হিকমত সুলাইমান
হিকমত সুলাইমান | |
---|---|
১৮তম ইরাকের প্রধানমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ অক্টোবর ৩০, ১৯৩৬ – আগস্ট ১৭, ১৯৩৭ | |
সার্বভৌম শাসক | গাজি |
পূর্বসূরী | ইয়াসিন আল-হাশিমি |
উত্তরসূরী | জামিল আল-মিদফাই |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১৮৮৯ |
মৃত্যু | ১৯৬৪ |
রাজনৈতিক দল | পার্টি অব ন্যাশনাল ব্রাদারহুড |
হিকমত সুলাইমান (১৮৮৯ – ১৬ জুন, ১৯৬৪) (আরবি : حكمت سليمان) ইরাকের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি পার্টি অব ন্যাশনাল ব্রাদারহুড সরকারের প্রধান হিসেবে অক্টোবর ৩০, ১৯৩৬ থেকে আগস্ট ১২, ১৯৩৭ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাতিতে তুর্কমেন ছিলেন। ইরাকের স্বাধীনতা ও বহুজাতিক রাষ্ট্র গঠনের একজন প্রাণপুরুষ হিসেবে তাকে দেখা হয়। বকর সিদ্দিকির অভ্যুত্থানের পর তিনি ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। এটি দেশের প্রথম অভ্যুত্থান ছিল। তার অবস্থান রাজা গাজি কর্তৃক অনুমোদিত হয়।
বকর সিদ্দিকি জাতিতে কুর্দি ছিলেন। তারা দুজন পূর্ববর্তী ইরাকি সরকারগুলোর প্যান আরব জাতীয়তাবাদ থেকে সরে আসেন। হিকমত সুলাইমান ও বকর সিদ্দিকি তুরস্কের সাথে মৈত্রী স্থাপন করেন ও ইরানের সাথে সীমান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি করেন। তিনি এই দুই দেশকে আরব জাতীয়তাবাদী মনোভাবের বিরুদ্ধে কার্যকরী মিত্র হিসেবে দেখতেন। নতুন সরকারের ব্যাপারে তিনি সিদ্দিকির সাথে মতপার্থক্য প্রকাশ করেন। তার মতে সামাজিক সমস্যাগুলোকে অধিক গুরুত্ব দেয়া উচিত। অন্যদিকে সিদ্দিকি সামরিক ব্যাপারগুলোর দিকে বেশি মনোযোগী ছিলেন। সিদ্দিকি একই সাথে ইরাকের সীমান্ত বৃদ্ধির ব্যপারেও গুরুত্বারোপ করতেন।
১৯৩৭ সালে বকর সিদ্দিকির হত্যাকান্ডের পর তাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়।
রাজনৈতিক দপ্তর | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী ইয়াসিন আল-হাশিমি |
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী অক্টোবর ৩০, ১৯৩৬ - আগস্ট ১২, ১৯৩৭ |
উত্তরসূরী জামিল আল-মিদফাই |