ভ্লাদিমির নাবোকভ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ভ্লাদিমির নাবোকফ
১৯৭৩ সালে মন্টরেক্সে নাবোকফ।
১৯৭৩ সালে মন্টরেক্সে নাবোকফ।
জন্মভ্লাদিমির ভ্লাদিমিরোভিচ নাবোকফ
২২ এপ্রিল (১০ ই এপ্রিল ১৮৯৯ ওল্ড স্টাইল) [ক]
সেইন্ট পিটার্সবার্গ, রাশিয়ান সাম্রাজ্য
মৃত্যু২ জুলাই ১৯৭৭(1977-07-02) (বয়স ৭৮)
মন্টরেক্স, সুইজারল্যান্ড
পেশাউপন্যাসিক, অধ্যাপক
দাম্পত্যসঙ্গীভিরা নাভোকফ
সন্তানদিমিত্রি নাবোকফ

স্বাক্ষর

 সাহিত্য প্রবেশদ্বার
ভ্লাদিমির নাবোকফের বাড়ি।

ভ্লাদিমির ভ্লাদিমিরোভিচ নাবোকফ (রুশ: Владимир Владимирович Набоков; উচ্চারণ [vlʌ'dimɪr nʌ'bɔkəf]) (২২শে এপ্রিল ১৮৯৯, সেইন্ট পিটার্সবার্গ২রা জুলাই, ১৯৭৭, মোঁত্রো) একজন রুশ-মার্কিন লেখক। তিনি শুরুতে রুশ ভাষায় সাহিত্য রচনা করলেও পরবর্তীতে ইংরেজিতে অভিনব গদ্যশৈলীতে উপন্যাস রচনার জন্য আন্তর্জাতিক খ্যাতিলাভ করেন। এছাড়া লেপিডপ্টেরিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য ও বেশ কিছু দাবার সমস্যা উদ্ভাবনের জন্যও তিনি স্মরণীয়।

নাবকফের লোলিটা (১৯৫৫) বিংশ শতাব্দীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপন্যাস হিসেবে পরিচিত। এটি ইংরেজিতে তার সেরা সাহিত্যকর্ম। পেইল ফায়ার (১৯৬২) নামের উপন্যাসটিও বহুল পরিচিত। নাবকফ যে শব্দ নিয়ে খেলতে ও খুঁটিনাটি বিস্তারিত বিবরণ দিতে ভালবাসতেন, দুটি উপন্যাসই তার সাক্ষ্য দেয়।

শৈশব ও শিক্ষা[সম্পাদনা]

১৮৯৯ সালের ২২ এপ্রিল (১০ ই এপ্রিল ১৮৯৯ ওল্ড স্টাইল) সেন্ট পিটার্সবার্গে জন্মগ্রহণ করেন, রাশিয়ান এক ধনী এবং বিশিষ্ট পরিবারে,যার শিকড় চৌদ্দ শতকের টাটার রাজকুমার,নাবক মুরজা-এর সন্ধান দেয়। যিনি রূশ সম্রাটের (Tsars) সেবায় নিযুক্ত ছিলেন এবং যার কাছ থেকে পরিবারের নাম প্রাপ্ত হয়। [4] [5] [6 তার পিতা ছিলেন উদার আইনজীবী, রাষ্ট্রনায়ক, এবং সাংবাদিক ভ্লাদিমির দিমিত্রিভিচ নাভোকভ (১৮৭০-১৯২২) এবং তার মা ছিলেন এক মিলিয়নের সোনা-খনির মালিকের নাতনী ইয়েলিনা আভেনিভনা রুকায়াভিসনোকোভা।

ভ্লাদিমির চারজন ছোট ভাইবোনদের মধ্যে সবচেয়ে বড় এবং প্রিয় সন্তান; সের্গেই (১৯০০-৪৫); ওলগা (১৯০৩-৭৮); এলেনা (১৯০৬-২০০০) এবং কিরিল (১৯১২-৬৪)।তিনি সেন্ট পিটার্সবার্গে এবং শহরের দক্ষিণে,ভায়রা অঞ্চলে,সভের্কায়ার কাছাকাছি তে তার শৈশব ও বড় হয়ে ওঠা, তার শৈশব ছিল ' নিখুঁত ' এবং ' বহুজাতিক ', বিভিন্ন কারণে অসাধারণ ছিল। পরিবারে তারা রাশিয়ান, ইংরেজি, এবং ফ্রেঞ্চে ভাষায় কথা বলত, এবং নাবোকভ ছোটবেলা থেকেই ত্রিভাষী ছিলেন। তিনি উল্লেখ করেন যে প্রথম ইংরেজি বইটি তার মা তার কাছে পড়েছিলেন, সেটি ফ্লোরেন্স মন্টগোমেরির লেখা ' মিসআন্ডারস্তুড ' (১৮৬৯)।

১৯১৬ সালে, নাবোকোভের প্রথম কবিতা সংগ্রহ প্রকাশিত হয়, স্টিখি ("কবিতা"), ৬৮ রাশিয়ান কবিতা সংগ্রহে ছিল। সেই সময়ে, নাবোকভ সেন্ট পিটার্সবার্গে টেনিসেভ স্কুলে যোগ দেন, যেখানে তার সাহিত্যিক শিক্ষক ভ্লাদিমির ভাসিলিয়েভিচ গিপিয়ার তার সাহিত্যিক কৃতিত্বের প্রতি সমালোচনা করেছিলেন। ‘স্টিখি’ প্রকাশের কিছু সময় পরে, বিখ্যাত কবি এবং ভ্লাদিমির জিপিয়াসের প্রথম খুড়তুত বোন, একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে নাবকভের বাবা কে বলেন,"আপনার ছেলেকে দয়া করে বলুন,যে সে কোনদিনই লেখক হতে পারবে না।"[১]

১৯২২ সালে, ভার্জিনিয়া ট্রিনিটি কলেজ থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে বি.এ. পাশ করেন।

পরিবার এবং কর্মজীবন[সম্পাদনা]

১৯২০ সালে, নাবোকোভের পরিবার বার্লিনে চলে গিয়েছিল, কিন্ত মার্চ ১৯২২ সালে নাবোকভের বাবা বার্লিনে গুলিবিদ্ধ হন এবং পরে মারা যান, বাবা মারা যাওয়ার অল্প সময় পরে, নাবোকভের মা এবং বোন প্রাগ থেকে চলে যায়।যদিও নাবোকভ বার্লিনে থেকে গেলেন, যেখানে তিনি একজন স্বীকৃত কবি ও লেখক হলেন, তার ক্ষুদ্র লেখার আয়ের পরিপূরক, তিনি ভাষা শেখানো, টেনিস ও বক্সিং এর পাঠদান করতেন।[২]

১৯২৩ সালের মে মাসে,বার্লিনে,[৩] তার এক রাশিয়ান-ইহুদি নারী ভিরা এভসাইয়েভনা স্লোনামের সঙ্গে দেখা হয় এবং এপ্রিল ১৯২৫ সালে তাকে বিয়ে করেন।[৪] তাদের একমাত্র সন্তান, দিমিত্রি,[৪] ১৯৩৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন।১৯৩৭ সালে, তিনি ফ্রান্সের জন্য জার্মানি ত্যাগ করেন, যেখানে তিনি এক রাশিয়ান মহিলা, ইরিনা গুয়াডানিনির সাথে একটি সংক্ষিপ্ত সম্পর্ক স্থাপন করেন।

১৯৪০ সালের মে মাসে, জার্মান সৈন্য অগ্রসর হয় মার্কিন যুক্তরােষ্ট্রর দিকে, নাবোকভের পরিবার তার ভাই সের্গেইকে ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে পালিয়ে যায়, ৯ জানুয়ারী ১৯৪৫ এ নুয়েঙ্গামে কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে মারা যান তিনি।[৫]

১৯৪১ সালে,নাবোকভ ওয়েলসেলি কলেজের সাহিত্যের লেকচারার হিসেবে যোগ দেন।১৯৪৫ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব লাভ করেন। তিনি পশ্চিমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রজাপতি সংগ্রহের ভ্রমণের সময় লোলিটালিখেছিলেন।লোলিটার বিশাল আর্থিক সাফল্যের পর,তিনি ইউরোপে ফিরে আসেন এবং নিজেকে লেখার জন্য বিশেষভাবে উৎসর্গ করেন। ১ অক্টোবর, ১৯৬১, তিনি ও তার স্ত্রী ভিরা,সুইজারল্যান্ডের মন্ট্ররেক্সের "মন্টরেক্স পেলেস হোটেলে" চলে আসেন; তিনি তার জীবনের শেষ পর্যন্ত সেখানেই থাকতেন।[৬]

২ জুলাই ১৯৭৭, ভ্লাদিমির নাবোকভ মারা যান।

আরও পড়ুন[সম্পাদনা]

জীবনী[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

  • Vladimir-Nabokov.org – Site of the Vladimir Nabokov French Society, Enchanted Researchers (Société française Vladimir Nabokov : Les Chercheurs Enchantés).


টীকা[সম্পাদনা]

  1. Confusion over his birth date was generated by some people misunderstanding the relationship between the Julian and Gregorian calendars. At the time of Nabokov's birth, the offset between the calendars was 12 days. His date of birth in the Julian calendar was 10 April 1899;[৭] in the Gregorian, 22 April 1899.[৭] The fact that the offset increased from 12 to 13 days for dates occurring after February 1900 was always irrelevant to earlier dates, and hence a 13-day offset should never have been applied to Nabokov's date of birth. Nevertheless, it was so misapplied by some writers, and 23 April came to be erroneously shown in many places as his birthday. In his memoirs Speak, Memory Nabokov indicates that 22 April was the correct date but that he nevertheless preferred to celebrate his birthday "with diminishing pomp" on 23 April (p. 6). As he happily pointed out on several occasions during interviews, this meant he also shared a birthday with William Shakespeare and Shirley Temple (see, for example, his New York Times interview with Alden Whitman on 23 April 1969, p. 20; see also Brian Boyd's biography).

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Cycnos"। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০১৫ 
  2. Zimmer, Dieter E (১৫ জুলাই ২০০২), Presentation of the book Nabokov's Berlin, The International Vladimir Nabokov Symposium, St. Petersburg .
  3. Schiff, Stacy। "Vera, chapter 1, para 6"The New York Times 
  4. Amis, Martin (১৯৯৪) [1993], Visiting Mrs Nabokov: And Other Excursions (reprint সংস্করণ), Penguin Books, পৃষ্ঠা 115–18, আইএসবিএন 0-14-023858-1 .
  5. Grossman, Lev (১৮ মে ২০০০), "The gay Nabokov", Salon, সংগ্রহের তারিখ ৮ ডিসেম্বর ২০১৩ .
  6. Herbert Gold (Summer-Fall 1967). "Vladimir Nabokov, The Art of Fiction No. 40". The Paris Review.
  7. Brian Boyd p 37