মকবুল আহমদ
মকবুল আহমদ | |
---|---|
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর, ৪র্থ আমীর | |
কাজের মেয়াদ ১৭ অক্টোবর, ২০১৬ – ১২ নভেম্বর, ২০১৯ | |
পূর্বসূরী | মতিউর রহমান নিজামী |
উত্তরসূরী | ডা. শফিকুর রহমান |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ২ আগস্ট ১৯৩৯ ওমরাবাদ, গজারিয়া বাজার,দাগনভূঞা, ফেনী |
মৃত্যু | ১৩ এপ্রিল ২০২১ ঢাকা |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী |
দাম্পত্য সঙ্গী | সুরাইয়া বেগম (বি. ১৯৬৬) |
সন্তান | ৩ ছেলে ২ মেয়ে |
জীবিকা | শিক্ষক, ব্যবসা |
ধর্ম | ইসলাম |
মকবুল আহমদ ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর। এছাড়াও তিনি ছিলেন একজন সাংবাদিক এবং শিক্ষক। ২০১৬ সালের ১৭ অক্টোবর সোমবার থেকে তিনি দায়িত্বগ্রহণ করে ১২ নভেম্বর ২০১৯ পরপর দুই মেয়াদে আমীর নির্বাচিত হয়ে আমীরের দায়িত্ব পালন করেছেন।[১]
ব্যক্তিগত জীবন
[সম্পাদনা]তিনি ফেনী জেলার দাগনভূঞা উপজেলার ৩ নং পূর্ব চন্দ্রপুর ইউনিয়নের ওমরাবাদ গ্রামে ১৯৩৯ সালের ২ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন। পূর্বচন্দ্রপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তার প্রাথমিক শিক্ষা জীবন শুরু হয়। প্রাথমিক শিক্ষা শেষে দাগনভূঞার কামাল আতাতুর্ক হাইস্কুলে ভর্তি হন। এরপর ১৯৫৭ সালে কৃতিত্বের সাথে জায়লস্কর হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাশ করেন। তিনি ১৯৫৯ সালে বি.এ. পাস করেন।[২]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]মকবুল আহমদ বি.এ. পাস করার পর সরকারী চাকরিতে যোগদান করেন। একবছর পর সরকারী চাকরি ছেড়ে তিনি শিক্ষকতা পেশায় যোগদান করেন এবং ১৯৭০ সাল পর্যন্ত সরিষাদী উচ্চবিদ্যালয় ও ফেনী স্ট্রোল হাইস্কুলে শিক্ষক হিসেবে কাজ করেন। ১৯৭০ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত ফেনী মহকুমাধীন ‘দৈনিক সংগ্রাম’ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[২]
রাজনৈতিক জীবন
[সম্পাদনা]ছাত্রজীবন থেকেই মকবুল আহমদ রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। ছাত্রজীবন শেষ করে ১৯৬২ সালে তিনি জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন এবং ১৯৬৬ সালে জামায়াতের রুকন (সদস্য) হন। ১৯৬৭ সাল থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত তিনি ফেনী শহর আমীরের দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯৬৮ সাল থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত মহকুমা আমীরের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭০ সালের শেষ দিকে তিনি বৃহত্তর নোয়াখালী জিলা আমীরের দায়িত্ব পালন করেন।[৩]
১৯৭০ সালের প্রাদেশিক পরিষদে নির্বাচনে ফেনী সদর ও সোনাগাজী নির্বাচনী এলাকায় জামায়াত মনোনীত প্রার্থী হিসাবে এবং ১৯৮৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী ২ এলাকা থেকে অংশ নেন। মকবুল আহমদ ১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত জামায়াতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
১৯৮৯ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০০৩ থেকে তিনি জামায়াতের নায়েবে আমীর হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১০ সালের জুনে দলের তৎকালীন আমির মতিউর রহমান নিজামী গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে মকবুল আহমাদ ভারপ্রাপ্ত আমিরের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৬ সালের ১৭ অক্টোবর তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর তৃতীয় আমীর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।[৪]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর হিসেবে জনাব মকবুল আহমাদের শপথ গ্রহণ"। ২৩ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ ক খ "Bangladesh Jamaat-e-Islami"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৪-১৫।
- ↑ bdnews24.com, Senior Correspondent। "Jamaat-e-Islami picks new chief months after Nizami hangs for Bangladesh war crimes"। bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-১২।
- ↑ "শপথ নিলেন জামায়াতের নতুন আমির মকবুল"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৪-১৫।