বিষয়বস্তুতে চলুন

প্রেমের বিয়ে: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Fayaz Rahman (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Fayaz Rahman (আলোচনা | অবদান)
১২ নং লাইন: ১২ নং লাইন:
ভারতে লাভ ম্যারেজ বলতে বোঝায় সেই বিয়ে যেই বিয়ে একটা ছেলে আর একটা মেয়ে দুজন দুজনে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে ওরা বিয়ে করবে, এক্ষেত্রে তারা তাদের বাবামা বা পরিবারের সদস্যদের অনুমতি নিতেও পারে আবার নাও পারে। এই বিয়ের ক্ষেত্রে ধর্ম বা গোত্র কোনো বাঁধা সাধারণত মানেনা।
ভারতে লাভ ম্যারেজ বলতে বোঝায় সেই বিয়ে যেই বিয়ে একটা ছেলে আর একটা মেয়ে দুজন দুজনে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে ওরা বিয়ে করবে, এক্ষেত্রে তারা তাদের বাবামা বা পরিবারের সদস্যদের অনুমতি নিতেও পারে আবার নাও পারে। এই বিয়ের ক্ষেত্রে ধর্ম বা গোত্র কোনো বাঁধা সাধারণত মানেনা।


ভারতের প্রধান শহরগুলোতে প্রেম করে বিয়ে করাটা সত্তরের দশকে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। সেই সময় প্রেম করে বিয়ে করতে ছেলে মেয়েরা ভয় পেত যে সামাজিকভাবে তারা অপমানিত হবে কিনা এই চিন্তায়। এই ভয়টা আজ একদম নেই বললেই চলে।<ref name="Donner2012"/>
ভারতের প্রধান শহরগুলোতে প্রেম করে বিয়ে করাটা সত্তরের দশকে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। সেই সময় প্রেম করে বিয়ে করতে ছেলে মেয়েরা ভয় পেত যে সামাজিকভাবে তারা অপমানিত হবে কিনা এই চিন্তায়। এই ভয়টা আজ একদম নেই বললেই চলে।<ref name="Donner2012"/> ভারতে আবার ''লাভ-এ্যারেঞ্জড ম্যারেজ" নামের একটি ধারণা প্রচলিত আছে যেটা হচ্ছে পিতামাতা একটা ছেলেকে একটা মেয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বলবে ওর সাথে বন্ধুত্ব করতে।<ref name="Twamley2014">{{cite book|author=Katherine Twamley|title=Love, Marriage and Intimacy Among Gujarati Indians: A Suitable Match|url=https://books.google.com/books?id=haUAAwAAQBAJ&pg=PA68|accessdate=31 January 2015|date=12 February 2014|publisher=Palgrave Macmillan|isbn=978-1-137-29430-2|page=68}}</ref>

==তথ্যসূত্র==
==তথ্যসূত্র==
{{ সূত্র তালিকা }}
{{ সূত্র তালিকা }}

০৯:৪৬, ১৫ জুন ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

লাভ ম্যারেজ হচ্ছে প্রধানত ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কায় ব্যবহৃত একটি শব্দ যেটা দ্বারা একটা ছেলে আরেকটা মেয়েকে প্রেম করে বিয়ে করেছে তাদের একেঅপরের পিতামাতার অনুমতি ছাড়া বা অনুমতি নিয়ে।[১][২][৩] লাভ ম্যারেজ এর কোনো পরিস্কার সংজ্ঞা নেই, এটা দ্বারা মূলত একটা বিয়ে করাকে বোঝায় যেটা বিয়েটা যেই মেয়ে আর ছেলে করতে চায় তাদের পরস্পরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী।[১]

ইউরোপে

১৮১৯ সালে আঁকা একটি ছবি যেখানে দার্শনিক পিটার তার ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমরত, পিটারের ভৃত্য তাকিয়ে দেখছেন

ইতিহাসবিদ স্টিফানি কুন্টয বলেন যে, ইউরোপে প্রেম করে বিয়ে করাটা চালু হয় ১৪ শতকে, আর জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ১৭ শতকে।[৪]

১৭৬১ সালে ফরাসী দার্শনিক জ্যা জ্যাক রুশো 'জুলি অর দ্যা নিউ হ্যালোইজ' নামের একটি বই লেখেন। এই বইয়ের নামটা ১২ শতকের দার্শনিক পিটার এবেলার্ডের ছাত্রীর নাম হ্যালোইজ ডি'আর্জেন্টিউইল নাম থেকে নেওয়া, পিটার তার এই ছাত্রীর প্রেমে পড়েছিলেন। তাদের একটি বাচ্চা হয়েছিলো এবং তারা গোপনে বিয়ে করেছিলেন। হ্যালোইজের অভিভাবকেরা এইটা জানতে পারলে পিটারের শিশ্ন কেটে ফেলা হয়। রুশোর সময় এই কাহিনীটা ভালোই পরিচিত ছিলো, পিটার আর হ্যালোইজের প্রেমপত্রও পাওয়া গিয়েছিলো। রুশোর বই জুলি ঠিক এরকমই একটা ছাত্রী আর তার শিক্ষক প্রক্সের কাহিনী নিয়ে। বইটা চিঠির আকারে লেখা। জুলির পিতা প্রেমের বিরোধিতা করে জুলিকে অন্য একটা ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেন যার সঙ্গে মনে হয় যে এই ছেলেটাই যোগ্য।

কুন্টয এর মতে ইংরেজদের মধ্যে বিয়ে জিনিসটা চালু হয়েছিলো সমাজে শান্তি বজায় রাখার জন্য এবং সম্পর্ক ঠিক রাখার জন্য। ১১ শতকে বিয়ে হত আর্থিক স্বচ্ছলতা অর্জন বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য। বিয়ে যাদের মধ্যে হবে তাদের ইচ্ছাকে গুরুত্ব দেওয়া হতনা। বধূকে তার পিতার ইচ্ছানুযায়ীই বিয়ে বসতে হত। ১১৪০ সালে গ্র্যাটিয়ান 'ডেকরেটাম গ্র্যাটয়ানি' লেখেন। এখানে তিনি যাদের মধ্যে বিয়ে হবে তাদের পারস্পরিক সম্মতি দিতে হবে বলে বলেন। এই বইটা খ্রিস্টান চার্চ এর বিয়ে করার নীতি এর জন্য মূল হয়ে ওঠে।[৫]

রাণী ভিক্টোরিয়া এবং প্রিন্স এ্যালবার্ট এর বিয়ে করা দেখে ভিক্টোরিয়ার শাসনামলে প্রেম করা বিয়ে করাটা বেড়ে যায়।[৫]

ভারতে

ভারতে লাভ ম্যারেজ বলতে বোঝায় সেই বিয়ে যেই বিয়ে একটা ছেলে আর একটা মেয়ে দুজন দুজনে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে ওরা বিয়ে করবে, এক্ষেত্রে তারা তাদের বাবামা বা পরিবারের সদস্যদের অনুমতি নিতেও পারে আবার নাও পারে। এই বিয়ের ক্ষেত্রে ধর্ম বা গোত্র কোনো বাঁধা সাধারণত মানেনা।

ভারতের প্রধান শহরগুলোতে প্রেম করে বিয়ে করাটা সত্তরের দশকে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। সেই সময় প্রেম করে বিয়ে করতে ছেলে মেয়েরা ভয় পেত যে সামাজিকভাবে তারা অপমানিত হবে কিনা এই চিন্তায়। এই ভয়টা আজ একদম নেই বললেই চলে।[১] ভারতে আবার লাভ-এ্যারেঞ্জড ম্যারেজ" নামের একটি ধারণা প্রচলিত আছে যেটা হচ্ছে পিতামাতা একটা ছেলেকে একটা মেয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বলবে ওর সাথে বন্ধুত্ব করতে।[৬]

তথ্যসূত্র

  1. Mr Henrike Donner (২৮ ডিসেম্বর ২০১২)। Domestic Goddesses: Maternity, Globalization and Middle-class Identity in Contemporary India। Ashgate Publishing, Ltd.। পৃষ্ঠা 80, 86। আইএসবিএন 978-1-4094-9145-3। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জানুয়ারি ২০১৫ 
  2. "Glitz and tradition at Sri Lanka society wedding"BBC News। ১৩ এপ্রিল ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জানুয়ারি ২০১৫Society is becoming more Westernised, too: this is a love marriage, not one arranged by the family. 
  3. "Pakistan police to protect Afghan runaway couple"BBC News। ২৩ জুলাই ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জানুয়ারি ২০১৫The couple say that they entered Pakistan illegally about three weeks ago and had a secret love marriage. 
  4. "The Malleable Estate: Is marriage more joyful than ever?"Slate। ১৭ মে ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জানুয়ারি ২০১৫ 
  5. "Ten key moments in the history of marriage"BBC News। ১৪ মার্চ ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জানুয়ারি ২০১৫ 
  6. Katherine Twamley (১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪)। Love, Marriage and Intimacy Among Gujarati Indians: A Suitable Match। Palgrave Macmillan। পৃষ্ঠা 68। আইএসবিএন 978-1-137-29430-2। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জানুয়ারি ২০১৫