হার্বি টেলর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
হার্বি টেলর
১৯৩১ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে হার্বি টেলর
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামহার্বার্ট উইলফ্রেড টেলর
জন্ম(১৮৮৯-০৫-০৫)৫ মে ১৮৮৯
ডারবান, নাটাল উপনিবেশ
মৃত্যু৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৩(1973-02-08) (বয়স ৮৩)
নিউল্যান্ডস, কেপ টাউন, দক্ষিণ আফ্রিকা
ডাকনামহার্বি
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি
ভূমিকাব্যাটসম্যান, অধিনায়ক
সম্পর্কড্যান টেলর (ভাই), ড্যানিয়েল টেলর (বাবা)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৭৭)
২৭ মে ১৯১২ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ টেস্ট২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৩২ বনাম নিউজিল্যান্ড
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৩৬ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স
১৯৩৩-১৯৩৫নাটাল
১৯৩২এমসিসি
১৯২৫-১৯৩০ট্রান্সভাল
১৯১০-১৯২৪নাটাল
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৪২ ২০৬
রানের সংখ্যা ২,৯৩৬ ১৩,১০৫
ব্যাটিং গড় ৪০.৭৭ ৪১.৮৬
১০০/৫০ ৭/১৭ ৩০/৬৪
সর্বোচ্চ রান ১৭৬ ২৫০*
বল করেছে ৩৪২ ১,১৮৫
উইকেট ২২
বোলিং গড় ৩১.২০ ২৫.৪৫
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৩/১৫ ৪/৩৬
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১৯/– ৭৫/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৬ আগস্ট ২০১৭

হার্বার্ট উইলফ্রেড টেলর, এমসি (ইংরেজি: Herbie Taylor; জন্ম: ৫ মে, ১৮৮৯ - মৃত্যু: ৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৩) ডারবানে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের পক্ষে ৪২ টেস্টে অংশগ্রহণ করেন তিনি। তন্মধ্যে, ১৮ টেস্টে দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন ‘হার্বি’ ডাকনামে পরিচিত হার্বি টেলর[১] ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে নাটাল, ট্রান্সভালওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। মূলতঃ ব্যাটিংয়ে অভিজ্ঞ ছিলেন তিনি। এক সময় দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাটিং পিচে নিজেকে একাকার করে ফেলেন। সংগৃহীত সাত সেঞ্চুরির ছয়টিই করেন নিজ দেশে। তার ব্যাটিংশৈলী খুব দ্রুত পায়ের কারুকাজের সাথে সম্পৃক্ত ও ব্যতিক্রমধর্মী ব্যাকপ্লের সাথে জড়িত ছিল।[২] প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার হিসেবে ২,৫০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। ১৯২৫ সালে উইজডেন কর্তৃক বর্ষসেরা ক্রিকেটার মনোনীত হন।[৩]

১৯১৩-১৪ মৌসুমে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত টেস্ট সিরিজে স্মরণীয় ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শন করেন তিনি। ৫০.৮০ গড়ে ৫০৮ রান তুলেন। ঐ সিরিজেই বিখ্যাত ইংরেজ বোলার সিডনি বার্নস মাত্র ১০.৯৩ গড়ে ৪৯ উইকেটের রেকর্ড গড়েছিলেন। ক্রিকেট ইতিহাসবেত্তা এইচ.এস. আল্থাম এ প্রসঙ্গে লিখেছেন যে, ‘তাঁর সুন্দরতম ব্যাটিং নৈপুণ্যের বিপক্ষে বার্নসের সেরা সময়কে একত্রে দেখার কথা ইংরেজ ক্রিকেটারগণ ভাবতেই পারেননি।’ নেভিল কারদাস মন্তব্য করেন যে, ‘ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি সকল টেস্টেই তাঁর সেরা দক্ষতা প্রকাশ করেছেন।’ এছাড়াও কারদাস টেলরকে গ্রেস-উত্তর সময়কালে সেরা ছয় ব্যাটসম্যানের অন্যতম হিসেবে চিত্রিত করেন।

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

ডারবানে জন্মগ্রহণকারী টেলর ১৯০৩ থেকে ১৯০৭ সময়কালে মাইকেলহাউজ স্কুলে অধ্যয়ন করতেন।[৪] এ সময়ে তিনি সাসেক্সের বোলার জর্জ কক্সের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।[৫] জানুয়ারি, ১৯১০ সালে সফরকারী এমসিসি দলের বিপক্ষে নাটালের প্রতিনিধিত্ব করেন। এভাবেই তার প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে। উভয় ইনিংসেই তিনি ব্যাটিং উদ্বোধনে নামেন ও যথাক্রমে ৫৫ ও ৩০ রান তুলেন।[৬] ১৯১০-১১ মৌসুমে কারি কাপে দ্বিতীয় সর্বাধিক রান সংগ্রাহকের ভূমিকায় অবতর্ণ হন।[৭] ফলশ্রুতিতে ১৯১২ সালে ইংল্যান্ড সফরে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের অন্যতম সদস্য মনোনীত হন টেলর।

ত্রি-দেশীয় প্রতিযোগিতা[সম্পাদনা]

১৯১২ সালে অনুষ্ঠিত ত্রি-দেশীয় প্রতিযোগিতা শুরুর পূর্বেকার শেষ প্রস্তুতিমূলক খেলায় ওরচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে টেলর ৮৩ রান তুলে দলের ইনিংস বিজয়ে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন। স্বাগতিক দলের ৫০ রানে গুটিয়ে যাবার পর জেরাল্ড হার্টিগানের সাথে উদ্বোধনী জুটিতে ১৪৬ রান সংগ্রহ করেন।[৮] ওল্ড ট্রাফোর্ডে প্রতিযোগিতার প্রথম খেলা অনুষ্ঠিত হয়। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলতে নামেন ও টেস্ট অভিষেক ঘটান টেলর। অস্ট্রেলিয়ার সংগৃহীত ৪৪৮ রানের জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস উদ্বোধনে নামেন। কিন্তু তিনি শূন্য রানে বিদায় নেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ফলো-অনের কবলে পড়ে। ৯৮ রানে অল-আউট হলে দল ইনিংস ব্যবধানে পরাভূত হয়। তবে, দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি দলের পক্ষে সর্বাধিক রান সংগ্রহ করেন। এবার তিনি ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন করেছিলেন।[৯] পরবর্তী দুই টেস্টে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয় তার দল। তবে রান সংগ্রহ করার জন্য তাকে সংগ্রাম করতে হয়। চার ইনিংসে তিনি মাত্র ৩৯ রান তুলেন।[১০] লর্ডসে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় টেস্টে প্রথমবারের মতো অর্ধ-শতক করেন। ছয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসে সংগৃহীত ২৬৩ রানের মধ্যে তিনি সর্বোচ্চ ৯৩ রান সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন।[১১] দক্ষিণ আফ্রিকার ৭৪/৫ থাকা অবস্থায় লুইস স্ট্রিকারের সাথে মূল্যবান ৯৭ রানের জুটি গড়ে এক ঘণ্টারও কিছুটা বেশি সময় নিয়ে। উইজডেন মন্তব্য করে যে, টেলরের ড্রাইভিংগুলো খুবই দর্শনীয় ছিল।[১২] প্রতিযোগিতার বাদ-বাকী দুই খেলায় তিনি আরও ৩১ রান তুলতে পেরেছেন। এ সিরিজে ১৯.৪০ গড়ে ১৯৪ রান তুলেন তিনি।[১৩] এ সিরিজটি দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য হতাশাব্যঞ্জক ছিল। ছয় টেস্টের পাঁচটিতে হেরে বসে দক্ষিণ আফ্রিকা। অন্যটি বৃষ্টির কারণে ড্রয়ে পরিণত হয়েছিল।[১৪] পুরো সফরে টেলর ১৩৪০ রান করেন যার তুলনায় কেবলমাত্র ডেভ নোর্স এগিয়ে ছিলেন।[১৫]

সিরিজ শেষে উইজডেন তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করে যে, ‘সুন্দর ব্যাটিং ভঙ্গীমা ও শক্তিশালী মারের সাহায্যে কিছুটা পুরনো হবার পূর্বেই তিনি প্রতিশ্রুতিশীলতার স্বাক্ষর রেখেছেন।’[১৫] ১৯১২-১৩ মৌসুমে টেলর নাটালের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন ও কারি কাপ জয়ে ভূমিকা রাখেন।[১৬] ট্রান্সভালের বিপক্ষে খেলা দিয়ে অধিনায়কত্বের সূত্রপাত ঘটান তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে ২২৫ মিনিটে অপরাজিত ২৫০* রান সংগ্রহ করেন ও দলকে ৩৮৪/৫ তুলে দলের ইনিংস ঘোষণা করেন। ঐ খেলায় কেবলমাত্র আর একজন খেলোয়াড় অর্ধ-শতকের কোটা অতিক্রম করতে পেরেছিলেন।[১৭] এই রানটিই তার প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনের সর্বোচ্চ সংগ্রহ হিসেবে রয়ে যায়।

১৯১৩-১৪ ইংল্যান্ড সফর[সম্পাদনা]

১৯১৩-১৪ মৌসুমে ইংল্যান্ড (মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব) দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যায়। টেস্ট খেলা শুরুর পূর্বে পিটারমারিৎজবার্গের সিটি ওভালে নাটালের বিপক্ষে সফরকারী দল খেলতে নামে। টেলর দলের ১২৪ রানের মধ্যে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ৮৩ রান তুলে অপরাজিত থাকেন। দ্বিতীয় ইনিংসেও অপরাজিত ৪২* তুলে খেলাটিকে ড্রয়ের দিকে নিয়ে যান।[১৮] ফলশ্রুতিতে ডারবানে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে খেলার জন্য মনোনীত হন। ঐ খেলায় তিনি প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকা দলের অধিনায়কত্ব করেন। টসে জয়লাভ করে ব্যাটিং বেছে নেন ও অভিষেক টেস্ট সেঞ্চুরি হাঁকান। তিন ঘণ্টা ২০ মিনিট সময় নিয়ে ১০৯ রান তুলেন তিনি।[১৯] উইজডেন তার ইনিংসটিকে অপূর্ব ব্যাটিংশৈলীর প্রদর্শনরূপে ঘোষণা করে ও মন্তব্য করে যে, তিনি যথাযথভাবে [সিডনি] বার্নসকে আত্মবিশ্বাসের সাথে মোকাবেলায় সমর্থ হয়েছিলেন।[১৯] কিন্তু দলীয় সঙ্গীদের কাছ থেকে তিনি খুব কমই সহযোগিতা পেয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ১৮২ রানে অল-আউট হয়। দ্বিতীয় ইনিংসে স্বাগতিক দল মাত্র ১১১ রান তুললে ইংল্যান্ড ইনিংস ব্যবধানে জয় তুলে নেয়। দ্বিতীয় ইনিংসে টেলর করেছিলেন আট রান।[২০] জোহেন্সবার্গের দ্বিতীয় টেস্টেও ইংল্যান্ড দল ইনিংস ব্যবধানে জয়লাভ করে। সিডনি বার্নস খেলায় ১৭/১৫৯ রান তুলে তৎকালীন বিশ্বরেকর্ড স্থাপন করেন। দুইবারই টেলর তার হাতে ধরা পড়েন ২৯ ও ৪০ রানে।[২১]

জোহেন্সবার্গে পুনরায় অনুষ্ঠিত তৃতীয় টেস্টে নিজস্ব সেরা বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন টেলর। ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে তিনি ১০ ওভারে ৩/১৫ লাভ করেন। তন্মধ্যে, উইলফ্রেড রোডসকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলে নিজস্ব প্রথম টেস্ট উইকেট লাভ করেন। ফ্রাঙ্ক ওলিমরিস বার্ড তার অন্য দুই শিকারে পরিণত হন। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি বোলিং উদ্বোধনে নামেন। যদিও বেশ রান দিয়ে ফেলেন, তবুও উইলফ্রেড রোডসকে পুনরায় আউট করেন তিনি। ব্যাটিংয়ে নেমে তিনি ১৪ ও ৭০ রান তুলেন। তন্মধ্য, শেষ ইনিংসটিতে বিলি জাল্কের সাথে ১৫৩ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন।[২২] তৃতীয় ও চতুর্থ টেস্টের মাঝখানে ছয় সপ্তাহের বিরতি ছিল। এ সময়ে এমসিসি সাতটি সফরকালীন খেলায় অংশ নেয়।[২৩] শেষ তিনটি খেলায় নাটালের বিপক্ষে অবতীর্ণ হয় তারা। শুরুর দিকে নির্ধারিত খেলাগুলোর ন্যায় স্বাগতিক দলের রান সংগ্রহেও টেলর তার ভূমিকা অব্যাহত রাখেন। নিম্নমুখী রানের খেলায় দলের ১৫৩ রানের মধ্যে তিনি ৯১ ও ২১৬/৬-এর মধ্যে তিনি করেন ঠিক ১০০ রান যাতে নাটাল দল ৪ উইকেটের ব্যবধানে জয় তুলে নেয়। কেবলমাত্র অপর একজন ব্যাটসম্যানই অর্ধ-শতকের সন্ধান পান।[২৪]

ডারবানে অনুষ্ঠিত সিরিজের চতুর্থ টেস্টে সিডনি বার্নসের অবিস্মরণীয় ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন স্বত্ত্বেও দক্ষিণ আফ্রিকা দল পরাজয় এড়াতে সক্ষমতা দেখায়। বার্নস আরও ১৪ উইকেট নিয়ে সিরিজে প্রাপ্ত উইকেট সংখ্যাকে ৪৯-এ নিয়ে যান। উভয় ইনিংসেই তিনি বার্নসের শিকারে পরিণত হয়েছিলেন। প্রথম ইনিংসে ১৬ ও দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ৯৩ রান। এ প্রসঙ্গে উইজডেন মন্তব্য করে যে, ‘প্রত্যাশার তুলনায়ও তিনি অধিক রান তুলেছেন তিনি।’[২৫] দ্বিতীয় ইনিংসে টেস্ট অভিষেক ঘটা জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা ড্যানিয়েল টেলরের সাথে ৬৯ রানের মূল্যবান জুটি গড়েন।[২৬] পোর্ট এলিজাবেথে পঞ্চম ও চূড়ান্ত টেস্টে টেলর ৪২ ও ৮৭ রান করেন। তাস্বত্ত্বেও দল দশ উইকেটে পরাজিত হয়েছিল। এ ইনিংসে বিলি জাল্কের সাথে শতরানের জুটি গড়েন যা সিরিজে দ্বিতীয়বারের মতো ছিল। এবার তারা ১২৯ রানের জুটি গড়েন।[২৭] সিরিজে দল ৪-০ ব্যবধানে পরাজিত হলেও টেলর উভয় দলের পক্ষে ১০ ইনিংসে ৫০৮ রান তুলে উভয় দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। ২২৭ রান নিয়ে দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহকারী হন ফিলিপ হ্যান্ডস[২৮] ১০.৯৩ গড়ে ৪৯ উইকেট লাভকারী ও টেস্ট রেকর্ড সৃষ্টিকারী বার্নসের বোলিং মোকাবেলা করে তিনি এ সক্ষমতা দেখান।[২৯] ক্রিকেট ইতিহাসবেত্তা এইচ. এস. আল্থাম এ প্রসঙ্গে লিখেন যে, ‘ইংরেজ ক্রিকেটারগণ একমত যে, তাঁর ব্যাটিং বার্নসের সেরা বোলিংয়ের বিপক্ষে ছিল যা কেউ দেখবেন আশা করেননি।’[৫] নেভিল কারদাস ১৯৫৫ সালে উইজডেনে লিখেন যে,

তাঁর মৃত্যুদূত বার্নসের বিপক্ষে এইচ. ডব্লিউ. টেলর যেভাবে বোলিং মোকাবেলা করে অগ্রসর হয়েছেন ও প্রত্যেক টেস্টেই খুব সহজে রান তুলতে পেরেছেন তা নিশ্চয়ই প্রশংসার দাবীদার। অমর ব্যাটসম্যান হিসেবে বহুবার বার্নসকে মোকাবেলা করেছেন ও সর্বদাই তাঁকে অন্যপ্রান্তে দলের উইকেট পতন দেখতে হয়েছে। এইচ. ডব্লিউ. টেলরকে অবশ্যই গ্রেস-উত্তর যুগের ছয়জন শীর্ষসারির ব্যাটসম্যানের অন্যতম হিসেবে বিবেচনায় আনতে হবে।[৩০]

এছাড়াও কারদাস টেলরের ক্রীড়ানৈপুণ্যের বিষয়ে লেখেন যে, ‘একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি সকল টেস্টেই তাঁর সর্বাত্মক প্রচেষ্টা ও দক্ষতার অপূর্ব সংমিশ্রণ ঘটিয়েছেন।’[৩১]

যুদ্ধ পরবর্তী সময়কাল[সম্পাদনা]

প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী টেলর মিলিটারি ক্রস প্রাপক হন। ১৮ মাস রয়্যাল ফিল্ড আর্টিলারি বিভাগে ও দুই বছর রয়্যাল ফ্লাইং কোরে কর্মরত ছিলেন তিনি।[৩২] ১৯১৯-২০ মৌসুমে ক্রিকেট পুনরায় শুরু হলে এপ্রিল, ১৯২০ সালে নাটালের সদস্যরূপে ট্রান্সভালের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত খেলার মাধ্যমে খেলার জগতে ফিরে আসেন তিনি। খেলায় তিনি ৭৬ রান সংগ্রহ করলেও ডেভ নোর্সের অপরাজিত ৩০৪* রানের কল্যাণে তা চোখেই পড়েনি কারোরই।[৩৩] ঐ মৌসুমে এটিই একমাত্র খেলা ছিল। তবে, ১৯২০-২১ মৌসুমে আনুষ্ঠানিক প্রতিযোগিতা কারি কাপের পুণঃপ্রচলন ঘটে। অরেঞ্জ ফ্রি স্টেটের বিপক্ষে উদ্বোধনী খেলায় তিনি ১৫০ রান তুলেন ও ৫৩.১৪ গড়ে ৩৭২ রান রান।[৩৪]

যুদ্ধ পরবর্তীকালে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম আন্তর্জাতিক খেলায় অস্ট্রেলিয়ার মোকাবেলা করে। ১৯২১-২২ মৌসুমে দলটি দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে আসে। সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেয়ার আট বছরের বিরতি থাকা স্বত্ত্বেও হার্বি টেলর অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। ডারবানের প্রথম টেস্টে এক রানে আউট হন। দ্বিতীয় ইনিংসে অবস্থান পরিবর্তন করে চার নম্বরে নামেন যা সিরিজের সকল টেস্টে এ অবস্থান বজায় রাখেন। অপরিচিত অবস্থানে থেকে তিনি ২৯, ৪৭, ৮০, ২৬ ও ১৭ রান[১০] তুলে সিরিজে সর্বমোট ২০০ রান করেন ৩৩.৩৩ গড়ে।[১৩] প্রথম দুই টেস্ট ড্র হলেও কেপ টাউনের তৃতীয় খেলায় দশ উইকেটের বিজয়ে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ জয় করে।[৩৫]

১৯২২-২৩ ইংল্যান্ড সফর[সম্পাদনা]

পরের বছর ইংল্যান্ড দল দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যায়। নয় বছর পূর্বেকার টেলরকে তার সেরা সময়ে অবস্থানে থাকতে দেখা যায়। জোহেন্সবার্গে সিরিজের প্রথম টেস্টে তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে মনোমুগ্ধকর ১৭৬ রানের ইনিংস উপহার দেন তিনি। দলের পরবর্তী সেরা সংগ্রহ ছিল ৫০।[৩৬] এ ইনিংসে টেলর ২৫ বাউন্ডারির মার মেরেছিলেন ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকান যে-কোন ব্যাটসম্যানের সেরা সংগ্রহ ছিল।[৩৭] খেলায় দক্ষিণ আফ্রিকা ১৬৮ রানের ব্যবধানে জয় তুলে নেয়। এটিই টেলরের অধিনায়কসহ টেস্ট খেলোয়াড় হিসেবে প্রথম টেস্ট জয় ছিল।[৩৮] দ্বিতীয় টেস্টে করেন ৯ ও ৬৮ রান, যাতে ইংল্যান্ড নাটকীয়ভাবে এক উইকেটের ব্যবধানে জয়ী হয়।[৩৯] ডারবানে অনুষ্ঠিত তৃতীয় টেস্টে পুনরায় ব্যাটিং উদ্বোধনে নামেন। খেলায় তিনি ৯১ রান তুলেন ও বব ক্যাটারলের সাথে ১১০ রানের জুটি গড়েন। তৃতীয় দিন বৃষ্টির কারণে খেলা পণ্ড হলে নিশ্চিতরূপেই চারদিনের টেস্ট খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হয়।[৪০] চতুর্থ টেস্টও ড্র হয়। চার নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে তিনি ১১ তুলেন ও দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং উদ্বোধন করতে এসে ১০১ রানের ইনিংস গড়েন। উইজডেন মন্তব্য করে যে, ‘পরাজয়ের ভয় না থাকলে তিনি আনন্দচিত্তে ব্যাটিংয়ে মনোনিবেশ ঘটান টেলর, খেলায় প্রভূত্বঃ দেখান। কিন্তু খুব কমই ভাগ্যের সহায়তা পেয়েছেন তিনি।’[৪১]

১-১ ব্যবধানে সিরিজ এগিয়ে যায়। পঞ্চম ও চূড়ান্ত টেস্টটি সিরিজের জয় নির্ধারণে অসীম সময়ের করা হয়। ইংল্যান্ডের সি. এ. জি. রাসেল খেলায় দুইটি শতরান করেন। চতুর্থ ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের জন্য ৩৪৪ রানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। টেলর নামেন চার নম্বরে। দীর্ঘ সাড়ে চার ঘণ্টারও বেশি সময় নিয়ে ১০২ রানের ইনিংস খেললেও সতীর্থদের কাছ থেকে খুব কমই সহায়তা পেয়েছেন তিনি। ফলশ্রুতিতে দক্ষিণ আফ্রিকা দল ১০৯ রানের ব্যবধানে পরাজিত হতে বাধ্য হয়।[৪২] ৬৪.৬৬ গড়ে ৫৮২ রান সংগ্রহ করে উভয় দলের মধ্যে শীর্ষস্থানে আরোহ করেন। দক্ষিণ আফ্রিকানদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের ছিল ২৭৮ রান।[৪৩] অধিনায়ক হিসেবে সিরিজে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের দিক দিয়ে রেকর্ড গড়েন যা পরবর্তীতে ১৯৩৬ সালে ডন ব্র্যাডম্যান ভেঙ্গে ফেলেন।[৪৪] এ সিরিজে তিনি তিনটি সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান রেকর্ড গড়েন। কেবলমাত্র জ্যাকুয়েস ক্যালিস ২০০৩-০৪ মৌসুমে তার তুলনায় ভালো করেন।[৪৫] উইজডেন এ সিরিজ সম্পর্কে প্রতিবেদনে উল্লেখ করে যে, ‘এইচ. ডব্লিউ. টেলর ব্যাটসম্যান হিসেবে স্বয়ং নিজের শ্রেণীকেই পরিচিতি ঘটিয়েছেন।’[৪৬]

১৯২৪ ইংল্যান্ড সফর[সম্পাদনা]

অধিনায়করূপে হার্বি টেলর ও আর্থার জিলিগান

১৯২৩-২৪ মৌসুমে টেলর কেবলমাত্র দুই খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। এরপর ১৯২৪ সালে ইংল্যান্ড সফরে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সদস্য মনোনীত হন।[৪৭] ১৯২৪ সালে হার্বি টেলরের নেতৃত্বে দক্ষিণ আফ্রিকা দল ইংল্যান্ড গমন করে। টেস্ট সিরিজটিতে সফরকারী দল ৩-০ ব্যবধানে পরাজিত হয় ও দুই খেলায় ড্র করে। উইজডেনে দলের ব্যর্থতার জন্য বোলিং দূর্বলতাকে তুলে ধরে।[৪৮]

সফরের শুরুরদিকে তার ক্রীড়াশৈলী বেশ দূর্বলমানের ছিল। প্রথম টেস্টের পূর্বে ১১ খেলায় ১৮ ইনিংসে মাত্র দুইটি অর্ধ-শতক করতে পেরেছিলেন।[৪৭] এজবাস্টনের প্রথম টেস্টে তিনি ৭ ও ৩৪ রান তুলেন। তন্মধ্যে, ১২.৩ ওভারের গুটিয়ে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসে সংগৃহীত ৩০ রানের মধ্যে তার ইনিংসটিই সর্বোচ্চ ছিল।[৪৯] দলীয় এ সংগ্রহটি টেস্টের সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহের সমান অবস্থানে ছিল। পূর্বেকার ৩০ রানও দক্ষিণ আফ্রিকা-ইংল্যান্ডের মধ্যকার খেলায় হয়েছিল।[৫০] স্মরণীয় যে, টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে একমাত্র ঘটনা হিসেবে এ ইনিংসে কোন ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্কের কোটায় পৌঁছুতে সক্ষমতা দেখাতে পারেননি।[৫১] দ্বিতীয় ইনিংসে দল ৩৯০ রান তুললেও ইনিংস ও ১৮ রানের ব্যবধানে পরাজিত হয় দক্ষিণ আফ্রিকা দল। লর্ডসের দ্বিতীয় টেস্টেও দল একই ব্যবধানে পরাজয়বরণ করে। এ টেস্টে টেলর চার ও আট রান তুলেন।[৫২]

দ্বিতীয় ও তৃতীয় টেস্টের বিরতিতে তিনটি প্রস্তুতিমূলক খেলার আয়োজন করা হয়।[৫৩] দ্বিতীয় খেলায় নর্দাম্পটনশায়ারের বিপক্ষে ১১৬ রানের সেঞ্চুরিসহ দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান তুলেন। এ সেঞ্চুরিটি সফরে তার দ্বিতীয় শতক ছিল। তৃতীয় খেলা শেষে দক্ষিণ আফ্রিকা এজবাস্টনে খেলে। এবার দলটি ওয়ারউইকশায়ারের মুখোমুখি হয়। উভয় ইনিংসেই তিনি ৯৪ ও ১১৬ রান তুলেন।[৫৪] তৃতীয় টেস্টও তার এই চমৎকার ক্রীড়ানৈপুণ্য অব্যাহত থাকে। খেলায় তিনি অপরাজিত ৫৯ ও ৫৬ রান সংগ্রহ করেন। এ সময়ে বব ক্যাটারলের সাথে ৫৪ ও ৯৯ রানের জুটি গড়েন যারা ধারাবাহিকভাবে তিনটি ইনিংস পরাজয় দেখেন। কিন্তু এবার তারা নয় উইকেটে হেরে বসেন।[৫৫] বৃষ্টির কারণে সিরিজের শেষ দুই টেস্টে প্রভাববিস্তার করে ও ড্রয়ে পরিণত হয়। ওল্ড ট্রাফোর্ডে তিনি অপরাজিত ১৮* ও ওভালে ১১ রান তুলেছিলেন টেলর।[১০] সিরিজে তিনি ৩২.৮৩ গড়ে ১৯৭ রান পান।[১৩] উইজডেন তার অবদানকে হতাশাব্যঞ্জকরূপে আখ্যায়িত করে তবে মন্তব্য করে যে, ‘সন্দেহ নেই যে, পরাজিত দলের অধিনায়ক হিসেবে তিনি দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত ছিলেন। যদি তিনি নিজ ব্যাটিং নিয়ে চিন্তা না করতেন তাহলেই বেশ ভাল করতেন।’[৫৬] এ সফরে তিনি ৩৪টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেন। ১,৮৯৮ রান তুলেন যা ডেভ নোর্সের তুলনায় কিছুটা কম ছিল। তবে, ৪২.১৭ গড়ে শীর্ষস্থানে ছিলেন তিনি।[৫৭]

১৯২৪ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে হার্বি টেলর

১৯২৭-২৮ ইংল্যান্ড সফর[সম্পাদনা]

কোন আন্তর্জাতিক সফর বাদেই দক্ষিণ আফ্রিকা দল তিন মৌসুম অতিবাহিত করে। এ সময়ে ১৯২৫-২৬ মৌসুমের পূর্বে টেলর নাটাল থেকে ট্রান্সভালে চলে যান। নতুন দলের সাথে প্রথম মৌসুম বেশ সফলভাবে পার করেন। কারি কাপের শিরোপা জয়ে নেতৃত্ব দেন ও ৬৮.৮০ গড়ে ৩৪৪ রান তুলেন। পরের মৌসুমে ৮০.১৬ গড়ে ৪৮১ রান করে ট্রান্সভালের শিরোপা অক্ষুণ্ন রাখতে সহায়তা করেন।[৫৮]

১৯২৭-২৮ মৌসুমে ইংল্যান্ড দক্ষিণ আফ্রিকায় পাঁচ-টেস্টের সিরিজ খেলার জন্য আসে। টেলর তখন অধিনায়কের দায়িত্বের বাইরে অবস্থান করেন ও নামি ডিন তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবে সফলতা লাভের প্রেক্ষিতে নামি ডিনকে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১৯২৭-২৮ মৌসুমে সফরকারী ইংরেজ দলের বিপক্ষে পূর্বেকার সফরে নেতৃত্বদানকারী হার্বি টেলরকে বড় ধরনের খেলায় চাপ অনুভব করায় নামি ডিনকে এ অধিনায়কত্ব প্রদান করা হয়েছিল।[৪৮]

তাস্বত্ত্বেও তিনি দেশের শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে সর্বসমক্ষে তুলে ধরেন ও সিরিজে রান সংগ্রহের দিক দিয়ে শীর্ষে ছিলেন। জোহেন্সবার্গের প্রথম টেস্টে তিনি ৩১ ও ৪ রান তুলেন যাতে সফরকারী দল দশ উইকেটে জয় পায়।[৫৯] কেপ টাউনের দ্বিতীয় টেস্টে ৬৮ ও ৭১ করেন। তন্মধ্যে, দ্বিতীয় ইনিংসে মিক কোমেইলের সাথে ১১৫-রানের জুটি গড়েছিলেন।[৬০] তৃতীয় টেস্টে অর্ধ-শতক করার পর চতুর্থ টেস্টের প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করেন। এরফলে দল চার উইকেটে জয় তুলে নেয় এবং সিরিজকে ১-১ ব্যবধানে এগিয়ে নিয়ে যায় ও সজীব রাখে।[৬১] উইজডেন টেলরের ১০১ রানের ইনিংস সম্পর্কে মূল্যায়ন করে যে, ‘তিনি বোলারদের উপর ছড়ি ঘুরিয়েছেন ও তারপর স্বাভাবিকভাবে রান তুলতে থাকেন। ১৭০ রানের মধ্যে তার ১০১ রানটি এসেছিল দুই ঘণ্টা ও পঁচিশ মিনিটে।’[৬২] পঞ্চম ও চূড়ান্ত টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকা আট উইকেটে বিজয়ী হয় ও সিরিজ জয় করে। তার টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবনের প্রথমবারের মতো সিরিজে পরাজিত দলের সদস্য হননি। সিরিজ শেষে টেলর দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন ৪১২। তবে, কিছুটা ব্যবধানে ব্যাটিং গড়ে বব ক্যাটারল এগিয়েছিলেন।[৬৩]

১৯২৯ ইংল্যান্ড সফর[সম্পাদনা]

১৯২৯ সালে তৃতীয়বারের মতো ইংল্যান্ড সফরে যান টেলর। তরুণ ও অনভিজ্ঞ দলের মধ্যে তিনজনের একজন হিসেবে এরপূর্বে ইংল্যান্ড সফরকারী ছিলেন তিনি।[৬৪] ড্র হওয়া প্রথম টেস্টে তিনি দুই রান তুলেন। আঘাতের কারণে দ্বিতীয় ও তৃতীয় টেস্ট খেলার সুযোগ ঘটেনি তার। ১৯১২ সালে টেস্ট অভিষেকের পর এটিই প্রথমবারের মতো টেস্ট দলের বাইরে থাকতে হয় তাকে। পরাজয়ের বৃত্তে অবস্থান করেও ওল্ড ট্রাফোর্ডের চতুর্থ টেস্টে দুইটি আক্রমণাত্মক ইনিংস উপহার দেন। প্রথম ইনিংসে ৩২ রানের মধ্যে তার অংশগ্রহণ ছিল ২৮ ও দ্বিতীয় ইনিংসে আউট হবার পূর্বে ১১৩ রানের মধ্যে করেন ৭০ রান। উইজডেন তার ড্রাইভিং সম্বন্ধে ভূয়সী প্রশংসা করে। তিনি তার সর্বশক্তি ও নিশ্চয়তার সাথে এগিয়ে যান।[৬৫]

ইতিমধ্যেই দক্ষিণ আফ্রিকা দল সিরিজে পরাজিত হয়েছে। ওভালের পঞ্চম ও চূড়ান্ত টেস্টে নিজ দেশের বাইরে প্রথম সেঞ্চুরি করেন। দলীয় সংগ্রহ ২০/৩ থাকা অবস্থায় মাঠে নেমে ১২ বাউন্ডারি সহযোগে ১২১ রান তুলেন। দলীয় অধিনায়ক নামি ডিনের সাথে চতুর্থ উইকেটে ১৯০ মিনিটে ২১৪ রানের মহামূল্যবান জুটি গড়েন। উইজডেনে উল্লেখ করা হয়, ‘উভয় খেলোয়াড়ের ব্যাটিং বেশ উচ্চমার্গের ছিল। খেলার অবস্থান ও দক্ষতায় তাঁরা খুব সহজেই তাঁদের ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেছেন যা পুরো টেস্ট সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকানদের সেরা ইনিংস ছিল।’[৬৬] এ জুটি চতুর্থ উইকেটে রেকর্ড গড়ে যা পরবর্তীতে ২০০৩ সালে জ্যাক ক্যালিস-গ্যারি কার্স্টেন ভেঙ্গে ফেলতে সমর্থ হন।[৬৭] খেলাটি ড্র হয়েছিল।[৬৮] উইজডেনে লেখা হয় যে, উভয় খেলোয়াড়ই অত্যন্ত উচ্চমার্গীয় ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেছেন। দলের অবস্থান বিবেচনা করলে টেস্ট সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকানদের কাছে থেকে সেরা হিসেবে বিবেচ্য।[৬৯] এ সেঞ্চুরির কল্যাণে সিরিজে টেলর ৫৫.২৫ গড়ে ২২১ রান তুলেন।[১৩] সফরশেষে উইজডেন মন্তব্য করে, যদিও পূর্বেকার বছরের ন্যায় ব্যক্তিগতভাবে নিজকে মেলে ধরতে সমর্থ হননি; তবুও তিনি ইংরেজদের চোখে সর্বাপেক্ষা ভয়ঙ্কর ব্যক্তি ছিলেন।[৬৪] সমগ্র সফরে তিনি ৩৮.৪১ গড়ে ১,৫৭৫ রান পান যা সফরকারীদের মধ্যে গড়ে সর্বোচ্চ ছিল।[৭০]

১৯৩০-৩১ ইংল্যান্ড সফর[সম্পাদনা]

১৯২৯-৩০ মৌসুমে কারি কাপের দুই খেলায় অংশ নেন। মৌসুমের শেষ দুই খেলায় ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স ও রোডেশিয়ার বিপক্ষে তিনি যথাক্রমে ১৪২ ও ১৩৯ রান করে পাঁচ মৌসুমের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো ট্রান্সভালকে শিরোপা জয়ে সহায়তা করেন।[৪৭] পরের মৌসুমে ইংল্যান্ড দল পাঁচ-টেস্টের সিরিজ খেলতে আসে। এ সিরিজে জয়ের ফলে ১৯১০ সালের পর প্রথম সিরিজ জয় দেখে দক্ষিণ আফ্রিকা দল।[৭১] প্রথম টেস্ট না খেললেও দক্ষিণ আফ্রিকা ২৮ রানের জয় তুলে নেয়।[৭২] কেপ টাউনের দ্বিতীয় টেস্টে ফিরে আসেন ও নিজস্ব সপ্তম টেস্ট শতক পান।[৭৩] খেলায় দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে তিনজন সেঞ্চুরিকারীর একজন হলেও টেলরের ১১৭ রানকে উইজডেন ‘সর্বাপেক্ষা আক্রমণাত্মক ব্যাটিংশৈলীর অপূর্ব নিদর্শনরূপে’ মন্তব্য করে।[৭৪] ফলো-অনের কবলে পড়েও ইংল্যান্ড খেলাটিকে ড্রয়ের দিকে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়।[৭৫] তৃতীয় খেলাটিও ড্রয়ে পরিণত হয়।[৭৬] তবে, এবার ইংল্যান্ড দল ভালো খেলা প্রদর্শন করে। দ্বিতীয় ইনিংসে দলীয় সংগ্রহ ১৪৫/৮ হলেও টেলর করেন অপরাজিত ৬৪* করে ড্র নিশ্চিত করেন। চতুর্থ টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৭২ রান করে শীর্ষস্থানে ছিলেন। এরফলে দক্ষিণ আফ্রিকা ফলো-অনের কবলে পড়েও গুরুত্বপূর্ণভাবে ড্রয়ের দিকে নিয়ে যেতে সক্ষমতা দেখান। সিরিজে সমতা আনয়ণের জন্য পঞ্চম টেস্টে ইংল্যান্ড খেলতে নামে। কিন্তু দলটি প্রথম ইনিংসে দ্রুততার সাথে দক্ষিণ আফ্রিকাকে অল-আউট করতে ব্যর্থ হয়। এরপর থেকেই স্বাগতিক দল খেলার নিয়ন্ত্রণভার গ্রহণ করে। দক্ষিণ আফ্রিকা খেলা ড্র করে ও পাশাপাশি ১-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে। এটিই টেলরের টেস্ট খেলোয়াড় হিসেবে প্রথম সিরিজ জয় ছিল।[৭৭]

১৯৩১-৩২ অস্ট্রেলিয়া সফর[সম্পাদনা]

১৯১০-১১ মৌসুমের পর প্রথমবারের মতো ১৯৩১-৩২ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা দল। ঐ দেশে এটিই টেলরের প্রথম সফর ছিল। ড্রয়ের কোন সম্ভাবনা ছিল না। অস্ট্রেলিয়ায় ঐ সময় অসীম সময়ের টেস্ট ছিল ও টেস্ট সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকা হোয়াইটওয়াশ হয়। এর অন্যতম কারণ ছিল চার সেঞ্চুরিসহ ৮০৬ রান সংগ্রহকারী ডন ব্র্যাডম্যানের একাধিপত্য।[৭৮] ব্রিসবেনে প্রথম খেলায় টেলর করেন ৪১ ও ৪৭ রান। সিডনি টেস্টে করেন ৭ ও ৬ রান।[১০] উভয় টেস্টেই দক্ষিণ আফ্রিকা দল বিরাট ব্যবধানে পরাজিত হয়।[৭৯] তৃতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৬০ রানে এগিয়ে থাকলেও দলটি ১৬৯ রানে হেরে যায়। ঐ টেস্টে টেটের ১১ ও ৩৮ রান করেছিলেন।[১০] অ্যাডিলেডের চতুর্থ টেস্টে সিরিজের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস খেলেন। ৭৮ ও ৮৪ রান করেন। উভয় ইনিংসেই তিনি ব্রুস মিচেলের সাথে শতরানের জুটি গড়েন। কিন্তু ক্ল্যারি গ্রিমেটের ১৪ উইকেট লাভের প্রেক্ষিতে অস্ট্রেলিয়া ১০ উইকেটে জয়ী হয়।[৮০] পঞ্চম টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকা উভয় ইনিংসে তুলে মাত্র ৩৬ ও ৪৫ রান। এরফলে ইনিংসের ব্যবধানে জিতে যায় অস্ট্রেলিয়া।[৮১] প্রথম ইনিংসে শূন্য রান ও দ্বিতীয় ইনিংসে দুই রান করেন টেলর। টেস্ট অভিষেকের পর এটিই তার শূন্য রান প্রাপ্তির ঘটনা ছিল তার। ৭২তম ইনিংসে এ শূন্য রান প্রাপ্তি তৎকালীন টেস্ট রেকর্ডরূপে বিবেচিত ছিল।[৮২] মিচেলের পর ৩১৪ রান নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন তিনি। সমগ্র সফরেও তিনি মিচেলের পরবর্তী স্থানে ছিলেন।[৮৩] ৮১৩ রানের মধ্যে নিউ সাউথ ওয়েলসের বিপক্ষে একটি সেঞ্চুরিও হাঁকিয়েছিলেন তিনি।[৮৪][৮৫]

অস্ট্রেলিয়া সফরের পর নিউজিল্যান্ডে দুই টেস্টে খেলার জন্য গমন করেন। প্রথম টেস্ট শুরুর পূর্বে অকল্যান্ডের বিপক্ষে প্রস্তুতিমূলক খেলায় টেলর ১১৩ রান তুলেন।[৮৬] তবে, ক্রাইস্টচার্চে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে তিনি তেমন ভালো খেলেননি। উদ্বোধনী জুটিতে বিশাল সংগ্রহের পর তিনি মাত্র নয় রানে ক্রিজ থেকে ফেরৎ আসেন।[৮৭] এটিই টেস্ট ক্রিকেটে তার সর্বশেষ ইনিংস ছিল।[১০] দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর পূর্বে তিনি এ স্তরের ক্রিকেট থেকে অবসরের কথা ঘোষণা করেন।[৮৮]

অবসর[সম্পাদনা]

টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ার পরও সংক্ষিপ্তকালের জন্য প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলা চালিয়ে যান। ১৯৩২ সালে ইংল্যান্ডে অবস্থানকালে এমসিসি, জেন্টলম্যান, ইংল্যান্ড একাদশ ও ইংল্যান্ড বহির্ভূত একাদশের ন্যায় বিভিন্ন দলের পক্ষে খেলেন।[৪৭] ১৯৩২-৩৩ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকান ঘরোয়া ক্রিকেটে কেবলমাত্র একটি খেলায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। নাটালের সদস্যরূপে সাবেক দল ট্রান্সভালের বিপক্ষে মনোজ্ঞ ১৫৮ রানের ইনিংস খেলেন। পরবর্তী দুই মৌসুমে তিনি আরও আট খেলায় অংশ নিয়ে খেলোয়াড়ী জীবনের সাথে আরও দুইটি সেঞ্চুরি যুক্ত করেন।[৪৭] তার সর্বশেষ ৩০তম সেঞ্চুরিটি ৪৫ বছর বয়সে ডিসেম্বর, ১৯৩৪ সালে আসে। মার্চ, ১৯৩৬ সালে ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের পক্ষে একটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় সফরকারী অস্ট্রেলিয়া একাদশের বিপক্ষে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য খেলেন।[৪৭]

খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর বিদ্যালয়ের ছাত্রদেরকে প্রশিক্ষণের দায়িত্ব নেন। নিউল্যান্ডস গ্রাউন্ডের কাছেই কেপ টাউনে তিনি বসবাস করতেন। ৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৩ তারিখে ৮৩ বছর বয়সে সেখানেই হার্বি টেলরের দেহাবসান ঘটে।[৫]

অর্জনসমূহ[সম্পাদনা]

অবসরগ্রহণকালীন সময়ে টেলর একগুচ্ছ দক্ষিণ আফ্রিকান টেস্ট ব্যাটিং রেকর্ড রেখে যান। তন্মধ্যে, সর্বাধিক ২,৯৩৬ রান, ৭ সেঞ্চুরি ও ১৬ অর্ধ-শতক। অব্রে ফকনারের ৪০.৭৯ গড়ের তুলনায় তিনি স্বল্প দূরত্বে ৪০.৭৭ নিয়ে অবস্থান করছিলেন।[৮৯] তবে, ১৯৪০-এর দশকে এ কীর্তিময় রেকর্ডগুলোর সবকটিই ব্রুস মিচেল ভেঙ্গে ফেলেন।[৯০] দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাটিং পিচেই অধিকতর সফলতা লাভ করেছেন। দেশে তার ব্যাটিং গড় ছিল ৪৮.৮০ ও ছয়টি সেঞ্চুরি করেন। এর তুলনান্তে বিদেশে তার ব্যাটিং গড় ছিল ৩০.১৬ ও ২০ টেস্টে অংশ নিয়ে মাত্র একটি সেঞ্চুরি করতে পেরেছেন।[৯১] নিজ দেশে ২,০০১ রান করেন ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পূর্ব-পর্যন্ত রেকর্ডরূপে চিহ্নিত ছিল।[৯২]

টেলরের খেলোয়াড়ী জীবনের অধিকাংশ সময়ই কেবলমাত্র অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড - এ দুইটি দেশের সাথে জড়িত ছিল। আর একটি খেলা নিউজিল্যান্ড দলের সাথে খেলেন যা ছিল তার সর্বশেষ টেস্ট। এছাড়াও, অংশগ্রহণকৃত ৪২ টেস্টের ৩০টিই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেন।[৯১] সেঞ্চুরির সবগুলি ও ২,২৮৭ রান এ দলটির বিপক্ষে করেন। ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার টেস্ট খেলায় কেবলমাত্র মিচেলই সর্বাধিক রান সংগ্রাহক। সাত সেঞ্চুরির সাথে ব্রুস মিচেল, ডাডলি নোর্স, ডেনিস কম্পটন ও জ্যাক ক্যালিস যৌথভাবে সংযুক্ত থাকেন।[৯৩]

কারি কাপ প্রতিযোগিতার খেলায় তিনি ৫৮.৬৫ গড়ে ৩,২২৬ রান সংগ্রহ করেন।[৫] সাতবার চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা বিজয়ী দলের সদস্য ছিলেন। চারটি ছিল নাটালের পক্ষে ও তিনটি ট্রান্সভালের।

টেলর তার দেশকে চারটি সিরিজে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এ সময়ে সর্বমোট ১৮ টেস্টে অংশগ্রহণ করে ৪৭.৯৬ গড়ে রান তুলে ব্যক্তিগতভাবে সফল হন। তবে, চারটি সিরিজের সবকটিতেই পরাজিত হয় তার দল ও কেবলমাত্র দায়িত্ব পালনকালীন একটি টেস্টে জয়লাভ করতে সক্ষম হয়।[৯৪] তবে, ঐ সময়ে এ ঘটনাটি দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য অপ্রত্যাশিত বিষয় ছিল। তিনি তার সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে চারটি জয়ের সাথে নিজেকে জড়িয়ে রাখেন। তন্মধ্যে প্রথম দুইটি জয়ের ক্ষেত্রে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন যা ১৯২২ ও ১৯২৮ সালে জোহেন্সবার্গে হয়েছিল।[৯৫]

অধিনায়কত্ব[সম্পাদনা]

এ ফলাফলে টেলর নিজেকে জড়ানো স্বত্ত্বেও নিজের নামের পাশে অধিনায়ক হিসেবে আরও কিছু অর্জন লিখে নেন। তিনি সর্বাধিক সময় টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে কাটান। ১৩ ডিসেম্বর, ১৯১৩ তারিখ থেকে ১৬ আগস্ট, ১৯২৪ তারিখ পর্যন্ত সুদীর্ঘ সময় অধিনায়ক হিসেবে পার করেন যা সময়ের দিক দিয়ে ১০ বছর ২৫১ দিন।[৯৬] দুইজন দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়কের একজন হিসেবে দায়িত্ব লাভের প্রথম খেলাতেই সেঞ্চুরি করার গৌরব অর্জন করেন। অন্যজন হচ্ছেন জ্যাকি ম্যাকগ্লিউ[৯৭] এ সেঞ্চুরিকালে প্রথমবারের মতো প্রতিপক্ষের অধিনায়কের কাছ থেকেও সেঞ্চুরি দেখার সুযোগ পান তিনি।[৯৮]

বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং[সম্পাদনা]

বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে টেলর তার ব্যাটিং রেটিংয়ের চূড়ায় আরোহণ করেন ৮৪৪ পয়েন্ট নিয়ে যার মান ১০০০ রেটিং পয়েন্টের। এরফলে তিনি ব্যাটিং র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানে আরোহণ করেন।[৯৯] ফেব্রুয়ারি, ১৯২৩ সালে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পঞ্চম টেস্টে ১০২ রানের ইনিংস খেলাকালে তিনি এ মাইলফলক স্পর্শ করেন। পরের খেলা পর্যন্ত তিনি শীর্ষস্থান ধরে রাখেন। কিন্তু, জ্যাক হবস তার পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ান যা ১৯১২ থেকে ১৯২৮ সাল পর্যন্ত একমাত্র ব্যক্তি হিসেবে এ অবস্থানে ছিলেন।

পরিসংখ্যান[সম্পাদনা]

ব্যাটিং[৯১] বোলিং[১০০]
প্রতিপক্ষ খেলা রান গড় সর্বোচ্চ ১০০ / ৫০ রান উইকেট গড় সেরা
অস্ট্রেলিয়া ১১ ৬৪০ ৩২.০০ ৯৩ ০/৪ ৪৩
ইংল্যান্ড ৩০ ২,২৮৭ ৪৪.৮৪ ১৭৬ ৭/১৩ ১১৩ ২২.৬০ ৩/১৫
নিউজিল্যান্ড ৯.০০ ০/০
সর্বমোট ৪২ ২,৯৩৬ ৪০.৭৭ ১৭৬ ৭/১৭ ১৫৬ ৩১.২০ ৩/১৫
হার্বি টেলরের টেস্ট সেঞ্চুরিসমূহ[১০১]
রান খেলা প্রতিপক্ষ শহর/দেশ মাঠ সাল
[১] ১০৯ ইংল্যান্ড ডারবান, দক্ষিণ আফ্রিকা লর্ডস ১৯১৩
[২] ১৭৫ ১৫ ইংল্যান্ড জোহেন্সবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকা ওল্ড ওয়ান্ডারার্স ১৯২২
[৩] ১০১ ১৮ ইংল্যান্ড জোহেন্সবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকা ওল্ড ওয়ান্ডারার্স ১৯২৩
[৪] ১০২ ১৯ ইংল্যান্ড ডারবান, দক্ষিণ আফ্রিকা কিংসমিড ১৯২৩
[৫] ১০১ ২৮ ইংল্যান্ড জোহেন্সবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকা ওল্ড ওয়ান্ডারার্স ১৯২৮
[৬] ১২১ ৩২ ইংল্যান্ড লন্ডন, ইংল্যান্ড দি ওভাল ১৯২৯
[৭] ১১৭ ৩৩ ইংল্যান্ড কেপটাউন, দক্ষিণ আফ্রিকা নিউল্যান্ডস ১৯৩১

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "List of captains: South Africa – Tests"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ 
  2. Gordon, Home (১৯৩৯)। Background of Cricket। London: Arthur Barker Ltd। পৃষ্ঠা 108–109। 
  3. "Wisden Cricketers of the Year"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০২-২১ 
  4. "Old Boys' International Colours"। Michaelhouse Old Boys। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৯-১১ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  5. "Players and Officials – Herbie Taylor"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  6. "Natal v Marylebone Cricket Club"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  7. "Batting and Fielding in Currie Cup 1910/11"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  8. "Worcestershire v South Africans"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  9. "Australia v South Africa, 1912, First Test, Scorecard"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  10. "Statsguru – HW Taylor – Test matches – Batting analysis by innings"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  11. "Australia v South Africa, 1912, Second Test, Scorecard"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  12. "Australia v South Africa, 1912, Second Test – Match Report"Wisden Cricketers' Almanack – online archive। John Wisden & Co.। ১৯১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  13. "Statsguru – HW Taylor – Test matches – Batting analysis by series"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  14. "Triangular Tournament, 1912 – Matches"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  15. "The South Africans in England, 1912 – Series Report"Wisden Cricketers' Almanack – online archive। John Wisden & Co.। ১৯১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  16. "Currie Cup 1912/13, Table"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  17. "Transvaal v Natal, Currie Cup 1912/13"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  18. "MCC v Natal, MCC in South Africa 1913/14"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  19. "England v South Africa, 1913–14, Second Test – Match Report"Wisden Cricketers' Almanack – online archive। John Wisden & Co.। ১৯১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  20. "South Africa v England, 1913/14, First Test, Scorecard"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  21. "South Africa v England, 1913/14, Second Test, Scorecard"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  22. "South Africa v England, 1913/14, Third Test, Scorecard"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  23. "MCC in South Africa 1913/14"। CricketArchive। ২৬ এপ্রিল ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০০৯ 
  24. "MCC v Natal, MCC in South Africa 1913/14"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  25. "England v South Africa, 1913–14, Fourth Test – Match Report"Wisden Cricketers' Almanack – online archive। John Wisden & Co.। ১৯১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  26. "South Africa v England, 1913/14, Fourth Test, Scorecard"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  27. "South Africa v England, 1913/14, Fifth Test, Scorecard"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  28. "England in South Africa Test Series, 1913/14 – Most runs"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  29. "Test match records – Most wickets in a series"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  30. "South Africa offer serious challenge"Wisden Cricketers' Almanack – online archive। John Wisden & Co.। ১৯৫৫। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  31. "Six giants of the Wisden century"Wisden Cricketers' Almanack – online archive। John Wisden & Co.। ১৯৬৩। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  32. "Cricketer of the Year – 1925"Wisden Cricketers' Almanack – online archive। John Wisden & Co.। ১৯২৫। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  33. "Transvaal v Natal, Other First-Class matches in South Africa 1919/20"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  34. "Batting and Fielding in Currie Cup 1920/21"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  35. "Australia in South Africa Test Series, 1921/22 – Matches"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  36. "South Africa v England, 1922/23, First Test, Scorecard"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  37. "Statsguru – Test matches – Highest innings for South Africa against England"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  38. "Statsguru – HW Taylor – Test matches – Match results"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  39. "South Africa v England, 1922/23, Second Test, Scorecard"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  40. "South Africa v England, 1922/23, Third Test, Scorecard"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  41. "England v South Africa, 1922–23, Fourth Test – Match Report"Wisden Cricketers' Almanack – online archive। John Wisden & Co.। ১৯২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  42. "South Africa v England, 1922/23, Fifth Test, Scorecard"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  43. "England in South Africa Test Series, 1922/23 – Most runs"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  44. "Statsguru – Test matches – Most runs in a series by captain"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  45. "Statsguru – Test matches – Three or more hundreds in a series by a South African"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  46. "England M. C. C. team in South Africa 1922–23 – Series Report"Wisden Cricketers' Almanack – online archive। John Wisden & Co.। ১৯২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  47. "Player Oracle: HW Taylor"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  48. "South Africans in England"। Wisden Cricketers' Almanack। Part II (1925 সংস্করণ)। Wisden। পৃষ্ঠা 2। 
  49. "England v South Africa, 1924, First Test, Scorecard"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  50. "Test matches – Lowest innings totals"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  51. "Stump the Bearded Wonder No 150"। BBC Sport। ১৩ জুলাই ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  52. "England v South Africa, 1924, Second Test, Scorecard"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  53. "South Africa in British Isles 1924"। CricketArchive। ১ অক্টোবর ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০০৯ 
  54. "Warwickshire v South Africans"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  55. "England v South Africa, 1924, Third Test, Scorecard"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  56. "The South Africans in England, 1924"Wisden Cricketers' Almanack – online archive। John Wisden & Co.। ১৯২৫। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  57. "South Africa in British Isles 1924 – First-class Batting and Fielding for South Africans"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  58. "South Africa First-class Batting and Fielding in Each Season by Herbie Taylor"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  59. "South Africa v England, 1927/28, First Test, Scorecard"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  60. "South Africa v England, 1927/28, Second Test, Scorecard"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  61. "South Africa v England, 1927/28, Fourth Test, Scorecard"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  62. "South Africa v England, 1927–28, Fourth Test – Match Report"Wisden Cricketers' Almanack – online archive। John Wisden & Co.। ১৯২৯। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  63. "England in South Africa Test Series, 1927/28 – South Africa averages"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  64. "The South African team in England 1929"Wisden Cricketers' Almanack – online archive। John Wisden & Co.। ১৯৩০। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  65. "England v South Africa, 1929, Fourth Test – Match Report"Wisden Cricketers' Almanack – online archive। John Wisden & Co.। ১৯৩০। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  66. "England v South Africa, 1929, Fifth Test – Match Report"Wisden Cricketers' Almanack – online archive। John Wisden & Co.। ১৯৩০। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  67. "Statsguru – Test matches – Highest fourth wicket partnerships for South Africa"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  68. "Scorecard: England v South Africa"। www.cricketarchive.com। ১৭ আগস্ট ১৯২৯। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১২ 
  69. "South Africans in England"। Wisden Cricketers' Almanack। Part II (1930 সংস্করণ)। Wisden। পৃষ্ঠা 44। 
  70. "South Africa in British Isles 1929 – First-class Batting and Fielding for South Africans"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  71. "Statsguru – Test matches – South Africa series results"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  72. "England in South Africa Test Series, 1930/31 – Matches"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  73. "South Africa v England, 1930/31, Second Test, Scorecard"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  74. "South Africa v England, 1930/31, Second Test – Match Report"Wisden Cricketers' Almanack – online archive। John Wisden & Co.। ১৯৩২। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  75. "South Africa v England, 1930/31, Third Test, Scorecard"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  76. "South Africa v England, 1930/31, Fourth Test, Scorecard"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  77. "South Africa v England, 1930/31, Fifth Test, Scorecard"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  78. "South Africa in Australia Test Series, 1931/32 – Australia averages"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  79. "South Africa in Australia Test Series, 1931/32 – Matches"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  80. "Australia v South Africa, 1931/32, Fourth Test, Scorecard"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  81. "Australia v South Africa, 1931/32, Fifth Test, Scorecard"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  82. "Test matches – Most consecutive innings without a duck"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  83. "South Africa in Australia Test Series, 1931/32 – South Africa averages"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  84. "South Africa in Australia 1931/32 – First-class Batting and Fielding for South Africans"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  85. "New South Wales v South Africans, South Africa in Australia 1931/32"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  86. "Auckland v South Africans, South Africa in New Zealand 1931/32"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  87. "New Zealand v South Africa, 1931/32, First Test, Scorecard"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  88. "New Zealand v South Africa, 1931/32, Second Test – Match Report"Wisden Cricketers' Almanack – online archive। John Wisden & Co.। ১৯৩৩। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  89. "Statsguru – Test matches – Overall batting figures for South Africa to 1 March 1932"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  90. "Statsguru – Test matches – Overall batting figures for South Africa to 5 March 1949"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  91. "Statsguru – HW Taylor – Test matches – Batting analysis"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  92. "Statsguru – Test matches – Runs scored in South Africa"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  93. "Statsguru – Test matches – Runs scored in England-South Africa games"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  94. "Statsguru – HW Taylor – Test matches – Match results as captain"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  95. "Statsguru – HW Taylor – Test matches – Innings in wins"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  96. "Stump The Bearded Wonder No 66"। BBC Sport। ৪ জানুয়ারি ২০০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  97. "Hundred on Test Debut as Captain"। CricketArchive। ২৭ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০০৯ 
  98. "Ask Steven – The best bowler-captains, and the unluckiest keepers"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  99. "ICC Herbie Taylor"। Reliance Mobile ICC Player Rankings। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৬-০৯ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  100. "Statsguru – HW Taylor – Test Bowling – Bowling analysis"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 
  101. "HW Taylor – Test matches – High scores"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২১ 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]