স্টিভ মার্টিন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
২০০৮ সালে ট্রাইবেকা চলচ্চিত্র উৎসবে মার্টিন

স্টিভেন গ্লেন মার্টিন (ইংরেজি: Stephen Glenn Martin; জন্ম: ১৪ আগস্ট ১৯৪৫) ছিলেন একজন মার্কিন অভিনেতা, কৌতুকাভিনেতা, লেখক, প্রযোজক, নাট্যকার ও সঙ্গীতজ্ঞ। তিনি ১৯৬০-এর দশকে দ্য স্মোদার্স ব্রাদার্স কমেডি আওয়ার-এর লেখক হিসেবে এবং পরবর্তীকালে দ্য টুনাইট শো-এ অতিথি ভূমিকায় অভিনয় করে সকলের নজর কাড়েন। ১৯৭০-এর দশকে তিনি অফবিট, অসঙ্গতিপূর্ণ কৌতুকাভিনয় পরিবেশনা করেছেন। ১৯৮০-এর দশক থেকে কৌতুকাভিনয়ের পাশাপাশি মার্টিন একজন সফল অভিনেতা এবং লেখক, নাট্যকার, পিয়ানোবাদক ও বেঞ্জোবাদক হয়ে ওঠেন। তার এইসব আকজের জন্য তিনি এমি পুরস্কার, গ্র্যামি পুরস্কার ও আমেরিকান কমেডি পুরস্কার লাভ করেন।

২০০৪ সালে কমেডি সেন্ট্রাল তাকে ১০০ সেরা স্ট্যান্ড-আপ কৌতুকাভিনয় তালিকায় মার্টিনকে ষষ্ঠ স্থান প্রদান করেন।[১] তিনি ২০১৩ সালে একাডেমি পুরস্কারের ৫ম বার্ষিক গভর্নর পুরস্কারে সম্মানসূচক অস্কার লাভ করেন।[২]

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

মার্টিন ১৯৪৫ সালের ১৪ই আগস্ট[৩][৪] টেক্সাসের ওয়াকো শহরে জন্মগ্রহণ করেন।[৫] তার পিতা গ্লেন ভেরনন মার্টিন (১৯১৪-১৯৯৭) ছিলেন একজন রিয়েল এস্টেট বিক্রয়কর্মী এবং মাতা ম্যারি লি (জন্মনাম: স্টুয়ার্ট, ১৯১৩-২০০২)।[৬][৭] তিনি তার ভাই ফ্রেড ও বোন মেলিন্ডার সাথে ক্যালিফোর্নিয়ার ইঙ্গলউডে বেড়ে ওঠেন।[৮]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

১৯৮২ সালে মার্টিন

মার্টিন ১৯৭২ সালের অ্যানাদার নাইস মেস চলচ্চিত্রে একটি ছোট ভূমিকায় অভিনয় করেন। তার প্রথম গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র ভূমিকা ছিল দ্য অ্যাবসেন্ট-মাইন্ডেড ওয়েটার (১৯৭৭) স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে। সাত মিনিট দৈর্ঘ্যের ছবিটি তিনি রচনা করেন এবং বাক হেনরি ও টেরি গ্যারে সাথে শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় করেন। ছবিটি শ্রেষ্ঠ লাইভ অ্যাকশন স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করে। তার প্রথম গুরুত্বপূর্ণ পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ছিল সঙ্গীতধর্মী সার্জেন্ট পেপার্‌স লোনলি হার্টস ক্লাব ব্যান্ড। এতে তিনি দ্য বিটল্‌সের "ম্যাক্সওয়েল্‌স সিলভার হ্যামার" গানে কণ্ঠ দেন। ১৯৭৯ সালে তিনি মাইকেল এলিয়াস ও কার্ল গটিলিয়েবের সাথে কার্ল রাইনার পরিচালিত দ্য জার্ক ছবিটির সহ-রচয়িতা ছিলেন এবং এতে শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় করেন। ছবিটি সফল হয় এবং ৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে নির্মিত ছবিটি ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে।[৯]

মার্টিন ১৯৮০-এর দশকে পেনিস ফ্রম হেভেন (১৯৮১), অল অব মি (১৯৮৪) ও রোক্সেন (১৯৮৭) ছবিতে অভিনয় করে তিনবার সেরা সঙ্গীতধর্মী বা হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র অভিনেতা বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। এছাড়া তিনি পেরেন্টহুড (১৯৮৯) ও ফাদার অব দ্য ব্রাইড (১৯৯৪) ছবিতে অভিনয় করে আরও দুইবার এই বিভাগে মনোনয়ন লাভ করেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Comedy Central's 100 Greatest Stand-Ups of all Time" (ইংরেজি ভাষায়)। কমেডি সেন্ট্রাল। ১৫ জুলাই ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ আগস্ট ২০১৮ 
  2. "Academy Unveils 2013 Governors Awards: Honorees Angelina Jolie, Angela Lansbury, Steve Martin, Piero Tosi" (ইংরেজি ভাষায়)। ডেডলাইন। সংগ্রহের তারিখ ১৪ আগস্ট ২০১৮ 
  3. হোয়াইটলি, স্যান্ডি (২০০২)। On This Date। McGraw-Hill Professional। পৃষ্ঠা ২০৪। আইএসবিএন 0071398279 
  4. "Universal Men"স্পিন। স্পিন মিডিয়া। ১৫ (৯): ৯৪। সেপ্টেম্বর ১৯৯৯। আইএসএসএন 0886-3032 
  5. ওয়াকার (১৯৯৯), পৃ. ১।
  6. Morris (1999) p 2.
  7. "Ancestry of Steve Martin" (ইংরেজি ভাষায়)। Wargs.com। সংগ্রহের তারিখ ১৪ আগস্ট ২০১৮ 
  8. মার্টিন (২০০৭), পৃ. ২০–৩৯।
  9. ব্রুমেল, ক্রিস (২০১০)। "The Jerk" (ইংরেজি ভাষায়)। সেপ্টেম্বর ৩, ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ আগস্ট ২০১৮ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]