শারমিন হত্যা মামলা
শারমিন হত্যা মামলাটি ছিল বাংলাদেশের একটি কুখ্যাত ফৌজদারি মামলা। ১৯৮৯ সালের ৯ এপ্রিল ধনী শিল্পপতি মুনীর হুসেন একজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তির মধ্যবয়সী স্ত্রী হোসনে আরা খুকুর সাথে দীর্ঘকালীন পরকিয়া সম্পর্কের পরিণতি হিসেবে তার চার মাসের স্ত্রী শারমিন রীমাকে[১] হত্যা করেছিলেন।[২] মুনির ও শারমিন উভয়ই বিশিষ্ট পরিবার থেকে এসেছিলেন — মুনির ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ডাঃ আবুল কাশেম ও প্রখ্যাত চিকিৎসক ডাঃ মেহেরুননেসার পুত্র এবং শারমিন রীমা আল বদর কর্তৃক বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নিহত সাংবাদিক নিজামউদ্দিন আহমেদের মেয়ে ছিলেন।
হত্যার তদন্ত এবং পরবর্তী বিচার প্রক্রিয়া ব্যাপকভাবে সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল, এবং হত্যাকাণ্ডের প্রতিটি নতুন ঘটনা উদ্ঘাটন বেশ কয়েক মাস ধরে নাটকীয় শিরোনাম তৈরি করে।
এই মামলার বিচার কাজ ২১ মে ১৯৯০ এ শেষ হয়েছিল। মুনির ও খুকু উভয়কেই দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়েছিল। এর দু'বছর পরে, ১৯৯২ সালের জুলাইয়ে, একটি আপিল আদালত খুকুর সাজা বাতিল করে এবং তাকে সমস্ত অভিযোগ থেকে খালাস দেয়। বিভিন্ন আইনি আবেদন ও করুণার আবেদনে মুনির মৃত্যুদণ্ড বহাল ছিল। ১৯৯৩ সালের ২ জুলাই তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল।[৩]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Rabia Bhuiyan (১৯৯১)। Aspects of Violence Against Women। Institute of Democratic Rights।
- ↑ Democratic World। Gulab Singh & Sons। ১৯৯৩। পৃষ্ঠা 14–।
- ↑ "শারমিন রীমা হত্যা"। BBC Bangla। ২ মার্চ ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১৬।