লিন্ডসে টাকেট

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
লিন্ডসে টাকেট
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম(১৯১৯-০২-০৬)৬ ফেব্রুয়ারি ১৯১৯
ডারবান, নাটাল, দক্ষিণ আফ্রিকা
মৃত্যু৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬(2016-09-05) (বয়স ৯৭)
ব্লুমফন্তেইন, ফ্রি স্টেট, দক্ষিণ আফ্রিকা
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি
ভূমিকাবোলার
সম্পর্কপিতা: লেন টাকেট
পিসেমশাই: জো কক্স
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১৬২)
৭ জুন ১৯৪৭ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট৫ মার্চ ১৯৪৯ বনাম ইংল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৬১
রানের সংখ্যা ১৩১ ১,৪৯৬
ব্যাটিং গড় ১১.৯০ ১৭.৬০
১০০/৫০ ০/০ ১/৪
সর্বোচ্চ রান ৪০* ১০১
বল করেছে ২,১০৪ ১৩,০৯৭
উইকেট ১৯ ২২৫
বোলিং গড় ৫১.৫৭ ২৩.০৭
ইনিংসে ৫ উইকেট ১৮
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৫/৬৮ ৮/৩২
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৯/০ ৩৮/০
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬

লিন্ডসে টাকেট (ইংরেজি: Lindsay Tuckett; জন্ম: ৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯১৯ - মৃত্যু: ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬) নাটাল প্রদেশের ডারবানে জন্মগ্রহণকারী বিশিষ্ট দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৪৭ থেকে ১৯৪৯ সময়কালে নয় টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে অরেঞ্জ ফ্রি স্টেটের সদস্য ছিলেন। নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম ফাস্ট বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন।

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে এক টেস্টে অংশগ্রহণকারী লেন টাকেটের সন্তান তিনি। একমাস পূর্বে তার পিসেমশাই জো কক্সের ষোড়শ জন্মদিন উদ্‌যাপন করেন। মার্চ, ১৯৩৫ সালে অরেঞ্জ ফ্রি স্টেটের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। সুইঙ্গারে সবিশেষ দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন। অন্যতম দুর্বল প্রাদেশিক দলের সদস্যরূপে নিয়মিত উইকেট সংগ্রাহক ছিলেন তিনি। ঐ দলে পরবর্তী ২০ বছর কাটালেও টেস্টে খুবই স্বল্পকাল অতিবাহিত করেছেন।

খেলোয়াড়ী জীবন[সম্পাদনা]

১৯৪৭ সালে ইংল্যান্ড সফরের জন্য মনোনীত হন। প্রতিশ্রুতিশীলতার স্বাক্ষর রাখলেও প্রথম টেস্টেই মাংসপেশীতে টান পড়ে তার। ফলে সিরিজের পরবর্তী সকল টেস্টেই তুলনামূলকভাবে কম কার্যকর ছিলেন। তাস্বত্ত্বেও ১৫ উইকেট নিয়ে দলের পক্ষে যৌথভাবে শীর্ষ উইকেট সংগ্রহকারী ছিলেন। তন্মধ্যে, ট্রেন্ট ব্রিজে অনুষ্ঠিত সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের ৫ ব্যাটসম্যানকে আউট করেন ৬৮ রানের বিনিময়ে।[১] দ্বিতীয় ইনিংসে তার বোলিং ড্রপক্যাচ হওয়ায় ইংল্যান্ড পরাজয় এড়াতে সক্ষম হয়। ১৯৪৮ সালের উইজডেনের সংস্করণে জানা যায়, ৩২৫ রান পিছনে থেকে ইংল্যান্ডের সমূহ পরাজয়ের সম্ভাবনা ছিল। লর্ডসের দ্বিতীয় টেস্টেও পাঁচ উইকেট দখল করেন ও ১১৫ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে বিল এডরিচডেনিস কম্পটনের সেঞ্চুরির কল্যাণে ইংল্যান্ড ঘুরে দাঁড়ায়। ১৯৪৭ সালের ঐ সফরে ২৫ গড়ে ৬৯ উইকেট পান টাকেট।

১৯৪৮-৪৯ মৌসুমে মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যায়। টাকেট পুনরায় বোলিং উদ্বোধনে নামেন। পাঁচ টেস্টের চারটিতেই এ দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু পরবর্তী আঠারো মাসে তার ছন্দপতন শুরু হয়। সিরিজে তিনি মাত্র চার উইকেট দখল করেছিলেন ও আর কখনো দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে খেলতে পারেননি। প্রথম টেস্টের শেষ বল করেন। ইংল্যান্ডের নবম উইকেট জুটিতে অ্যালেক বেডসারক্লিফ গ্লাডউইনকে ওভারের অষ্টম ও চূড়ান্ত বল করলে এক রান তুলে সফরকারী দল নাটকীয় জয় পায়।

দেহাবসান[সম্পাদনা]

২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪ তারিখে নরম্যান গর্ডনের দেহাবসানের পর লিন্ডসে টাকেট সর্বাপেক্ষা প্রবীণ টেস্ট ক্রিকেটারের মর্যাদা পান।[২] ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ তারিখে ফ্রি স্টেট প্রদেশের ব্লুমফন্তেইনে তার দেহাবসান ঘটে।[৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "1st Test: England v South Africa at Nottingham, Jun 7–11, 1947"ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ডিসেম্বর ২০১১ 
  2. Staff writers (২ সেপ্টেম্বর ২০১৪)। "Oldest Test cricketer dies aged 103"ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ 
  3. "Oldest Test cricketer Lindsay Tuckett dies aged 97"ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

পূর্বসূরী
নরম্যান গর্ডন
বয়োঃজ্যেষ্ঠ জীবিত টেস্ট ক্রিকেটার
২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪-৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
উত্তরসূরী
জন ওয়াটকিন্স