রত্নপাথর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
হীরক, নীলকান্তমণি, চুনিপাথর, পান্না ও নীলা স্ফটিক ক্লাস্টার।

রত্নপাথর (জহর, মণি, রত্ন, বহুমূল্য পাথর বা আধা মূল্যবান পাথর নামেও পরিচিত) একটি খনিজ ক্রিস্টাল কেটে পালিশ করে অলংকার তৈরীতে ব্যবহৃত হয়। যাই হোক কিছু পাথর যেমন নীলকান্তমণি বা জৈব উপকরণ যা খনিজ নয় যেমন আম্বর, জেট ও মুক্তা ইত্যাদিকে রত্নপাথর হিসেবে প্রায়শই উল্লেখ করা হয়। অধিকাংশ রত্নপাথর কঠিন প্রকৃতির কিন্তু কিছু নরম খনিজ অলংকারে ব্যবহার করা হয়। কারণ তাদের দীপ্তি বা শারীরিক বৈশিষ্ট্য নান্দনিক মূল্য ফুটিয়ে তোলে। অসাধারণত্ব আরেকটি বৈশিষ্ট্য যা রত্নপাথরের মূল্য নির্ধারণ করে। অলংকার ছাড়াও প্রাচীনকাল থেকে নকশায় এবং ভাস্কর্যে রত্ন পাথর ব্যবহৃত হয়ে আসছে। যেমন পেয়ালায় গায়ে রত্ন পাথরের নকশা। রত্নপাথর নির্মাতাকে বলা হয় জহুরী, ল্যাপিডারি বা জেমকাটার। হীরক নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিকে বলা হয় ডায়ম্যান্টায়ার।

এই ঐতিহ্যে কার্ল ফ্যাবার্জের ভাস্কর্য উল্লেখযোগ্য কাজ।

বৈশিষ্ট্য এবং সাইট[সম্পাদনা]

প্রাচ্যের প্রথাগত শ্রেণিভেদ যা প্রাচীন গ্রিসে ফিরিয়ে নিয়ে যায়, যেখানে মূল্যবান এবং অর্ধ মূল্যবান এর মধ্যে আলাদা করা হয়। অন্যান্য সংস্কৃতিতে এরকম শ্রেণীকরণ লক্ষ্য করা যায়। আধুনিককালে ব্যবহৃত মূল্যবান পাথরের মধ্যে আছে হীরা, চুনিপাথর, নীলকান্তমণি ও পান্না এবং অন্যান্য সকল অর্ধ মূল্যবান রত্নপাথর। এই পার্থক্য প্রাচীনকালে অসাধারণ পাথর সমূহের মানের পাশাপাশি তাদের দুষ্প্রাপ্যতা ফুটিয়ে তোলে। সব স্বচ্ছ সূক্ষ্ম রঙের পাথরগুলো তাদের বিশুদ্ধতম অবস্থানে থাকে। শুধুমাত্র ব্যতিক্রম বর্ণহীন হীরক। এরা খুবই কঠিন। কাঠিন্য মাত্রায় এদের কাঠিন্য ৮ থেকে ১০। অন্যান্য পাথরকে তাদের রঙ, স্বচ্ছতা এবং কঠোরতা দিয়ে পৃথকীকরণ করা হয়। ঐতিহ্যবাহী পার্থক্য আধুনিক মূল্যের উপর প্রতিফলিত হয় না। উদাহরণস্বরূপ গারনেট তুলনামূলকভাবে, সবুজ গারনেটকে বলা হয় স্যাভোরাইট যা মধ্য মানের পান্নার তুলনায় অনেক মূল্যবান। অর্ধ মূল্যবান রত্নপাথরের জন্য শিল্প, ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব ইত্যাদি ক্ষেত্রে অবৈজ্ঞানিক টার্ম হার্ডস্টোন ব্যবহৃত হয়। বাণিজ্যিক প্রেক্ষাপটে মূল্যবান এবং আধা মূল্যবান শব্দাবলি ব্যবহার ভুল বার্তা দেয় যে কিছু পাথর অন্যান্য পাথরের তুলনায় খুবই মূল্যবান।

টীকা[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]