ধস-গহ্বর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
একটি '''সিঙ্কহোল''' হল মাটিতে গর্ত যা পৃষ্ঠের স্তরের কোন প্রকার পতনের কারণে ঘটে। খোলা জায়গায় যেখানে পৃষ্ঠের জল ভূগর্ভস্থ প্যাসেজে প্রবেশ করে যা পোনার, সোয়ালো হোল বা সোয়ালেট নামেও পরিচিত।
একটি '''সিঙ্কহোল''' হল মাটিতে গর্ত যা পৃষ্ঠের স্তরের কোন প্রকার পতনের কারণে ঘটে। খোলা জায়গায় যেখানে পৃষ্ঠের জল ভূগর্ভস্থ প্যাসেজে প্রবেশ করে যা পোনার, সোয়ালো হোল বা সোয়ালেট নামেও পরিচিত।<ref name=":0">{{Cite book|last=Williams|first=Paul|url=https://books.google.com/books?id=bhiJ10Xx9VwC|title=Encyclopedia of Caves and Karst Science|date=2004|publisher=Taylor & Francis|isbn=978-1-57958-399-6|editor-last=Gunn|editor-first=John|pages=628–642|language=en|chapter=Dolines}}</ref><ref name=":1">{{cite web|last=Kohl|first=Martin|year=2001|title=Subsidence and sinkholes in East Tennessee. A field guide to holes in the ground|url=https://www.tn.gov/assets/entities/environment/attachments/geology_sink-hole.pdf|url-status=dead|archive-url=https://web.archive.org/web/20150714081131/http://www.tn.gov/assets/entities/environment/attachments/geology_sink-hole.pdf|archive-date=14 July 2015|access-date=18 February 2014|publisher=State of Tennessee}}</ref><ref>{{cite book|title=The Dictionary of Physical Geography|publisher=John Wiley & Sons|year=2009|isbn=978-1444313161|editor1-last=Thomas|editor1-first=David|edition=3rd|location=Chichester|page=440|editor2-last=Goudie|editor2-first=Andrew}}</ref><ref name=":2">{{Cite journal|last=Monroe|first=Watson Hiner|date=1970|title=A glossary of Karst terminology|journal=U.S. Geological Survey Water Supply Paper |volume=1899-K|doi=10.3133/wsp1899k|doi-access=free}}</ref>


=== প্রাকৃতিক কারণ ===
=== প্রাকৃতিক কারণ ===

১৬:১১, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

একটি সিঙ্কহোল হল মাটিতে গর্ত যা পৃষ্ঠের স্তরের কোন প্রকার পতনের কারণে ঘটে। খোলা জায়গায় যেখানে পৃষ্ঠের জল ভূগর্ভস্থ প্যাসেজে প্রবেশ করে যা পোনার, সোয়ালো হোল বা সোয়ালেট নামেও পরিচিত।[১][২][৩][৪]

প্রাকৃতিক কারণ

সিঙ্কহোলগুলো চলমান বা স্থায়ী জল থেকে পৃষ্ঠের নিষ্কাশনকে ধরে রাখতে পারে, তবে নির্দিষ্ট স্থানে উচ্চ এবং শুষ্ক স্থানেও তৈরি হতে পারে। ভূপৃষ্ঠের নিচে রয়েছে পানির প্রবাহ (যেখান থেকে আমার গভীর নলকূপের মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠের নিচ থেকে পানি উঠাতে পারি)। মাটির একদম নিচের স্তর বা ভূগর্ভস্থ পানির উপরিভাগে রয়েছে অনেক পাথর যাদের বলা হয় কার্বনেট বেরক বা বেডরক[৫] বছরের পর বছর বিভিন্ন জায়গায় মাটির নিচে পানি প্রবাহ চলমান থাকা অবস্থায় ধীরে ধীরে ছোট পাথরগুলো সরে যেতে শুরু করে। বেডরক গুলো সরে যেতে যেতে মাটির তলদেশে এক সময় বিশাল আকৃতির গর্তের সৃষ্টি হয়।[৬] বহু বছর ধরে তৈরি হওয়া গর্ত যখন বড় হতে থাকে তখন তার চারপাশের মাটি এবং পাথর সেই গর্তে নিমজ্জিত হতে শুরু করে। ফলস্বরূপ একসময় ভূগর্ভস্থ সেই গর্তের আয়তন বৃদ্ধি পেতে থাকে। উপরিভাগের জমি যখন আর সেই চাপ সহ্য করতে পারে না তখনই হঠাৎ মাটির উপরিভাগের বিশাল এলাকা সাথে নিয়ে সেটি মাটির তলদেশে বিলীন হয়ে যায়। এইভাবেই সৃষ্টি হয় দানব আকৃতির বড় বড় সব সিঙ্কহোল। একটি সিঙ্কহোল আয়তনের দিক থেকে ১ ফিট থেকে ১০০ একরের বেশি পর্যন্ত এবং উচ্চতায় দিক থেকে ১০০ ফিট পর্যন্ত হতে পারে। [৭]

মানবসৃষ্ট কারণ

বর্তমান সময়ে মানবসৃষ্ট সিঙ্কহোলের সংখ্যাও কম নয়। বছর সাতেক আগে জাপানের টোকিও তে সৃষ্টি হওয়া সিঙ্কহোলটি ছিল একটি মানব সৃষ্ট সিঙ্কহোল। [৮] তারা অবশ্য এক সপ্তাহের মধ্যে সেই রাস্তা ঠিক করে ফেলে। মানবসৃষ্ট সিঙ্কহোল গুলো তৈরি হয় মূলত ঘনবসতির কারণে।[৯] জায়গা বাঁচানোর জন্যে মাটির নিচ দিয়ে পানির পাইপ নেওয়া হয় মাঝেমধ্যেই এসব পাইপে দূর্ঘটনা বসত ছিদ্র হয়ে যায়। যার ফলে সেখান থেকে ধীরে ধীরে পানি পরে মাটির নিচে গর্তের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে ভূপৃষ্ঠের বৃষ্টির পানি সেখানে জমা হয় এবং গর্তের আয়তন আবার বাড়তে থাকে সেই ভর ভূপৃষ্ঠ ধরে রাখতে না পেরে সৃষ্টি হয় সিঙ্কহোল।

তথ্যসূত্র

  1. Williams, Paul (২০০৪)। "Dolines"। Gunn, John। Encyclopedia of Caves and Karst Science (ইংরেজি ভাষায়)। Taylor & Francis। পৃষ্ঠা 628–642। আইএসবিএন 978-1-57958-399-6 
  2. Kohl, Martin (২০০১)। "Subsidence and sinkholes in East Tennessee. A field guide to holes in the ground" (পিডিএফ)। State of Tennessee। ১৪ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ 
  3. Thomas, David; Goudie, Andrew, সম্পাদকগণ (২০০৯)। The Dictionary of Physical Geography (3rd সংস্করণ)। Chichester: John Wiley & Sons। পৃষ্ঠা 440। আইএসবিএন 978-1444313161 
  4. Monroe, Watson Hiner (১৯৭০)। "A glossary of Karst terminology"। U.S. Geological Survey Water Supply Paper। 1899-K। ডিওআই:10.3133/wsp1899kঅবাধে প্রবেশযোগ্য 
  5. "Sinkholes in Washington County - Utah Geological Survey"web.archive.org। ২০১১-০৩-২৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০২-২৭ 
  6. Friend, Sandra (২০০২)। Sinkholes। Internet Archive। Sarasota, Fla. : Pineapple Press। আইএসবিএন 978-1-56164-258-8 
  7. "Sinkholes | U.S. Geological Survey"www.usgs.gov। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০২-২৭ 
  8. Plaugic, Lizzie (২০১৬-১১-১৫)। "A 98-foot-wide sinkhole in Japan was repaired in one week"The Verge (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০২-২৭ 
  9. Epstein, Lloyd Lee, Jake। "Sinkholes around the world, manmade and natural, show what happens when earth opens up"Insider (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০২-২৭