প্রজননবাদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Lazy-restless (আলোচনা | অবদান)
নতুন পৃষ্ঠা: {{Original research|date=September 2007}} '''প্রজন্মবাদ''' বা '''প্রজননবাদ''' ({{lang-en|'''natalism''', '''pronatalism'...
(কোনও পার্থক্য নেই)

১৭:২১, ২৬ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

প্রজন্মবাদ বা প্রজননবাদ (ইংরেজি: natalism, pronatalism, the pro-birth position, ন্যাটালিজম, প্রোন্যাটালিজম, দ্য প্রো-বার্থ পজিশন) হল একটি মতবাদ যা মানব জাতির বংশবিস্তারকে সমর্থন করে।[১] মূল ইংরেজি পরিভাষা ন্যাটালিজম শব্দটি এসেছে লাতিন বিশেষণ বার্থ ও নাটালিস থেকে। প্রজন্মবাদে শিশু-লালনপালন এবং পিতৃত্ব-মাতৃত্বকে সামাজিকতার জন্য পছন্দনীয় এবং মানব জাতির ক্রমবৃদ্ধির নিশ্চয়তা হিসেবে সমর্থন করে। রাষ্ট্রীয় নীতিমালায় প্রজন্মবাদ জনগণকে আর্থিক ও সামাজিক প্রণোদনা সৃষ্টিতে উৎসাহিত করে, যেমন কর প্রণোদনা যা সন্তান গ্রহণ ও ভরণপোষণের নিমিত্তে প্রদান করা হয়। অনেক সময় প্রজননবাদে কট্টরপন্থীদের পদক্ষেপের কারণে গর্ভপাত ও জন্ম-নিয়ন্ত্রণের সুযোগ সীমিতকরণকে উৎসাহিত করা হয়।

দর্শন

ব্যক্তিভেদে প্রজননবাদের সীমারেখার পার্থক্য দেখা যায়। উক্ত দৃষ্টিভঙ্গিসমূহের মধ্যে একটি চরম সীমা হল বায়োন্যাটালিজম, যা প্রজননবাদকে জীবনের জন্য অপরিহার্য একটি বিষয় হিসেবে উপস্থাপন করে এবং এই মতবাদকে সরবচ্চ গুরুত্ব সহকারে ধারণ করে।[২] প্রজননবাদের দার্শনিক প্রণোদনার মধ্যে অন্যতম হল সৃষ্টিশীল ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হিসেবে নবজাতককে পৃথিবীতে নিয়ে আসার বিষয়টিকে মূল্যবোধ হিসেবে বিবেচনা করা।

উদ্দেশ্য

মানবতার অস্তিত্ব রক্ষা

মানব শিশু ছাড়া মানব জাতির টিকে থাকা সম্ভবপর নয়। তাই, বায়োন্যাটালিজমের মত কিছু প্রজন্মবাদী মতাদর্শ মানব প্রজননকে একটি নৈতিক দায়িত্ব হিসেবে গণ্য করে, যার কারণ প্রত্যেকটি মানুষ প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগ পর্যন্ত পরিবার ও সমাজ তাদের জীবিকার একটি অংশ তার পেছনে বয়ায় করেছিল বলেই সে বেচে আছে।[২]

ধর্মে উপস্থিতি

ইসলাম, ইহুদিধর্ম এবং খৃস্টধর্মের কিছু শাখা সহ বহু ধর্মই বংশবৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে। উতসাকিত[৩][৪][৫][৬][৭]) encourage procreation.

এসব ধর্মের মধ্যে অ্যামিশ জাতি হল বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল সম্প্রদায়, যাদের প্রতি পরিবারে গড়ে ৬.৮ টি সন্তান থাকে।[৮]

কুইভারফুল আন্দোলন নামক রক্ষণশীল প্রটেস্ট্যান্টদের একটি সাম্প্রতিক আন্দোলনে বৃহৎ পরিবার গঠনকে উৎসাহিত করা হয়েছে। কিছু বিশেষজ্ঞ দাবি করেন যে, কুইভারফুল আন্দোলন হল বিশ্বের সেসব অস্বীকৃত মৌলবাদী আন্দোলনের অনুরূপ যেগুলো স্বগোত্রীয় প্রজনন এবং সদস্য অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে বিস্তার লাভ করে, যেমন ফিনল্যান্ডে লায়েস্টারডিয়ানিজম এবং মুসলিম বিশ্বের সালাফি আন্দোলন। ধর্মনিরপেক্ষ ও মধ্যপন্থীগণ কম সংখ্যক সন্তান গ্রহণের নীতি গ্রহণ করার কারণে প্রজন্মবাদী ধর্মীয় দলগুলো আলাদা শ্রেণী হিসেবে বেড়ে ওঠে।[৯][১০][১১]

রাজনৈতিক বংশবিস্তার মতবাদ

কোন দলের সংখ্যাবৃদ্ধি ও ফলশ্রুতিতে দলটির রাজনৈতিক প্রভাববিস্তারের উদ্দেশ্যে প্রজননবাদ গ্রহণ করা হলে তাকে বলা হয় রাজনৈতিক বংশবিস্তার মতবাদ। বাস্তবে, এটা প্রমাণ করা কঠিন যে কোন দল কি প্রকৃত অর্থেই বংশবিস্তার মতবাদ অনুযায়ী আচরণ করে, নাকি উক্ত দলের বিশ্বাস ও কাজকর্মের স্বাভাবিক ফলাফল হিসেবেই এর জন্মহার বৃদ্ধি পায় (এবং ফলশ্রুতিতে বৃহৎ রাজনৈতিক প্রভাব না থাকার পরেও তা টিকে থাকে)। রাজনৈতিক বংশবিস্তার মতবাদ একটি গণতন্ত্রের গতিপ্রকৃতিকে বদলে দিতে পারে, কারণ গণতন্ত্রের এক ব্যক্তি, এক ভোট নীতিটি বংশবিস্তার মতবাদ ছোট দলগুলোর তুলনায় বড় দলগুলোকে অধিক সুবিধা দেয়।

সন্তান গ্রহণের অভিপ্রায়

সন্তান গ্রহণের অভিপ্রায় জন্মহার বৃদ্ধির একটি অন্যতম কারণ। তবে,সন্তান নেই এমন ব্যক্তিদের মধ্যে স্বল্পমেয়াদী সন্তান ধারণের পরিকল্পনা গ্রহণকারীরা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণকারীদের তুলনায় জন্মহার বৃদ্ধিতে অধিক ভূমিকা রাখেন।[১২] সন্তান গ্রহণের অভিপ্রায়ের পেছনে বহু কারণ থাকে, এগুলো হল:

  • পরিবারের আকারের প্রতি মায়ের পছন্দ, যা বয়ঃপ্রাপ্তির শুরুতেই সন্তান গ্রহণকে উৎসাহিত করে।[১৩] Likewise, the extended family influences fertility intentions, with increased number of nephews and nieces increasing the preferred number of children.[১২]
  • আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু বান্ধবদের কাছ থেকে দ্বিতীয় সন্তান নেয়ার জন্য সামাজিক চাপ আসা।[১২]
  • সামাজিক সমর্থন ও সহায়তা। তবে জার্মানির একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, যেসব ব্যক্তি এ ক্ষেত্রে কোনই সমর্থন পান না এবং যেসব ব্যক্তি এ ক্ষেত্রে অতিমাত্রায় সামাজিক সমর্থন পান তারা উভয়েই দ্বিতীয় সন্তান নিতে আগ্রহী হন না, দ্বিতীয় ব্যক্তিটির ক্ষেত্রে এর কারণ হতে পারে সিদ্ধান্ত সমন্বয়করণে সমস্যা।[১২]
  • সুখ, সুখী মানুষেরা অধিক সন্তান গ্রহণের প্রবণতা দেখিয়ে থাকেন।[১২]
  • গৃহায়ন প্রকল্পের বিকাশ সুরক্ষিত রাখতে।[১৪]

প্রজননবাদী রাজনীতি

অনেক রাষ্ট্রই অধিক সন্তান গ্রহণে উৎসাহিতকরণের জন্য দম্পতিদের আর্থিক প্রণোদনা প্রদান করে থাকে। এসব প্রণোদনার মধ্যে রয়েছে এককালীন শিশু ভাতা, অথবা চলমান শিশু সুবিধা অর্থপ্রদান অথবা কর হ্রাসকরণ। কিছু দেশ আবার কম সন্তানধারী দম্পতির উপর জরিমানা বা কর আরোপ করে থাকে।

বেতনভুক্ত মাতৃত্বকালীন বা পিতৃত্বকালীন ছুটি নীতিমালাও প্রণোদনা হিসেবে গ্রহণ করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, সুইডেনে ভরপুর বৃহৎমেয়াদি পিতৃত্ব ও মাতৃত্ব ছুটি দেয়া হয় যেখানে পিতামাতাপ্রতি সন্তানের জন্য ১৬ মাসের বেতনভুক্ত ছুটি পেয়ে থাকেন, এই খরচটি কর্মচারী ও রাষ্ট্র উভয়ের কাছ থেকে ভাগ করে নেয়া হয়।


অ-প্রজননবাদ

অ-প্রজননবাদ হল একটি দার্শনিক অবস্থান যা প্রজনবাদের বিরুদ্ধে দাড়িয়ে প্রজননের প্রতি একটি নেতিবাচক মূল্যবোধ ধারণ করে। আইনগত ভাবে প্রজননবাদী বা অ-প্রজননবাদী নীতিমালা সন্তানধারণের আধিকারসমূহের প্রতি পীড়াদায়ক হতে পারে, যা নির্ভর করে সেগুলো কিভাবে নির্ধারণ অ কার্যকর করা হয় তার উপর। অ-প্রজননবাদকে জনসংখ্যার আধিক্য এবং এর ক্ষতিকর প্রভাবের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ হিসেবেও দেখা যায়, যার উদ্দেশ্য হল বৈশ্বিক উষ্ণতাবৃদ্ধি হ্রাসকরণ এবং সামাজিক ও নৈতিক অবক্ষয় নিয়ন্ত্রণ।

বহিঃসংযোগ

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. McKeown, John (২০১৪)। God's Babies: Natalism and Bible Interpretation in Modern America। Cambridge: Open Books। পৃষ্ঠা 2–4। 
  2. "Principles of bionatalism"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-১০-১২ 
  3. Twerski, Rebbetzin Feige। "Joys of A Large Family"। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১১-১২ 
  4. First Presidency and Council of the Twelve Apostles (সেপ্টেম্বর ২৩, ১৯৯৫), "Gospel Topics  – The Family: A Proclamation to the World", LDS.org, LDS Church, সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১২-১১ . See also: The Family: A Proclamation to the World
  5. Pope Paul VI (১৯৬৮-০৭-২৫)। "Humanae Vitae: Encyclical on the Regulation of Birth"Vatican City: Libreria Editrice Vaticana। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১১-১২ 
  6. Pope Pius XI (১৯৩০-১২-৩১)। "Casti Connubii: Encyclical on Christian Marriage"Vatican City: Libreria Editrice Vaticana। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১১-১২ 
  7. Pope John Paul II (১৯৮১-১১-২২)। "Apostolic Exhortation Familiaris Consortio: On the Role of the Christian Family in the Modern World"Vatican City: Libreria Editrice Vaticana। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১১-১২ 
  8. Ericksen, Julia A; Ericksen, Eugene P; Hostetler, John A; Huntington, Gertrude E (জুলাই ১৯৭৯)। "Fertility Patterns and Trends among the Old Order Amish"। Population Studies33: 255–76। আইএসএসএন 0032-4728ওসিএলসি 39648293ডিওআই:10.2307/2173531 
  9. Kaufmann, Eric. 2011. Shall the Religious Inherit the Earth: Demography and Politics in the Twenty-First Century. London: Profile Books.
  10. Sneps .
  11. Toft, Monica Duffy (২০১১), "Wombfare: The Religious and Political Dimensions of Fertility and Demographic Change", Goldstone, JA; Kaufmann, E; Toft, M, Political Demography: identity, conflict and institutions, Boulder, CO: Paradigm Press .
  12. Nicoletta Balbo, Francesco C. Billari, Melinda Mills (২০১৩)। "Fertility in Advanced Societies: A Review of Research"European Journal of Population29 (1)। 
  13. Axinn, William G.; Clarkberg, Marin E.; Thornton, Arland (১৯৯৪)। "Family Influences on Family Size Preferences"। Demography31 (1): 65। আইএসএসএন 0070-3370ডিওআই:10.2307/2061908 
  14. Vignoli, Daniele and Rinesi, Francesca and Mussino, Eleonora (২০১৩)। "A home to plan the first child? Fertility intentions and housing conditions in Italy"Population, Space and Place