বৈকাল তিলিহাঁস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

বৈকাল তিলিহাঁস
Anas formosa
পুরুষ বৈকাল তিলিহাঁস
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: প্রাণীজগৎ
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: পক্ষী
মহাবর্গ: গ্যালোয়ানসেরাই
বর্গ: আন্সেরিফর্মিস
পরিবার: অ্যানাটিডি
উপপরিবার: Anatinae
গণ: Anas
প্রজাতি: A. formosa
দ্বিপদী নাম
Anas formosa
Georgi, 1775

বৈকাল তিলিহাঁস (বৈজ্ঞানিক নাম: Anas formosa) বা বৈকাল হাঁস Anatidae (অ্যানাটিডি) গোত্র বা পরিবারের অন্তর্গত Anas (অ্যানাস) গণের অন্তর্ভুক্ত এক প্রজাতির পরিযায়ী হাঁস।[২][৩] পাখিটি বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে দেখা যায়। বৈকাল তিলিহাঁসের বৈজ্ঞানিক নামের অর্থ সুন্দর হাঁস (লাতিন: anas = হাঁস; formosus = সুন্দর)।[৩] সারা পৃথিবীতে এক বিশাল এলাকা জুড়ে এরা বিস্তৃত, প্রায় ৩৫ লক্ষ ৫০ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এদের আবাস।[৪] বিগত কয়েক দশক ধরে এদের সংখ্যা ক্রমেই কমছে, তবে এখনও আশঙ্কাজনক পর্যায়ে যেয়ে পৌঁছেনি। সেকারণে আই. ইউ. সি. এন. এই প্রজাতিটিকে ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত বলে ঘোষণা করেছে।[১] বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে এই প্রজাতিটিকে সংরক্ষিত ঘোষণা করা হয় নি।[৩]

বৈকাল তিলিহাঁস দলবদ্ধভাবে বসবাস করে এবং অপ্রজননকালীন মৌসুমে বিশাল বিশাল দলে বিচরণ করে। বড় সংরক্ষিত জলাশয়ে এদের সহজে দেখা যায়। উদ্ভিদ বীজ ও ছোট ছোট জলজ জীব এদের প্রধান খাদ্য।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. BirdLife International (২০১২)। "Anas formosa"বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা। সংস্করণ 2012.1প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০১২ 
  2. রেজা খান (২০০৮)। বাংলাদেশের পাখি। ঢাকা: বাংলা একাডেমী। পৃষ্ঠা ৩৩০। আইএসবিএন 9840746901 
  3. জিয়া উদ্দিন আহমেদ (সম্পা.) (২০০৯)। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ: পাখি, খণ্ড: ২৬। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ২৫–৬। 
  4. "Anas formosa"BirdLife International। ২০১১-০৮-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৯-১৮ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]