হুলিও সিজার (ফুটবলার)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
হুলিও সিজার
২০১১ সালে ইন্টারন্যাজিওন্যালে খেলেন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম হুলিও সিজার সোয়ারেস ডি এসপিন্দোলা
জন্ম (1979-09-03) ৩ সেপ্টেম্বর ১৯৭৯ (বয়স ৪৪)
জন্ম স্থান ডিউক ডি ক্যাক্সিয়াস, ব্রাজিল
উচ্চতা ১.৮৮ মিটার (৬ ফুট ২ ইঞ্চি)
মাঠে অবস্থান গোলরক্ষক
ক্লাবের তথ্য
বর্তমান দল
কুইন্স পার্ক র‌্যাঞ্জার্স
জার্সি নম্বর ৩৩
যুব পর্যায়
গ্রাজাউ সিসি
জ্যেষ্ঠ পর্যায়*
বছর দল ম্যাচ (গোল)
১৯৯৮-২০০৫ ফ্ল্যামেঙ্গো ১৩০ (০)
২০০৫-২০১২ ইন্টারন্যাজিওন্যালে ২২৮ (০)
২০০৫চাইভো (ধার) (০)
২০১২- কুইন্স পার্ক র‌্যাঞ্জার্স ২৪ (০)
জাতীয় দল
২০০৩- ব্রাজিল ৬৭ (০)
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে এবং ৩০ জানুয়ারি, ২০১৩ তারিখ অনুযায়ী সকল তথ্য সঠিক।
‡ জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা ২৫ মার্চ, ২০১৩ তারিখ অনুযায়ী সঠিক।

হুলিও সিজার সোয়ারেস ডি এসপিন্দোলা (পর্তুগিজ: Júlio César Soares de Espíndola; জন্ম: ৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৯) ব্রাজিলের দক্ষিণ-পূর্বাংশের শহর ডিউক ডি ক্যাক্সিয়াসে জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা ফুটবলার। সচরাচর তিনি হুলিও সিজার (পর্তুগিজ উচ্চারণ: [ˈʒuʎu ˈsezaɾ]) নামেই সমধিক পরিচিত ব্যক্তিত্ব। বর্তমানে তিনি ইংল্যান্ডের পেশাদার ফুটবল ক্লাব কুইন্স পার্ক র‌্যাঞ্জার্সের পক্ষ হয়ে খেলছেন। ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে ৬৭টি খেলায় গোলরক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

সুজানা ওয়ার্নার নাম্নী ব্রাজিলীয় মডেল তারকা ও অভিনেত্রীকে সিজার বিয়ে করেন। তাদের সংসারে কয়েত (২০০২) ও গিওলিয়া (২০০৫) - দুই সন্তান রয়েছে। এসিএস হিলিংডন ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে তারা অধ্যয়ন করছে।[১]এসিক্স নামীয় জাপানী অ্যাথলেটিক কোম্পানীর সাথে সিজারের বিজ্ঞাপনী চুক্তি রয়েছে।[২] ২০১০ সালে হুলিও সিজার তার ইতালির বিলাশবহুল ল্যাম্বোঘিনি গাড়ীর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক দূর্ঘটনায় পতিত হয়েছিলেন।

খেলোয়াড়ী জীবন[সম্পাদনা]

সিজার তার পেশাদারী ফুটবল জীবন শুরু করেন ক্লাব ডি রেগাতাস দো ফ্যামেঙ্গো’র মাধ্যমে। ১৯৯৭ সালে ক্লেমারের সহযোগী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। পরের মৌসুমে তিনি আরো উজ্জ্বীবিত ভূমিকা পালন করে মূল একাদশে আসেন ও দলের শীর্ষ গোলরক্ষকের দায়িত্ব পান। ২০০০ সালে দলকে চারবার ক্যাম্পিওনাতো ক্যারিওকা বিজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এরফলে ২০০৪ সালে কোপা আমেরিকায় ব্রাজিল জাতীয় দলের শীর্ষ গোলরক্ষকের ভূমিকায় আসীন ছিলেন। ২০০৫ সালে দলের পক্ষে রেকর্ডসংখ্যক ১৩০টি খেলায় অংশগ্রহণ করে জুলাই মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে ইন্টান্যাজিওনালে তিন বছর মেয়াদে চুক্তিবদ্ধ হন।[৩] এ চুক্তি সম্পাদনে ইন্টারের ব্যয় হয় €২.৪৫ মিলিয়ন ইউরো[৪]

সম্মাননা[সম্পাদনা]

২০০৯ সালে আইএফএফএইচএস কর্তৃক তিনি বিশ্বের তৃতীয় সেরা গোলরক্ষক নির্বাচিত হন। তিনি কেবলমাত্র ইকের কাসিইয়াস এবং জিয়ানলুইজি বুফেঁর পিছনে ছিলেন।[৫] এছাড়াও তিনি ২০০৯ ও ২০১০ সালে পরপর দুই বছর সিরি এ বর্ষসেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার পান।[৬] ২০০৯ সালে বালো দি’অর পুরস্কারের তালিকায় ২১তম স্থান দখল করেন। ঐ বছর তিনিই ছিলেন একমাত্র গোলরক্ষক যিনি এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন।[৭]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Jones, John (২ মে ২০১৩)। "Julio Caesar"। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১৩ 
  2. "Asics Football Boots"। Talkfootball.co.uk। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৬-২৩ 
  3. "Inter sign goalkeeper julio cesar"। FC Internazionale। ৮ জুলাই ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০০৯ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  4. FC Internazionale Milano SpA Report and Accounts on 30 June 2006 (ইতালীয়), CCIAA
  5. The world's best Goalkeeper 2009 IFFHS.de Retrieved 1 March 2010
  6. Ex-Inter Star Zlatan Ibrahimovic Wins 2009 'Oscar Del Calcio' goal.com 19 January 2010
  7. Le classement final ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৫ মার্চ ২০১০ তারিখে francefootball.fr 1 December 2009

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]