প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট
সক্রিয়১৯৭৬ - বর্তমান
দেশ বাংলাদেশ
আনুগত্যবাংলাদেশ সেনাবাহিনী
ধরননিরাপত্তা
ভূমিকারাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং ভিভিআইপি দের নিরাপত্তা[১]
আকারতিনটি রেজিমেন্ট
গ্যারিসন/সদরদপ্তরঢাকা সেনানিবাস
ডাকনামপিজিআর
বার্ষিকী৫ জুলাই[২]
কমান্ডার
কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খালেদ কামাল, বিএসপি, এনডিসি, পিএসসি
উল্লেখযোগ্য
কমান্ডার
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এবিএম ইলিয়াস (এমএসপি) ১৯৮৪-৮৯
প্রতীকসমূহ
পতাকা

প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট (পিজিআর) বঙ্গভবনে অবস্থিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির নির্বাহী অফিসের একটি সত্তা, রাষ্ট্রপতির বিদেশ ভ্রমণ, রাষ্ট্রপতির সাধারণ যাতায়াত, চিকিৎসা সহায়তা ও জরুরি চিকিৎসা সেবা, এবং আতিথেয়তা পরিষেবা সহ সকল ধরনের নিরাপত্তা, সামরিক সহায়তা নিশ্চিত করে।[৩] পিজিআর এর প্রধান হলেন রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব এবং প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের কমান্ডার। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৭৬ সালে এই বাহিনী গঠন করেন। সেই সময় এটি প্রেসিডেন্সিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স নামে পরিচিত ছিল। ১৯৮২ সালে রাষ্ট্রপতি হুসেন মুহাম্মদ এরশাদ এটি পূনর্গঠন করেন এবং একটি পূর্ণাঙ্গ বাহিনী হিসাবে উন্নীত করেন [৪] এবং সেই সময় এটির নাম পরিবর্তন করে নির্ধারণ করা হয় এবং নতুন নাম প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯৮২ সালে পুনর্গঠন করা হয় এবং রাষ্ট্রপতি এবং অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও উচ্চপদস্থ কূটনৈতিক কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা প্রদান এই বাহিনীর লক্ষ্য হিসাবে নির্ধারন করা হয়।

লক্ষ্য এবং কার্যপরিধি[সম্পাদনা]

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাদের পরিবারের নিকটতম সদস্যদের এবং বিধিবদ্ধ আইন এবং সরকার সিদ্ধান্ত হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তা প্রদান এই বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব।

রাষ্ট্রপতির সকল দেহরক্ষী এই অফিসের অধীনে নিয়োগ করা হয়। অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার প্রধানরা এই সুরক্ষা পেয়ে থাকেন।

প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের এর কমান্ডার একজন সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল যিনি রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন, তার পদমর্জাদা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউসের সামরিক অফিসারের সমতুল্য। তিনি সরাসরি রাষ্ট্রপতির কাছে রিপোর্ট করেন।[৫]

কমান্ডেন্ট সাধারণত একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হয়ে থাকেন, যিনি দৈনন্দিন প্রশাসন কাজের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকেন।

আট প্লাটুন সৈন্যের সমন্বয়ে এই বাহিনী গঠন করা হয় আর প্রতিটি প্লাটুনের নেতৃত্বে থাকেন একজন মেজর অথবা ক্যাপ্টেন পদমর্জাদার কর্মকর্তা। এই রেজিমেন্টর সদস্যদের পোশাক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অন্যন্য বাহিনীর থেকে আলাদা এবং এই বাহিনীর সদস্যদের পোশাকের সাথে আগ্নেয়াস্ত্র বহন করা র অনুমতি রয়েছে, এমনকি শান্তিকালীন সময়ও।

অস্ত্রসমূহ[সম্পাদনা]

নাম ধরন ক্যালিবার
টাইপ ৯২ আধা-স্বয়ংক্রিয় পিস্তল ৯ মিমি
বিডি-০৮ অ্যাসল্ট রাইফেল ৭.৬২মিমি
হেকলার ও কোচ এমপি৫ সাবমেশিন গান ৯ মিমি
রোমাক তৃতীয় স্নাইপার রাইফেল ৭.৬২মিমি
বিডি-০৮ হালকা মেশিনগান ৭.৬২মিমি
আরপিডি হালকা মেশিনগান ৭.৬২মিমি
টাইপ ৮০ সাধারণ উদ্দেশ্য মেশিনগান ৭.৬২মিমি
এম৪০এ১ রিকোয়েললেস রাইফেল ১০৬মিমি

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "President asks PGR to ensure security for VVIPs not isolating them from people"Prothom Alo। ৫ জুলাই ২০২৩। 
  2. "আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়"। ১৪ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৪ 
  3. Unb, Dhaka (১৭ জুলাই ২০১৯)। "Work to uphold glory of PGR: President"The Daily Star 
  4. http://lcweb2.loc.gov/cgi-bin/query/r?frd/cstdy: @ ক্ষেত্রের (DOCID + bd0146)
  5. বাংলাদেশ ইন্টেলিজেন্স ও নিরাপত্তা