শান্তনু মৈত্র

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শান্তনু মৈত্র
জন্ম (1968-01-22) ২২ জানুয়ারি ১৯৬৮ (বয়স ৫৬)[১]
পেশা{{গায়ক|সুরকার|সঙ্গীত পরিচালক}}
ওয়েবসাইটhttp://www.shantanumoitra.in/

শান্তনু মৈত্র (জন্ম- ২২ জানুয়ারি ১৯৬৮) একজন ভারতীয় বাঙালি সঙ্গীত পরিচালক, যিনি হিন্দি, বাংলা চলচ্চিত্রে সুরারোপ ও গান সৃষ্টি করেছেন। তাঁর সফল চলচ্চিত্রগুলি হল ২০০৫ এর পরিণীতা , হাজারো খোয়াইসে এয়সি, ২০০৬ এর লাগে রাহো মুন্না ভাই এবং ২০০৯ এর থ্রি ইডিয়টস , এবং ব্যক্তিগত অ্যালবামগুলি, মন কে মঞ্জিরে এবং শোভা মুদ্গলের গাওয়া অব কে সাওন সুর প্রদানের জন্য তিনি সর্বাধিক পরিচিত। ২০১৪ সালে তিনি না বাঙ্গারু তাল্লিতে আবহ সঙ্গীত নির্মাণের শ্রেষ্ঠ আবহসঙ্গীত বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। [২]

প্রথম জীবন ও শিক্ষা[সম্পাদনা]

শান্তনু লক্ষ্ণৌ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা একটি বাঙালি সঙ্গীতপ্রেমী পরিবার থেকে এসেছেন। তিনি যখন খুব ছোট তখন তিনি তার পরিবারের সঙ্গে দিল্লি চলে আসেন। প্রথমে পশ্চিম দিল্লির প্যাটেল নগরে থাকতেন এবং পুশা রোডের স্প্রিংডেলস বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেন, যেখানে তিনি ব্যান্ডের গায়ক ও দলনেতা ছিলেন। ১৯৮২ সালে এই ব্যান্ডটি বিদ্যালয়ের প্রথম রক শো করে।[৩]

ইতিমধ্যে, স্প্রিংডেলসের একজন প্রাক্তন ছাত্র ও এই শহরের লোকগায়ক সুস্মিত বোসের থেকে তারা সঙ্গীত শিক্ষা পান। পরে তিনি দক্ষিণ দিল্লির চিত্তরঞ্জন পার্কে চলে যান।[৪][৫] তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত দেশবন্ধু কলেজে পড়াশুনা করেন ও অর্থনীতিতে স্নাতক হন। [১][৬]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

মৈত্র তার কর্মজীবন একটি বিজ্ঞাপন সংস্থায় গ্রাহক পরিষেবা কর্মকর্তা হিসাবে শুরু করেন। তিনি ঘটনাক্রমে বিজ্ঞাপন জিংগিলসের জন্য সঙ্গীত রচনা করেন, যখন তাকে প্রদীপ সরকার ,ঐ সংস্থার সৃজনাত্মক প্রধান দ্বারা শেষ মিনিটে একটি ছন্দ রচনা করতে অনুরোধ করা হয় । ছন্দটি/জিঙ্গিলস ছিল, আঙ্কেল Chipps নামে চিপস ব্র্যান্ডের জন্য, "বোলে মেরে লিপস। আই লাভ আঙ্কেল চিপস" ,যা একটি তাত্ক্ষণিক সাফল্য পায়,এবং তিনি পরে প্রদীপ সরকার এবং একাধিক বিজ্ঞাপন ব্রান্ডের জন্য বিভিন্ন ছন্দ/জিঙ্গিলস রচনা করেন।[৬][৭] এর পরে ইন্ডিপপ অ্যালবামের সঙ্গীতের জন্য সুর রচনা করেন যেটি খুব বিখ্যাত হয়েছিল,সঙ্গে অব কে সাওন, নারীর বিরাট সাফল্য-অর্জনের স্বপ্নের আলবাম:মন কে মঞ্জিরে , এবং ২০০৩ সালের শুভ মুদগলের জন্য স্বপ্না দেখা হ্যায় ম্যায়নে । মৈত্র ২০০২ সালে মুম্বাই চলে যান যখন,তিনি তার প্রথম স্বাক্ষরিত ছায়াছবি সুধীর মিশ্র এর হাজারো খোয়াইসে এইসি র জন্য কাজ শুরু করেন,[৮] এবং শীঘ্রই গীতিকার স্বানন্দ কিরকিরের সঙ্গে দল গঠন করেন ,"বাওয়ারা মন .. " গান দিয়ে যাত্রা শুরু । পরিণীতা তৈরি হবার আগেই তিনি রাথ হামারি তো নামে একটি গান তৈরি করেছিলেন,এস চিত্রা গানটি গেয়েছিলেন,যেটি পরিণীতার প্রযোজক বিধু বিনোদ চোপড়া , শোনেন এবং পরবর্তীকালে তার সুপারিশে, তিনি প্রদীপ সরকার দ্বারা নির্দেশিত ২০০৫ সালে পরিণীতা ছায়াছবিতে সুযোগ পান এবং পরে চোপড়ার নিজের পরিচালিত একলব্য: রয়াল গার্ডে ও সুযোগ পান।[৯][১০][১১]

পুরস্কার[সম্পাদনা]

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার

ফিল্মফেয়ার পুরস্কার

ডিস্কোগ্রাফি[সম্পাদনা]

সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে[সম্পাদনা]

বছর চলচ্চিত্র মন্তব্য
২০০২ পেয়ার কি ধুন
লীলা
২০০৫ হাজারোঁ খলওয়াইসে অ্যাসি পরিণীতা নতুন সঙ্গীত প্রতিভার জন্য ফিল্মফেয়ার আরডি বর্মন পুরস্কার
ইয়াহা
৭½ ফেরে
কাল: ইয়েস্টারডে অ্যান্ড টুমোরো
২০০৬ লাগে রাহো মুন্না ভাই
২০০৭ খোয়া খোয়া চাঁদ
একলব্য: দ্য রয়্যাল গার্ড
লাগা চুনারি মে দাগ
২০০৮ ওয়েলকাম টু সাজ্জানপুর
২০০৯ অন্তহীন
ফির কভি
৩ ইডিয়টস
২০১০ ওয়েল ডান আব্বা
রাজনীতি একটি গান, "ইসক বরষে"
২০১২ কোক স্টুডিও ২ সিজন ২ পর্ব ৭
চক্রব্যূহ
কৃষ্ণ অর কংস্
শোয়েবিতে
পাঁচ অধ্যায়
অপরাজিতা তুমি
২০১৩ ইনকার
মাদ্রাজ ক্যাফে
অ্যা লিটল লস্ট
আফটারগ্লো
না বাঙ্গারু তাল্লি দ্বিভাষিক চলচ্চিত্র (তেলেগু এবং মালায়ালাম)
২০১৪ বুনো হাঁস
ববি জাসুস
পিকে
২০১৬ ওয়াজির
পিঙ্ক
গুলজার ইন কনভারজেশন উইথ টেগোর হিন্দি গানের অ্যালবাম
২০১৮ অক্টোবর
২০১৯ আধার
২০২০ গুলাবো সিতাবো একটি গান, "কাঞ্জুস"
২০২১ কাদন ত্রিভাষিক চলচ্চিত্র (হিন্দি, তামিল, এবং তেলেগু)
সরদার উধম
২০২২ শেরদিল সব গান
২০২৩ লস্ট
প্রধান
ডানকি
কাদাক সিং

প্লেব্যাক গায়ক হিসেবে[সম্পাদনা]

বছর চলচ্চিত্র গান সুরকার মন্তব্য
২০০৯ ৩ ইডিয়টস "বেহতি হাওয়া সা থা ওহ" শান্তনু মৈত্র
২০১৩ ইনকার "মওলা তু মালিক হ্যায়" শান্তনু মৈত্র

আবহসঙ্গীত নির্মাতা হিসেবে[সম্পাদনা]

বছর চলচ্চিত্র মন্তব্য
২০০৯ ৩ ইডিয়টস সঞ্জয় ওয়ান্ডারকার এবং অতুল রানিঙ্গার সাথে
সেরা ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোরের জন্য আইফা পুরস্কার জিতেছপন
২০১৩ এনতে মালায়ালম চলচ্চিত্র
না বাঙ্গারু তাল্লি জিতেছেন শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালনার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (সেরা ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর)
২০১৮ অক্টোবর
২০২০ গুলাবো সিতাবো
২০২১ সরদার উধম
২০২৩ লস্ট

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

তার সঙ্গে সারদা মৈত্রর বিবাহ হয় এবং এই দম্পতির একটি ছেলে আছে, যার নাম শুভম।[৯]

আবহ সঙ্গীত সুরকার[সম্পাদনা]

বছর চলচ্চিত্র অন্যান্য টীকা
২০০৯ থ্রি ইডিয়টস সঞ্জয় ওয়ান্দেরকার ও অতুল রানিঙ্গার সঙ্গে
শ্রেষ্ঠ আবহ সঙ্গীতে সুরপ্রদানের জন্য আই.আই.এফ.এ পুরস্কার বিজয়ী
২০১৩ এন্টে মালয়ালম চলচ্চিত্র
না বাঙ্গারু তাল্লি শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত নির্দেশের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী (শ্রেষ্ঠ আবহ সঙ্গীত)

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Hindustan Times, Brunch,5 August 2012, p. 22.
  2. ""Naa Bangaru Talli" wins three national awards – Telugu Movie News"। ২৭ জুন ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০১৫ 
  3. http://www.telegraphindia.com/1111225/jsp/graphiti/story_14923722.jsp#.UPfV2x2PEfQ
  4. Sharing Notes: Musician Shantanu Moitra can claim credit for having popularised rock in his school[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] Indian Express, 10 July 2004.
  5. Shantanu Moitra, before Parineeta Rediff.com, 3 September 2007.
  6. Thank an ad crisis for Parineeta's music Rediff.com, 9 June 2005.
  7. Shantanu Moitra on remixes আর্কাইভইজে আর্কাইভকৃত ১৯ অক্টোবর ২০০৭ তারিখে IndiaFM, 10 August 2006.
  8. Melody: Tracing the history of Hindi film music from 1931[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] Screen, 2005.
  9. Bohemian Rhapsody: Parineeta’s success hasn’t changed music composer Shantanu Moitra’s pace or lifestyle[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] Indian Express, 7 August 2005.
  10. The man and his music: Shantanu Moitra talks about composing music for the upcoming film, “Laga Chunari Mein Daag” ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১২ অক্টোবর ২০০৭ তারিখে The Hindu, 5 October 2007.
  11. ...But for everything I had to impress Vidhu Vinod Chopra first... ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৭ মার্চ ২০০৮ তারিখে musicindiaonline.com.
  12. "61st National Film Awards" (পিডিএফ)Directorate of Film Festivals। ১৬ এপ্রিল ২০১৪। ১৬ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০১৪ 
  13. ""Naa Bangaru Talli" wins three national awards – Telugu Movie News"। ২৭ জুন ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০১৫