হামা

স্থানাঙ্ক: ৩৫°০৮′ উত্তর ৩৬°৪৫′ পূর্ব / ৩৫.১৩৩° উত্তর ৩৬.৭৫০° পূর্ব / 35.133; 36.750
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
হামা
حماة
শহর
উপর থেকে ঘড়ির কাঁটার দিক অনুসারে:
হামা স্কাইলাইন, আজেম প্রাসাদ, আল-হাসানেইন মসজিদ, নূর আল-দীন মসজিদ, খান রুস্তম পাশা, হামার পানি তোলার হুইল
ডাকনাম: أم النواعير
مدينة أبي الفداء
হামা সিরিয়া-এ অবস্থিত
হামা
হামা
সিরিয়ায় অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ৩৫°০৮′ উত্তর ৩৬°৪৫′ পূর্ব / ৩৫.১৩৩° উত্তর ৩৬.৭৫০° পূর্ব / 35.133; 36.750
Countryসিরিয়া
Governorateহামা
জেলাহামা
Subdistrictহামা
সরকার
 • Governorআব্দুল রাজ্জাক আল-কুইতানি
উচ্চতা৩০৫ মিটার (১,০০১ ফুট)
জনসংখ্যা (আদমসুমারী ২০০৪)
 • মোট৩,১২,৯৯৪[১]
 • Ethnicitiesসিরিয়ান
 • ধর্মসমূহসুন্নি
সিরিয়াক গোঁড়া চার্চ
গ্রীক গোঁড়া চার্চ
বিশেষণআরবি: حموي, প্রতিবর্ণীকৃত: Ḥamwi
সময় অঞ্চলEET (ইউটিসি+২)
 • গ্রীষ্মকালীন (দিসস)EEST (ইউটিসি+3)
এলাকা কোড৩৩
ভৌগোলিক কোডসি২৯৮৭
ClimateBSh
ওয়েবসাইটwww.ehama.sy

হামা (আরবি: حماة Ḥamāh, [ħaˈmaː]; সিরীয়: ܚܡܬ‎) হচ্ছে সিরিয়ার একটি শহর যা দেশটির পশ্চিমে অবস্থিত এবং অরন্তস নদীর তীরে অবস্থিত। দামেস্ক থেকে ২১৩ কিমি উত্তরে এবং হোমস থেকে ৪৬ কিমি উত্তরে এর অবস্থান। শহরটি হামা প্রদেশের রাজধানী। ২০০৯ সালের আদমসুমারী অনুযায়ী ৮,৫৪,০০০ মানুষ এখানে বসবাস করে। দামেস্ক, আলেপ্পো এবং হিমসের পর হামা সিরিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম শহর।[২][৩]

হামা নরিয়াস অব হামার জন্য বিখ্যাত। নরিয়াস অব হামা হল কিছু হুইল যা দিয়ে নদী থেকে পানি তোলা হতো। স্থানীয়রা দাবি করে এই হুইলসমূহ প্রায় ১১০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে তৈরি হয়েছে। যদিও এই হুইলসমূহ সেচ দেওয়ার কাজে ব্যবহৃত হতো, বর্তমানে এগুলো সম্পূর্ণই ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা হিসেবে সংরক্ষিত আছে।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

প্রাচীন যুগ[সম্পাদনা]

পুরান হামায় একটি গলি

ধারণা করা হয় হামায় লোহার যুগ থেকে বসতি স্থাপন শুরু হয়।

আমরীতি পর্যায় এবং মিত্তান্নি[সম্পাদনা]

উনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে জোহান লুডউইগ বার্কহার্ডই প্রথম হামা থেকে হিত্তিতে বা লুওয়ান হায়ারোগ্লিফিক বর্ণ আবিষ্কার করেন।[৪] এছাড়া হামাতে আসসিরিয়ান এবং আরামীয় বসতির প্রমাণও পাওয়া যায়। [৫]

মুসলিম শাসন[সম্পাদনা]

সপ্তম শতকের মুসলিম বিজয়ের সময়ে, আবু উবাইদাহ বিন আল-জাররাহ হামা দখল করে নেয়। ফলে এটি জুন্দ হিমসদের দখলে চলে যায় এবং উমাইয়া বংশ শাসনে না আসা পর্যন্ত নবম শতক পর্যন্ত তারা সিরিয়া শাসন করে।[৬]

জনতত্ত্ব[সম্পাদনা]

জসিয়া রাসেলের মতে, ১২শ শতকের সময় হামাতে প্রায় ৬৭৫০ জন মানুষ বসবাস করত।[৭] জেমস রেইলি বিভিন্ন সময়ের জরিপ একত্র করে হামার জনসংখ্যা পেয়েছেন: ১৮১২ সালে ৩০০০০ (বার্কহার্ড), ১৮৩০ সালে ২০০০০ (রবিনসন), ১৮৩৯ সালে ৩০০০০-৪০০০০ (বাওরিং), ১৮৫০ সালে ৩০০০০ (পর্টার), ১৮৬২ সালে ১০০০০-১২০০০ (গাইস), ১৮৮০ সালে ২৭৬৫৬ (সংসদীয় কাগজপত্র), ১৯০১ সালে ৬০০০০ (সংসদীয় কাগজপত্র), ১৯০২-১৯০৭ সালে ৮০০০০ (বাণিজ্যিক রিপোর্ট), ১৯০৬ সালে ৪০০০০ (আল-সাবুনি), ১৯০৯ সালে ৬০০০০ (বাণিজ্যিক রিপোর্ট)[৮]

দর্শনীয় স্থান[সম্পাদনা]

হামার সবচেয়ে বিখ্যাত স্থান হলো হামার ১৭টি নরিয়া (আরবি: نواعير حماة), এগুলো বাইজান্টাইন সময়ে তৈরি হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। এগুলো অরন্তস নদীর পাশেই অবস্থিত এবং সর্বোচ্চ ব্যাস প্রায় ২০ মিটারের মতো। সবচেয়ে বড় নরিয়াটি হলো আল মামুনাই (১৪৫৩) এবং আল-মুহাম্মেদিয় (চতুর্দশ শতাব্দী)। এই সকল নরিয়া বা হুইলসমূহ দিয়ে পানি তোলার পর তা নালায় প্রেরিত হতো এবং নালা থেকে শহরে সরবরাহ করা হতো এবং বিভিন্ন ফসলের ক্ষেতে সরবরাহ করা হতো।

এছাড়া হামাতে প্রাচীন মসজিদ এবং জাদুঘরসহ আরো কিছু দর্শনীয় স্থান রয়েছে:

  • আজেম প্রাসাদ, বর্তমানে এটিকে জাদুঘরে রূপান্তিত করা হয়েছে।
  • নূর আল দীন মসজিদ, ১১৬৩ সালে নূর আল দীন মসজিদটি তৈরি করেন।
  • মসজিদ এবং আবু আল ফিদার মাজার, যিনি একজন আয়ুবী ইতিহাসবেত্তা ছিলেন এবং শহরটির রাজ্যপাল ছিলেন।
  • হামার গ্রেট মসজিদ, ১৯৮২ সালে ধ্বংস হবার পর পুনরায় এটিকে সংস্কার করা হয়।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "2004 official census" (পিডিএফ)। cbss। ১০ মার্চ ২০১৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১১-০৪ 
  2. Updated: Your Cheat Sheet to the Syrian Conflict. PBS.
  3. "Hamah (Syria)"। Encyclopædia Britannica। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুন ২০১৩ 
  4. The Decipherment of Hittite ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩১ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে James Norman (Schmidt), Ancestral Voices: Decoding Ancient Languages, Four Winds Press, New York, 1975.
  5. Ring, 1996, p.315.
  6. Dumper, Stanley, and Abu-Lughod, 2007, p.163.
  7. Shatzmiller, 1994, p.59.
  8. James Reilly, A Small Town in Syria, Ottoman Hama in the 18th and 19th Centuries, p73. Peter Lang Publishing (2002)

গ্রন্থপঞ্জি[সম্পাদনা]

আরো পড়ুন[সম্পাদনা]

  • P. J. Riis/V. Poulsen, Hama: fouilles et recherches 1931–1938 (Copenhagen 1957).

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]