মুমতাজ কাদরী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মুমতাজ কাদরী
ممتاز قادری
জন্ম
মুমতাজ হুসাইন

১৯৮৫ (1985)
মৃত্যু২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬(2016-02-29) (বয়স ৩০–৩১)
আদিয়ালা কারাগার, রাওয়ালপিণ্ডি
মৃত্যুর কারণফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলানোর রায় বাস্তবায়ন
সমাধিইসলামাবাদ
জাতীয়তাপাকিস্তানি
পেশাপুলিশ
আক্রমণের উদ্দেশ্যতাসির; আসিয়া বিবিকে সমর্থন করেছেন
দণ্ডাদেশের কারণহত্যা
ফৌজদারি দণ্ডসর্বোচ্চ সাজা
হত্যাকাণ্ড
আক্রান্ত ব্যক্তিসালমান তাসির
তারিখ৪ জানুয়ারি ২০১১; ১৩ বছর আগে (2011-01-04)
দেশপাকিস্তান
রাষ্ট্রপাঞ্জাব
অবস্থানকশার বাজার, ইসলামাবাদ
ব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্রএকে-৪৭
কারারুদ্ধআদিয়ালা কারাগার (২০১১-২০১৬)

মালিক মুমতাজ হোসেইন কাদরী (১৯৮৫ – ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬) মুমতাজ কাদরী নামে সমাধিক পরিচিত, তিনি পাঞ্জাবের গভর্নর সালমান তাসিরের হত্যাকারী ছিলেন। কাদ্রি এলিট পুলিশের কমান্ডো এবং তাসিরের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী স্কোয়াড সদস্যদের একজন ছিলেন। কাদরী সুন্নী ইসলামের একটি সংস্করণ বেরলভীর[১] অনুসারী ছিলেন। তিনি তাসিরকে ৪ জানুয়ারী ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে হত্যা করেছিলেন। কাদরীর দাবী অনুসারে তিনি তাসিরকে হত্যা করেছেন, কারণ তাসির ধর্ম অবমাননার দায়ে গ্রেফতারকৃত আসিয়া বিবিকে সমর্থন করেছিলেন। ইসলামাবাদের উচ্চ আদালত কাদরীকে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড দেয়। ফেব্রুয়ারি ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়।

জীবনী এবং পেশা[সম্পাদনা]

কাদরী ১৯৮৫ সালে রাওয়ালপিণ্ডি, পাঞ্জাবে জন্মগ্রহণ করেন।[২] তিনি রাওয়ালপিণ্ডির মুসলিম শহরের এক সবজি বিক্রেতার সন্তান।[২] কাদরী ২০০২ সালে পাঞ্জাব পুলিশেে যোগদান করেন এবং ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দে পাঞ্জাবের রাজকীয় পুলিশে যোগদান করেন।[২] ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে তিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এবং তাদের এক পুত্রসন্তান ছিল।[২] ২০১০ সালে প্রাক্তন পাঞ্জাব গভর্নর সালমান তাসিরের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মী-সদস্য দলের একজন হিসেবে যোগদান করেন।[৩]

তাসিরের হত্যা এবং বিচারকার্য[সম্পাদনা]

৪ জানুয়ারী ২০১১ সন্ধ্যায় রাজ্যপাল তাসির ইসলামাবাদের কোশার বাজারে গিয়েছিলেন। কাদরী সেসময় তাসিরের নিরাপত্তা প্রহরীর দায়িত্বে ছিলেন। কাদরী ২৮ বার গুলি করে তাসিরকে হত্যা করেন।[৪] তিনি তৎক্ষণাৎ আত্মসমর্পণ করেন এবং গ্রেফতার হন।[৫] কাদরীর দাবী সে রাজ্যপালকে হত্যা করেছে, কারণ তাসির মুসলিমদের নবী মুহাম্মাদকে অপমান করার অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডের আদেশপ্রাপ্ত আসিয়া বিবিকে সমর্থন করেছে ও পাকিস্তানের ধর্ম অবমাননার আইন সংশোধনের কথা বলেছেন।[৫]

যেদিন তিনি গ্রেফতার হন, তার পরপরই পাচঁদিনের জন্য তার রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। তাকে আদালতে ৯ জানুয়ারী ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে উপস্থিত করা হয় এবং কাদরী স্বীকার করেন সালয়ান তাসির ধর্ম অবমাননা আইনের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন বিধায় তাকে সে হত্যা করেছে।[৬] ১০ জানুয়ারী ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে তাকে আদিয়ালা কারাগারে ১৪ দিনের জন্য বিচারিক রিমান্ডে পাঠানো হয়। নিরাপত্তার খাতিরে তার বিচার সেখানেই অনুষ্ঠিত হয়।

ফাঁসি[সম্পাদনা]

১০ অক্টোবর ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে এবং ফাসিঁর দণ্ডাদেশ দেয়। ৬ অক্টোবর ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে তিনি তার ফাঁসির দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে ইসলামাবাদ উচ্চ আদালতে আপিল করেন। তার আপিল ১১ অক্টোবর ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে গৃহীত হয়। বিচারপতি দোস্ত মোহাম্মদ রায়ে বলেন একজন নিরাপত্তা প্রহরীর হাতেই যখন সুনির্দিষ্ট ব্যক্তির নিরাপত্তার ভার ন্যস্ত, সেই প্রহরী কোনোভাবেই আইন হাতে তুলে নিয়ে তার সুরক্ষায় থাকা ব্যক্তিকে হত্যা করতে পারেন না।[৭] ডিসেম্বর ২০১৫ সালে তার আপিল খারিজ হয়ে যায়[৮] এবং ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে চারটায় রাওয়ালপিণ্ডির আদিয়ালা কারাগারে তাকে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলানো হয়।[৯] তার জানাজা রাওয়ালপিণ্ডির লিয়াকত জাতীয় পার্কে অনুষ্ঠিত হয়।[১০] ধারণা করা হয়, তার জানাজায় এক লক্ষেরও বেশি মানুষ উপস্থিত ছিল। সেই জানাজায় একসময়ে আততায়ীর গুলি খেয়ে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসা পিপলস পার্টির জনপ্রিয় নেতা হামিদ সাঈদ কাযমীও উপস্থিত ছিলেন। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম নিয়ন্ত্রক সংস্থা বৈদ্যুতিন মিডিয়াকে এই জানাজার চিত্র; সরাসরী সম্প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারী করে। নিষেধাজ্ঞার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, এই জানাজার লাইভ ভিডিও যদি সম্প্রচার করা হয় তবে পাকিস্তানের সংবিধানের ১৯ নং অনুচ্ছেদের সাথে তা সরাসরি সাংঘর্ষিক হবে। পাকিস্তানের সাংবাদিকদের সংস্থা মিডিয়ার উপর এই নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করে।[১১] তার জানাজায় বেরলভীর অনুসারীদের অসংখ্য মানুষ অংশগ্রহণ করেছিলেন।[১২] কাদরী ইসলামাবাদের বারা কাহু জেলায় সমাধিস্থ হন।[১৩][১৪]

প্রতিক্রিয়া[সম্পাদনা]

মুমতাজ কাদরীর কবর

সুন্নী মুসলিম সংগঠন গুলো দ্বারা এই মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ভাবে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরে। আন্দোলনকারীরা ইসলামাবাদ, করাচি, লাহোর এবং পেশোয়ারের মত পাকিস্তানের বড় শহরগুলোতে বিক্ষোভ করেন। ইসলামাবাদের আইনজীবিরা মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে একদিনের হরতাল ডাকেন। সুন্নী তেহেরিক পুরো দেশজুড়ে বিক্ষোভের ডাক দেন। শহরের বিক্ষোভ আন্দোলনের কারণে রাওয়ালপিন্ডি ইসলামাবাদ মেট্রোবাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মার্কেট এবং ব্যবসায়িক কেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকে এবং ইসলামাবাদ, করাচি, লাহোরের বিভিন্ন জায়গায় জায়গায় ট্রাফিক ব্যাহত হয়[১৫] কাদরী তার ফাঁসির পরে যে সম্মান পেয়েছে; তা শুধুমাত্র তুলনীয় ইলম উদ দীন নামক ব্যক্তির সাথে। তিনি ১৯২৯ সালে এক বই প্রকাশককে হত্যা করেছিলেন।[১৬] যাইহোক, এই মৃত্যুদণ্ডাদেশকে কাউন্সিল অব ইসলামিক আইডোলজির প্রধান মুহম্মদ খান শেহরানি এর মত ইসলামিক বিশেষজ্ঞ সমর্থন করেন। তিনি বলেছিলেন, "মুহম্মদ কাদরী যদিও ধর্মীয় অনুভূতি দ্বারা প্রভাবিত ছিল কিন্তু তবুও তার কাজ অবৈধ ছিল; কারণ সে আইন নিজ হাতে তুলে নিয়েছিল। কেওই যেহেতু আইনের ঊর্ধ্বে নয়; তাই সে শাস্তি পেয়েছে।"[১৭] কাদরীর সমর্থনকারীরা এও দাবী করেছে ইচ্ছাকৃতভাবে কাদরীকে ২৯ ফেব্রুয়ারি ফাঁসি দেওয়া হয়েছে; যাতে করে তার মৃত্যুবার্ষিকী প্রত্যেক বছরের পরিবর্তে চারবছরে একবার করা যায়।[১৬]

২৭ মার্চ ২০১৬ খৃষ্টাব্দে ২৫ হাজার মানুষ রাওয়ালপিন্ডির লিয়াকত ন্যাশনাল বাঘে মিলিত হন। তাদের মধ্য থেকে ১০ হাজার মানুষ রাওয়ালপিণ্ডি থেকে ইসলামাবাদের রেড জোনের দিকে কাদরীর মৃত্যুর ৪০ দিন পরে চল্লিশা পালনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। বিক্ষোভকারীরা রাওয়ালপিন্ডি ইসলামাবাদ মেট্রোবাস একটি স্টেশন এবং সেখানে পার্ক করে রাখা কিছু গাড়ি জ্বালিয়ে দেয়।[১৮] শহরের মধ্যে প্রধান প্রধান রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়, বেতার ব্যবস্থা বন্ধ করা হয়। তারা পাকিস্তান সংসদের সম্মুখে বসে পরে এবং পাকিস্তান জুড়ে শরীয়া কায়েম না হওয়া অবধি সেস্থান থেকে নড়বে না বলে জানিয়ে দেয়। বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেবার জন্য পাকিস্তান আর্মড ফোর্সকে তলব করা হয়। একইদিনে বিক্ষোভকারীরা কাদরীর ছবি বহন করে করাচি প্রেস ক্লাবে হামলা চালায় এবং তাদের কর্মকাণ্ড পুর্ণাঙ্গভাবে তুলে ধরা হচ্ছে না এপ্রশ্ন তুলে জাগ টিভির গাড়ি পুড়িয়ে ফেলে।[১৯] সেদিনই লাহোরের গুলশান-ই-ইকবাল পার্কে একটি বোমা হামলায় ৬৯ জন মানুষ মৃত্যুবরণ করেন।[২০]

কাদরীর মৃত্যুদণ্ড পাকিস্তানি বেরেলভী এবং কিছু সুফীর সমাবেশের কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়।[২১][২২] শতাধিক মানুষ প্রতিদিন তার কবরে যাওয়ায় তার কবর স্থান একটি তীর্থস্থানের রূপ লাভ করেছে।[২৩]

স্থাপনা[সম্পাদনা]

২০১৪ সালে ইসলামাবাদে মুমতাজ কাদরীকে সম্মাননা হিসেবে তার নামে একটি বেরলভী মসজিদ নির্মাণ করা হয়। ২০১৪ সালেই তাতে এত বিপুল পরিমাণে জনসমাগম হতে থাকে যে, স্থান সংকুলান না হওয়ায় জায়গার পরিমাণ বৃদ্ধির জন্য অর্থ সংগ্রহ করা শুরু হয়।[২৪]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

  • ইলম-উদ-দীন, একজন হিন্দুপ্রকাশককে ধর্ম অবমাননা সংক্রান্ত কারণে হত্যা করেন

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Karin Brulliard (২৯ জানুয়ারি ২০১১)। "In Pakistan, even anti-violence Islamic sect lauds assassination of liberal governor"দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট। সংগ্রহের তারিখ ১৯ আগস্ট ২০১৭ 
  2. "Who were Salmaan Taseer and Mumtaz Qadri?"The News Station। ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬। ১৭ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মার্চ ২০১৬ 
  3. Nasir, Jibran (১ মার্চ ২০১৬)। "Mumtaz Qadri: From Ghazi to Shaheed"The Express Tribune। ২ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মার্চ ২০১৬ 
  4. Asad, Malik (১০ মার্চ ২০১৫)। "Qadri acquitted of terror charge; murder conviction upheld"Dawn। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মার্চ ২০১৬ 
  5. "Salman Taseer: Thousands mourn Pakistan governor"BBC। ৫ জানুয়ারি ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মার্চ ২০১৬ 
  6. Tanveer, Rana (১৩ জানুয়ারি ২০১১)। "Expert opinions: Legal minds weigh in on Qadri's options"The Express Tribune। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ 
  7. Iqbal, Nasir। "SC maintains Mumtaz Qadri's death penalty, says he is a terrorist"ডন। সংগ্রহের তারিখ ২ মার্চ ২০১৬ 
  8. Malik, Hasnaat (১৪ ডিসেম্বর ২০১৪)। "SC rejects Mumtaz Qadri's review petition against death sentence"The Express Tribune। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ 
  9. "Taseer's killer Mumtaz Qadri hanged"ডন। ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ 
  10. Yasin, Aamir (২ মার্চ ২০১৬)। "Religious figures attend Qadri's funeral"ডন। সংগ্রহের তারিখ ২ মার্চ ২০১৬ 
  11. Aftab, Noor (১২ মার্চ ২০১৬)। "PFUJ criticises Pemra over non-coverage of Qadri's funeral"The News International। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মার্চ ২০১৬ 
  12. Shah, Saeed। "Pakistanis Throng Funeral of Man Hanged for Killing Critic of Blasphemy Laws"দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মার্চ ২০১৬ 
  13. Boone, Jon (১ মার্চ ২০১৬)। "Thousands at funeral of Pakistani executed for murdering governor"দ্য গার্ডিয়ান। সংগ্রহের তারিখ ২ মার্চ ২০১৬ 
  14. "Pakistan Salman Taseer murder: Thousands mourn at Mumtaz Qadri funeral"BBC। সংগ্রহের তারিখ ২ মার্চ ২০১৬ 
  15. Jon Boone (২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬)। "Pakistan on alert as liberal governor's killer is hanged"The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ 
  16. J.B.; ERASMUS (২ মার্চ ২০১৬)। "Pakistan and blasphemy: Worryingly, a liberal's killer is honored in Pakistan"The Economist। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০১৬ 
  17. "Qadri punished for taking law into his own hands, says CII head"DAWN। সংগ্রহের তারিখ ২ মার্চ ২০১৬ 
  18. "Tension grips Islamabad as protesters enter Red Zone"Samaa Web DeskSamaa TV। ২৭ মার্চ ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মার্চ ২০১৬ 
  19. Ali, Imtiaz; Haider, Ali (২৭ মার্চ ২০১৬)। "Military called to rein in violent pro-Qadri protesters in Islamabad"Dawn News। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মার্চ ২০১৬ 
  20. Masood, Salman (২৭ মার্চ ২০১৬)। "Explosion at Park in Lahore, Pakistan, Kills Dozens"New York Times। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মার্চ ২০১৬ 
  21. Ur Rehman, Zia (৩ মার্চ ২০১৬)। "In Qadri's fate, Barelvis see their redemption"The News International। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ 
  22. "Qadri buried peacefully"। The Nation। ২ মার্চ ২০১৬। ৮ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ 
  23. "Religion and politics in Pakistan: Bad moon rising: Pakistan's Barelvis used to be trusted as anti-militants. Perhaps no longer"The Economist। ১৬ এপ্রিল ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০১৬ 
  24. Jon Boone (৩০ এপ্রিল ২০১৪)। "Pakistan mosque built to honour politician's killer to double in size"দ্য গার্ডিয়ান। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]