলতে পারে তবে তার বার্তা গুলো আরও বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়।


If a text-sending [[algorithm]] can pass itself off as a human instead of a chatbot, its message would be more credible. Therefore, human-seeming chatbots with well-crafted online identities could start scattering fake news that seems plausible, for instance making false claims during an election. With enough chatbots, it might be even possible to achieve artificial [[social proof]].<ref>{{cite web|author=Temming, Maria|date=20 November 2018|title=How Twitter bots get people to spread fake news|url=https://www.sciencenews.org/article/twitter-bots-fake-news-2016-election|url-status=live|archive-url=https://web.archive.org/web/20181127191003/https://www.sciencenews.org/article/twitter-bots-fake-news-2016-election|archive-date=27 November 2018|access-date=20 November 2018|work=Science News}}</ref><ref>{{cite web|author=Epp, Len|date=11 May 2016|title=Five Potential Malicious Uses For Chatbots|url=https://lenepp.medium.com/five-potential-malicious-uses-for-chatbots-a15f4955fba7|url-status=live|archive-url=https://web.archive.org/web/20230224041222/https://lenepp.medium.com/five-potential-malicious-uses-for-chatbots-a15f4955fba7|archive-date=24 February 2023|access-date=24 February 2023}}</ref>


আইবিএম এর ওয়াটসন কম্পিউটার চ্যাটবট ব্যবহার করে কগনিটয়েস নামক দ্বিপাক্ষিক শিক্ষামূলক কাজে বাচ্চাদের শিক্ষা মূলক খেলানাতে চ্যাটবট ব্যবহার করেছিল।


== কর্মপদ্ধতি ==
== কর্মপদ্ধতি ==

০৬:৫৭, ২৪ মার্চ ২০২৩ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

চ্যাটবট (Chatbot) বা চ্যাটারবট (Chatterbot) এক ধরনের আলাপকারী এজেন্ট বা কম্পিউটার প্রোগ্রাম যেটিকে শ্রবণভিত্তিক কিংবা টেক্সটভিত্তিক পদ্ধতিতে এক বা একাধিক মানুষের সাথে বুদ্ধি দীপ্ত আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা দিয়ে ডিজাইন করা হয়। বেশির ভাগ চ্যাটারবটের উত্তর শুনে মনে হয় যে তারা বুদ্ধিমান মানুষের মত ভেবেচিন্তে উত্তর দিচ্ছে, কিন্তু আসলে তারা সাধারণত ইনপুট থেকে এক বা একাধিক বিশেষশব্দ (keyword) বেছে নেয় এবং সেগুলি স্থানীয় ডাটাবেজের সাথে মিলিয়ে নিয়ে উত্তর তৈরি করে।[১][২] চ্যাটবট সিস্টেমের জন্য সাধারণত একে নিয়মিত ভাবে টিউনিং এবং পরীক্ষা নিরীক্ষার মধ্যে রাখতে হয় এবং প্রথম দিকের বানানো চ্যাটবট গুলো কথোপকথন চালিয়ে যেতে সক্ষম ছিল না। ২০১২ সাল পর্যন্ত এগুলোর কোনটিই টুরিং মানদণ্ডের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি।[৩] "চ্যাটারবট" শব্দটি কথোপকথন মূলক প্রোগ্রামগুলিকে বর্ণনা করার জন্য ব্যবহৃত হয়। যার ধারণা দিয়েছিলেন মাইকেল মউলডিন (প্রথম ভার্বোটের স্রষ্টা) ১৯৯৪ সালে। [৪]

একটি ভার্চুয়াল সহকারী চ্যাটবট
১৯৬৬ এলিজা চ্যাটবট

এই চ্যাটবট গুলো প্রাধাণত কথোপকথন ভিত্তিক কাজের জন্য বিশেষ উপযোগী। যেমন ভোক্তাদের সেবা প্রদান, পথ নির্দেশনা অথবা তথ্য সংগ্রহ ইত্যাদি। কিছু কিছু চ্যাটবট জটিল শব্দ প্রক্রিয়াকরণ সফটওয়্যার, স্বাভাবিক ভাষা প্রক্রিয়াজাতকরণ অথবা বাস্তববুদ্ধি সম্পূর্ণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করতে পারে। আবার কিছু অতি সাধারণ ভাবে শব্দ খুঁজে নিয়ে সাংকেতিক ভাবে ডাটাবেজ অথবা সংযুক্ত লাইব্রেরীর সাথে মিলিয়ে উত্তর তৈরি করে।


বেশির ভাগ চ্যাটবটই অনলাইনে ওয়েব সাইটের ভেতর পপ আপ কিংবা কৃত্রিম সাহায়্যকারী হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ব্যবহারের দিক থেকে এর কয়েকটি শ্রেণী বিভাগ করা যায় যেমনঃ ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে (ই-কমার্স চ্যাটে), শিক্ষা-ব্যবস্থায়, বিনোদন ক্ষেত্রে, অর্থসংস্থান খাতে, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে, সংবাদ মাধ্যম এবং উৎপাদনশীল ক্ষেত্রে[৫]

পটভূমি

১৯৫০ সালের দিকে অ্যালান টুরিং এর বিখ্যাত নিবন্ধ কম্পিউটিং মেশিনারি অ্যান্ড ইনটেলিজেন্স প্রকাশিত হয়। [৬] যেটি বর্তমানে টুরিং পরীক্ষা নামে পরিচিত এবং বুদ্ধিমত্তার মানদন্ড হিসেবে বিবেচিত। এই মানদন্ডটি যে কোন কম্পিউটার প্রোগ্রাম এর সক্ষমতার উপর নির্ভর করে করা হয়। যেখানে একটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম একজন সত্যিকারের (রিয়েল-টাইম) মানুষের মত কথোপকথন চালিয়ে যেতে পারে। যা একজন মানুষের বিবেচনায় মানুষ এবং কম্পিউটার প্রোগ্রামের মধ্যে পার্থক্য করা কঠিন হয়ে পড়ে। ১৯৬৬ সালের দিকে টুরিং পরিক্ষণটির সফলতা ছড়িয়ে পড়ে জোসেফ ওয়েজেনবাম এর এলাইজা প্রোগ্রামটির মাধ্যমে। যেটি মানুষকে অনেকটা ধাঁধায় ফেলে দিতে সক্ষম ছিল যে তারা সত্যিকারের একজন মানুষের সাথেই কথোপকথন (চ্যাট) চালিয়ে যাচ্ছে। তবে মজার বিষয় হচ্ছে এর মালিক ওয়েজেনবাম নিজে কখনো দাবি করেননি যে এলাইজা সত্যিকারের বুদ্ধিমান কোন প্রোগ্রাম ছিল। বরং তার গবেষণা পত্রের ভূমিকায় তিনি এটাকে খেলনার অনুশীলন হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন এইভাবে-

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জগতে, যন্ত্রপাতি (মেশিন) গুলোকে বিস্ময় সৃষ্টির লক্ষ্যেই বানানো হয়, যা এমনকি অভিজ্ঞ পর্যবেক্ষককেও চমকে দিতে পারে। কিন্তু কোন প্রোগ্রাম যখন উন্মুক্ত করা হয়, এর ভেতরের কাজ গুলো যখন ব্যাখ্যা করে দেওয়া হয়... তবে তার ভেতরের যাদুটা উড়ে যায়; এটা তখন নিছক ধারাবাহিক ভাবে লেখা শুধুমাত্র কিছু প্রসিডিউর (কোড)... নীরিক্ষক নিজেই বলেছিল " আমি নিজেই এটা লিখতে পারতাম"। এই ভাবনায়, তিনি প্রশ্নবিদ্ধ প্রোগ্রামটিকে "বুদ্ধিমান" চিহ্নিত শেলফ থেকে কৌতূহলীদের জন্য সংরক্ষিত স্থানে নিয়ে যান... এই গবেষণার উদ্দেশ্য হল পুনঃমূল্যায়নের মাধ্যমে এটিকে ব্যাখা করা। যাতে করে অন্য সকল পোগ্রামেও এটিকে ব্যবহার করা যায়।[৭]

ইনপুটকৃত শব্দ থেকে কী-পয়েন্ট (ক্লু) বা শব্দাংশ খুঁজে বের করাই ছিল এলাইজার মূল কার্যপদ্ধতি (যা এখন পর্যন্ত চ্যাটবট ডিজাইনাররা নকল (কপি) করেছে)। আর তার ভিত্তিতেই মূলত পূর্বথেকে গোছানো অথবা প্রোগ্রাম করা উত্তর উপস্থাপন করা হতো। যা কথোপকথোনটিকে অর্থপূর্ণ ভাবে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেত (উদাহরণস্বরূপ (ইনপুটে যদি 'মা' শব্দটি থাকতো তবে উত্তরে 'আপনার পরিবার সম্পর্কে আরও কিছু বলুন' এ ধরনের বাক্য তৈরি হত।)[৮] এভাবেই ব্যবহারকারীকে কিছুটা বোকা বানানো হতো যদিও প্রক্রিয়াকরণের কাজটি এতটাও সূক্ষ ভাবে করা হতো না। এলাইজা এ জিনিসটি এমন ভাবে উপস্থাপন করেছিল যাতে বিচারকরা ভেবে বসেন যে এই ধরনের বোকা বানানো অনেক সহজ। যাতে করে বিচারকরা সন্দিহান হয়ে বসেন যে এটি হয়তোবা "বুদ্ধিদৃপ্ত" ভাবে উত্তর দিতে পারে।

একদম সাধারণ ভাবে শব্দের সাথে মিলিয়ে কম্পিউটারের তৈরিকৃত উত্তর গুলো অনেকটাই অর্থবহুল হওয়্যার কারণে তা ইন্টারফেস ডিজাইনারদের কাছে ব্যাপক ভাবে প্রসংশিত হয় কারণ এটি ব্যবহার উপযোগী করে তোলা সম্ভব। বেশিরভাগ মানুষই এমন সব পোগ্রাম দ্বারা আকৃষ্ট হয় যে গুলো মানুষের মত কথা বার্তা (চ্যাট) চালাতে পারে। আর এই জিনিসটি দ্বিপাক্ষিক মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয় যা চ্যাট বট মাধ্যমটি ব্যবহার করে ব্যবহারকারীর কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে উত্তর দিতে পারে। যতক্ষণ পর্যন্ত সোজাসুজি প্রশ্ন করা হয় ততক্ষণ পর্যন্ত সে গুলোকে আগে থেকেই নির্ধারণ করা শ্রেণিবিভাগে বিভক্ত করে ফেলা যায়। যেমন ধরুন, অনলাইনে কোন কিছু খুঁজে পেতে সাদা মাটা সার্চ বারের পরিবর্তে যদি চ্যাট বটে চ্যাট করার মাধ্যমে যদি দরকারী জিনিস খুঁজে পান তবে অনেকটাই চমকপ্রদ। মোটামুটি এই সকল দিক বিবেচনা করেই ওয়েজেনবাম এর চ্যাট বট প্রযুক্তিটি উৎসাহীদের জন্য সংরক্ষিত থেকে "প্রকৃত পক্ষে গণনা পদ্ধতি" শ্রেণীবিভাগে উন্নতির দাবি রাখে।

উন্নয়ন

প্রথমদিককার উল্লেখযোগ্য চ্যাটবট গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এলাইজা (১৯৬৬) এবং প্যারি (১৯৭২)। [৯][১০][১১][১২] পরবর্তী ধাপের উল্লেখযোগ্য পোগ্রাম গুলো হচ্ছে এলিস, জেব্রিওয়াকি এবং ড্যুড (এজেন্সি নোটেবল ডি লা রিচার্স এবং সি এন আর এস ২০০৬)। এলাইজা এবং প্যারি সাদামাটা ভাবে লিখিত আকারের কথোপকথনের (চ্যাট এর) জন্য ব্যবহৃত হচ্ছিল এবং ধীরে ধীরে চ্যাট বট গুলোতে অন্যান্য বৈশিষ্ট যেমন গেম খেলা, ওয়েব সার্চের সুবিধা যুক্ত করা হয়। ১৯৮৪ সালের দিকে একটি গুজব ছড়িয়েছিল যে দ্যা পুলিসম্যান'স বিয়ার্ড ইজ হাফ নামক একটি বই র‍্যাক্টার নামক একটি চ্যাট বটের সাহায্য নিয়ে লেখা হয়েছিল। যদিও প্রকাশিত পোগ্রামটি (সফটওয়্যারটি) এই ধরনের কাজের উপযুক্ত ছিল না। [১৩]

মূলত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গবেষণার মূল ভিত্তিই হচ্ছে স্বাভাবিক_ভাষা_প্রক্রিয়াজাতকরণ। সাধারণ ভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তার সীমাবদ্ধতা কাটাতে বিশেষ সফটওয়্যার বা পোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজে গঠিত বিশেষ বিশেষ ফাংশনের দরকার হয়। যেমন, এলিস চ্যাট বটটি এআইএমএল নামক এক ধরনের মার্কআপ ল্যাংগুয়েজ ব্যবহার করে।[২] যেটায় বিশেষ ফাংশন কথোকথনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে। একই পদ্ধতি এলিসবট এবং অন্যান্য ক্ষেত্রেও ডেভেলপাররা ব্যবহার করে থাকেন। শুধু তাই নয়, এলিসে যৌক্তিকতা বিশ্লেষণের সক্ষমতা ব্যবহার না করে এখনো প্যাটার্ন ম্যাচিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। যে পদ্ধতি বিগত ১৯৬৬ সনের দিকে এলাইজাতে ব্যবহার করা হত। যার ফলে এগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দিক থেকে শক্ত অবস্থানে যেতে পারেনি এবং যার আরও বিচক্ষণতা এবং যৌক্তিক যুক্তি বিশ্লেষণের ক্ষমতা দরকার।

জেব্রিওয়াকি কেবল মাত্রহ নির্দিষ্ট ডেটাবেজ থেকে পূর্ব নির্ধারিত উত্তর তৈরির পরিবর্তে তাৎক্ষণিক ভাবে ব্যবহারকারীর তথ্যের উপর ভিত্তি করে নতুন নতুন উত্তর তৈরি করা বা বিষয় বস্তু শিখতে সক্ষম ছিল। পরবর্তী কালের অনেক চ্যাটবটই উন্নত অ্যালগরিদমের (গাণিতিকভাবে সমস্যা সমাধাণের পদ্ধতি) কারণে তাৎক্ষণিক ভাবে শিখতে সক্ষম। একই সাথে এগুলো এমন ভাবে প্রতিটি উত্তর সাজিয়ে গুছিয়ে নেয় যাতে করে ব্যবহারকারীর সাথে আরও সূক্ষভাবে কথোপকথন (চ্যাট) চালিয়ে যেতে পারে। তার পরে পরীক্ষিত ভাবে সফল সাধারণ উদ্দেশ্যে তৈরি কথোপকথন চালানোর মত কোন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পাওয়া যায়নি এবং কিছু সফটওয়্যার ডেভেলপার এর ব্যবহারিক দিক এবং তথ্য যাচাই বাছাইকরণ নিয়ে পরীক্ষণ চালিয়ে যেতে থাকে।

ধীরে ধীরে চ্যাটবট গুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়, যাদের মূল লক্ষ্য ছিল টিউরিং টেস্টের মত বিষয় গুলো পার হওয়া। এ ধরণের দুটি বার্ষিক প্রতিযোগিতা হলো লোবনার প্রাইজ এবং দ্য চ্যাটারবক্স চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতা। (যা সর্বশেষটি ২০১৫ সালে বন্ধ হয়ে যায়, তবে ওয়েব আর্কাইভ থেকে এখনও কিছু কিছু তথ্য পাওয়া যায়)।[১৪]

আধুনিক কালের চ্যাটবট গুলো পূর্বনির্ধারনকৃত সাধারণ উদ্দেশ্যে প্রশিক্ষণ ভাষার মডেল ব্যবহার করে যা ইংরেজিতে জেনারেটিভ প্রি-ট্রেইনড ট্রান্সফরমার (GPT) নামে পরিচিত। এই পদ্ধতিটি মেশিন লার্নিং পদ্ধতির সাথে জড়িত। "প্রি-ট্রেইনিং" বলতে মূলত এমন একটি প্রশিক্ষণ পদ্ধতি বুঝায় যেখানে সীমিত পরিমান ডাটা থেকে নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদনের পর সেটি থেকে বড় আকারের টেক্সট/ বার্তা সম্পাদন করা যায়। আর এটি চ্যাট বট গুলোর জন্য মূল ভীত দাঁড় করায়। জিপিট চ্যাট বট মডেলের সবচেয়ে ভাল উদাহরণ হচ্ছে বর্তমান কালের চ্যাট জিপিটি। বর্তমানে এর বিস্তারিত উত্তর প্রদানের সক্ষমতা এবং ইতিহাস ভিত্তিক জ্ঞান সবার আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু। যদিও এর নির্ভুলতা নিয়ে কিছুটা সমালোচনাও হয়েছে। এই মডেলটির আরেকটি উদাহরন হচ্ছে বায়োজিপিটি। যেটি বানিয়েছে মাইক্রোসফট এবং এটি বায়োমেডিকেল সম্পর্কিত যে কোন ধরণের প্রশ্ন উত্তর দিতে সক্ষম।.[১৫][১৬]

২০১৭ সালের দিকে গুগোল ডিবিপিডিয়া ও গুগোলের সামার অব কোড সংক্ষেপে জিএসওসি (GSoc) চলাকালীন সময়ে একটি চ্যাটবট বানিয়েছিল। যেটি ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে সক্ষম।

চ্যাটবটের ব্যবহার

ম্যাসেজিং অ্যাপসে

বেশির ভাগ কোম্পানির তৈরিকৃত চ্যাটবট কোন না কোন ম্যাসেজিং অ্যাপসের সাথে অথবা সাধারণ এসএমএস এর মাধ্যমে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এগুলোর বেশির ভাগই বিটুসি (ব্যবসা টু কাস্টোমার/ভোক্তা) ভোক্তাদের সেবা প্রদান, বিক্রয় এবং বিপণনের কাজে ব্যববহৃত হয়। [১৭]

২০১৬ সালের দিকে ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জার ডেভেলপারদেরদের তাদের প্লাটফর্মে চ্যাটবট ব্যবহার করার অনুমতি দিলে প্রথম মাসেই ৩০,০০০ বট ম্যাসেঞ্জারের যোগ হয়। ক্রমেই ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে এর সংখ্যা বেড়ে ১,০০,০০০ এ পোঁছে যায়।[১৮]

ঠিক এই সময়ের মধ্যেই এটি হোয়াটসঅ্যাপের কো পাইলট পোগ্রাম হিসেবেও জায়গা করে নেয়। দুটি এয়ারলাইন্স কোম্পানি কে এল এম এবং এইরোমেক্সিকো পরীক্ষামূলক ভাবে এর ব্যবহারের ঘোষনা দেয়। তার আগে তারা ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যেমে তাদের ভোক্তা সেবা চালু করেছিল।

এই বট গুলো সাধারণত ব্যবহারকারীর যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃ হতো তবে মাঝে মধ্যে গ্রপ চ্যাটেও অংশগ্রহণ করতে পারত।

ধীরে ধীরে অধিকাংশ ব্যাংক, বীমা প্রতিষ্ঠান, বিনোদন প্রতিষ্ঠান, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান, এয়ার লাইন, হোটেল সমূহ, রিটেল, স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান, সরকারী সংস্থা এবং রেস্তোরাঁ গুলো সাধারণ প্রশ্ন উত্তর, ভোক্তার সাথে আরও সম্পৃক্ততা বাড়াতে, বিপণন সহ তাদের বিভিন্ন প্রচারণা এমনকি অর্ডার নেওয়ার কাজেও এর ব্যবহার শুরু করে।

২০১৭ সালের একটি জরিপে দেখা যায় তখনকার প্রায় ৪% প্রতিষ্ঠান চ্যাটবটের ব্যবহার শুরু করে দিয়েছে। এর আগে ২০১৬ সালের একটি জরিপ থেকে জানা যায় যে ৮০% ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ২০২০ সালের মধ্যে তাদের নিজস্ব চ্যাটবটের ব্যবহারের প্রতি আগ্রহী।

কোম্পানির অ্যাপ এবং ওয়েবসাইটের অংশ হিসেবে

পূর্ববর্তী প্রজন্মের চ্যাটবট গুলো ওয়েবসাইটের অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হত। যেমন আলাক্সা এয়ারলাইন্সের আস্ক জীন নামক চ্যাটবট। যা ২০০৮ সালে আত্মপ্রকাশ করে এবং পরবর্তীতে ২০১১ সালের দিকে ভার্চুয়াল ভোক্তা সেবাদানকারী এজেন্ট হিসেবে পরিচিতি পায়। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত আইবিএম ওয়াটসন ক্ষমতা সম্পূর্ণ "রকি" নতুন প্রজন্মের চ্যাটবট হিসেবে পরিচিত। যেটি নিউ ইয়র্ক শহরের ই-কমার্স কোম্পানি রেয়ার ক্যারেট হীরার ক্রেতাদের কাছে তথ্য প্রদানের জন্য ব্যবহার করেছিল।

চ্যাটবটের ধারাবাহিকতা

বিজ্ঞাপনদাতারা এটিকে ধারাহিক ভাবে সংলাপের ধারার মত ব্যবহার করে। যেমনটা সংক্রিয়ভাবে প্রশ্ন উত্তরের ধারাবাহিকতায় ব্যবহার হয়। এই ধরনের ধারাবাহিকতা গুলো ব্যবহারকারীর গতিবিধি মোতাবেক বিভিন্ন অপশন গুলোকে সাংকেতিক সংকেতের মাধ্যমে তুলে আনে। সংকেতিক শব্দ অর্থাৎ কীওয়ার্ডের মাধ্যমে একের পর এক বার্তা দিতে থাকে ব্যবহারকারীর অনুসন্ধান অনুসারে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ধারাবাহিকতায় প্রতিটি ব্যবহারকারীর গতিবিধি গুলো ছকে সাজানো হয় যাতে করে চ্যাটবট সঠিক উত্তরটি পর্যায়ক্রমে দিতে পারে।

প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব মাধ্যম হিসেবে

আরও অনেক ধরণের প্রতিষ্ঠান আছে যারা নিজেদের ভেতরকার দিক গুলো ব্যবস্থাপনার কাজে চ্যাটবট ব্যবহার করে থাকে। উদাহরণস্বরূপ- ভোক্তাদের সেবা প্রদান, মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা এমনকি ইন্টারনেট অব থিংক্স প্রকল্পের কাজেও এর ব্যবহার হয়ে থাকে। ওভারস্টক ডট কম নামক একটি প্রতিষ্ঠান মিলা নামক একটি চ্যাটবটের দ্বারা সংক্রিয়ভাবে কর্মীদের অসুস্থতা জনিত ছুটির রিপোর্ট তৈরির জন্য ব্যবহার করেছিল। যা সাধারণ ভাবে করা অধিক সময় সাপেক্ষ ছিল। আরও কিছু বড় প্রতিষ্ঠান যেমন, লয়েডস ব্যাংকিং গ্রুপ, স্কটল্যান্ডের রয়্যাল ব্যাংক, রেনাল্ট এবং সিট্রোয়েন মানুষের দ্বারা কল সেন্টার সেবার পরিবর্তে সংক্রিয় চ্যাট বটের দ্বারা অনলাইন সহায়তা দিয়ে থাকে। এফ৮ সম্মেলনে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ যখন ম্যাসেঞ্জারে চ্যাটবটের অনুমতি প্রদানের বিষয়টি আলোচনা করার পর চ্যাটবট গুলো সফটওয়্যার দিয়ে পরিসেবা প্রদানের একটি ইকো সিস্টেমে পরিণত হয়। হাসপাতাল এবং বিমান চালনাকারীর মত বড় বড় প্রতিষ্ঠান গুলো জ্ঞান, অভিজ্ঞতা নির্ভর এবং নির্ভুল সেবা প্রদানের লক্ষ্যে তাদের তথ্যপ্রযুক্তি খাত গুলোতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পূর্ণ চ্যাটবট কাজে লাগায়। এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পূর্ণ চ্যাটবট গুলো দ্রুততা এবং নির্ভুলতার সাথে ছবি সম্পাদনা, মানুষের ভাষা বুঝা, স্বাভাবিক ভাষা প্রস্তুতকরণ, যান্ত্রিক শিখন এবং ডিপ লার্নিং ব্যবহার করতে পারে।

গ্রাহক সেবা প্রদান

অনেক তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান সয়ংক্রিয় কৃত্রিম প্রযুক্তি নির্ভর ভোক্তা সেবা প্রদানের উপায় খুঁজছে। যাতে করে তারা আরও দ্রুত এবং কম খরচে ভোক্তাদের এই সেবার আওতায় নিয়ে আসতে পারে যারা এই প্রযুক্তি বুঝে। নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে প্রচলিত ভাবে ইমেল, ফোন অথবা মেসেজ পাঠানোর চাইতে চ্যাটবট দিয়ে মানুষের মত করে বরং আরও কার্যকরভাবে ভোক্তাদের সাথে কথোপথকন চালনো যায়। যেমন ব্যাংকিং খাতে সবচেয়ে বড় দুটি কাজ হলো ভোক্তাদের সাধারণ কিছু প্রশ্নের উত্তর দেওয়া আর তাদের লেনদেনে গতানুগতিক সেবা দেওয়া।

এই প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন গবেষণার রিপোর্টে গ্রাহক সেবার খরচ উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাসের সম্ভাবনা জানা গেছে। যা থেকে আশা করা যায় এটি পরবর্তী ১০ বছরে বিলিয়ন ডলার সঞ্চয় করতে সক্ষম। [১৯]

২০১৯ সালে গার্টনার (প্রযুক্তি নির্ভর গবেষণা সংস্থা) অনুমান করে যে ২০২১ সালের মধ্যে বিশ্বের প্রায় ১৫% পরিপূর্ণ গ্রাহক সেবা দেওয়া হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে।[২০] ২০১৯ সালে জুনিপার রিসার্চের একটি সমীক্ষা থেকে অনুমান করা হয় যে চ্যাটবট-ভিত্তিক দ্বিপাক্ষিক যোগাযোগ মাধ্যমের ফলে খুচরা বিক্রয় ২০২৩ সালের মধ্যে ১১২ (ডলার) বিলিয়নে পৌঁছাবে।[২১]

২০১৬ সাল থেকেই ফেসবুক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলোকে স্বয়ংক্রিয় গ্রাহক সহায়তা, ই-কমার্স সহায়তা, নিবন্ধ এবং চ্যাটবটের মাধ্যমে আলাপচারিতার অভিজ্ঞতা প্রদানের অনুমতি প্রদানের পর থেকেই ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারের জন্য বিপুল সংখ্যক চ্যাটবট তৈরি করা হয়।[২২]

২০১৬ সালে রাশিয়া নির্ভর তোচকা ব্যাংক বিশ্বের সর্বপ্রথম ফেসবুক বট নিয়ে আসে যেটি অর্থ লেনদেন সহ আরও অনেক ধরণের আর্থিক সেবা প্রদান করতে সক্ষম।[২৩]

২০১৬ সালের জুলাইতে বার্চেলাস আফ্রিকা ব্যাংকও ফেসবুকে এমন একটি বট তৈরি করে যেটি আফ্রিকাতে সর্বপ্রথম ব্যাংকিং সুবিধা দিতে পারে।[২৪]

২০১৮ সালের মার্চে ফ্রান্সের (সম্পদের দিক থেকে তৃতীয় বৃহত্তম) ব্যংক সোসাইটি জেনারেল সোবট[২৫] নামক একটি চ্যাটবট নিয়ে আসে। সোবট টির পরীক্ষণ কালে শতকরা ৮০ জন ব্যবহারকারীই এর সম্পর্কে সন্তোষজনক মন্তব্য করেন। যদিও ব্যংকটির ডেপুটি ডিরেক্টর বারট্র্যান্ড কোজ্জারোলো বলেছিলেন যে এটি দিয়ে হয়তো কাজ চালানো যাবে তবে কখনোই মানুষের মত অভিজ্ঞ পরামর্শকদের জায়গা দখল করে নিবে না।[২৬]

ব্যাংকিং খাতে চ্যাটবট ব্যবহারের উল্লেখযোগ্য সুবিধা হলো গ্রাহকদের সাথে কথোপকথন চালানো, আর্থিক পরামর্শ ও উপদেশ খরচ কমানো সহ ২৪/৭ সেবা প্রদান।[২৭] [২৮]

স্বাস্থ্যসেবা

চ্যাটবটের ব্যবহার স্বাস্থ্যসেবাতেও ব্যাপক হারে বেড়েছে।[২৯] [৩০] এক সমীক্ষায় দেখা গেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডাক্তারদের মতে চ্যাটবটের মাধ্যমে তারা ডাক্তারের সাক্ষাতের সময়সূচি, ক্লিনিকের অবস্থান এবং ঔষধ সম্পর্কিত তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে প্রভূত উপকার পাবেন।

কোভিড-১৯ এর সময়ে হোয়াটসঅ্যাপ দলগত ভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাথে একত্রে চ্যাটবটের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম হয়।[৩১]

২০২০ সালের দিকে ভারতীয় সরকার মাইগভ নামক চ্যাটবট দিয়ে একটি করোনা হেল্প ডেক্স চালু করে।[৩২] এটিও হোয়াটসঅ্যাপ এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে ঘরে বসে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে উপকৃত করেছে।[৩৩][৩৪]

তবে কিছু সংখ্যক রোগী এখনো চ্যাটবট ব্যবহারে অভ্যস্ত নয়। একটি মিশ্র পদ্ধতির জরিপে দেখা গেছে যে, প্রযুক্তিগত জটিলতা, সহানুভূতির অভাব এবং সাইবার-নিরাপত্তা সম্পর্কে উদ্বেগের কারণে লোকেরা এখনও তাদের স্বাস্থ্যসেবার জন্য চ্যাটবট ব্যবহার করতে দ্বিধা বোধ করছে। বিশ্লেষণটিতে এটাও দেখা গেছে যে শতকরা ৬ জন লোক চ্যাটবটের কথা শুনে থাকলে তার মধ্যে শতকরা ৩ জন লোক এটি ব্যবহার করে দেখেছে। একই সাথে ৬৭% লোক ১২ মাসের মধ্যে চ্যাটবট ব্যবহারের অভিজ্ঞতা নিয়ে দেখেছে। এর মধ্যে ৭৮% সাধারণ স্বাস্থ্য তথ্য, ৭৮% ডাক্তারের সাথে সাক্ষাত এবং ৮০% স্থানীয় স্বাস্থ্য সেবার তথ্যের জন্য চ্যাটবট ব্যবহার করেছিল। এসবের পরেও স্বাস্থ্য খাতে চ্যাটবট ব্যবহার করে ডাক্তারি পরীক্ষা এবং যৌন স্বাস্থ্যের মতো বিশেষজ্ঞের পরামর্শ চাওয়ার জন্য একে কিছুটা কম উপযুক্ত মনে করেছিল অনেকে। রোগীদের মনোভাব বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে অংশগ্রহনকারীদের ৭৩% তাদের পছন্দ এবং ডাক্তাররের সাথে আলোচনা করতে ইচ্ছুক। আর সর্বোমট ৯৩% এর থেকে নির্ভরযোগ্য এবং সঠিক স্বাস্থ্য তথ্যের সন্ধান নিতে পেরেছে। যেখানে ৮০% ব্যবহারকারী স্বাস্থ্য সেবা ত্বরান্বিত করার কাজে প্রযুক্তি ব্যবহারে আগ্রহী ছিল, ৬৬% শুধুমাত্র স্বাস্থ্য ঝুঁকি দেখা দিলেই ডাক্তার দেখাতে ইচ্ছুক ছিল এবং ৬৫% চ্যাটবটের ব্যবহারকে ভাল দিক হিসেবে নিয়েছিল। মজার ব্যপার হচ্ছে ৩০% কম্পিউটারের সাথে কথা বলতে অপছন্দ করেছিল, ৪১% তাদের স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে সহজাত ভাবে চ্যাটবটের সাথে কথা বলতে পারেনি এবং তাদের অর্ধেকের মত চ্যাটবটের পরামর্শ নিয়ে সন্ধিহান ছিল। যার থেকে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিল যে, বিশ্বাসযোগ্যতা, বট গুলোর প্রতি ভিন্ন মনোভাব এবং কম্পিউটারের সাথে আলোচনা অপছন্দ করাই ছিল স্বাস্থ্য সেবায় চ্যাটবট ব্যবহারের প্রধান কিছু বাঁধা।

রাজনীতি

নিউজিল্যান্ডে এসএএম পূর্ণরূপ (সিম্যান্টিক এনালাইসিস মেশিন[৩৫]) নামক একটি চ্যাটবট তৈরি করেছিল নিক গ্যারিটসেন অব টাচটেক[৩৬] নামক একটি কোম্পানি, যেটি রাজনৈতিক মতাদর্শ তৈরি করতে পারতো। এটি রাজনীতিবিদদের মত আবহাওয়া পরিবর্তন, স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষা এই সমস্ত বিষয়ে পারদর্শী ছিল। এই চ্যাটবটটি ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলতে পারতো।[৩৭][৩৮][৩৯][৪০]

২০২২ সালের দিকে চ্যাটবট "লিডার লারস" নামক একটি চ্যাটবট ড্যানিশ সংসদীয় একটি রাজনৈতিক দল দ্যা সিন্থেটিক পার্টির হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য মনোনিত হয়েছিল।[৪১] এটি তৈরি করেছিল কালেক্টিভ কম্পিউটার লারস নামক একটি প্রতিষ্ঠান।[৪২] পূর্বের সকল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পূর্ণ রাজনীতিবিদ চ্যাটবট থেকে লিডার লারস আলাদা ছিল কারণ এটি একটি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছিল এবং এবং সাধারণ প্রার্থীর মত ছিল না।[৪৩] বিশ্বের অনেক সাধারণ মানুষের সাথে এটি রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে সক্ষম ছিল।[৪৪]

খেলনা

আধুনিক কালে চ্যাটবট যন্ত্রপাতিতেও সংযুক্ত করা হয়েছে যা শুধুমাত্র কম্পিউটিং এর কাজে ব্যবহার হয়না, যেমন খেলনা।[৪৫]

হ্যালো বারবি নামক একটি ইন্টারনেট সংযুক্ত পুতুলের মধ্যে চ্যাটবট ব্যবহার করে টয়টক নামক একটি প্রতিষ্ঠান। যেটি আগে ছিল বাচ্চাদের স্মার্টফোনে খেলনা। চ্যাটবটের ব্যবহারের ফলে এটি পরবর্তীতে এর মধ্যে থাকা চরিত্রটি কিছু নিয়ম মেনে গল্পের লাইন তৈরি করতে পারতো।

মাই ফ্রেন্ড কায়লা নামক একটি ১৮ ইঞ্চি (৪৬ সেমি.) পুতুল যাতে কন্ঠ সনাক্তকরণ প্রযুক্তি ব্যবহার করে এনড্রয়েড অথবা আই ফোনের সাথে যুক্ত হয়ে বাচ্চাদের সাথে কথোপকথন চালাতে পারে। হ্যালো বারবির মত এটি ব্লুটুথের মাধ্যমে বাচ্চাদের কন্ঠ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে কথোপথন চালিয়ে নিতে পারতো।

আইবিএম এর ওয়াটসন কম্পিউটার চ্যাটবট ব্যবহার করে কগনিটয়েস[৪৬] নামক দ্বিপাক্ষিক বাচ্চাদের শিক্ষা মূলক খেলানাতে চ্যাটবট ব্যবহার করেছিল।[৪৭]

ক্ষতিকর ব্যবহার

চ্যাট রুম গুলোতে স্প্যাম এবং বিজ্ঞাপনের জন্য কিছু ক্ষতিকর চ্যাটবটও ব্যবহার করা হয়। এই চ্যাটবট গুলো মানুষজনকে ব্যাঙ্গ করা অথবা কথোপথনের মাধ্যমে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য যেমন ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার প্রাকাশ করে দিতে প্রলুব্ধ করে। জনপ্রিয় চ্যাট টুলস যেমন ইয়াহু ম্যাসেঞ্জার, উইন্ডোজ লাইভ ম্যাসেঞ্জার, এওএল ইনস্ট্যান্ট ম্যাসেঞ্জার এবং অন্যান্য সকল ম্যাসেজিং প্লাটফর্মে এই গুলো ব্যবহার করা হতো। ডেটিং সেবা দেয়ার সাইট গুলোতে নকল ব্যক্তিগত বিজ্ঞাপনে ব্যবহৃত একটি চ্যাটবটের তালিকা নিয়ে একটি প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছিল।[৪৮]

টে হচ্ছে এমন একটি চ্যাটবট যেটি পূর্বের কথোপথনক থেকে শিখতে পারতো। টুইটারে বিভিন্ন উপহাসের শিকার হওয়ায় এটি দ্রুত বিতর্কে পরিণত হয়। এটি এমনই উপহাসের শিকার হয় যে এর ১৬ ঘন্টা পরেই ব্যবহারকারীদের অত্যন্ত আপত্তিকর টুইট দিতে থাকে। এর কারণ ছিল এটি আগের বার্তা গুলো থেকে শিখে নিত কিন্তু এতে সৌজন্যমূলক বা ভদ্রতা রক্ষা করার কোন নিরাপত্তা ছিল না। আর এটাকেই তার দুর্বলতা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল।[৪৯]

যদি কোন বার্তা প্রদানকারী এলগরিদম নিজেকে চ্যাটবটের পরিবর্তের মানুষের মত করে উপস্থাপন করে ফেলতে পারে তবে তার বার্তা গুলো আরও বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়।


If a text-sending algorithm can pass itself off as a human instead of a chatbot, its message would be more credible. Therefore, human-seeming chatbots with well-crafted online identities could start scattering fake news that seems plausible, for instance making false claims during an election. With enough chatbots, it might be even possible to achieve artificial social proof.[৫০][৫১]


কর্মপদ্ধতি

অর্থপূর্ণ আলাপচারিতা চালাতে হলে একটি আলাপ কীভাবে কাজ করে, সে সম্পর্কে ভাল ধারণা থাকতে হয়, কিন্তু বেশির ভাগ চ্যাটারবট এই পন্থায় কাজ করার চেষ্টা করে না। এর পরিবর্তে তারা মানুষের কথার বিশেষ বিশেষ শব্দ বা বাক্যাংশ সূত্র বা ক্লু (clue) হিসেবে নেয় এবং সেই অনুসারে পূর্বেই প্রস্তত করা কিছু গৎবাঁধা উত্তর বা উত্তরের কাঠামো এমনভাবে উপস্থাপন করে যাতে কোন কিছু না বুঝেই আপাতদৃষ্টিতে অর্থপূর্ণ একটি আলাপ চালানো যায়।

উদাহরণস্বরূপ, যদি একজন মানুষ টাইপ করেন, "আমার ইদানীং খুব দুশ্চিন্তা হচ্ছে", চ্যাটারবটটি হয়ত এমনভাবে প্রোগ্রাম করা যে সে "আমার...হচ্ছে" জাতীয় ইনপুট দেখে "কেন তোমার...হচ্ছে?" জাতীয় উত্তর দেবে। ফলে এক্ষেত্রে সেটি হয়ত উত্তর দেবে "কেন তোমার ইদানীং খুব দুশ্চিন্তা হচ্ছে?" যেসব মানুষ চ্যাটারবটদের ব্যাপারে ওয়াকিবহাল নন, তারা হয়ত এরকম আলাপচারিতায় বেশ মজা পেয়ে যেতে পারেন। চ্যাটারবটের সমালোচকেরা এই ধরনের মজা পাওয়াকে নাম দিয়েছেন এলাইজা ক্রিয়া (ELIZA effect)।

কিছু চ্যাটারবট অন্য ধরনের নীতি কাজে লাগায়। যেমন জ্যাবারওয়্যাকি চ্যাটারবটটি মানুষ যেভাবে নতুন তথ্য ও ভাষা শেখে, সেই মডেলটি অনুসরণ করার চেষ্টা করে। নামের বটটি মানুষের দেয়া ইনপুটের উপর স্বাভাবিক ভাষা প্রক্রিয়াকরণের নানা পন্থা কাজে লাগিয়ে আরও ব্যবহারিক উত্তর দেয়ার চেষ্টা করে।

এছাড়াও SHRDLU-র মত কিছু প্রোগ্রাম আছে, যেগুলিকে ঠিক চ্যাটারবট বলা যায় না। এগুলির ভাষিক ক্ষমতা একটি অনুকৃত বিশ্বের জ্ঞানের (knowledge of a simulated world) সাথে সম্পর্কিত। এই ধরনের সম্পর্ক সাধারণ চ্যাটারবটদের চেয়ে আরও জটিল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (যেমন - দেখার ক্ষমতা) প্রয়োগ করে। 2017 সালে, ইজরায়েলের কোম্পানী SnatchBot (স্ন্যাচবট) একটি চ্যাটবট তৈরির ওয়েবসাইট আরম্ভ করে, যেটি অনুভূতি বিশ্লেষণের মাধ্যমে কথোপকথন পরিচালনা করার স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি গঠন করার সক্ষমতা দাবি করে। [৫২]

প্রথম দিককার চ্যাটবট

এলাইজা (ELIZA) ও প্যারি (PARRY) একেবারে শুরুর দিকের দুইটি চ্যাটারবট। সাম্প্রতিককালের বটগুলির মধ্যে আছে র‌্যাক্টার (Racter), ভার্বট (Verbot), অ্যালিস (Artificial Linguistic Internet Computer Entity বা A.L.I.C.E.), এবং এলা (ELLA)।

চ্যাটারবট নিয়ে গবেষণা যত বৃদ্ধি পেয়েছে, এদের ব্যবহারের উদ্দেশ্যের তেমনি সম্প্রসারণ ঘটেছে। এলাইজা ও প্যারি কেবল টাইপ করা আলাপ-আলোচনায় অংশ নেয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। পরবর্তীতে র‌্যাক্টার নামের চ্যাটারবটটিকে একটি পুরো গল্প লেখার কাজে ব্যবহার করা হয় (গল্পটির নাম The Policeman's Beard is Half Constructed)। এলা নামের চ্যাটারবটটি মানুষের সাথে ভাষার অনেক খেলা খেলতে পারে।

মাইকেল মল্ডিন, যিনি প্রথম ভার্বট জুলিয়ার স্রষ্টা, ১৯৯৪ সালে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর একটি সম্মেলনের (Twelfth National Conference on Artificial Intelligence) জন্য লেখা গবেষণাপত্রে "চ্যাটারবট" পরিভাষাটি প্রথম ব্যবহার করেন।

ক্ষতিকর চ্যাটবট

ইন্টারনেট চ্যাটরুমগুলিতে প্রায়ই বিজ্ঞাপন প্রচারের উদ্দেশ্যে বা ব্যক্তিগত গোপনীয় তথ্য উদ্ঘাটন করতে ক্ষতিকর চ্যাটারবট ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন তাৎক্ষনিক বার্তা আদান-প্রদান ব্যবস্থাগুলিতে (যেমন - ইয়াহু মেসেঞ্জার, ডট নেট মেসেঞ্জার সার্ভিস, এওএল ইন্সট্যান্ট মেসেঞ্জার) প্রায়ই এগুলির দেখা মেলে।


আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "What is a chatbot?"techtarget.com। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০১৭ 
  2. Caldarini, Guendalina; Jaf, Sardar; McGarry, Kenneth (২০২২)। "A Literature Survey of Recent Advances in Chatbots"। Information। MDPI। 13 (1): 41। ডিওআই:10.3390/info13010041অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  3. Luka Bradeško, Dunja Mladenić। "A Survey of Chabot Systems through a Loebner Prize Competition"। এসটুসিআইডি 39745939 
  4. Mauldin 1994
  5. "2017 Messenger Bot Landscape, a Public Spreadsheet Gathering 1000+ Messenger Bots"। ৩ মে ২০১৭। 
  6. (Turing 1950)
  7. (Weizenbaum 1966, পৃ. 36)
  8. (Weizenbaum 1966, পৃ. 44–5)
  9. GüzeldereFranchi 1995
  10. Computer History Museum 2006
  11. Sondheim 1997
  12. Network Working Group 1973—Transcript of a session between Parry and Eliza. (This is not the dialogue from the ICCC, which took place October 24–26, 1972, whereas this session is from September 18, 1972.)
  13. http://everything2.com/title/The+Policeman%2527s+Beard+is+Half+Constructed 13 November 1999
  14. "Chatroboter simulieren Menschen" 
  15. Luo, Renqian; Sun, Liai; Xia, Yingce; Qin, Tao; Zhang, Sheng; Poon, Hoifung; Liu, Tie-Yan; ও অন্যান্য (২০২২)। "BioGPT: generative pre-trained transformer for biomedical text generation and mining"। Brief Bioinform23 (6)। ডিওআই:10.1093/bib/bbac409পিএমআইডি 36156661 |pmid= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য) 
  16. Bastian, Matthias (২৯ জানুয়ারি ২০২৩)। "BioGPT is a Microsoft language model trained for biomedical tasks"The Decoder 
  17. Beaver, Laurie (জুলাই ২০১৬)। The Chatbots Explainer। BI Intelligence। 
  18. "Facebook Messenger Hits 100,000 bots"। ১৮ এপ্রিল ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ 
  19. Hingrajia, Mirant। "How Chatbots are Transforming Wall Street and Main Street Banks?"Marutitech 
  20. "How to Manage Customer Service Technology Innovation"www.gartner.com। ১১ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০২০ 
  21. Smith, Sam (৮ মে ২০১৯)। "CHATBOT INTERACTIONS IN RETAIL TO REACH 22 BILLION BY 2023, AS AI OFFERS COMPELLING NEW ENGAGEMENT SOLUTIONS"। Juniper Research। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০২০ 
  22. "Facebook launches Messenger platform with chatbots"Techcrunch। ১২ এপ্রিল ২০১৬। 
  23. "Российский банк запустил чат-бота в Facebook"Vedomosti.ru। ১৩ জুলাই ২০১৬। 
  24. "Absa launches 'world-first' Facebook Messenger banking"। ১৯ জুলাই ২০১৬। 
  25. "The Biggest French Banks by Total Assets"Banks around the World 
  26. "GAGNER DU TEMPS AVEC LE CHATBOT BANCAIRE POUR GAGNER EN INTELLIGENCE AVEC LES CONSEILLERS"Marketing Client। ১৯ জুন ২০১৮। 
  27. Marous, Jim (১৪ মার্চ ২০১৮)। "Meet 11 of the Most Interesting Chatbots in Banking"The Financial Brand 
  28. "CHATBOTS: BOON OR BANE?"bluelupin। ৯ জানুয়ারি ২০১৮। 
  29. Larson, Selena (১১ অক্টোবর ২০১৬)। "Baidu is bringing AI chatbots to healthcare"CNN Money 
  30. "AI chatbots have a future in healthcare, with caveats"AI in Healthcare 
  31. Ahaskar, Abhijit (২৭ মার্চ ২০২০)। "How WhatsApp chatbots are helping in the fight against Covid-19"Mint। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০২০ 
  32. "India's Coronavirus Chatbot on WhatsApp Crosses 1.7 Crore Users in 10 Days"NDTV Gadgets 360। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০২০ 
  33. Kurup, Rajesh (২১ মার্চ ২০২০)। "COVID-19: Govt of India launches a WhatsApp chatbot"Business Line। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০২০ 
  34. "In focus: Mumbai-based Haptik which developed India's official WhatsApp chatbot for Covid-19"Hindustan Times। ৭ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০২০ 
  35. "Sam, the virtual politician"Tuia Innovation 
  36. Wellington, Victoria University of (১৫ ডিসেম্বর ২০১৭)। "Meet the world's first virtual politician"Victoria University of Wellington 
  37. Wagner, Meg (২৩ নভেম্বর ২০১৭)। "This virtual politician wants to run for office"CNN 
  38. "Talk with the first-ever robot politician on Facebook Messenger"Engadget। ২৫ নভেম্বর ২০১৭। 
  39. Prakash, Abishur (৮ আগস্ট ২০১৮)। "AI-Politicians: A Revolution In Politics"Medium 
  40. SAM website
  41. Sternberg, Sarah (২০ জুন ২০২২)। "Danskere vil ind på den politiske scene med kunstig intelligens" [Danes want to enter the political scene with artificial intelligence]। Jyllands-Posten। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০২২ 
  42. Diwakar, Amar (২২ আগস্ট ২০২২)। "Can an AI-led Danish party usher in an age of algorithmic politics?"TRT World। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০২২ 
  43. Xiang, Chloe (১৩ অক্টোবর ২০২২)। "This Danish Political Party Is Led by an AI"Vice: Motherboard। সংগ্রহের তারিখ ১৩ অক্টোবর ২০২২ 
  44. Hearing, Alice (১৪ অক্টোবর ২০২২)। "A.I. chatbot is leading a Danish political party and setting its policies. Now users are grilling it for its stance on political landmines"Fortune 
  45. Amy (২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। "Conversational Toys – The Latest Trend in Speech Technology"Virtual Agent Chat। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ আগস্ট ২০১৬ 
  46. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; virtualagentchat3 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  47. Takahashi, Dean (২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। "Elemental's smart connected toy taps IBM's Watson supercomputer for its brains"Venture Beat। ২০ মে ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০১৫ 
  48. Epstein, Robert (অক্টোবর ২০০৭)। "From Russia With Love: How I got fooled (and somewhat humiliated) by a computer" (পিডিএফ)Scientific American: Mind। পৃষ্ঠা 16–17। ১৯ অক্টোবর ২০১০ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ ডিসেম্বর ২০০৭  Psychologist Robert Epstein reports how he was initially fooled by a chatterbot posing as an attractive girl in a personal ad he answered on a dating website. In the ad, the girl portrayed herself as being in Southern California and then soon revealed, in poor English, that she was actually in Russia. He became suspicious after a couple of months of email exchanges, sent her an email test of gibberish, and she still replied in general terms. The dating website is not named.
  49. Bird, Jordan J.; Ekart, Aniko; Faria, Diego R. (জুন ২০১৮)। Learning from Interaction: An Intelligent Networked-based Human-bot and Bot-bot Chatbot System in: Advances in Computational Intelligence Systems (1st সংস্করণ)। Nottingham, UK: Springer। পৃষ্ঠা 179–190। আইএসবিএন 978-3-319-97982-3এসটুসিআইডি 52069140ডিওআই:10.1007/978-3-319-97982-3_15 
  50. Temming, Maria (২০ নভেম্বর ২০১৮)। "How Twitter bots get people to spread fake news"Science News। ২৭ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৮ 
  51. Epp, Len (১১ মে ২০১৬)। "Five Potential Malicious Uses For Chatbots"। ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ 
  52. "Snatchbot launch"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৫-১০ 

বহিঃসংযোগ