শাহ মাদার
শাহ মাদার | |
---|---|
অন্য নাম | জিন্দা মাদার |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | ১৩ ফেব্রুয়ারি ৮৫৭ |
মৃত্যু | ২৯ ডিসেম্বর ১৪৩৪ |
ধর্ম | ইসলাম |
আখ্যা | সুন্নি |
ব্যবহারশাস্ত্র | হানাফি |
ধর্মীয় মতবিশ্বাস | মাতুরিদি |
তরিকা | মাদারিয়া |
অন্য নাম | জিন্দা মাদার |
মুসলিম নেতা | |
কাজের মেয়াদ | অষ্টম শতাব্দীর শেষদিক ও ত্রয়োদশ শতাব্দীর প্রথমদিক |
পূর্বসূরী | বায়েজিদ বোস্তামি |
উত্তরসূরী | সদন শাহ সম্রাট এবং সৈয়দ অরগুন,সৈয়দ জুমল শাহ |
পদ | সূফীবাদ |
কুতুব-ই-জাহান,হযরত সৈয়দ বদিউদ্দিন আহমেদ জিন্দা শাহ মাদার (৮৫৭ - ১৪৩৪)[১] ছিলেন প্রখ্যাত আধ্যাতিক সুফি সাধক যিনি মাদারিয়া তরিকা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।[২] তিনি কুতুব-উল-মাদার নামেও পরিচিত।[৩]
প্রারম্ভিক জীবন ও নেপথ্য
[সম্পাদনা]তার জন্মস্থান আরবজাহানের পার্শবর্তী তৎকালিন শাম রাজ্যের (বর্তমানে সিরিয়া) হলব নামক স্থানে ২৪২ হিজরি সনে শাওয়াল মাসের ১ তারিখে সম্ভ্রান্ত সৈয়দ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।[১] তার পিতার নাম সৈয়দ কুদওয়াতউদ্দীন আলী আল-হাল্বী ও তার মা ছিলেন সৈয়দা ফাতিমা সানিয়া। তার পিতা ইমাম হোসেন এর বংশধর এবং তার মা ইমাম হাসান এর বংশধর, সে হিসেবে তিনি আল-হাসানি-ওয়াল-হোসাইনি।
সুফি দীক্ষা
[সম্পাদনা]বায়াজীদ তায়ফুর আল-বোস্তামি ছিলেন তার পির বা আধ্যাত্মিক শিক্ষক ।[৪]
ভ্রমণ
[সম্পাদনা]ধর্ম প্রচার
[সম্পাদনা]মদিনায় এক তীর্থযাত্রা শেষে তিনি ইসলামী মতবাদ প্রচারের উদ্দেশ্যে ভারত গমন করেন।[১] এখানে তিনি মাদারিয়া তরিকা প্রতিষ্ঠা করেন।[৩]
খেলাফত প্রদান
[সম্পাদনা]তার প্রধান খলিফা
- হজরত সৈয়দ মহম্মদ আরগুন রাজিঃ মাখনপুর,ভারত হতে
- হজরত সৈয়দ শাহ মহমুদ রহঃ মাখনপুর,ভারত হতে
- হজরত সৈয়দ খাজা প্যারে রহঃমাখনপুর,ভারত হতে
- হজরত সৈয়দ শাহ শাহন রহঃ হতে
- হযরত সৈয়দ শাহ হম্মন রহঃ হতে
- হজরত সৈয়দ শাহ মহমুদ সানী রহঃ হতে
- হজরত সৈয়দ শাহ মারুফ রহঃ হতে
- হজরত সৈয়দ শাহ আব্দুল জলীল রহঃ হতে
- হজরত সৈয়দ শাহ ফজলুল্লাহ রহঃ হতে
- হজরত সৈয়দ শাহ প্যারে রহঃ হতে
- হজরত সৈয়দ শাহ আব্দুল জলীল সানী(২য়) রহঃ হতে
- হজরত সৈয়দ শাহ খাজা নজমুদ্দিন রহঃ হতে
- হজরত সৈয়দ শাহ সামসুদ্দিন রহঃ হতে
- হজরত সৈয়দ শাহ কল্বে আলী রহঃ হতে
- হযরত সৈয়দ তাফাকুর আলী মাদারী রহঃ হতে
- হযরত সৈয়দ হুজাইফ আলি মাদারী রহঃ।মাখনপুর, কানপুর জেলা, উত্তরপ্রদেশ, ভারত। হতে এজাজত ও খেলাফত প্রাপ্ত
- হযরত ফকির আজম সৈয়দ শাহ শান্ত মাদারী আল খিজিরী রহঃ (অপূর্ব মীর)ভাংগা,ফরিদপুর,বাংলাদেশ
- এছাড়াও দ্বিতীয় প্রধান খলিফা
- হযরত জানেমান জান্নাতি ওরফে সৈয়দ জুমল শাহ
- এছাড়াও তৃতীয় প্রধান খলিফা
- জিন্দা শাহ মাদারের শিষ্য সদন শাহ সর্মাস্ত, গুজরাতে মাজার
- সদমাজার শাহ সম্রাটের শিষ্য সৈয়দ আকমল হোসেন ওরফে বাবামান, গুজরাত ভাদোদারায় মাজার
- সদন শাহ সম্রাটের শিষ্য ছোট্ট মাদার দাদা, গুজরাত ভাদোদারায় মাজার।
- বি.দ্র.এখানে জিন্দা শাহ মাদারের প্রধান খলিফাদের নাম বলা হয়েছে যা বিভিন্ন কিতাবে উল্লেখিত।কেউ দলিল ভিন্ন তথ্য দিবেন না।
মৃত্যু
[সম্পাদনা]ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের কানপুর শহরের কাছে মকানপুরে তার মাজার শরীফ অবস্থিত।[৫]
স্বীকৃতি
[সম্পাদনা]বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে শাহ মাদার এর সম্মানে তার নামে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, স্থাপনা, সড়ক, গ্রাম, জেলা, অঞ্চলের নাম করন হয়েছে। এর মধ্যে -
জামালপুর জেলা, বাংলাদেশ - মাদারগঞ্জ উপজেলা
হাটহাজারী উপজেলা, চট্টগ্রাম জেলা, বাংলাদেশ - দক্ষিণ মাদার্শা ইউনিয়ন, উত্তর মাদার্শা ইউনিয়ন
সাতকানিয়া উপজেলার, চট্টগ্রাম জেলা, বাংলাদেশ - মাদার্শা ইউনিয়ন
এসফাহন, ইরান - মাদ্রাসা-য়ে মাদার-ই-শাহ (শাহ মাদার ধর্মতত্বীয় মাহাবিদ্যালয়)[৬]
ঝিলাম জেলা, পাঞ্জাব, পাকিস্তান - মৌজা জিন্দা শাহমাদার, জিন্দা শাহমাদার সড়ক, সরকারি বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয় জিন্দা শাহ মাদার,[৭]
সিরাহা জেলা, সগরমাথা অঞ্চল, নেপাল - মাদার গ্রাম উন্নয়ন সমিতি (নেপাল)[৮]
হাওড়া জেলা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত - ঐতিহ্যবাহী মাদার শাহ বাবার মেলা[৯]
আরো দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ জেমস ওয়াইজ (১০ নভেম্বর ২০১৬)। পূর্ববাংলার জাতি, বর্ণ ও বাণিজ্য। টেলর এবং ফ্রান্সিস। পৃষ্ঠা ৭৮। আইএসবিএন 978-1-351-99740-9। ৪ জুলাই ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০১৯।
- ↑ ভান্ডারকার এশিয়ান গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কাহিনী। দি ইন্সটিটিউট। ২০০৬। পৃষ্ঠা ২৪১। ৪ জুলাই ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০১৯।
- ↑ ক খ ভট্টাচার্য, আনন্দ (২০০৮)। "মাদারীয়া সূফি তরিকা এবং তাদের বিশদ চরিত্র ও ভারতীয় শক্তির সাথে সম্পর্ক": ৩৮৪–৪০২। জেস্টোর ৪৪১৪৭২০৩।
- ↑ মারে থুরস্টন তিতাস (১৯৩০)। ভারতীয় ইসলাম: ভারতের ইসলাম ধর্মের ইতিহাস। এইচ মিলফোর্ড, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ১২৮। ১৭ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০১৯।
- ↑ ভানভরলাল নথুরাম লুনিয়া (১৯৫৫)। ভারতীয় সংস্কৃতির বিবর্তন (আদি থেকে বর্তমান)। এল এন আগারওয়াল। পৃষ্ঠা ৪৩৯। ৪ জুলাই ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০১৯।
- ↑ "Madraseh-ye Madar-e Shah (Theological College of the Shah's Mother), Isfahan: plan | RIBA"। RIBApix। ২০২০-০৯-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-২১।
- ↑ "Programme Monitoring & Implementation Unit"। open.punjab.gov.pk। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-২১।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "Nepal Census Data: Madar"। digitalhimalaya.com। ২০১৯-০৭-৩১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-২১।
- ↑ "হাওড়া জেলার ঐতিহ্যবাহী মাদার শাহ বাবার মেলা"। HIGHLIGHT NEWS EXPRESS (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০১-১৬। ২০২০-১০-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-২১।
- ↑ "মাদারের গান - অনুপম হীরা মণ্ডল| সাপলুডু"। web.archive.org। ২০১৬-০৪-২২। Archived from the original on ২০১৬-০৪-২২। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-২১।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]উইকিমিডিয়া কমন্সে শাহ মাদার সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।
সুফিবাদ এবং তরিকা |
---|
প্রবেশদ্বার |