সারা মাইলস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সারা মাইলস
Sarah Miles
১৯৮০ সালে সারা মাইলস
জন্ম (1941-12-31) ৩১ ডিসেম্বর ১৯৪১ (বয়স ৮২)
ইঙ্গেটস্টোন, এসেক্স, ইংল্যান্ড
মাতৃশিক্ষায়তনরয়্যাল একাডেমি অব ড্রামাটিক আর্ট
পেশাঅভিনেত্রী
কর্মজীবন১৯৬১-২০০৪
দাম্পত্য সঙ্গীরবার্ট বোল্ট
(বি. ১৯৬৭; বিচ্ছেদ. ১৯৭৬)

(১৯৮৮–১৯৯৫; মৃত্যু)
সন্তান

সারা মাইলস (জন্ম ৩১ ডিসেম্বর ১৯৪১) হলেন একজন ইংরেজ মঞ্চ ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। ১৯৬২ সালে টার্মস অব ট্রায়াল চলচ্চিত্রে দিয়ে তার অভিষেক ঘটে, এবং এই কাজের জন্য তিনি সেরা নবাগত বিভাগে বাফটা পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। পরের বছর তিনি দ্য সার্ভেন্ট (১৯৬৩) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ ব্রিটিশ অভিনেত্রী বিভাগে বাফটা পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। তিনি রায়ান্‌স ডটার (১৯৭০) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার ও বাফটা পুরস্কার এবং নাট্যধর্মী চলচ্চিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। এছাড়া তিনি ব্লোআপ (১৯৬৬), দ্য ম্যান হু লাভড ক্যাট ড্যান্সিং (১৯৭৩), হোয়াইট মিসচিফ (১৯৮৭), ও হোপ অ্যান্ড গ্লোরি (১৯৮৭) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য সুপরিচিত।

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

সারা মাইলস ১৯৪১ সালের ৩১শে ডিসেম্বর এসেক্সের ইঙ্গেটস্টোন শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার মাতা ক্লেরিস ভেরা রেমন্যান্ট এবং পিতা জন মাইলস। তার ভাই ক্রিস্টোফার মাইলস চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার। তার পিতার প্রথম পক্ষের নিকট থেকে বিবাহবিচ্ছেদ লাভ করতে না পারার কারণে সারা ও তার ভাইবোনেরা তার পিতামাতার বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের ফলে জন্ম নেয়।[১] তার মাতামহ ফ্রান্সিস রেমন্যান্টের দিক থেকে মাইলস দাবী করেন তিনি টেকের যুবরাজ ফ্রান্সিসের প্র-নাতনী।[২][৩]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

রয়্যাল একাডেমি অব ড্রামাটিক আর্ট থেকে পাশ করার কিছুদিন পর টার্মস অব ট্রায়াল (১৯৬২) চলচ্চিত্রে দিয়ে মাইলসের বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে।[৪] এই চলচ্চিত্রে শার্লি টেইলর চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি সেরা নবাগত বিভাগে বাফটা পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। পরের বছর তিনি জোসেফ লোজির দ্য সার্ভেন্ট (১৯৬৩) চলচ্চিত্রে ভেরা চরিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ ব্রিটিশ অভিনেত্রী বিভাগে বাফটা পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[৪]

তিনি ১৯৬৬ মিকেলাঞ্জেলো আন্তোনিওনির ব্লোআপ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে বাফটা পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[৪] ২০০৭ সালে আন্তোনিওনির মৃত্যুর পর মাইলস তাকে "বদমাশ ও জালিম ও মেধাবী" বলে উল্লেখ করেন।[৫]

১৯৬৬ থেকে ১৯৬৯ পর্যন্ত কয়েকটি মঞ্চনাটকে অভিনয়ের পর তিনি ডেভিড লিনের রায়ান্‌স ডটার (১৯৭০) চলচ্চিত্রে রোজি শীর্ষক নাম চরিত্রে অভিনয় করেন। চলচ্চিত্রটি সমালোচকদের রোষানলে পড়ে এবং এর ফলে পরিচালক লিন কয়েক বছর চলচ্চিত্র নির্মাণ থেকে দূরে ছিলেন; তথাপি মাইলস তার অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারবাফটা পুরস্কার এবং নাট্যধর্মী চলচ্চিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন এবং জন মিলস শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেন।[৬]

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

মাইলস দুইবার ব্রিটিশ নাট্যকার রবার্ট বোল্টকে বিয়ে করেন। প্রথমবার ১৯৬৭ সালে, যা ১৯৭৫ সালে বিবাহবিচ্ছেদের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয় এবং দ্বিতীয়বার ১৯৮৮ সালে, যা ১৯৯৫ সালে বোল্টের মৃত্যু পর্যন্ত স্থায়ী ছিল।[৭] বোল্ট লেডি ক্যারোলিন ল্যাম্ব চলচ্চিত্র রচনা ও পরিচালনা করেন, এতে মাইলস নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন এবং তিনি রায়ান্‌স ডটারও রচনা করেন। বোল্ট স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার পর তার পুনঃএকত্রীত হন এবং মাইলস তার সেবা করেন। ১৯৮৭ সালে বোল্ট বলেন, "তিনি না থাকলে আমি হয়ত মারা যেতাম। যখন তিনি চলে গিয়েছিলেন, আমার জীবনে পতন শুর হয়। যখন তিনি ফিরে আসেন, আমার জীবনে উত্থান আসে।"[৮] এই দম্পতির টম নামে এক পুত্র রয়েছে। টম একজন ঘড়ি ব্যবসায়ী।[৯]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. A Right Royal Bastard, Sarah Miles, Macmillan, 1993, p. 26
  2. Sarah Miles, A Right Royal Bastard (1993), p. 20: "Clarice... the eldest child of Francis (Frank) Remnant, bastard son of Prince Francis of Teck, Queen Mary's brother. Sexy old Frank, as he was known, came over when Mary married Prince George, who became George V, and had a cuddle with the seamstress in the White Lodge at Richmond."
  3. Rhoda Koenig, BOOK REVIEW Confessions of a willful Pusscat: 'A Right Royal Bastard' dated Sunday 12 December 1993 at independent.co.uk. Retrieved 2 December 2011
  4. টমসন, ডেভিড (২০০২)। A New Biographical Dictionary of Film। লন্ডন: লিটল ব্রাউন। পৃষ্ঠা ৫৯৪।
  5. "Blow-Up director Antonioni dies"বিবিসি নিউজ (ইংরেজি ভাষায়)। ৩১ জুলাই ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ১১ নভেম্বর ২০২০ 
  6. পেট্রিগ্রিউ, টেরেন্স (২০০১)। Trevor Howard: A Personal Biography। লন্ডন: পিটার ওয়েন। পৃষ্ঠা ১৪৯।
  7. ক্যালডার, জন (২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৫)। "Obituary: Robert Bolt"দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১১ নভেম্বর ২০২০ 
  8. স্টার্ক, জন (২৩ নভেম্বর ১৯৮৭)। "Sarah Miles Stars in An Incredible Story of Scandal and Love—and No, It's Not Her New Film, Hope and Glory, It's Her Life"পিপল (ইংরেজি ভাষায়)। ২২ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ নভেম্বর ২০২০ 
  9. "Case Study" (ইংরেজি ভাষায়)। ক্যারোলিন ফিলিপস। সংগ্রহের তারিখ ১১ নভেম্বর ২০২০ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]